অনলাইন ডেস্ক :
রাজধানীর বাড্ডা থানার একটি হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের পালিত ছেলে পরিচয় দেওয়া আসাদুজ্জামান হিরুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ১৫ জানুয়ারি বুধবার মধ্যরাতে গুলশান থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
আরও পড়ুন
রিমান্ডের জন্য সকল থানায় স্বচ্ছ কাঁচের আলাদা কক্ষ রাখার সুপারিশ
পুলিশ জানায়, গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে পুলিশের স্পেশাল দল বুধবার দিবাগত রাতে তাকে গ্রেফতার করে। তিনি ৫ আগস্ট পরবর্তী বাড্ডা থানায় হওয়া মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন।
জানা গেছে, আসাদুজ্জামান হিরু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে অর্থ যোগানদাতা। এছাড়া আসাদুজ্জামান হিরু ওবায়দুল কাদেরের ছত্রছায়ায় অর্থ লোপাট করতেন।
আরও পড়ুন
প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দিলেন ৪ সংস্কার কমিশন প্রধান
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের সরকার পতনের পর দলটির দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা ওবায়দুল কাদের আত্মগোপনে চলে যান। এরও বেশ কিছু দিন পর ওবায়দুল কাদের ভারতে পালিয়ে গেছেন বলে জানা যায়। তবে বিষয়টি নিয়ে নিশ্চিত কোনো কিছু জানা যায়নি।
চলারপথে রিপোর্ট :
দিরাইয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে অর্ধ কোটি টাকা মূল্যের নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ও চায়না দোয়ারী আটক করে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।
গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুর রহমান মামুন’র নেতৃত্বে বড় ধরণের এই অভিযান দেখতে উৎসুক জনতার ভীড় জমে যায়।
আজ ৪ অক্টোবর বুধবার বিকাল ৫ টায় সুনামগঞ্জের দিরাই পৌর শহরের দিরাই বাজারের দক্ষিণ গলির দোতলা ভবনের একটি কক্ষে থেকে এসব নিষিদ্ধ জাল আটক করা হয়। এসময় উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা শরীফুল আলম ও পুলিশের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দিরাই বাজারের দক্ষিণ গলির জনতা ব্যাংকের পূর্ব পার্শ্বের একটি দোতলা ভবনে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ও চায়না দোয়ারী আছে বলে খবর পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা কর হয়। তবে অভিযানের সময় কাউকেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত পাওয়া যায়নি। খবর দিয়ে জাল ব্যবসায়ী একজনকে এনে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ও চায়না দোয়ারী রাখার দায়ে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানে নিষিদ্ধ এসব জাল আটক করে পরে দিরাই বিএডিসি মাঠে নিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমান মামুন জানান, হাওরে দেশীয় জাতের মাছের বংশবৃদ্ধির জন্য এসব জাল হুমকি স্বরূপ। তাছাড়া চায়না দোয়ারী মাছের পাশাপাশি অন্যান্য জীববৈচিত্রও নষ্ট করে দেয়। এজন্য প্রশাসন নিষিদ্ধ এসব জাল আটকের অভিযান নিয়মিতই পরিচালনা করবে।
চলারপথে ডেস্ক :
জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা হবে শনিবার। পবিত্র জিলকদ মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা এবং এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে এই সভা হবে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বায়তুল মুকাররমের সভাকক্ষে অনুষ্ঠেয় সভায় সভাপতিত্ব করবেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।
বাংলাদেশের আকাশে কোথাও পবিত্র জিলকদ মাসের চাঁদ দেখা গেলে তা নিম্নোক্ত টেলিফোন ও ফ্যাক্স নম্বরে অথবা সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক অথবা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানানোর জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। টেলিফোন নম্বর : ০২-২২৩৩৮১৭২৫, ০২-৪১০৫০৯১২, ০২-৪১০৫০৯১৬ ও ০২-৪১০৫০৯১৭। ফ্যাক্স নম্বর: ০২-২২৩৩৮৩৩৯৭ ও ০২-৯৫৫৫৯৫১।
সূত্র : বাসস
অনলাইন ডেস্ক :
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে শুরু হতে পারে ২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা। এ পরিকল্পনা অনুযায়ী সেভাবেই প্রস্তুতি নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা বোর্ডগুলো। একই সঙ্গে আগামী বছর এপ্রিলের শুরুতেই এইচএসসি পরীক্ষা আয়োজন করা হবে।
আজ ৫ মার্চ মঙ্গলবার আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় বোর্ড সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার এ তথ্য জানিয়েছেন।
অধ্যাপক তপন কুমার বলেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির আগে আমরা সাধারণত এসএসসি পরীক্ষা ফেব্রুয়ারির শুরুতে আয়োজন করতাম। আমরা আগের সেই সূচিতে ফিরে যেতে চাই। এসএসসি পরীক্ষা দ্রুত শেষ করতে পারলে এইচএসসি পরীক্ষাও আগের সূচিতে আয়োজন করা যাবে।
ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, এইচএসসি পরীক্ষা এপ্রিল মাসে আয়োজন করা হতো। করোনার কারণে পাবলিক পরীক্ষার সূচিতে পরিবর্তন আনতে হয়েছে। আশা করছি আগামী বছর ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে এসএসসি এবং এপ্রিলের শুরুতেই এইচএসসি পরীক্ষা আয়োজন করতে পারবো।
আগামী বছরের এইচএসসি পরীক্ষার সিলেবাস সম্পর্কে অধ্যাপক তপন কুমার বলেন, আমাদের পরিকল্পনা ছিল পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসে পরীক্ষা নেওয়া হবে। তবে শিক্ষার্থীদের সিলেবাস শেষ করা কঠিন হওয়ায় সংক্ষিপ্ত অর্থাৎ ২০২৩ সালের সিলেবাস অনুযায়ী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বগুড়ার ধুনট উপজেলার কালেরপাড়া ইউনিয়নের সরুগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তিন দিনব্যাপি ৪৫তম ইজতেমা শুরু হয়েছে। আজ ৭ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজের পর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে এ ইজতেমা শুরু হয়।
ইজতেমায় উদ্বোধনী বয়ান পেশ করেন ঢাকা কাকরাইল মসজিদের ইমাম হযরত মাওলানা মুফতি রেজাউল করিম। ইজতেমায় নবী রাসূলের তরিকা ও আল্লাহর ইবাদত বন্দেগীসহ ধর্মীয় বিষয় নিয়ে প্রতিদিন ফজর, যোহর, আছর ও মাগরিবের নামাজ আদায় শেষে দেশ ও বিদেশের ওলামায়ে কেরামগণ কোরআন ও হাদিস থেকে বয়ান পেশ করবেন।
ইতিমধ্যে বিভিন্ন স্থান থেকে ইজতেমা ময়দানে হাজার হাজার মুসল্লির আগমন ঘটেছে। মুসল্লিরা কাঁধে ও পিঠে প্রয়োজনীয় মালামাল নিয়ে নিজ নিজ খিত্তায় অবস্থান করছেন। ইজতেমা প্রাঙ্গনের আশপাশের এলাকায় শীতের পোশাক, খাবারের দোকান ও কাঁচা বাজারের ব্যবস্থা রয়েছে।
ইজতেমা আয়োজন কমিটির সদস্য হুমায়ন কবির জানান, প্রতিবারের মতো এ বছরেও ঢাকার কাকরাইল মসজিদের মেহমানদের তত্ত্বাবধানে ইজতেমা পরিচালিত হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন স্থান ছাড়াও সৌদি আরব, শ্রীলংকা, মালেয়শিয়ার মুসল্লিরা ইজতেমা ময়দানে সমবেত হয়েছেন। এখানে মুসল্লিদের জন্য নিরাপত্তাসহ সকল ধরণের ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ইজতেমার মধ্য দিয়ে ঢাকার টঙ্গিতে বিশ্ব ইজতেমা সফল করার লক্ষ্যে এবং দ্বীনি দাওয়াতে তাবলিগের কাজের জন্য জামায়াত তৈরি করা হবে। আগামী শনিবার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ইজতেমা শেষ হবে।
ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রবিউল ইসলাম বলেন, মুসল্লিদের জন্য ইজতেমা ময়দানের চারপাশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এখানে পুলিশ কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা রয়েছে। এছাড়াও পুলিশের পাশাপাশি র্যাব, আনসার ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা নিয়োজিত রয়েছেন। ইজতেমা স্থলে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে মেডিকেল টিমও রয়েছে।
চলারপথে ডেস্ক :
সিলেটের ঐতিহ্যবাহী কওমি মাদ্রাসা জামেয়া ক্বাসিমুল উলুম দরগাহের মুহতামিম, বাংলাদেশ ওলামা পরিষদের সভাপতি, আযাদ দ্বীনী এদারায়ে তালীম বাংলাদেশ শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, বরেণ্য আলেম শায়খুল হাদিস আল্লামা মুহিব্বুল হক (গাছবাড়ি) ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
আজ ১৭ মে বুধবার মাগরিবের নামাজের পর তিনি দরগাহ মাদ্রাসায় তার নিজ বিশ্রামকক্ষে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে মুফতি মুহিব্বুল হকের বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সিলেট মহানগর শাখার সভাপতি মাওলানা খলিলুর রহমান।
তিনি বলেন, বুধবার কোম্পানীগঞ্জে কয়েকটি মাহফিলে হুজুর অংশগ্রহণ করেন। আসরের নামাজ এসে আদায় করেন দরগাহ মাদ্রাসায়। আসরের পরে হুজুর তার বিশ্রামকক্ষে ছিলেন। মাগরিবের সময় হুজুরের শারীরিক অবস্থা হঠাৎ খারাপ হয়। মাগরিবের নামাজ শেষে হুজুরকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসকরা বলেছেন, হুজুর স্ট্রোক করেছেন। বর্তমানে হুজুরের লাশ দরগাহ মাদ্রাসায় রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার সময় সিলেট সরকারী আলিয়া মাদরাসা মাঠে মরহুমের জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ এই আলেম সম্মিলিত কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড আল হাইয়াতুল উলয়ার সদস্য ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ কমিটির সদস্য, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সিলেট জেলার সভাপতি, সিলেটের প্রাচীন শিক্ষাবোর্ড আযাদ দ্বীনী এদারার সিনিয়র সহ-সভাপতি ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, খাদিমুল কুরআন পরিষদের সভাপতি, সিলেট জেলা উলামা কমিটির চেয়ারম্যান, সিলেট জেলা ফতোয়া বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ৩ ছেলে ও ৪ মেয়েসহ ছাত্র-শিক্ষক, ভক্ত ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
মাওলানা মুহিব্বুল হক গাছবাড়ি ১৯৬৯ সালে সুনামগঞ্জ দরগাহপুর মাদ্রাসায় শিক্ষকতার মাধ্যমে কর্মজীবনের সূচনা করেন।
এরপর ১৯৭৩ সালে জামেয়া কাসিমুল উলুম দরগার শিক্ষক হিসেবে মনোনীত হন। তখন থেকে আমৃত্যু প্রায় ৫১ বছর ধরে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন।
তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, আল হাইয়াতুল উলয়ার চেয়ারম্যান আল্লামা মাহমুদুল হাসান, আযাদ দ্বীনি এদারার সভাপতি মাওলানা জিয়া উদ্দিন, চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ রেজাউল করিম, খেলাফত মজলিস বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত আমির মাওলানা আব্দুল বাসিত আজাদ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা ইসমাঈল নূরপুরী, জামেয়া তাওয়াক্কুলিয়া রেঙ্গার মুহতামিম মাওলানা মুহিউল ইসলাম বুরহানসহ বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের (বেফাক) নেতারা।
এদিকে শায়খুল হাদিস মাওলানা মুফতি মুহিব্বুল হকের ইন্তেকালের খবরে সিলেটের আলেম সমাজসহ ধর্মপ্রাণ মানুষের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাকে একনজর দেখার জন্য দরগাহ মাদ্রাসায় ছুটে যাচ্ছেন মানুষ। মুহিব্বুল হক (গাছবাড়ি) সিলেটের সর্বস্তরের মানুষের কাছে অত্যন্ত শ্রদ্ধার পাত্র ছিলেন।