চলারপথে রিপোর্ট :
প্রথমবারের মতো ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছে জাতীয় হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা ২০২৫।
আজ ১৮ জানুয়ারি শনিবার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার দরিকান্দি ইউনিয়নের ইমামনগর জামিয়া ইসলামিয়ার কওমি মাদরাসার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় কুরআন প্রতিযোগিতা। এতে অংশগ্রহাণকারীদের মধ্য থেকে বিজয়ীদেরকে নগদ টাকাসহ ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়। এই প্রতিযোগিতায় দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা পর্যায় থেকে জোন ভিত্তিক ১২ শতাধিক হাফেজ, মাওলানা, মুফতি ও মাদরাসার ছাত্ররা অংশগ্রহণ করেন।
তিনটি গ্রুপে ভাগ করে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া উপজেলা ও জেলা পর্যায়েও পুরস্কার প্রদান করা হয়।
হাফেজ, মাওলানা, মুফতি, মাদরাসার ছাত্র ও ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের পদচারনায় মুখরিত হয়ে উঠে অনুষ্ঠানস্থল। মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আবদুস সাত্তারের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন হুফ্ফাজুল কুরআন ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এর সভাপতি উস্তাযুল হুফ্ফাজ শায়েখ ক্বারী আব্দুল হক্ব।
বিশেষ অতিথি ছিলেন শায়েখ ক্বারী নাজমুল হাসান।
পবিত্র এই কোরআন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান দেখতে প্রায় ৫ হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লি উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কিমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণের স্বপ্নকে হৃদয়ে ধারণ করে আত্মনির্ভরশীল জাতি হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা তুলে দাঁড়াতে হবে। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী পাঠে ছাত্র ও যুব সমাজের মধ্যে আত্মনির্ভরশীলতা সৃষ্টি করবে। দেশ ও জাতির উন্নয়নের জন্য আমাদের সকলের বেশি করে বই পড়তে হবে।
আজ ২৩ সেপ্টেম্বর শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ছয়ফুল্লাকান্দি ইউনিয়নের উদ্যোগে শাহ-রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শিক্ষার্থীদের মাঝে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, একদল ষড়যন্ত্রকারী নির্বাচন বানচাল করার উদ্দেশ্যে দেশ-বিদেশে ঘুরে ঘুরে মিথ্যা অপবাদ ছড়াচ্ছে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায়ই সামনের সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহনে নির্বাচনের মাধ্যমে আবারও দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য আওয়ামী লীগকে নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার জন্য আহ্বান জানান।
ছয়ফুল্লাকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম তুষারের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আমেরিকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ লামাগনা সদস্য ট্রাস্টিবোর্ড ড. কারমেন জেড, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য ডক্টর হাসিনা খান, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন পরিচালক ওমর ফারুক বাবলু, বিশিষ্টি শিক্ষানুরাগী ফারাহ ইসলাম প্রভা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ কি মিত্র চাকমা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি প্রিন্সিপাল আবুল খায়ের দুলাল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী জাদিদ আল রহমান জনি, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সায়েদুল ইসলাম ভূঁইয়া বকুল, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জলি আক্তার, বাঞ্ছারামপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী আতিকুর রহমান, পৌর মেয়র তফাজ্জল হোসেন, শাহ রাহাত আলী মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলম, বাঞ্ছারামপুর উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি এস এম সোহেল রানা, ছয়ফুল্লাকান্দি ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি মোজাম্মেল হক চৌধুরী, মাওলানা জাকির হোসেন, শাহ রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল করিম, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি মাহমুদুল হাসান ভূঁইয়া প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুরে কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবিতে আজ ২৪ আগস্ট শনিবার শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করে।
বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াতে শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা না করার অভিযোগ তুলে ওই ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবি করে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
দাবি আদায় না হলে শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন ও লাগাতার কর্মসূচির দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
ইনস্টিটিউটের কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, তারা বন্যা দুর্গত এলাকায় সহযোগিতা করার জন্য সবাই মিলে টাকা উঠাচ্ছিল। এসময় একজন দোকানদার তাদের চ্যালেঞ্জ করে কলেজের অধ্যক্ষকে ফোন করে। তখন কলেজের অধ্যক্ষ বলেন, ওরা তার কলেজের শিক্ষার্থী না, তারা চাঁদাবাজ, তাদেরকে পুলিশে দেওয়ার জন্য বলেন। যদিও শিক্ষার্থীদের গলায় ওই কলেজের কার্ড ঝুলানো ছিল।
তারা জানায়, অধ্যক্ষ অস্বীকার করার পর তাদেরকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে হোস্টেল সুপার ফোন করে দায়িত্ব নিয়ে তাদেরকে নিয়ে আসে। এরপর থেকে কলেজের সব শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের অপসারণ দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। তারা ২৪ ঘন্টার আলটিমেটাম দিয়েছে।
শিক্ষার্থী মুশফিক সরওয়ার বলেন, আমর বাড়ি থেকেও বন্যা দুর্গতদের জন্য অর্থ সহায়তা পাঠানো হয়েছে। মানবিক কাজে সাড়া দেয়ার লক্ষ্যে বন্যায় কষ্ট পাওয়া মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা দোকানে দোকানে অর্থ সহায়তা নিতে গিয়েছিল। যাদের পক্ষে সম্ভব তারা সহায়তা দিয়েছেন, যারা দিতে চাননি তাদের জোর করা হয়নি। অধ্যক্ষের এমন আচরণ মেনে নেয়ার মতো না। আমাদের দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
অধ্যক্ষের সাথে যোগাযোগ করার জন্য একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
চলারপথে রিপোর্ট :
অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম এমপি বলেছেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। অসহায় হতদরিদ্রদের কথা চিন্তা করে গুচ্ছগ্রাম তৈরি করে অসহায় হতদরিদ্রদের মনে শক্তি ও সাহস যুগিয়েছে। জায়গাসহ মানসম্মত পাকা বাড়ি নির্মাণ করে দলিলসহ মালিকানা হস্তান্তর করায় তাদের সামাজিক আত্মমর্যাদা বৃদ্ধি করেছে। দেশের লোক আজকে শান্তিতে বসবাস করছে। তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে অর্থ পাচার করেছে। বিদ্যুৎ-এর নামে খাম্বা বানিয়ে কোটি কোটি টাকা লুটপাট করেছে। ক্ষমতায় আসার জন্যে পেট্রল বোমা মেরে মানুষ হত্যা করেছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত পৃথিবীর ইতিহাসে এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। মানবতার মা শেখ হাসিনা আজ বিশ্ব নেত্রী।
মহান মে দিবসের বিশেষ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহি উদ্দিন আহমেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল ইসলাম, মহিলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জলি আক্তার, সহসভাপতি সায়েদুল ইসলাম বকুল ভূইয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী জাদিদ আল রহমান জনি, বাঞ্ছারামপুর পৌর মেয়র তফাজ্জল হোসেন, সহকারি কমিশনার ভূমি মো. নজরুল ইসলাম, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি মাহমূদূল হাসান ভূইয়া, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি এমএস রানা, সাধারন সম্পাদক আঃ রাজ্জাক, বাঞ্ছারামপুর পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি হিমেল সরকার, সাধারণ সম্পাদক সামুয়েল আহমেদ, কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি মাসুদ রানা, সাধারণ সম্পাদক আশিকুল ইসলাম মাসুদ প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
কুমিল্লার হোমনা উপজেলায় তিতাস নদীর জায়গা দখল করে বাঁধ নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এই বাঁধের কারণে নদী সংকুচিত হয়ে নৌ-চলাচল বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। রামকৃষ্ণপুর এলাকায় এই বাঁধ দেওয়া হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিতাস নদী হোমনা উপজেলার শ্রীমদ্বীর মেঘনা নদী থেকে উৎপত্তি হয়ে মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর গিয়ে শেষ হয়েছে। এই নদী দিয়ে বাঞ্ছারামপুর, হোমনা, মুরাদনগর উপজেলার ব্যবসায়ীরা নৌপথে পণ্য আনা-নেওয়া করেন। তিতাস নদীর অংশটি দুই বছর আগে নৌচলাচলের সুবিধার জন্য খনন করে বিআইডব্লিউটিএ। এই নদী দিয়ে প্রতিদিন ঢাকার সদরঘাট ও নারায়ণগঞ্জে কয়েকটি লঞ্চ ও শতাধিক ট্রলার চলাচল করে।
সরেজমিন দেখা গেছে, চান্দেরচর ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর আড়ালিয়াকান্দি গ্রামের রামকৃষ্ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উত্তর পাশে তিতাস নদীতে একটি পাকা ঘাটলা রয়েছে। এই ঘাটলায় প্রতিদিন শত শত মানুষ গোসল করে। ঘাটলাটি থেকে আরো ৩০-৪০ ফুট উত্তরে নদীর মধ্যে মাটি দিয়ে পূর্ব-পশ্চিমে একটি বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। বাঁধটি রক্ষার জন্য নদীর মধ্যে মুলির (বাঁশ) বেড়া ও বাঁশ দিয়ে বেড়া দেওয়া হয়েছে।
নৌকার মাঝি সোলেমান জানান, প্রতিদিন এই নদী দিয়ে শত শত নৌকা চলাচল করে। এই বাঁধের কারণে নৌকা চলাচল সমস্যা হবে। দুর্ঘটনার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বাঁধ নির্মাণকারীদের একজন মাসুদ ভূঁইয়া। তিনি বলেন, ‘যে জায়গায় বাঁধ দেওয়া হয়েছে, সেটি আমাদের বাড়ির অনেকের জমি। আমারও ৩০ শতক জমি আছে বাঁধের মধ্যে। মাছ চাষ করতে এই বাঁধ দেওয়া হয়েছে।’
চান্দেরচর ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা আমান উল্লাহ জানান, তিতাস নদীতে বাঁধ দেওয়ার খবর পেয়ে তাকে ঘটনাস্থলে পাঠান উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)। তাঁর সঙ্গে আলাপ করে জায়গাটি পরিমাপ করা হবে।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইউসুফ হাসান জানান, নদীতে কোনো রকম বাঁধ দেওয়ার সুযোগ নেই। বিশেষ করে নৌচলাচলে বাধা সৃষ্টি হয় এমন কোনো কাজ করা যাবে না। জমির মালিকরা বলছে এটা তাদের জায়গা, কিন্তু নদীর প্রবাহ ব্যাহত হয় এমন কাজ করা যাবে না। বাঁধ অপসারণ করতে বলা হয়েছে। তা না করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাঞ্ছারামপুরের ছলিমাবাদ ইউনিয়নের পাইকারচর গ্রামে ইঞ্জিনিয়ার্স প্যালেসে বাঞ্ছরামপুর কল্যাণ সমিতির তত্ত্বাবধানে দিনব্যাপী বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও চক্ষু শিবির অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দিনব্যাপী বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও চক্ষু শিবির অনুষ্ঠিত হয়। পাইকারচর স্টুডেন্ট অ্যান্ড ইয়ুথ ওয়েলফেয়ার সোসাইটির আয়োজনে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়। চট্টগ্রাম লায়ন্স চক্ষু হাসপাতাল মাহবুবুর রহমান মেমোরিয়াল হাসপাতলের একাধিক মেডিক্যাল টিম, বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা প্রায় দুই হাজার রোগীকে বিনামূল্যে চক্ষু ও বিভিন্ন রোগের সেবা প্রদান করে।
শিবিরে বিশেষভাবে চোখের চিকিৎসার ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। চক্ষু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা রোগীদের বিস্তারিত পরীক্ষা- নিরীক্ষা করে বিনামুল্যে তাদের ওষুধ ও চশমা প্রদান করা হয়। সেই সাথে চোখে ছানিপড়া রোগীদের চিহ্নিত করে তাদের কে লায়ন্স হাসপাতাল চট্টগ্রামে নিয়ে বিনামূল্যে অপারেশন করা হবে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে মেডিসিন, গাইনি, শিশু রোগ, চর্ম, হৃদরোগ বিভাগে আসা রোগীদের পরীক্ষা করে প্রেসক্রিপশন দেওয়া হয় ও বিনামূল্যে প্রয়োজনীয় ওষুধ বিতরণ করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকাস্থ বাঞ্ছারামপুর উপজেলা কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেজর (অব.) এসএম সাইদুল ইসলাম। প্রধান অতিথি সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও চক্ষু শিবির আয়োজন একটি মানবিক সময়োপযোগী উদ্যোগ। সমাজের দরিদ্র সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য এ আয়োজন নিঃসন্দেহে আশীর্বাদস্বরূপ। আমি আশা করি, এ ধরনের উদ্যোগ নিয়মিত হলে মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা আরও বৃদ্ধি পাবে।’
প্রধান প্রকৌশলী (অব.) বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও পাইকারচর স্টুডেন্ট অ্যান্ড ইয়ুথ ওয়েলফেয়ার সোসাইটির প্রধান উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার মো. মকবুল হোসেনের সভাপতিত্বে দিনব্যাপী এই চিকিৎসা শিবিরে অভিজ্ঞ চিকিৎসকগণ উপস্থিত থেকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা, ঔষুধ প্রদান, চক্ষু রোগের চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় অপারেশনের
ব্যবস্থা করেন।
মকবুল ইঞ্জিনিয়ার মো. হোসেন বলেন, ‘গ্রামীণ দোরগোড়ায় মানুষের স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে এ শিবির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বিশেষ করে চোখের চিকিৎসা ও বিনামূল্যে ওষুধ প্রদানের মাধ্যমে অনেকেই উপকৃত হচ্ছেন। আমাদের লক্ষ্য হল্গেকেউ যেন অর্থাভাবে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত না হয়। এ ধরনের মানবিক উদ্যোগ নিয়মিত হলে সমাজের অসহায় মানুষরা আরও বেশি উপকৃত হবে। মুখ্য আলোচক ছিলেন পিএমজেএফ জেলা গভর্নর লায়ন মোসলেহ উদ্দীন আহমেদ অপু।
বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকাস্থ বাঞ্ছারামপুর উপজেলা কল্যাণ সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শফিকুর রহমান, বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার উপপরিদর্শক ফারুক আলম, কনস্টেবল ইমন, জুয়েল প্রমুখ।
আয়োজকরা জানান, সমাজের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষকে একত্রিত করে একটি মানবিক ও সচেতন সমাজ গঠনের লক্ষ্যে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ উপলক্ষে তারা এলাকার সকল শ্রেণিপেশার মানুষকে শিবিরে উপস্থিত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ জামাল আবু নাসের বলেন, গ্রামীণ মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে এ শিবির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বিশেষ করে চক্ষু চিকিৎসা ও বিনামূল্যে ওষুধ প্রদানের মাধ্যমে অনেকেই সরাসরি উপকৃত হবেন। উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ এ ধরনের মানবিক উদ্যোগকে সবসময় সহযোগিতা পাশে থাকবে। পাইকারচর স্টুডেন্ট অ্যান্ড ইয়ুথ ওয়েলফেয়ার সোসাইটির আহবায়ক অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন বলেন, সমাজের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর অংশগ্রহণে জনগণের কল্যাণে যে ধরনের ক্ষেত্রে আয়োজন হচ্ছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। উদ্যোগ সমাজের দরিদ্র মানুষদের চিকিৎসা প্রাপ্তির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আমি আশা করি, এই উদ্যোগে এলাকার মানুষ ব্যাপকভাবে উপকৃত হবেন। পাইকারচর স্টুডেন্ট অ্যান্ড ইয়ুব ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সদস্য সচিব মো. মহসিন বলেন, আমাদের এ উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য হলো গ্রামের সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানো। আমরা চাই, একটি বলেন, মানবিক সমাজ গড়ে উঠুক যেখানে অসহায় কেউ চিকিৎসার অভাবে কষ্ট পাবেন না। এই শিবিরে যারা আসবেন, তারা যেন সুস্থ হয়ে নতুনভাবে জীবনযাপন করতে পারেন সেটাই আমাদের প্রার্থনা। তিনি আরও পাইকারচর স্টুডেন্ট অ্যান্ড ইয়ুধ ওয়েলফেয়ার সোসাইটি শুধু চিকিৎসা সেবা নয়। সংগঠনটি নিয়মিতভাবে খেলাধুলা, বৃক্ষরোপণ, শিক্ষামূলক কার্যক্রম সামাজিক উন্নয়নমূলক বিভিন্ন আয়োজন করে থাকে। এ ধরনের উদ্যোগের মাধ্যমে তরুণ সমাজকে সম্পৃক্ত করা এবং একটি মানবিক, সচেতন ও সুস্থ সমাজ গড়ে তোলাই সংগঠনটির মূল লক্ষ্য।