চলারপথে রিপোর্ট :
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেছেন, বিতার্কিকরা যুক্তি দিয়ে কথা বলে, যুক্তি ছাড়া তারা কথা বলেনা। বিতার্কিকরা যতো তথ্য জানতে পারবে ততো বেশী কথা বলতে পারবে। জীবনটা অল্পসময়ের জন্য, জীবনটাকে কাজে লাগাতে হবে। সবাই মিলে দেশটাকে সুন্দর ভাবে সাজাতে হবে আর দেশটাকে সাজাতে হলে নিজেকে গড়ে তুলতে হবে। পাশাপাশি মানসিকতার পরিবর্তনও আমাদের আনতে হবে। প্রধান অতিথি আরো বলেন সৃজনশীল চর্চা করতে হবে তাহলে সেই সাথে বিতর্কে অংশ নেয়া মানেই তথ্য ভিত্তিক জ্ঞান অর্জন করা যায়। পাশাপাশি সুন্দর ভাবে কথা বলতে ও সাবলীলভাবে নিজেকে উপস্থাপন করা যাবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশু নাট্যমের প্রতিষ্ঠার ৩৮ বছর উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রথম স্কুল ভিত্তিক বিতর্ক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে সার্টিফিকেট বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আজ ১৮ জানুয়ারি শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশু নাট্যমের আয়োজনে ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া গভ: মডেল গার্লস হাই স্কুলের সহযোগিতায় স্কুলের মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলাম। গভঃ মডেল গার্লস হাই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল লতিফের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোজাফফর হোসেন, কবি ও বিশিষ্ট লেখক অধ্যাপক মহিবুর রহিম, অনুশীলন সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সভাপতি আব্দুন নূর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশু নাট্যমের উপদেষ্টা মো: আসাদুর রহমান আলমগীর প্রমুখ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশু নাট্যমের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোহাম্মদ খান বিটুর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন মোঃ ওমর আহমেদ। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন গভ: মডেল গার্লস হাই স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক মো: গিয়াস উদ্দিন। প্রশিক্ষণের বিষয়গুলো হলো, সনাতনী, সংসদীয় ও বারোয়ারী। ১৫৫ জন ছাত্রী অংশগ্রহণ করে। তাদের মধ্যে প্রধান অতিথি সার্টিফিকেট বিতরণ ও বিতর্ক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বিশেষ দক্ষতা অর্জন করায় ৬ জন বিতার্কিক কে পুরস্কার প্রদান করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হরতালের নামে বিশৃঙ্খলা এড়াতে আজ রবিবার মাঠে নামবে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠন। শান্তি সমাবেশের পাশাপাশি জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে দলটির অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতারা অবস্থান করবে। অপরদিকে জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরাও হরতালের কর্মসূচি পালনে প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
এদিকে গতকাল শনিবার বিকেল তিনটা থেকে বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে জেলা শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের জাতীয় বীর আব্দুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্ত মঞ্চে তাৎক্ষণিক সংক্ষিপ্ত সভা করে জেলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন।
সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক মেয়র হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি হেলাল উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুল আলম খোকন, জেলা যুবলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহানুর ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শোভন প্রমুখ।
সভায় রবিবার সকালে জেলার শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের জাতীয় বীর আব্দুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্ত মঞ্চে শান্তি সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে জেলা আওয়ামী লীগ। সভায় রবিবার সকাল থেকে শহরের বিভিন্ন স্থানে যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্চাসেবকলীগসহ অন্যান্য অঙ্গ সহযোগী সংগঠনসহ নেতাকর্মীদের অবস্থান নেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।
জেলা আওয়ামী ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে জেলা ছাত্রলীগ, শহরের লোকনাথ উদ্যান (টেংকের পাড়) এলাকায় যুবলীগ, পৌর আধুনিক সুপার মার্কেটের সামনে স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শহরের সমবায় মার্কেটের সামনে শ্রমিক লীগ, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া এলাকার সামনে তাঁতী লীগ ও মৎস্যজীবী লীগ, শহরতলীর পীরবাড়ি এলাকায় শহর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অবস্থান নেবেন। এসব এলাকায় ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করবেন। পরে তারা আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে যোগ দেবেন।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন বলেন, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সামনে অবস্থা নেবে। আমরা হরতাল বিরোধী মিছিল করব। যেখানে হরতাল হবে সেখানে প্রতিহত করব।
জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু বলেন, নৈরাজ্য ও নাশকতার বিরুদ্ধে রোববার জেলা শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে শান্তি সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ। সকাল আটটা থেকে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা সেখানে জড়ো হবে। তিনি বলেন, হরতালের নামে কেউ শান্তি নষ্ট করুক সেটা আমরা চাই না। নাশকতা ও বিশৃঙ্খলা করলে তা প্রতিহত করা হবে।
জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বর্তমান আহবায়ক কমিটির সদস্য হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি বলেন, শান্তিপূর্ণ হরতাল পালনে আমরা প্রস্তুত আছি। গণতন্ত্র উদ্ধারে বাঁধা অতিক্রম করতে হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার উদ্যোগে কাউতলীস্থ অফিসে সংগঠনের ৭ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ ১৭ ফেব্রুয়ারি সোমবার উদযাপিত হয়েছে। দিনব্যাপী আয়োজনে কেক কাটা, আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল, মিষ্টি বিতরণ এবং গণঅধিকার পরিষদের প্রচার কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সভাপতি সোহেল রানা রাফির সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন গণঅধিকার পরিষদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আহ্বায়ক মো. রাজিউর রহমান তানভীর।
বিশেষ অতিথি ছিলেন গণঅধিকার পরিষদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদস্য সচিব মো. হাসানুর রহমান ওবায়দুল্লাহ।
এছাড়া আমন্ত্রিত বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও দুবাই প্রবাসী মুহাম্মদ ফখরুদ্দিন আহমেদ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সাধারণ সম্পাদক মো. সালমান ইসলাম আরিয়ান।
সকালে কেক কেটে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করা হয়। এরপর আলোচনা সভায় বক্তারা ছাত্র আন্দোলনের গুরুত্ব, শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নিয়ে বক্তব্য রাখেন। শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে সংগঠনটি যে ভূমিকা রেখে চলেছে, তা আরো বিস্তৃত করার বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
দুপুরের পর কাউতলি স্টেডিয়াম এলাকায় গণঅধিকার পরিষদের পরিচিতি ও প্রচার কার্যক্রম পরিচালিত হয়। সেখানে গণঅধিকার পরিষদের নীতি ও লক্ষ্য তুলে ধরে লিফলেট বিতরণ করা হয়, যা উপস্থিত জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলে। পাশাপাশি নুরুল হক নূরের ট্রাক প্রতীকের প্রচারণাও চালানো হয়।
মাগরিবের নামাজের পর দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে সংগঠনের সদস্যরা দেশের কল্যাণ, শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার এবং সংগঠনের সাফল্যের জন্য বিশেষ মোনাজাত করেন। এরপর কেক কাটা এবং মিষ্টি বিতরণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংঘবদ্ধ অপহরণ চক্রের ৯ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল রবিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে পৌর শহরের কাউতলী এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে আনিসুল হক নামে অপহৃত এক ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কান্দিপাড়ার শাকিল প্রকাশ লায়ন শাকিল (৩৫), শাকিলের স্ত্রী হাবিবা আক্তার (২৯), শহরের শিমরাইলকান্দির এনামুল হক প্রকাশ জুয়েল (৩০), একই এলাকার জোনায়েদ (২৭), সাইমন ইসলাম প্রকাশ রাজু সিকদার (২৫), জেলার কসবা উপজেলার সাহাপুর গ্রামের জোনাকি প্রকাশ শিউলী (২৫), সদর উপজেলার কোড্ডা গ্রামের সৌরভ (২২), শহরের কলেজপাড়ার বাবুল মিয়া (৪৫) ও শহরতরীর বিরাসার গ্রামের পান্না চৌধুরী (৩০)।
পুলিশ জানায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের ব্যবসায়ী আনিসুল হকের সাথে মোবাইল ফোনে হাবিবা বেগমের পরিচয় হয়। তারা মোবাইল ফোনে কথা বলতেন। গত রবিবার সন্ধ্যার দিকে আনিসুল হক হাবিবা বেগমের সাথে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পাইকপাড়া (পানির ট্যাংক) সামনে দেখা করতে আসেন।
সেখানে আগে থেকে মাইক্রবাস নিয়ে উৎপেতে থাকা ৮/৯ জন অপহরণকারী কিছু বুঝে উঠার আগেই আনিসুল হককে মাইক্রোবাসে জোরপূর্বক তুলে শহরের কাউতলী এলাকার আলম ভবনের চতুর্থ তলায় নিয়ে যান। সেখানে তাকে আটকে রেখে মারধোর করেন। এক পর্যায়ে তার কাছে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। ১০ লাখ টাকা না দিলে তাকে হত্যা করে লাশ গুম করবে বলে হুমকি দেয়। শাকিলের স্ত্রী হাবিবা বেগম ব্যবসায়ী আনিসুল হককে টাকা না দিলে ধর্ষণ মামলা দিব বলে হুমকি দেয়। আনিসুল হক ভয়ে তার স্ত্রী ও তার মামাকে মুক্তিপণের টাকার বিষয়ে বললে, তারা টাকা জোগাড় করছে বলে অপহরণকারী দলকে জানায়। অপহরণকারীরা আনিসুল হকের কাছে থাকা১৫ হাজার ৫০০ টাকা তারা ছিনিয়ে নেয়।
খবর পেয়ে পুলিশ রাত সাড়ে ৯ টার দিকে শহরের কাউতলী গ্রামের আলম ভবনের চতুর্থ তলা থেকে ব্যবসায়ী আসিসুল হককে উদ্ধার করে ও সংবদ্ধ অপহরণ চক্রের ৯ সদস্যকে গ্রেফতার করে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেপ্তারকৃত শাকিল কুখ্যাত অপহরনকারী, ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ি ভাংচুরসহ একাধিক মামলার পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামি। অপহরণ চক্রের মূলহোতা হচ্ছে শাকিল।
তিনি আরো জানান, এই চক্রে দুইজন নারী সদস্য রয়েছে, তাদের কাজ হচ্ছে বিভিন্ন জনের সাথে মোবাইল ফোনে সখ্য গড়ে তোলা। এক পর্যায়ে দেখা করতে আসলে তারা তাদের কে অপহরণ করে নিয়ে মুক্তিপণ আদায় করা। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ময়লার ট্রাক্টরের নিচে চাপা পড়ে মো: আল-আমিন মিয়া (৩৫) নামে এক পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিহত হয়েছেন।
১৪ জানুয়ারি মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিক পৌর এলাকার ছয়বাড়িয়া ময়লা ডাম্পিং এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত আল আমিন সরাইল উপজেলার আইরল গ্রামের সালাম মিয়ার ছেলে। ঘটনার পর থেকে পৌরসভার অস্থায়ীভাবে নিয়োগ পাওয়া ট্রাক্টর চালক মো. আমির মিয়া পলাতক রয়েছেন। নিহতের স্বজন এবং পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানান, প্রতিদিনের ন্যায় ময়লার ট্রাক্টরে করে পৌর এলাকার ছয় বাড়িয়া এলাকায় যান আল-আমিন। ট্রাক্টর থেকে ময়লা অপসারণ করার সময় চালক ট্রাক্টরটি পেছনে নেওয়ার সময় এর নিচে চাপা পড়েন পরিচ্ছন্নতা কর্মী আল-আমিন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আল-আমিনকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আনার পর কর্তব্য চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নায়েব আলী নামে পৌরসভার এক পরিছন্ন কর্মী জানান, সকালে সবাই ময়লা নিয়ে ছয়বাড়িয়াতে যান। সেখানে ময়লা ট্রাক্টর থেকে নামানোর জন্য ট্রাক্টরটি যখন পিছনে দিকে নিচ্ছিল, তখন আলামিনের পা চাকার নিচে পড়ে যায়। নিহত আল-আমিনের ছোট ভাই নাঈম বলেন, আমরা খবর পেয়ে ছুটে এসেছি। হাসপাতালে এসে দেখি আমার ভাই মারা গেছে। আমার ভাইয়ের পাঁচটি সন্তান আছে। তারা কীভাবে কি করবে। পৌরসভা কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের দাবি তারা যেন আমার ভাইয়ের পরিবারকে সহযোগিতা করে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি মোজাফফর বলেন, ময়লার ট্রাক্টরে করে পৌর এলাকার ছয়বাড়িয়া এলাকায় যান আল আমিন। এক পর্যায়ে ট্রাক্টর থেকে ময়লা নামাচ্ছিলেন তিনি। এ সময় চালক ট্রাক্টরটি পেছনে নিতে গেলে নিচে চাপা পড়েন আল আমিন। পরে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আল আমিনকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছে সাধারণ ছাত্র জনতা।
২৩ অক্টোবর বুধবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের কালীবাড়ি মোড় থেকে একটি আনন্দ মিছিল বের হয়। মিছিলটি জেলা শহরের প্রধান-প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রেসক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়। মিছিল শেষে প্রেসক্লাবের সামনে সংক্ষিপ্ত পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।
পথ সভায় ছাত্র জনতার পক্ষে বক্তব্য রাখেন, সাব্বির আহমেদ উসমানি, মোহাইমিনুল আজবীন, ইকরামুল মারজান চৌধুরী ও মোহাম্মদ হানিফসহ শিক্ষার্থীরা।
এ সময় বক্তরা ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি আওয়ামী লীগসহ তাদের অঙ্গ সহযোগী সংগঠন গুলোকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানান। সমাবেশ শেষে ছাত্র জনতার পক্ষ থেকে উপস্থিত জনতার মাঝে মিষ্টি বিতরণ করা হয়।