নিয়মিত ব্রেকফাস্ট এড়িয়ে গেলে যেসব ক্ষতি হতে পারে

লাইফস্টাইল, 18 January 2025, 533 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
মানুষ ব্রেকফাস্ট এড়িয়ে যাওয়া খুব সহজ বলে মনে করে। তবে, অনেকেই দৈনন্দিন রুটিনে ব্রেকফাস্ট এড়িয়ে যান। কিন্তু ব্রেকফাস্ট এড়িয়ে যাওয়ার ফলে যে সমস্যা হয়, তা তারা বোঝেন না। বিশেষজ্ঞদের মতে, বয়স বাড়ার সাথে সাথে ব্রেকফাস্ট এড়িয়ে যাওয়ার কারণে সৃষ্ট নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এমন পরিস্থিতিতে ব্রেকফাস্ট যাতে বাদ না পড়ে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

banner

ব্রেকফাস্ট এড়িয়ে যাওয়ার ফলে যে ক্ষতি হতে পারে তা নিয়েই আজকের প্রতিবেদন। চলুন, জানা যাক। দিন শুরু করার জন্য ব্রেকফাস্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

এটি আমাদের সারাদিন কাজ করতে এবং ক্রিয়াকলাপে অংশগ্রহণ করার জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি ও পুষ্টি সরবরাহ করে। ব্রেকফাস্ট বাদ দিলে আমাদের শরীর ও মুখের ওপর অনেক নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

ত্বকের সমস্যা
ব্রেকফাস্ট বাদ দিলে ব্রণ, বলিরেখা ও ত্বকের স্বর পরিবর্তনের মতো ত্বকের সমস্যা হতে পারে। একবার আপনার মুখে এইসব ঘটতে শুরু করলে ওষুধ খাওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না।

চোখের নিচে কালো দাগ
ব্রেকফাস্ট না করলে চোখের নিচে কালো দাগ পড়তে পারে। যা ক্লান্তি ও দুর্বলতার লক্ষণ। ব্রেকফাস্ট অনেক শক্তি দেয়, কিন্তু ঘণ্টার পর ঘণ্টা ক্ষুধার্ত থাকলে চোখের নিচে কালো দাগ পড়ে যাওয়ার সম্ভবনা বাড়ে।

আরও পড়ুন
প্রাকৃতিক ভাবে ঘন করুন ভ্রু

মুখের রঙের পরিবর্তন
ব্রেকফাস্ট এড়িয়ে গেলে মুখের রঙের পরিবর্তন হতে পারে। যেমন- মুখ ফ্যাকাশে বা শুকনো দেখায়। সেইসঙ্গে মুখের রং ফরসা হয়ে যায়।

শক্তির অভাব
ব্রেকফাস্ট এড়িয়ে গেলে শক্তির অভাব হতে পারে। যার ফলে আপনি ক্লান্ত ও দুর্বল বোধ করতে পারেন।

জমের সমস্যা
ব্রেকফাস্ট বাদ দিলে অ্যাসিডিটি, গ্যাস ও পেটে ব্যথার মতো হজমের সমস্যা হতে পারে। সকালের খাবার বাদ দিলে পেটে গ্যাসের সমস্যা হয়।

আরও পড়ুন
মন ভালো করার টিপস জেনে নিন

ওজন বৃদ্ধি
ব্রেকফাস্ট বাদ দিলে ওজন বাড়তে পারে। কারণ আপনি দিনের বেলা বেশি খেতে পারেন।

মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব
ব্রেকফাস্ট এড়িয়ে যাওয়া মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও প্রভাব ফেলতে পারে। যেমন- স্ট্রেস, উদ্বেগ ও বিষণ্নতা। তাই ব্রেকফাস্ট কখনই বাদ দেওয়া উচিৎ নয়। একটি স্বাস্থ্যকর ও সুষম সকালের নাস্তা আপনাকে সারা দিনের জন্য শক্তি ও পুষ্টি সরবরাহ করে।

Leave a Reply

ইটালি প্রবাসী দিদারের মা আনোয়ারা বেগমের…

শফিকুল ইসলাম বাদল : ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের বিরামপুর Read more

কসবায় মায়ের অভিযোগে ছেলের কারাদণ্ড

চলারপথে রিপোর্ট : মাদকাসক্ত ছেলের নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতে Read more
ফাইল ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

চলারপথে রিপোর্ট : পুকুরের পানিতে ডুবে ইসরাত জাহান নোভা (৯) Read more

ইরান কখনও আপোস করবে না: আয়াতুল্লাহ…

অনলাইন ডেস্ক : জায়নবাদীদের সাথে ইরান কখনও আপোস করবে না Read more
ফাইল ছবি

সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক পাঁচ দিনের…

অনলাইন ডেস্ক : রাজধানীর শাহবাগ ও পল্টন মডেল থানার পৃথক Read more
ফাইল ছবি

প্রতারণা করে জুলাই অভ্যুত্থানের সুবিধা নিলে…

অনলাইন ডেস্ক : জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদের পরিবার এবং আহতদের কল্যাণ Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩৮ সদস্য বিশিষ্ট জাতীয় নাগরিক…

দুলাল মিয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এর Read more

কারাগারে হাজতির মৃত্যু

দুলাল মিয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে জুনায়েদ মিয়া (৩২) নামে Read more

আখাউড়ায় কৃষকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা

চলারপথে রিপোর্ট : কৃষকদের সেচ দক্ষতা বাড়াতে পানি ব্যবহারকারী গ্রুপের Read more

ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজের ১১তম ব্যাচের ওরিয়েন্টেশন

সঞ্জীব ভট্টাচার্য্য: রাজধানীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের Read more

স্ত্রীর স্বীকৃতি দাবিতে সৌদি প্রবাসীর বাড়িতে…

অনলাইন ডেস্ক : স্ত্রীর স্বীকৃতি দাবিতে সৌদি প্রবাসীর বাড়িতে অনশন Read more

ইরানে ইসরাইলি হামলার নিন্দা জানালো ২১…

অনলাইন ডেস্ক : ইরানে ইসরাইলি হামলার নিন্দা জানিয়েছে মিশরসহ ২১টি Read more

কী কারণে চিরতা ভেজানো পানি পান করবেন?

লাইফস্টাইল, 22 January 2025, 462 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
চিরতা ভীষণ তিতা বলে অনেকেই তাতে পাত্তা দেন না। চিরতা ভেজানো পানি পান করলে ছোট-বড় অনেক অসুখ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আবার বাড়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও। কেননা এই ভেষজের গুণ অনেক। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি এই ভেষজ আরো অনেক উপকার করে।
১. আবহাওয়ার পরিবর্তন হলে প্রায় সবারই সর্দি-কাশি-ঠান্ডা ইত্যাদি লেগে যায়। চিরতা ভেজানো পানি পান করলে সেসব অসুখ দূরে থাকে। কেন চিরতায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পরিমাণ এত বেশি, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। চিরতায় রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল উপাদান, যা ক্ষতিকর প্যাথোজেনের বিরুদ্ধে লড়াই করতেও সাহায্য করে।

banner

২. চিরতা ভেজানো পানি পান করলে হজমশক্তি ভালো হয়। আয়ুর্বেদেও এই ভেষজের ব্যবহার রয়েছে। হজমে সহায়ক উৎসেচক ক্ষরণে সাহায্য করে এই পানীয়। হজম সংক্রান্ত সমস্যা, যেমন গ্যাস, অম্বল, পেটফাঁপার মতো সমস্যাতেও উপকার পাওয়া যায়। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে চিরতা।

৩. শরীরে জমে থাকা সব বিষাক্ত পদার্থ দূর করতেও সাহায্য করে চিরতা। লিভার, কিডনিতে জমা দূষিত পদার্থ, বিপাকজাত ‘অপ্রয়োজনীয়’ ফ্যাট শরীর থেকে বের করতে সাহায্য করে চিরতার পানি।

৪. শীতে যাদের অ্যালার্জি হয়, অ্যালার্জি থেকে যাদের শরীর ফুলে যায়, চোখ ফুলে যায়, সর্দিকাশির সঙ্গে আরও নানা রকম সমস্যা হয়, তারা চিরতার পানি পান করতে পারেন। হাঁপানি ও শ্বাসকষ্ট থাকলেও এই পানি পান করলে উপকার পাবেন।

৫. ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য চিরতার পানি বেশ উপকারী। চিরতা রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে। চিরতার পানি রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণও কমায়।

কীভাবে বানাবেন?
এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ পানিতে এক চা চামচ চিরতার পাতা দিন। সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। পর দিন সকালে খালি পেটে সেই পানীয় পান করুন। চাইলে অল্প মধু মিশিয়ে নিতে পারেন চিরতার পানিতে।

এইচএমপি ভাইরাস ঠেকাতে যেসব সতর্কতা মানার পরামর্শ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের

জাতীয়, লাইফস্টাইল, 13 January 2025, 805 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস বা এইচএমপি ভাইরাস ঠেকাতে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা, শীতকালীন রোগ থেকে রক্ষায় মাস্ক ব্যবহারসহ সাতটি পরামর্শ মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গত বৃহস্পতিবার দেশে এইচএমপি শনাক্ত হওয়ার পর সংক্রমণ ঠেকাতে ১২ জানুয়ারি রবিবার সন্ধ্যায় এসব নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

banner

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ১৪ বছরের কম বয়সি শিশু এবং ৬৫ বছর বা এর বেশি বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে এ রোগের সংক্রমণ বেশি দেখা যাচ্ছে। এর সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন, হাঁপানি বা ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, গর্ভবতী নারী ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য উচ্চ ঝুঁকি সৃষ্টি হতে পারে।

এইচএমপি ভাইরাস অন্যান্য শ্বাসতন্ত্রের রোগের মত ফ্লু এর মত উপসর্গ সৃষ্টি করে,যা সাধারণত দুই থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে ভালো হয়ে যায় বলে জানিয়েছে অধিদপ্তর। তবে, আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই জানিয়ে অধিদপ্তর বলেছে, সংক্রমণ এড়াতে সবাইকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে।

এছাড়া অন্যান্য সতর্কতার মধ্যে রয়েছে, জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট হলে সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত বাড়িতে থাকা, হাঁচি বা কাশির সময় বাহু বা টিস্যু দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে রাখা, ঘন ঘন সাবান ও পানি অথবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধোয়া (অন্তত ২০ সেকেন্ড) ইত্যাদি।

এইচএমপি ভাইরাস প্রতিরোধে দেশের সব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সিভিল সার্জন, জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা, দেশের সব বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও সব বন্দর স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। সূত্র : বিবিসি বাংলা

ফেসবুক পে-আউট সেটআপে ভুল হলে যা করতে হবে

লাইফস্টাইল, 15 May 2025, 141 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
ফেসবুক এখন অর্থ উপার্জনের সুযোগ করে দিয়েছে। এ অর্থ পেতে আপনাকে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। ফেসবুক-এ সঠিকভাবে পে-আউট সেটআপ করতে হবে। আপনার ফেসবুক পে-আউট সেটআপ করার সময় যদি ভুল হয়ে থাকে, সেটি ঠিক করার জন্য কিছু অপশন অনুসরণ করতে পারেন-

banner

১। পে-আউট সেটিংস চেক করুন:
ফেসবুক পেআউট হাব ‘মেটা পেআউটস’-এ যান। সেখানে সেটিংস > পে-আউটস অংশে গিয়ে ভুল তথ্য ঠিক আছে কি না চেক করুন।

২। পে-আউট ইনফরমেশন আপডেট করুন:
পে-আউট অ্যাকাউন্ট এডিট করুন। যদি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা নাম ভুল হয়, তবে সেটি পরিবর্তন করুন। ট্যাক্স ইনফরমেশন ঠিক করুন। যদি ভুল হয়ে থাকে, তাহলে নতুনভাবে সাবমিট করুন।

৩। পে-আউট ডিটেলস পরিবর্তন করতে না পারলে:
ফেসবুক সাপোর্টের সাথে যোগাযোগ করুন। এ ক্ষেত্রে ফেসবুক বিজনেস হেল্প সেন্টার ‘ফেসবুক সাপোর্ট’-এ যান। গেট সাপোর্ট (সাপোর্ট নিন) অপশন ব্যবহার করে ম্যানুয়ালি রিপোর্ট করুন। লাইভ চ্যাট বা ই-মেইল সাপোর্টে রিকোয়েস্ট পাঠান। এভাবে আপনি সাপোর্ট টিমের সাথে যোগাযোগ করুন। তাও না পারলে পরিচিত এক্সপার্টদের সহযোগিতা নিতে পারেন।

কিডনিতে পাথর হলে যেসব খাবার এড়িয়ে চলতে হবে

লাইফস্টাইল, 18 February 2025, 282 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
বিশ্বব্যাপী মানুষের কিডনিতে পাথর হওয়ার ঘটনা বেড়ে চলায় বিশ্বের নেতৃস্থানীয় স্বাস্থ্য সংস্থাগুলো এখন বেশ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। কিডনি মানবদেহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর একটি। যা একটি ফিল্টারের মতো কাজ করে। এর কাজ হলো দেহ থেকে টক্সিন বা খাদ্য বিষ এবং অতিরিক্ত পানি প্রস্রাব আকারে বের করে দেওয়া। কিন্তু এখন প্রচুর মানুষই কিডনিতে পাথর হওয়ার অভিযোগ করেন। প্রস্রাবে থাকা ক্রিস্টাল বা স্ফটিক থেকে কিডনিতে পাথর হয়। এই পাথর প্রস্রাবের নালিতে ব্যথা এবং প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। কিডনির পাথরসমুহকে ক্যালসিয়াম ফসফেট, সিস্টিন, ক্যালসিয়াম অক্সালেট এবং ইউরিক এসিড হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হয়। এসবের মধ্যে ক্যালসিয়াম অক্সালেটই মানুষেদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। কিডনিতে পাথর হওয়ার জন্য প্রধানত খাদ্যাভ্যাস দায়ী। সুতরাং কিডনিতে পাথর হওয়া থেকে বাঁচতে চাইলে কিছু খাবার বেশি বেশি খেতে হবে আবার কিছু খাবার পুরোপুরি এড়িয়ে চলতে হবে। সবজি, ফল, পূর্ণ শস্য, নিম্ন-চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত পণ্য, পোল্ট্রি, শীম, মাছ, বাদাম এবং বীজ জাতীয় খাবার খেতে হবে বেশি বেশি। সোডিয়াম এবং সুগার কম আছে এমন খাবার খেতে হবে। তাহলে আসুন এবার জেনে নেওয়া যাক কোন খাবারগুলো খাওয়া যাবেন না বা বাদ দিতে হবে।

banner

১. ক্যাফেইন এবং সোডা এড়িয়ে চলুন: আপনি যদি কিডনিতে পাথর রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে প্রচুর পরিমাণে তরল খেতে হবে। কিন্তু তাই বলে কফি খাবেন না। দিনে দুই কাপের (২৫০-৫০০) বেশি কফি, চা এবং কোল্ড ড্রিঙ্কস খাবেন না। অতিরিক্ত কফি পানে কিডনির অবস্থা আরো খারাপ হবে।

২. সোডিয়াম সমৃদ্ধ খাবার: সোডিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরিমাণ কমাতে হবে। প্রক্রিয়াজাত এবং ক্যানজাত খাবার খাওয়াও বাদ দিতে হবে। কারণ এসব খাবারে প্রচুর লবণ দেওয়া হয় সংরক্ষণের জন্য। তারচেয়ে বরং কম লবণযুক্ত খাবার খান।

৩. বেশি প্রোটিনযুক্ত খাবার: মাংস, মাছ এর মতো উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়ার পরিমাণও কমিয়ে দিতে হবে। তার চেয়ে বরং চর্বিহীন মাংস সামান্য পরিমাণে তেলে রান্না করে বা সেদ্ধ করে খান। আর বেশি মশলাযুক্ত খাবারও এড়িয়ে চলুন।

৪. উচ্চহারে চর্বিযুক্ত খাবার: পনিরের মতো উচ্চহারে চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়াও বাদ দিতে হবে। তারচেয়ে বরং নিম্নহারে চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার খান। নাস্তার জন্যও আপনার পাস্তুরিত দুধ খাওয়াই উচিত। উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।

৫. ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি খাদ্য: আপনার যদি কিডনিতে পাথর হয়ে থাকে তাহলে ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি আছে উচ্চমাত্রায় এমন খাবার এড়িয়ে চলতে হবে আপনাকে। এন্টাসিড ওষুধও এড়িয়ে চলুন কেননা তাতে উচ্চ মাত্রায় ক্যালসিয়াম থাকে। তবে খুবই স্বল্প পরিমাণে ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারেন। এছাড়া মাছের তেল বা ভিটামিন ডি খেতেও সাবধান। কেননা কিডনিতে পাথর থাকলে পরিস্থিতি খারাপ করে তুলতে পারে এসব খাবার।

৬. অক্সালেট সমৃদ্ধ খাবার: আপনার কিডনিতে হওয়া পাথরগুলো যদি হয় ক্যালসিয়াম অক্সালেট তাহলে আপনাকে অবশ্যই অক্সালেট সমৃদ্ধ খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। এমন খাবারগুলো হলো, চা, কফি, বিট, লাউজাতীয় তরকারি, মিষ্টি আলু, স্পিনাক, টমেটো স্যুপ, ক্যানজাত ফলের সালাদ, রুবার্ব বা রেউচিনি, স্ট্রবেরি ইত্যাদি। এছাড়া চকোলেট, টোফু, বাদাম এবং মোটাভাবে চূর্ণিত শস্য বাদ দিতে হবে। আপনার যদি ইউরিক এসিড পাথর হয়ে থাক তাহলে আপনাকে এই খাবারগুলো খাওয়া বাদ দিতে হবেৃ৭. অ্যালকোহল: কিডনিতে পাথর হওয়ার সঙ্গে সরাসরি জড়িতে না হলেও অ্যালকোহল কিডনিদে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। এতে আছে পিউরিন উপাদান যা ইউরিক এসিড পাথর তৈরি করতে পারে। এছাড়া অ্যালকোহল কিডনির কর্মক্ষমতা নষ্ট করে। ৮. হেরিং জাতীয় ছোট মাছ
এই চর্বিবহুল মাছটি বেশ সুস্বাদু। কিন্তু কিডনিতে পাথর সৃষ্টি করতে পারে এই মাছ। সুতরাং এই মাছ না খাওয়াই নিরাপদ। ৯. অ্যাসপ্যারাগাস: অনেক মূত্রবর্ধক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু কিডনিতে পাথর হলে এটি না খাওয়াই ভালো। ১০. সেঁকা বা গেঁজানো খামির: আপনার কিডনিতে যদি ইউরিক এসিড স্টোন হয়ে থাকে তাহলে সেঁকা বা পোড়ানো অথবা গেঁজানো খামির এড়িয়ে চলাই জরুরি। কেননা এতে উচ্চহারে পিউরিন থাকে। এ ছাড়া শীম ও শুটিজাতীয় খাদ্য, ফুলকপি, কিডনি ও লিভারের মাংস, মাশরুম, অলিভ অয়েল এবং সার্ডিন মাছ খাওয়াও এড়িয়ে চলতে হবে।

প্রাকৃতিক ভাবে ঘন করুন ভ্রু

লাইফস্টাইল, 13 January 2025, 581 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, পুষ্টির অভাব এবং অতিরিক্ত পরিমাণে চিকন করে ভ্রু প্লাক করার কারণে অনেকেরই ভ্রু পাতলা হতে পারে। এজন্য সময় নিয়ে যত্ন নিতে পারলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। ঘরে বসেই প্রাকৃতিক ভাবে পাতলা ভ্রু ঘন করবেন, জেনে নিন সেসব উপায়।

banner

* পেঁয়াজের রস নতুন চুল গজাতে ভালো কাজ করে। ভ্রু ঘন করতেও এই রসের জুড়ি নেই। পেঁয়াজের রস বের করে তুলোর বলের সাহায্যে ভ্রুতে লাগান। শুকিয়ে গেলে আরও কয়েক প্রলেপ লাগাতে পারেন। নিয়মিত পেঁয়াজের রস ব্যবহার করলে ভ্রু ঘন হবে।

* পাতলা ভ্রুতে ঘৃতকুমারীর রস লাগাতে পারেন। কেননা নতুন চুল ও ভ্রু গজাতে এ রসে থাকা বিভিন্ন উপাদান সাহায্য করে।

* অলিভ অয়েল, ভিটামিন ই অয়েল ও ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে তুলোয় করে ভ্রুতে লাগান। এতেও ভ্রু ঘন হবে খুব তাড়াতাড়ি।

* ক্যাস্টর অয়েল ভ্রু ঘন করতে সাহায্য করে। আঙুলে ক্যাস্টর অয়েল মাখিয়ে ভ্রুতে মাসাজ করুন। এরপর ৩০ মিনিট রেখে দিন। পরে কুসুম গরম পানি ও ক্লিনজারের সাহায্যে ধুয়ে নিন।

* ল্যাভেন্ডার তেলও খুব উপকারী। নিয়মিত ব্যবহার করলে ভ্রুর লোম পড়া বন্ধ হবে। ভ্রু ঘনও হবে। এছাড়া ডায়েটে রাখুন পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিন, ভিটামিন এ, ই এবং কে, আয়রন, জিঙ্ক, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম। সবুজ শাকসবজি, ফল খেতে হবে বেশি করে। বেশি চিনি দেয়া খাবার খাওয়া চলবে না। অতিরিক্ত ভাজাভুজি খাওয়াও ছাড়তে হবে।