অনলাইন ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান রিয়েলবোটিক্স সম্প্রতি উন্মোচন করেছে এক অভিনব রোবট সঙ্গী। এটি একজন নিঃসঙ্গ মানুষের জীবনের সঙ্গী হবে, প্রেমিকারও প্রয়োজন মেটাবে! মার্কিন সংস্থাটির দাবি, রেগে গেলে প্রেমিকা ঠিক যেমন আচরণ করে, রোবট গার্লফ্রেন্ড আরিয়াও তেমনই করবে।
আরও পড়ুন
অভিষেকের আগে শি জিনপিংকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফোন
এমনকি মন খারাপে সে আপনার কথা শুনবে, দেবে সমস্যার সমাধান। এই ক্ষেত্রে বিজ্ঞানীদের অবদান রোবটদের আগের তুলনায় আরো মানবিক করে তুলছে। অর্থাৎ, আরিয়া সব কিছু বুঝতে পারে। আপনার সঙ্গে একেবারে গার্লফ্রেন্ডের মতোই আচরণ করবে।
ভালোবাসা, কথা, গান এবং কখনও কখনও অভিমানও করবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার রোবটটির ঘাড় থেকে পা পর্যন্ত রয়েছে ১৭টি মোটর। যা আরিয়ার মুখ এবং চোখের নড়াচড়া, অন্যান্য অঙ্গভঙ্গি হুবহু মানুষের মতো করতে সহায়তা করছে। আরিয়াকে প্রথম দেখা গেছে গত সপ্তাহে লাস ভেগাসে কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক্স শো ২০২৫-এ। তার দাম ধরা হয়েছে প্রায় ২ কোটি টাকা (১ লাখ ৭৫ হাজার ডলার)।
আরও পড়ুন
ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী মেলোনি
রিয়েল বোটিক্সের সিইও অ্যান্ড্রু কিগুয়েল জানান, তার কোম্পানির লক্ষ্য এমন রোবট তৈরি করা, যা মানুষের কাছ থেকে প্রায় আলাদা করা যাবে না। একই সাথে তা পুরুষদের একাকিত্ব দূর করবে। তিনি বলেন, ‘আমরা রোবট নির্মাণে এক অনন্য স্তরে পৌঁছেছি। এটা মানুষের রোমান্টিক সঙ্গী হতে পারে, আপনার কথা মনে রাখবে এবং বয়ফ্রেন্ড বা গার্লফ্রেন্ডের মতো আচরণ করবে।’
সূত্র : এনডিটিভি
চলারপথে রিপোর্ট :
ভলিবল স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ কাবাডি দলের উল্লাস৷ ফাইনালের অতিথি হয়ে আসা বিশেষ ব্যক্তিরাও শরীক হলেন জাতীয় খেলার আন্তর্জাতিক এই সাফল্য উদযাপনের। গ্যালারিতে থাকা দর্শকরা পতাকা উড়িয়ে শিরোপা উদযাপন করছেন। ‘রক্ত দিয়ে নাম লিখেছি, বাংলাদেশের নাম’ গান বাজছে এর সঙ্গে চলছে বাংলাদেশ দলের উদযাপন। বঙ্গবন্ধু কাপ আন্তর্জাতিক কাবাডি টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন, তিনবারই অপরাজিত। আজ শহীদ নূর হোসেন স্টেডিয়ামে চাইনিজ তাইপেকে ৪২-২৮ ব্যবধানে পরাজিত করে বাংলাদেশ।
টুর্ণামেন্টের অন্য ম্যাচের মতো আজ শুরু খানিকটা কঠিন ছিল। এক পর্যায়ে ৭-৬ পয়েন্টে লীড ছিল প্রতিপক্ষ চাইনিজ তাইপের। এরপর প্রতিপক্ষকে আর লীড নিতে দেননি তুহিন তরফদাররা। প্রথমার্ধ বাংলাদেশ শেষ করে ২০-১৪ পয়েন্টে।
দ্বিতীয়ার্ধে বাংলাদেশ শুরুতেই লোনা আদায় করে। ম্যাচের আট মিনিট বাকি থাকতে বাংলাদেশ আরেকটি লোনা আদায় করে। দ্বিতীয় লোনার সময় ম্যাচের স্কোরলাইন ছিল ৩৭-২১। ম্যাচের সময় যত যেতে থাকে চাইনিজ তাইপে পয়েন্টে আরো পেছনে পড়তে থাকে। বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন হওয়া তখন শুধু সময়ের অপেক্ষা হয়ে দাঁড়ায়।
অনলাইন ডেস্ক :
সৌদি আরবে বাস দুর্ঘটনায় নিহত বাংলাদেশি ওমরাহ যাত্রীর সংখ্যা বেড়ে ১৮ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া আরও ১৬ বাংলাদেশিকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
২৯ মার্চ বুধবার রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
নিহত ১৮ বাংলাদেশি হলেন-
১। রুকু মিয়া, পিতা: কালা মিয়া, থানা/উপজেলা: কসবা, জেলা: ব্রাহ্মণবাড়িয়া;
২। মো. ইমাম হোসাইন রনি, পিতা: মো. আব্দুল লতিফ, থানা/উপজেলা: টঙ্গী, জেলা: গাজীপুর;
৩। খাইরুল ইসলাম;
৪। মো. রাসেল মোল্লা;
৫। মো. নজরুল ইসলাম, পিতা: কাউসার মিয়া, থানা: কোতয়ালী, জেলা: যশোর;
৬। রুহুল আমিন;
৭। সবুজ হোসাইন, পিতা:মো. হারুন, উপজেলা: রায়পুর, জেলা: লক্ষ্মীপুর;
৮। মো. হেলাল উদ্দিন, নোয়াখালী;
৯। মোহাম্মদ আসিফ, উপজেলা: মহেশখালী, জেলা: কক্সবাজার;
১০। শাফাতুল ইসলাম, উপজেলা: মহেশখালী, জেলা: কক্সবাজার;
১১। শাহিদুল ইসলাম, পিতা: মো. শরিয়ত উল্লাহ, উপজেলা: সেনবাগ, জেলা: নোয়াখালী;
১২। তুষার মজুমদার;
১৩। মামুন মিয়া, পিতা: আব্দুল আউয়াল, উপজেলা: মুরাদনগর, জেলা: কুমিল্লা;
১৪। মিরাজ হোসাইন;
১৫। গিয়াস, পিতা: হামিদ, উপজেলা: দেবিদ্বার, জেলা: কুমিল্লা;
১৬। মো. হোসাইন, পিতা: কাদের হোসাইন, উপজেলা: রামু, জেলা: কক্সবাজার;
১৭। সাকিব, পিতা: আব্দুল আউয়াল;
১৮। রানা মিয়া।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন বুধবার রাতে জানিয়েছেন, সৌদি আরবে যেই বাসটি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে, তাতে ৪৭ জন যাত্রী ছিলেন। এর মধ্যে বাংলাদেশি নাগরিক ছিলেন ৩৪ জন। বাস দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৮ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া আরও ১৬ বাংলাদেশি বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সূত্র জানায়, সৌদি আরবের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় আসির প্রদেশে ওমরাহ যাত্রীবাহী বাস দুর্ঘটনায় ২৭ জন নিহত হয়েছেন। গত ২৭ মার্চ ওমরাহ যাত্রী বহনকারী বাসটি একটি সেতুর ওপরে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। একপর্যায়ে বাসটি উল্টে আগুন ধরে যায়।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, আসির প্রদেশ ও আভা শহরের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনকারী ওই সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারানোয় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। নিহতরা ওমরাহ পালন করতে মক্কা যাচ্ছিলেন।
স্টাফ রিপোর্টার:
দেশে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধী টিকার বুস্টার ডোজ পেয়েছেন ৬ কোটি ৪২ লাখ ৬১ হাজার ৯১৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় বুস্টার ডোজ পেয়েছেন ১ লাখ ১ হাজার ৬৫৮ জন। রোববার (১১ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন শাখার (এমআইএস) পরিচালক ও লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মো. শাহাদাত হোসেন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়। এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে প্রথম ডোজ পেয়েছেন ১৫ হাজার ৮৪৮ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ২১ হাজার ৭৮১ জন। তাদেরকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সিনোফার্ম, ফাইজার, মডার্না এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন ১৪ কোটি ৮৮ লাখ ৫৬ হাজার ৪৯২ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১২ কোটি ৬৪ লাখ ৫৮ হাজার ৮৪৮ জন। এ সময়ে টিকার বুস্টার (তৃতীয়) ডোজ পেয়েছেন ছয় কোটি ৪২ লাখ ৬১ হাজার ৯১৪ জন।
২০২১ সালের ১ নভেম্বর ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। এখন পর্যন্ত এক কোটি ৭৩ লাখ ৯৭ হাজার ৫৩৯ শিক্ষার্থী টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছে ১ কোটি ৬১ লাখ ৯৮ হাজার ৩২৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে প্রথম ডোজ পেয়েছেন ২৪২ শিক্ষার্থী। দ্বিতীয় ডোজ টিকা পেয়েছেন ৬৮৯ শিক্ষার্থী। তবে এখন পর্যন্ত কোনো শিক্ষার্থীকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়নি।
এদিকে, এখন পর্যন্ত ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে ১ কোটি ৭৫ লাখ ৩৫ হাজার ৮০০টি। এছাড়া দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ১০ লাখ ৩৩ হাজার ৪২১ শিশুকে। অন্যদিকে, এখন পর্যন্ত ভাসমান জনগোষ্ঠীর ৫ লাখ ৭৭ হাজার ১৮০ জনকে জনসন অ্যান্ড জনসনের সিঙ্গেল ডোজের টিকা দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে বুস্টার ডোজ পেয়েছেন ১৪ হাজার ৭৭০ জন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশের তৃণমূল ফুটবলের অত্যন্ত পরিচিত এক নাম মোঃ শাহাদাত হোসেন। এক ফুটবল পাগল ও ফুটবল সংগঠক। দেশের ফুটবলের নানা ক্ষেত্রে রয়েছে তার সরব উপস্থিতি। বিশেষ করে মতিঝিল পাড়ায় বলতে গেলে তাকে এক নামে সবাই চেনে। এফসি ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাড়াও তিনি দেশের ফুটবল সমর্থকদের সবচেয়ে বড় সংগঠন বাংলাদেশ ফুটবল সাপোর্টার্স ফোরাম এর প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক।
শাহাদাত জানান, ভালোবাসি ফুটবল, ভালোবাসি দেশকে ভালোবাসি নিজ জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে। তিনি আরো বলেন, এক সময় আমাদের জাতীয় পর্যায়ে ঢাকার বাইরের বেশ কয়েকটি ক্লাব অংশগ্রহন করেছে। সিলেটের বিয়ানীবাজার, কক্সবাজারের কক্সসিটি, নায়ারণগঞ্জের শুকতারা, চট্টগ্রামের আবাহনী-মোহামেডান ছাড়াও আরো বেশ কিছু ক্লাব জাতীয় পর্যায়ে খেলার কারনে উক্ত জেলা ও জেলার ফুটবলের সার্বিক পরিচিতি লাভ করেছিলো। এফসি ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে নিয়ে আমাদের আশাবাদ হলো এটির মাধ্যমে বাংলাদেশ ও দেশের গন্ডি পেরিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নামকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে চাই।
শাহাদাত বলেন, আমার বিশ্বাস ও আস্থা আছে যে, যদি আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার লোকজন এটাকে ভালোভাবে গ্রহন করে আপন করে নিতে পারে তাহলে একদিন এটিই হতে পারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার পরিচিতির জন্য অন্যতম মুখপাত্র। আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রয়েছে। ফুটবলের এ প্রয়াসের মাধ্যমে আমার ইচ্ছা ও আকাংক্ষা এই যে এর মাধ্যমে আমি ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার নামকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে চাই যেমনি ভাবে আজকে রিয়াল-বার্সাকে সবাই এক নামেই চিনে।
২০১৭ সালে ঢাকা পাইওনিয়ার ফুটবল লিগে প্রথমবারের মতো এফসি ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশগ্রহণ করে। এরপর ২০১৯ সালের ওই আসরে অংশ নিয়ে দলটি তৃতীয় বিভাগ ফুটবল লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। চলতি ঢাকা তৃতীয় বিভাগ ফুটবল লিগে অংশ নিয়েছে এফসি ব্রাহ্মণবাড়িয়া। এছাড়াও নারী ফুটবল লিগে এফসি ব্রাহ্মণবাড়িয়া নারী ফুটবল দল ২০২১ সালে তৃতীয় এবং ২০২২ সালে দশম স্থান অর্জন করে।
শাহাদাত নিজের ক্লাবের অর্থনৈতিক দুরবস্থার কথা জানান, মূলত আমি এবং আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার হাতেগোনা কিছু ফুটবল পাগলদের নিয়ে কোনরকমে দলটি পরিচালনা করে আসছি। আমার নিজের জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নামে দলটি হলেও তেমন কোন উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা পাচ্ছি না। গুটিকয়েক ব্যক্তি এবং নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাত্র একজন ব্যক্তির বদ্যানতায় দলটি পরিচালনা করছি। শাহাদাত আরও বলেন, আমার একান্ত চাওয়া-দলটি বাংলাদেশের ফুটবলে প্রতিষ্ঠিত হোক। এ লক্ষ্যে চেষ্টা করে যাচ্ছি, এজন্যই সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। আমাদের দলটির বিষয়ে যদি দেশের ফুটবলপ্রেমীদের কাছে সুন্দরভাবে তুলে ধরা যেত, তাহলে আশা করি অনেকেই এগিয়ে আসতো।
শাহাদাতের জন্ম ও বেড়ে উঠা দুটিই ঢাকাতে হওয়ায় এবং রাজনৈতিক কোন সম্পৃক্ততা না থাকায় দলটি পরিচালনা করতে হিমশিম খাচ্ছেন। আর্থিক সংকটে ভুগছে এফসি ব্রাহ্মণবাড়িয়া। শাহাদাতের ভাষ্য একটি ক্লাব দল পরিচালনার জন্য যে ধরনের কাঠামো দরকার তা আমাদের ক্লাবের ক্ষেত্রে ঘাটতি রয়েছে। আর্থিক সীমাবদ্ধতাও একটি বড় বিষয়।
ক্লাবের ঘাটতির বিষয়টি আরেকটু খোলাসা করেন শাহাদাত, দল পরিচালনার ক্ষেত্রে সব সিদ্ধান্ত আমাকে একাই নিতে হচ্ছে। আমাদের কমিটির বেশকিছু সদস্য দেশের বাইরে অবস্থান করেন এবং জেলাভিত্তিক দল হওয়ায় অনেকেই জেলাতে বসবাস করেন। তাদেরকে আমরা ক্লাবের সাথে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করছি মাত্র। আর বাকি যারা ঢাকায় রয়েছেন তাদের নিয়ে চেষ্টা করছি দলটি পরিচালনা করতে। হাতে গোনা কয়েকজন বাদে তেমন কেউই আর্থিকভাবে সহযোগিতা করে না।
যদি বিত্তবান কোন ক্রীড়াপ্রেমী থাকেন, তাহলে এফসি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জন্য আর্থিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন, এটাই শাহাদাতের প্রত্যাশা।
অনলাইন ডেস্ক :
সুদানে আটকে পড়া ব্যক্তিদের সরিয়ে আনতে যাওয়া তুরস্কের একটি উড়োজাহাজ হামলার শিকার হয়েছে। তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, রাজধানী খার্তুমের কাছে ওয়াদি সেইদনা বিমানবন্দরে অবতরণের সময় উড়োজাহাজটি লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। এতে সেটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। খবর বিবিসি ও আলজাজিরার।
এক বিবৃতিতে তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হামলার শিকার হওয়ার পরও সি-১৩০ মডেলের উড়োজাহাজটি নিরাপদে অবতরণ করেছে। সেটির জ্বালানিব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিমানবন্দরে তা মেরামতের কাজ চলছে। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। তবে উড়োজাহাজটিতে কে বা কারা গুলি চালিয়েছে, তা বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়নি।
উড়োজাহাজটিতে হামলার জন্য সুদানের আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসকে (আরএসএফ) দায়ী করেছে দেশটির সামরিক বাহিনী। তবে এ দাবি নাকচ করে এক বিবৃতিতে আরএসএফ বলেছে, ‘মধ্যরাত থেকে আমরা যে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছি, তা মেনে চলতে আমাদের বাহিনী কঠোরভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আর ওয়াদি সেইদনার আকাশসীমায় আমরা কোনো উড়োজাহাজকে হামলার লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছি, এমন খবর সত্য নয়।’
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত ১০টা থেকে আরো তিন দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় আরএসএফ। তবে এই যুদ্ধবিরতি তেমন একটা কার্যকর হয়নি। যুদ্ধবিরতির পরও গতকাল রাতভর খার্তুমে আরএসএফের নানা লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে সুদানের সামরিক বাহিনীর যুদ্ধবিমানগুলো। এর আগের তিন দিনের যুদ্ধবিরতির সময় সুদান থেকে হাজার হাজার মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ কাজে হাত লাগিয়েছে তুরস্কসহ বেশ কয়েকটি দেশ।
ক্ষমতার দ্বন্দ্বে সুদানের সামরিক বাহিনী ও আরএসএফের মধ্যে ১৫ এপ্রিল লড়াই শুরু হয়। এ সংঘাতের এক পক্ষে সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান। অপর পক্ষে আরএসএফের প্রধান জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগালো ওরফে হেমেদতি। প্রায় দুই সপ্তাহের সংঘাতে দেশটিতে কয়েক শ মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কয়েক হাজার।
দুই পক্ষে সশস্ত্র এই লড়াই সবচেয়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে খার্তুম ও আশপাশের এলাকাগুলোতে। লড়াই শুরুর আগে সেখানে কোটি মানুষের বসবাস ছিল। সংঘাতের মুখে অনেকেই সেখান থেকে পালিয়ে যাচ্ছেন। আর এখনো যাঁরা থেকে গেছেন, তাঁরা খাবার, পানি ও জ্বালানির চরম সংকটে রয়েছেন।