অনলাইন ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ১৭ জানুয়ারি শুক্রবার চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং’এর সাথে ফোনালাপ করেছেন। এর ঠিক কয়েক ঘণ্টা আগে, চীন ঘোষণা করে যে তারা সোমবার ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ভাইস প্রেসিডেন্ট হান ঝেংকে ওয়াশিংটনে পাঠাচ্ছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্ম “ট্রুথ সোশ্যাল” ‘এ এই ফোনালাপকে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের জন্য “খুব ভালো” বলে অভিহিত করেন এবং বলেন যে তাঁরা বাণিজ্যিক ভারসাম্য, ফেন্টানিল, টিকটক ও “আরও অনেক বিষয়ে” আলোচনা করেন। ভয়েস অফ আমেরিকার এক প্রতিবেদনে জানানো হয় এ তথ্য।
ডোনাল্ড ট্রাম্প ওই পোস্টে লেখেন,“এটি আমার আশা যে আমরা একত্রে বহু সমস্যার সমাধান করতে পারবো এবং তা অবিলম্বে শুরু হবে। এই পৃথিবীকে আরও শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ করার জন্য প্রেসিডেন্ট শি এবং আমি সাধ্যমত সবকিছু করবো”।
আরও পড়ুন
গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি: ট্রাম্প ও বাইডেনকে নিয়ে নেতানিয়াহু যা বললেন
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম জানায় ফোনালাপের সময়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে তাঁর নির্বাচনী বিজয়ের জন্য শি শুভেচ্ছা জানান এবং আগামি চার বছর যুক্তরাষ্ট্র চীন সম্পর্কের উন্নয়নের বিষয়ে তাঁর এবং নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের গভীর প্রত্যাশা রয়েছে।
চীনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারক সিসিটিভিতে প্রকাশিত শি’র বক্তব্যে বলা হয়,“আমরা উভয়ই আমাদের মধ্যে আলাপকে খুব গুরুত্ব দিচ্ছি, আমরা উভয়ই আশা করছি আমেরিকার প্রেসিডেন্টের এই নতুন মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্কের সূচনা হবে শুভ এবং আমরা উভয়ই চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিতে চাই যাতে নতুন করে এই সূচনা পর্ব থেকে আমরা আরও অগ্রগতি সাধন করতে পারি।”
শি বলেন যদিও বেইজিং ও ওয়াশিংটনের মধ্যে মতপার্থক্য থাকবে তবু প্রধান বিষয়টি হচ্ছে, “পরস্পরের মূল স্বার্থ ও প্রধান উদ্বেগগুলির প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং সমস্যার যথার্থ সমাধান খুঁজে বের করা”।
শি তাইওয়ানের বিষয়টি “যত্নসহকারে” দেখার জন্য ট্রাম্পের প্রতি জোর আবেদন জানান। বেইজিং দাবি করে যে গণতান্ত্রিক তাইওয়ান হচ্ছে তাদের এলাকার অংশ এবং ওই দ্বীপটিকে চীনে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য প্রয়োজনবোধে শক্তি প্রয়োগের হুমকি দিয়েছে।
চীনের বিবরণ অনুযায়ী, শি ও ট্রাম্প ইউক্রেন যুদ্ধ, ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনিদের মধ্যকার সংঘাত আর প্রধান সব আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেন।
১৭ জানুয়ারি শুক্রবার দিনে আরো আগের দিকে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষণা করে যে অভিষেক অনুষ্ঠানে শি ‘র প্রতিনিধিত্ব করবেন ভাইস প্রেসিডেন্ট হান ঝেং।
আরও পড়ুন
গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে অনুমোদন ইসরায়েলের মন্ত্রিসভার
তাঁর অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প, প্রেসিডেন্ট শি ও অন্যান্য বিদেশি নেতাদের আমন্ত্রণ জানানোর এক মাসেরও বেশি সময় পরে এ ঘোষণাটি আসলো। এটি অভূতপূর্ব একটি পদক্ষেপ যা আগের ঐতিহ্য থেকে ভিন্ন কারণ অতীতে বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা প্রেসিডেন্টের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, হানকে পাঠিয়ে বেইজিং নতুন ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতি তাদের “বন্ধুত্বের মনোভাব” প্রদর্শন করছে।
বেইজিং’এ শিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটি এন্ড স্ট্র্যাটেজির সিনিয়র ফেলো ঝোও বো ভয়েস অফ আমেরিকাকে ফোনে বলেন, “চীনের এমন কোন প্রতিষ্ঠিত ঐতিহ্য নেই যে অন্যান্য রাষ্ট্রপ্রধানের অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্টকেই যোগ দিতে হবে। ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানে ভাইস প্রেসিডেন্টকে পাঠানো সব চেয়ে ভাল একটা বিকল্প এবং এতে নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রতি বেইজিং’এর বন্ধুত্বের মনোভাবই ব্যক্ত হয়েছে।”
ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই আমন্ত্রণে যদিও বেইজিং ইতিবাচক ভাবে সাড়া দেয়ার চেষ্টা করছে, অন্যান্য বিশেষজ্ঞ বলছেন হানের উপস্থিতি হবে প্রধানত আনুষ্ঠানিক।
যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়া অঙ্গরাজ্যের বাকেল ইউনিভার্সিটির চীনা পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ঝিকুন ঝু বলেন, “হানের ওয়াশিংটন সফর থেকে সুনির্দিষ্ট কিছু বেরিয়ে আসবে তেমনটি আমি আশা করছি না।”
আরও পড়ুন
ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেকে মাস্ক, বেজোস ও জাকারবার্গ উপস্থিত থাকবেন
ঝু বলেন অভিষেক অনুষ্ঠানে হানের উপস্থিতি আনুষ্ঠানিক হলেও বেইজিং’এর এই পদক্ষেপ ট্রাম্পের এই দ্বিতীয় আমলের প্রশাসনে যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্কের “একটি ভাল ভিত্তি রচনা” হতে পারে।
তিনি টেলিফোনে ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, “আশা করি, একটি বন্ধুত্বপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হবে এবং সামনের সপ্তাহগুলিতে, মাসগুলিতে তা টিকে থাকবে যখন দু পক্ষই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনায় বসবে এবং সম্ভবত একটা চুক্তি স্বাক্ষর করা হতে পারে”।
হোয়াইট হাউসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তন চীনের জন্য অনিশ্চয়তার জন্ম দিয়েছে। চীন সাম্প্রতিক বছরগুলিতে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে ক্রমশই পিছিয়ে পড়ছে।
তাঁর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারাভিয়ানে ট্রাম্প চীনে উৎপাদিত পণ্যের উপর ৬০% পর্যন্ত শুল্ক আরোপের সংকল্প ব্যক্ত করেছিলেন। ঝু বলেন উচ্চ হারে শুল্ক আরোপের সম্ভাবনায় ট্রাম্পের এই দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্কের বিষয়ে বেইজিং সতর্ক বোধ করছে।
তিনি বলেন, “আমরা জানিনা ট্রাম্প কি খেলা খেলবেন, কাজেই আমি মনে করি চীনের প্রতি তাঁর কি নীতি হবে সেটা দেখার জন্য চীন অপেক্ষা করবে”।
চীন থেকে আমদানি করা পণ্যের উপর শুল্ক আরোপ করার হুমকি সত্ত্বেও, ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন দু’টি দেশের সম্পর্ক ভাল হতে পারে এবং তিনি তাঁর প্রতিনিধিদের মাধ্যমে চীনের নেতাদের সঙ্গে সংযোগ রক্ষা করে চলছেন।
৬ জানুয়ারি টক শো’ এর একজন রক্ষনশীল উপস্থাপক হিউ হিউইটকে এক সাক্ষাত্কারে বলেন, “আর আমার মনে হচ্ছে আমরা সম্ভবত ভালো ভাবেই চলবো, আমার ভবিষ্যদ্বাণী”। তিনি আরো বলেন যে সম্পর্কটা হওয়া উচিত, “দেয়া-নেয়ার”।
তা ছাড়া ডোনাল্ড ট্রাম্প বেশ কিছু রাজনীতিককে নিয়োগ দিচ্ছেন যারা চীনের প্রতি তাদের যুদ্ধংদেহী মনোভাবের জন্য পরিচিত, তাদের মধ্যে রয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদে সেনেটার মার্কো রুবিও এবং হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য মাইক ওয়াল্টজ।
বুধবার সিনেটে তাঁর নিয়োগ নিশ্চিতকরণের শুনানীতে রুবিও চীনকে, “এ জাতির সামনে সব চাইতে শক্তিসম্পন্ন ও বিপদজনক নিকটতম প্রতিপক্ষ” বলে বর্ণনা করেন।
তিনি বলেন, “তাদের কাছে এমন উপাদান আছে যা কখনই সোভিয়েট ইউনিয়নের কাছে ছিল না। তারা প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে আমাদের প্রতিপক্ষও প্রতিদ্বন্দ্বি, অর্থনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী, ভূ-রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী , বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে প্রতিদ্বন্দ্বি”।
তবে শুনানির সময়ে চীন সম্পর্কে রুবিওর বাহ্যত এই কঠোর বক্তব্য সত্ত্বেও, ঝু বলেন, এটা এখনও বলার সময় আসেনি যে নতুন প্রশাসনের সময়ে এই ভাষা সত্যিকারের নীতিতে পরিণত হবে কীনা।
তিনি ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, “ট্রাম্প নিয়োগকৃত কোন কোন ব্যক্তি চীন সম্পর্কে যুদ্ধংদেহী মনোভাব পোষণ করলেও যেহেতু তারা ট্রাম্পের জন্য কাজ করছেন, তারা ট্রাম্পের নীতি লংঘন করবেন না।”
ঝু বলেন যেহেতু এটা পরিস্কার নয় ট্রাম্প চীনের প্রতি কি ভাবে তাঁর নীতি গঠন করবেন, ওয়াশিংটন ও বেইজিং “সতর্কতার সঙ্গেই এগিয়ে যাবে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম আমলে দু’পক্ষেরই মারাত্মক অভিজ্ঞতা হয়েছিল, সুতরাং মনে হচ্ছে এবার তারা নতুন করে শুরু করবে”।
অনলাইন ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার রিচমন্ড এলাকায় একটি স্কুলের গ্রাজুয়েশন অনুষ্ঠানে বন্দুক হামলায় দুই জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো পাঁচ জন।
অ্যাটরিয়া থিয়েটারের বাইরে এই বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটে। সেখানেই গ্রাজুয়েটদের গাউন দেওয়া হচ্ছিল।
স্কুলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হুগেনোট হাই স্কুলের অনুষ্ঠানে এই বন্দুক হামলা চালানো হয়। পুলিশের জানিয়েছে, নিহতদের একজনের বয়স ১৮, তিনি স্নাতক গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন। আরেকজনের বয়স ৩৬। এই হামলার ঘটনায় একজন ১৯ বছর বয়সী সন্দেহভাজনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
সূত্র: বিবিসি
অনলাইন ডেস্ক :
ফেসবুকের স্বত্বাধিকারী মেটাকে রেকর্ড ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ইউরো (১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার) জরিমানা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আয়ারল্যান্ডের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। ইউরোপীয় ইউনিয়নের ব্যবহারকারীদের তথ্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তরের দায়ে এ জরিমানা করা হয়েছে বলে জানা গেছে আল জাজিরার খবরে।
ইউরোপিয়ান ডাটা প্রটেকশন বোর্ড (ইডিপিবি) প্রশাসনিক জরিমানা আদায় করার নির্দেশ দিয়েছে।
আজ ২২ মে সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের হয়ে কাজ করা আইরিশ ডাটা প্রোটেকশন কমিশন (ডিপিসি)।
ইডিপিবি এমন নির্দেশের জবাবে মেটা বলছে, তাদের আলাদা করে দেওয়া হয়েছে। এতে তারা হতাশ। রায়টি ত্রুটিপূর্ণ এবং অন্যায়ভাবে দেওয়া হয়েছে। অগণিত অন্যান্য কোম্পানির জন্য এতে ভয়াবহ নজির সৃষ্টি হলো।
ফেসবুকের স্বত্বাধিকারী এই প্রতিষ্ঠানটির গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স প্রেসিডেন্ট নিক ক্লেগ ও চিফ লিগ্যাল অফিসার জেনিফার নিউস্টেড এক ব্লগ পোস্টে বলেন, এই জরিমানার আদেশের বিরুদ্ধে তারা আপিল করবেন।
প্রসঙ্গত, সাধারণ তথ্য সুরক্ষা রেগুলেশনের আওতায় এটি সবচেয়ে বড় অঙ্কের জরিমানা। ২০২১ সালে লুক্সেমবার্গে আমাজনকে ৭৪৬ মিলিয়ন ইউরো (৮০৭ মিলিয়ন ডলার) জরিমানা করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের অভিযোগে আটক করা দুই বাংলাদেশি তরুণ-তরুণী কারাভোগ শেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে দেশে ফিরেছেন। ৯ অক্টোবর বুধবার সন্ধ্যায় আখাউড়া স্থলবন্দরের শূন্যরেখায় তাদেরকে হস্তান্তর করা হয়।
দেশে ফেরা তরুণ তরুণীরা হলেন, চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার সুব্রত ভট্টাচার্য্য (২১) ও নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা জান্নাত আক্তার (১৯)।
ভারতের ত্রিপুরার বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের সহযোগিতায় আখাউড়া-আগরতলা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট সীমান্ত দিয়ে তারা দেশে ফেরেন।
এদিকে আখাউড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সজিব মিয়া, ইমিগ্রেশন ইনচার্জ মো. খাইরুল আলম, বিজিবির আইসিপি পোস্ট কমান্ডার মো. রুহুল আমিনের কাছে তাদেরকে হস্তান্তর করেন ত্রিপুরায় নিযুক্ত বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের কর্মকর্তা মো. ওমর শরীফ।
এসময় গণমসাধ্যমকে সুব্রত ভট্টাচার্য্যের মা বলেন, ‘আমি পোশাক কারখানায় কাজ করি। আমাদের আর্থিক অবস্থা খারাপ বিধায় ছেলেকে একটা আশ্রমে পড়াশোনা করার জন্য দেওয়া হয়। একদিন রাতে ফোন আসে আমার ছেলে ভারতে। ফোন পেয়ে আমি দিশাহারা হয়ে যাই। সে ওখানে থাকার প্রায় দশ মাস আমি পাগলপ্রায় ছিলাম। আমার স্বামীও অসুস্থ। কোথায় যাবো, কী করবো বুঝে উঠতে পারছিলাম না। এতোদিন পর ছেলেকে পেয়ে আমি আনন্দিত।’
দেশে ফেরা সুব্রত ভট্টাচার্য্য জানান, তিনি দশ মাস আগে রামগড় সীমান্তপথে পুরোহিত বিদ্যার্জনে ভারত যান। সেখানে তিনি বিএসএফের হাতে আটক হন।
এদিকে জান্নাত আক্তার জানান, পরিচ্ছন্নতা কাজের জন্য দালালের মাধ্যমে তিনি ভারতে যান। সিলেটের খোয়াই সীমান্তপথে তিনি গিয়েছিলেন। দেশে ফিরতে পেরে তিনি খুব খুশি।
অনলাইন ডেস্ক :
ভূমিধসে ১৯ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া এ ঘটনায় অনেকেই আটকে পড়েছেন। ভারতের কেরালায় ভূমিধসের পর বেশ কিছু এলাকা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ।
চার ঘণ্টার বৃষ্টিতে আজ ৩০ জুলাই মঙ্গলবার ভোরে রাজ্যটির ওয়েনাড জেলার পাহাড়ি মেপ্পেদি এলাকায় ভূমিধস হয়েছে। রাজ্যের দুর্যোগ মোকাবিলা সংস্থা কেরালা স্টেট ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি (কেসিডিএমএ) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। সূত্র : এনডিটিভি
কেসিডিএমএ জানিয়েছে, ভূমিধস এলাকায় উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন কেসিডিএমএ ও কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন দুর্যোগ মোকাবিলা সংস্থা এনডিআরএফের কর্মীরা। কেরালা পুলিশের এলিট ফোর্স কান্নুর ডিফেন্স সিকিউরিটি কর্পসের দু’টি ইউনিটও কাজ করছে। বিমান বাহিনীর সহায়তাও চাওয়া হয়েছে।
সেখানে বহু মানুষ আটকা পড়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। কেসিডিএমএ বলছে, মেপ্পেদি এলাকায় ব্যাপক বৃষ্টি হচ্ছে। ভারী বর্ষণে উদ্ধার কাজ বিঘ্নিত হচ্ছে।
অনলাইন ডেস্ক :
২২ মার্চ ‘বিশ্ব পানি দিবস’। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের গৃহীত এক প্রস্তাব অনুযায়ী প্রতিবছর ২২ মার্চ বিশ্ব পানি দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে। ১৯৯২ সালে ব্রাজিলের রিওতে এই প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। সেখানে পানিসম্পদের জন্য একটি বিশেষ দিন ঘোষণার দাবি তোলা হয়। ১৯৯৩ সালে প্রথম বিশ্ব পানি দিবস পালিত হয় এবং তারপর থেকে এই দিবস পালনের গুরুত্ব ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে থাকে।
এ দিবসটি পালন উপলক্ষে বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান নানা কর্মসূচি গ্রহণ করে। টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে সরকার নিরাপদ পানির নিশ্চয়তা প্রদানসহ প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষা ও পানিদূষণ কমানোর লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
পানিসম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা জলবায়ু পরিবর্তন সহিষ্ণু উন্নত প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং তা যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং এর অধীনস্থ সংস্থাসমূহ দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।
নদীমাতৃক বাংলাদেশে পানি এবং টেকসই উন্নয়ন একে অপরের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। পানি ছাড়া যেমন আমাদের জীবন অচল; তেমনি জলবায়ু ও প্রকৃতি যা আমাদের জীবন ও জীবিকার সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত তার স্বাভাবিক প্রবাহের জন্যও পানি অপরিহার্য। বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে পরিণত করার লক্ষ্যে আমাদের সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে।