চলারপথে রিপোর্ট :
প্রথমবারের মতো ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছে জাতীয় হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা ২০২৫।
আজ ১৮ জানুয়ারি শনিবার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার দরিকান্দি ইউনিয়নের ইমামনগর জামিয়া ইসলামিয়ার কওমি মাদরাসার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় কুরআন প্রতিযোগিতা। এতে অংশগ্রহাণকারীদের মধ্য থেকে বিজয়ীদেরকে নগদ টাকাসহ ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়। এই প্রতিযোগিতায় দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা পর্যায় থেকে জোন ভিত্তিক ১২ শতাধিক হাফেজ, মাওলানা, মুফতি ও মাদরাসার ছাত্ররা অংশগ্রহণ করেন।
তিনটি গ্রুপে ভাগ করে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া উপজেলা ও জেলা পর্যায়েও পুরস্কার প্রদান করা হয়।
হাফেজ, মাওলানা, মুফতি, মাদরাসার ছাত্র ও ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের পদচারনায় মুখরিত হয়ে উঠে অনুষ্ঠানস্থল। মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আবদুস সাত্তারের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন হুফ্ফাজুল কুরআন ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এর সভাপতি উস্তাযুল হুফ্ফাজ শায়েখ ক্বারী আব্দুল হক্ব।
বিশেষ অতিথি ছিলেন শায়েখ ক্বারী নাজমুল হাসান।
পবিত্র এই কোরআন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান দেখতে প্রায় ৫ হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লি উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
অনলাইন ডেস্ক :
বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় ওরস থেকে ফেরার পথে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা ও মোটর সাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ১ জন গুরুতর অবস্থায় ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার শাহ রাহাত আলীর মাজারের ওরস দেখতে এসে মোটর সাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে অটোরিক্সার সঙ্গে সংঘর্ষে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর কলেজপাড়ার জুয়েল মিয়ার ছেলে মিরাজুল ইসলাম (১৮) ও বাঙ্গরা থানার আমিননগর গ্রামের আতশ মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম (১৮)। আহত অবস্থায় ঢাকায় রেফার্ড করা হয় রামচন্দ্রপুর গ্রামের কাজী আজাদ মিয়ার ছেলে ইকরামকে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে উপজেলার শাহ রাহাত আলীর ওরস থেকে মোটর সাইকেল করে বাড়ি ফেরার পথে বাঞ্ছারামপুর-মুরাদনগর সড়কের পাড়াতলি মোড়ে সিএনজির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলে মারা যান মিরাজুল ইসলাম। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় সাইফুল ইসলাম এবং ইকরামকে উদ্ধার করে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে অবস্থার অবনতি দেখে কর্তব্যরত ডাক্তার ঢাকায় রেফার্ড করেন। ঢাকায় যাওয়ার পথে সাইফুল ইসলাম মারা যান।
এ বিষয়ে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ফয়সাল কবির জয় বলেন, ঘটনাস্থলে একজন মারা যান। সাইফুল ইসলাম এবং ইকরামকে গুরুতর অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করি।
এ বিষয়ে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার (ভারপ্রাপ্ত) অফিসার ইনচার্জ মো. নূরে আলম বলেন, মোটরসাইকেল আরোহীরা নিজেরাই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মারা যান। এ বিষয়ে তাদের পরিবারের কোনো অভিযোগ নেই। আমরা পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করেছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম এমপি বলেছেন, শেখ হাসিনা আছেন বলেই অনন্য উচ্চতায় বাংলাদেশ। শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিল বলেই বাংলা আজ সোনার বাংলায় পরিণত হয়েছে।
আজ ১৭ মে শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৩তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের বিশেষ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তাজুল ইসলাম বলেন, বিশ্ব দরবারে হয়েছে সমাদৃত। জনগণের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। উন্নয়নের মহাসড়কে পৌঁছে দিয়েছে এই দেশকে। দেশের মানুষ শান্তিতে বসবাস করছে। জঙ্গিবাদ, দাঙ্গা-হাঙ্গামা, হরতাল ও সন্ত্রাস প্রতিহত করায় দেশবাসী আওয়ামী লীগকে বার বার নির্বাচিত করে দেশ পরিচালনার দায়িত্বভার প্রদান করে।
তিনি বলেন, অপরদিকে নালিশ পার্টিগুলি দেশ-বিদেশে ঘুরে ঘুরে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। নির্বাচন আসলে বিদেশিদের দ্বারে দ্বারে ক্ষমতায় বসিয়ে দেওয়ার লোভে ঘুরে ভেড়ায়। জনগণের কাছে এসে ভোট চাওয়ার কোনো সাহস তাদের নেই। সেজন্য বাংলার জনগণ তাদের প্রত্যাখান করেছেন।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহি উদ্দিন আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি প্রিন্সিপাল আবুল খায়ের দুলাল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মোস্তফা কামাল, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল ইসলাম, মহিলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জলি আক্তার, সহসভাপতি সায়েদুল ইসলাম বকুল ভূইয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী জাদিদ আল রহমান জনি, বাঞ্ছারামপুর পৌর মেয়র তফাজ্জল হোসেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি মাহমুদুল হাসান ভূইয়া, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি এমএস রানা, সাধারণ সম্পাদক আ. রাজ্জাক, বাঞ্ছারামপুর পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি হিমেল সরকার, সাধারণ সম্পাদক সামুয়েল আহমেদ, কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি মাসুদ রানা, সাধারণ সম্পাদক আশিকুল ইসলাম মাসুদ প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলামকে ২১ মাস আগে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে করা এক মামলায় রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। আজ ২১ আগস্ট বুধবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট চতুর্থ আদালতের বিচারক সাদেকুর রহমান তাঁর ৯ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ক্যাপ্টেন (অব.) তাজুল ইসলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। তিনি ২০০৮ সাল থেকে টানা চার মেয়াদে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। এর আগে তিনি ১৯৯৬ সালে একই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০৯ সালের শেখ হাসিনা সরকারের মন্ত্রিসভার মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান তিনি। একই সঙ্গে তিনি দলটির মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদকও ছিলেন। পরে কমিটি থেকে বাদ পড়েন। গতকাল ২০ আগস্ট মঙ্গলবার রাতে তাজুল ইসলামকে রাজধানীর বনশ্রী এলাকা থেকে আটক করে পুলিশ।
পুলিশ ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২০২২ সালের ১৯ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুরে মিছিল বের করাকে কেন্দ্র করে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। ওই সংঘর্ষ চলাকালে উপজেলার সোনারামপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি রফিকুল পেটে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। ওই দিন সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি।
এ ঘটনায় ২০২২ সালের ২০ নভেম্বর বাঞ্ছারামপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আফজাল হোসেন বাদী হয়ে ৩০২ ধারাসহ (হত্যা) বিভিন্ন ধারায় বিএনপির ১৭ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১০০ থেকে ১২০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। বর্তমানে মামলাটি তদন্ত করছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ওই মামলার এজাহারে সাবেক সংসদ সদস্য তাজুলের নাম নেই, তবে এই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ দুপুরে রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ।
জানতে চাইলে জেলা ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সহিদুল ইসলাম বলেন, ছাত্রদল নেতা নিহত হওয়ার ঘটনায় পেছন থেকে ইন্ধনদাতা হিসেবে তাজুল ইসলামের জড়িত থাকার বিষয়ে তথ্যপ্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। এ কারণে অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে তাঁকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
ওসি সহিদুল ইসলাম বলেন, ওই মামলায় জেলা গোয়েন্দা শাখার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল আহমেদ ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। আদালতে ৯ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে। এর আগে একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে তিনি ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ পুলিশ কর্মকর্তারা তাঁকে ঢাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে আসেন।
সরেজমিন দেখা গেছে, আজ দুপুরে তাজুল ইসলামকে পুলিশের বুলেট প্রুফ জ্যাকেট ও হেলমেট পরিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট চতুর্থ আদালতে তোলা হয়। এ সময় আদালতের ভেতর বিএনপির আইনজীবীরা ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদনের জন্য হইচই করেন। আওয়ামী লীগের চারজন আইনজীবী সেখানে উপস্থিত হলেও পরিস্থিতি অনুকুলে না থাকায় কোনো কথা বলেননি। একপর্যায়ে তাঁরা এজলাস ত্যাগ করে চলে যান। তিনটায় আদালতের রায়ের পর প্রিজন ভ্যানে তুলে পুলিশ তাঁকে আদালত থেকে নিয়ে যায়। এ সময় বিএনপির আইনজীবীরা বিভিন্ন স্লোগান দেন।
কয়েকজন আইনজীবী বলেন, আদালত প্রথমে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আইনজীবীদের হইচইয়ের কারণে পরে ৯ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি কামরুজ্জামান মামুন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক তারেকুল ইসলাম খান ও জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি আইনজীবী আবদুর রহিম বলেন, ছাত্রদল নেতা রফিকুল হত্যা মামলায় তাজুল ইসলামের ইন্ধন রয়েছে। সে সময় থানায় মামলা করতে গেলেও পুলিশ গ্রহণ করেনি। আদালতে পুলিশসহ ৬০ জনের বেশি আসামি করে মামলা দিলেও তা খারিজ হয়ে যায়।
এদিকে তাজুল ইসলামকে গ্রেপ্তারের খবরে আজ দুপুরে বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় আনন্দমিছিল করেছে উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। দুপুরে উপজেলার মুসা মার্কেট থেকে কেন্দ্রীয় কৃষক দলের নেতাকর্মীরা আনন্দমিছিল বের করে উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান প্রদক্ষিণ করেন।
এতে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান, উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব আবদুল্লাহ আল মহসিন, সদস্য সাখাওয়াত হোসেন, আবদুল করিম, দেলোয়ার হোসেন, আবদুল করিম, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক হারুন অর রশিদ প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা তথ্য অফিসের ব্যবস্থাপনায় ‘বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ)’র আওতায় আজ ৩ নভেম্বর রবিবার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার থানা কলোনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গনে নারী সমাবেশের অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার তথ্য কর্মকর্তা দীপক চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে নারী সমাবেশের প্রধান অতিথি ছিলেন বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহা: আবুল মনসুর।
বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ নাসির উদ্দিন, উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবদুল আজীজ, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ সৈয়দ অলী মোহাম্মদ রাছেল, উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা সাঈদা আক্তার, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোঃ মকবুল হোসেন, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রাবেয়া সুলতানা ইভা ও বাঞ্ছারামপুর প্রেস ক্লাবের আহ্বায়ক এমএ আউয়াল। নারী সমাবেশে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আবুল মনসুর বলেন, বর্তমান সরকার জরায়ু মুখ ক্যান্সার রোগের ভয়াবহতার কথা চিন্তা করে ৫ম -৯ম শ্রেণী ছাত্রীদের এবং ১০-১৪ বছর বয়সী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত কিশোরীদের বিনামূল্য এইচপিভি টিকাদান ব্যবস্থা করেছেন। তিনি আরো বলেন, জরায়ু মুখ ক্যান্সার আমাদের দেশে ট্যাবু একটি বিষয়, যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা আক্রান্ত না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা এ রোগের কথা কাউকে বলিনা, এটি ঠিক নয়, জরায়ু মুখ ক্যান্সারকে সাধারণ রোগের মতোই মনে করে চিকিৎসা করতে হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, বাংলাদেশের যত নারী ক্যান্সারে মারা যায় তার অর্ধেক মারা যায় জরায়ুমুখ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে। সাধারণত নারীরা যে সকল ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় বৈশ্বিকভাবে জরায়ুমুখ ক্যান্সার চতুর্থ সর্বোচ্চ। প্রতিবছর বিশ্বের ছয় লক্ষ নারী জরায়ুমুখ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। তার মধ্যে তিন লক্ষ বিয়াল্লিশ হাজার জন মৃত্যু বরন করেন। এর প্রায় ৯০% বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত দেশে হয়ে থাকে। বক্তারা আরো বলেন, বাংলাদেশী নারীদের ক্ষেত্রে জরায়ুমুখ ক্যান্সার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। বাংলাদেশে প্রতি এক লক্ষ নারীর মধ্যে এগারজন জরায়ুমুখ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। প্রতি বছর ৪৯৭১ জন মহিলা মৃত্যুবরন করেন।
উক্ত নারী সমাবেশে বাল্য বিবাহ রোধ ও মাদক আসক্তকে একটি সামাজিক সমস্যা হিসাবে আখ্যা দিয়ে বক্তারা বলেন, বাল্য বিবাহ ও মাদক আসক্ত আমাদের জন্য একটি ভয়াবহ সমস্যা। এ সমস্যা দূর করার জন্য একটি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। একটি বাল্য বিবাহ শুধু একটি মেয়ের জীবন ধ্বংস করেন তা নয় বরং দুটি পরিবারই শেষ হয়ে যায়, ঠিক তেমনি মাদক আসক্ত ব্যক্তি পুরো সমাজের জন্য হুমকি স্বরূপ। তাই এসব সামাজিক সমস্যা প্রতিরোধ করার জন্য সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানান বক্তারা।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইল ব্যাটালিয়নের (২৫ বিজিবি) টহলদল কর্তৃক বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় কমলা এবং কাভার্ড ভ্যান জব্দ করা হয়েছে।
১২ ফেব্রুয়ারি বুধবার দুপুরের দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার আমতলী বাজারে সন্দেহজনক কাভার্ড ভ্যানে তল্লাশি চালিয়ে ১১,১৪০ কেজি কমলা জব্দ করা হয়েছে। এসময় কমলা বহনকারী একটি কাভার্ড ভ্যান জব্দ করা হয়।
সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি) সূত্রে জানা যায়, জব্দকৃত কমলার বাজার মূল্য ৯৮ লক্ষ ৯৯ হাজার টাকা। বুধবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে জব্দকৃত কমলা আখাউড়া কাস্টমস কর্মকর্তা কর্তৃক নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়েছে।