অনলাইন ডেস্ক :
৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে আগামী ২০ জানুয়ারি সোমবার শপথ নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই অভিষেক অনুষ্ঠানে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি যোগ দিচ্ছেন।
আরও পড়ুন
অভিষেকের আগে শি জিনপিংকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফোন
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, ১৭ জানুয়ারি শুক্রবার মেলোনির কার্যালয়ের কর্মকর্তারা এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
চলতি মাসের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের পাম বিচের মার–এ–লাগোর বাসভবনে গিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে দেখা করেছিলেন মেলোনি। বৈঠকের পর মেলোনির বেশ প্রশংসা করেছিলেন ট্রাম্প। তিনি তাকে ‘একজন চমৎকার নারী’ বলে মন্তব্য করেছিলেন।
আরও পড়ুন
গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে অনুমোদন ইসরায়েলের মন্ত্রিসভার
তাই আশা করা হচ্ছিল, ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানে মেলোনি যোগ দেবেন। এর মধ্য দিয়ে ট্রাম্পের সাথে সম্পর্ক আরো মজবুত করবেন ইতালির রক্ষণশীল ঘরানার এই নেতা।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের অভিষেক অনুষ্ঠানে সাধারণত বিশ্বনেতারা উপস্থিত থাকেন না, বরং তারা তাদের প্রতিনিধি হিসেবে কূটনীতিকদের পাঠান। কিন্তু ট্রাম্প বেশ কয়েকজন বিশ্বনেতাকে তার অভিষেক অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়ে প্রথা ভেঙেছেন। সূত্র: রয়টার্স
অনলাইন ডেস্ক :
সম্প্রতি বাংলাদেশের বগুড়া জেলা কারাগারের ছাদ ফুটো করে ৪ কয়েদি পালিয়ে যায়। তারা চারজন ছিলেন ফাঁসির আসামি। এ নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পরে অবশ্য তাদের চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পালানোর কয়েক ঘণ্টা মধ্যে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এবার পাকিস্তানের একটি কারাগারের টয়লেট ভেঙে বিচারাধীন তিনজন কয়েদি পালিয়ে গেছেন। ২ জুলাই মঙ্গলবার কোয়েটা থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরের বেলুচিস্তানের কেন্দ্রীয় শহর দুকির একটি সাবজেল থেকে এই তিনজন আসামি পালিয়ে যান। এ নিয়ে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে দেশটিতে দ্বিতীয়বারের মতো জেল পালানোর ঘটনা ঘটলো। খবর দ্য ডনের।
দুকি থানার এসএইচও জলিল আহমেদ মারি জানান, ডাকাতি ও খুনসহ গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত তিনজন কয়েদি টয়লেটের ভেন্টিলেটর ভেঙে দুকি কারাগার থেকে পালিয়ে গেছেন। এই কারাগারে রাখা ১৩ জন বিচারাধীন কয়েদিকে সকালে টয়লেট ব্যবহার করার অনুমতি দেয়া হয়। তখন ওই তিনজন পালিয়ে যায়।
তিনি জানান, জেল পালানো কয়েদিরা হলেন, আসমাতুল্লাহ, আবদুল কবির ও মুহাম্মদ সাদিক। তাদের ধরতে ইতোমধ্যে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে।
এ ঘটনায় কয়েদিদের নজরদারির কাজে নিয়োজিত কারা ওয়ার্ডেন ও দুই পুলিশসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তিনজন পুলিশ সদস্য হলেন- ওয়ার্ডেন গুল খান, হেড কনস্টেবল আব্দুল গনি ও কনস্টেবল ইসমাইল মারি। তাদের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ আনা হয়েছে। এ ছাড়া বেলুচিস্তানের কারা মহাপরিদর্শক এ ঘটনা আমলে নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে গত ৩০ জুন রবিবার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ছয়জনসহ ১৯ কয়েদি আজাদ কাশ্মিরের রাওয়ালাকোটের একটি কারাগার থেকে পালিয়ে যান। পালিয়ে যাওয়ার সময় তাদের মধ্যে একজন কয়েদি আহত হয়েছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোষ্ট দিয়ে যাওয়া এক ভারতীয় নাগরিককে ২ কেজি হেরোইনসহ আটক করেছে আগরতলা কাষ্টমস্। জব্ধকৃত হেরোইনের বাজার মূল্য ১৪ কোটির টাকার বেশি। আটক ব্যক্তির নাম থমাস।
তিনি ভারতের মিজোরাম রাজ্যের সারচিপ জেলার বাসিন্দা। তিনি গত শুক্রবার আখাউড়া চেকপোষ্ট দিয়ে ত্রিপুরার আগরতলায় প্রবেশ করেন। আগরতলা ল্যান্ড কাস্টমস স্টেশনের সহকারি কমিশনার অভ্যুদয় গুহ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সেখানকার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন। এদিকে আখাউড়া কাষ্টম্স এবং চেকপোষ্ট বিজিবির পৃথক দু’টি স্ক্যানার থাকা সত্বেও কীভাবে ওই ব্যক্তি এত বিপুল পরিমাণ হেরোইন নিয়ে চলে গেল তা বোধগম্য হচ্ছে না সংশ্লিষ্টদের।
ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তির বরাত দিয়ে আগরতলা থেকে প্রকাশিত দৈনিক স্যান্দনসহ কয়েকটি পত্রিকায় রবিবার সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখ করা হয়, থমাসের সঙ্গে থাকা কালো রংয়ের স্যুটকেসের ভেতরে এক্সরে-রোধক কাগজের বোর্ড দিয়ে মুড়ানো দু’টি প্যাকেটে হেরোইন ছিল। যা এক্সরে মেশিনেও ধরা পড়েনি।
তবে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে তল্লাশি চালিয়ে সাদা হেরোইন পাউডার উদ্ধার করা হয়।
আটক থমাস কাতারের দোহা থেকে বিমানে ঢাকা হয়ে সড়ক পথে আখাউড়ায় এসে আগরতলায় প্রবেশ করে সংবাদে উল্লেখ করা হয়।
উল্লেখ্য, আখাউড়া কাস্টমস-এ অত্যাধুনিক ব্যাগেজ স্ক্যানার মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। এক মাস আগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান সেটি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন। কিন্তু উদ্বোধনের পর থেকে যাত্রীদের ব্যাগেজ স্ক্যান করা হচ্ছে না। কক্ষটি সব সময় তালাবদ্ধ থাকে।
এদিকে রবিবার বেলা ২টার দিকে আখাউড়া কাষ্টম্স রাজস্ব কর্মকর্তা হাবিবুল্লাহ খানের কাছে এ বিষয়ে জানার জন্য মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেন নি।
আইসিপি বিজিবির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, তিন দিন ধরে আমাদের স্ক্যানার মেশিনটি নষ্ট হয়ে আছে।
অনলাইন ডেস্ক :
চীনের তিব্বতের প্রত্যন্ত এলাকায় এক ভূমিকম্পে অন্তত ৫৩ জন নিহত হয়েছেন। ৬ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ওই ভূমিকম্পে বহু ঘরবাড়ি ধসে পড়েছে। সূত্র : আল জাজিরা
চীনের ভূমিকম্প নেটওয়ার্ক সেন্টার (সিইএনসি) বলেছে, স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৫ মিনিটে ওই ভূমিকম্প হয়। ভূমিকম্পের উৎপত্তি স্থল ছিল নেপাল সীমান্তের কাছে তিব্বতের ডিংরি কাউন্টি।
সিইএনসি ভূমিকম্পের মাত্রা ৬ দশমিক ৮ বললেও মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ৭ দশমিক ১ ছিল বলে জানিয়েছে।
চীনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম সিসিটিভি বলেছে, ডিংরি কাউন্টি ও এর আশপাশের এলাকায় শক্তিশালী ভূমিকম্পন অনুভূত হয়েছে এবং ভূমিকম্পের উৎপত্তি স্থলের (এপিসেন্টার) কাছের বেশ কয়েকটি ভবন ধসে পড়েছে। আঞ্চলিক দুর্যোগ ত্রাণ সদর দপ্তরের বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া জানায়, ৫৩ জন নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। আহত হয়েছেন ৬২ জন।
ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল বিশেষ করে বিহার, আসাম ও পশ্চিমবঙ্গে ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানেও এই ভূমিকম্পের কম্পন অনুভূত হয়।
নেপাল ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলে অবস্থিত, যেখানে ভারতীয় ও ইউরেশীয় টেকটোনিক প্লেটের সংঘর্ষে হিমালয় পর্বতমালা গঠিত হয়েছে। এ কারণে এ অঞ্চলে প্রায়ই ভূমিকম্প ঘটে। ২০১৫ সালে নেপালে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার এক শক্তিশালী ভূমিকম্পে প্রায় ৯ হাজার মানুষ প্রাণ হারান এবং ২২ হাজারের বেশি মানুষ আহত হন। ওই ভূমিকম্পে অর্ধ-লক্ষাধিক বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল।
ভারতের ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির (এনসিএস) দেয়া তথ্য অনুযায়ী, স্থানীয় সময় সকাল ৬টা ৩৫ মিনিটে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। প্রথম ভূমিকম্পের পরপরই ওই অঞ্চলে আরো দুটি ভূমিকম্প আঘাত হানে।
১১ দিনের ব্যবধানে
স্টাফ রিপোর্টার:
ইতালিতে গত ১১ দিনের ব্যবধানে বিভিন্ন কারণে সাত বাংলাদেশি প্রাণ হারিয়েছেন। কেউ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন বা কারও মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আবার কেউ হার্ট অ্যাটাকেও প্রাণ হারিয়েছেন। পরবাসে এমন অনাকাক্সিক্ষত ও অপ্রত্যাশিত মৃত্যুতে বাংলাদেশী কমিউনিটিতে শোকের আবহ বিরাজ করছে। সাত বাংলাদেশীর মধ্যে একজনের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায়।
জানা গেছে, গত ২৬ নভেম্বর মো. সাইফুল ইসলাম নামে এক যুবক রোমের অদূরে সিভিতা ভেক্কিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন। তার গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জ। গত ৫ ডিসেম্বর রেদুয়ানুর রহমান নামে বাংলাদেশিকে মৃত অবস্থায় রাস্তায় পাওয়া যায়, তার বাড়ি ঢাকা। পুলিশ মৃতদেহ মর্গে পাঠিয়েছে এবং ঘটনাটি তদন্তাধীন। একই দিনে কাতানিয়া সিসিলিতে মো. শাহ আলম নামে এক বাংলাদেশি যুবক হার্টঅ্যাটাকে মারা যান। ৬ ডিসেম্বর মো. বারেক সারেং নামে আরেক বাংলাদেশি হার্টঅ্যাটাকে দক্ষিণ ইতালির নাপোলির হাসপাতালে মারা যায়। তার গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরে। একই দিনে রোমে হার্টঅ্যাটাকে মারা যান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মো. ফয়সাল খান। ইমরান দরবারি নামে আরেক বাংলাদেশি ইতালির আনকোনা শহরে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। তার বাড়ি মাদারীপুর জেলায়। বাংলাদেশি আরেক রেমিট্যান্স যোদ্ধা মোহাম্মদ আজিম গত ৭ ডিসেম্বর ইতালির একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মারা গেছেন। তিনি ঢাকার বাসিন্দা ছিলেন।
চলতি মাসে কয়েক দিনের ব্যবধানে সাত বাংলাদেশির মৃত্যুতে ইতালিতে অনেক প্রবাসী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
জানা গেছে, মৃতদের বেশিরভাগ বয়স ৩০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। তাদের অকাল মৃত্যুতে ইতালি প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। সামাজিক সংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।
অনলাইন ডেস্ক :
ফ্রান্সের প্যারিসে ইরানি কনস্যুলেটে এক ব্যক্তি বোমা নিয়ে ঢুকে পড়েছেন এমন খবর ছড়িয়ে পড়ার পর এক সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে ফরাসি সশস্ত্র পুলিশ। হামলার আশঙ্কা থেকে ইরানের কনস্যুলেটটি বন্ধও করে দিয়েছে পুলিশ। এসময় কনস্যুলেটের আশপাশ ঘিরে ফেলে তারা।
আজ ১৯ এপ্রিল শুক্রবার এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
একটি নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, কনস্যুলেটের পক্ষ থেকেই তাদের জানানো হয় এক ব্যক্তি গ্রেনেড অথবা বিস্ফোরক বেল্ট নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করেছেন বলে আশঙ্কা করছেন তারা। ওই সময় তাদের কাছে সাহায্য চান কনস্যুলেটের কর্মকর্তারা। এরপর ফ্রান্সের পুলিশের একটি ইউনিট চারপাশ ঘেরাও করে ফেলে।
জানা গেছে, কনস্যুলেটের আশেপাশের ১৬ এলাকা পুরো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং সেসব স্থানে অনেক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
প্যারিস ট্রান্সপোর্ট কোম্পানি আরএটিপি মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে এক পোস্টে জানায়, কনস্যুলেটের দিকে যাওয়া দুটি লাইনে মেট্রো চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
পরবর্তীতে রয়টার্স জানায়, হামলার হুমকি দেওয়া ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে ওই ব্যক্তি কোনো বিস্ফোরক বহন করছিলেন না। তিনি আতঙ্ক সৃষ্টি করতে নিজের কাছে বিস্ফোরক থাকার ভুয়া তথ্য ছড়িয়েছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তি কনস্যুলেটের ছাদে একটি পতাকা স্থাপন করেন। গ্রেফতারের পর তিনি জানান, তার ভাইয়ের হত্যার প্রতিশোধ নিতে কনস্যুলেটে হামলা চালাতে গিয়েছিলেন তিনি। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানা যায়নি।
সকালে ইরানের ইসফাহানে ড্রোন হামলা চালায় দখলদার ইসরায়েল। ওই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই প্যারিসে অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেটে হট্টগোলের তথ্য শোনা যায়।