স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মহাসড়কে একটি ইটবাহি ট্রাক উল্টে মহাসড়কে প্রায় আধা ঘন্টা যানজটের সৃষ্টি হয়। গতকাল বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের সদর উপজেলার রাধিকা নামক স্থানে এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার দুপুর ১টার দিকে ইটবাহি একটি ট্রাক রাধিকা এলাকায় রাস্তার মাঝখানে উল্টে যায়। এতে মহাসড়কে আধাঘন্টা যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে রেকার দিয়ে উল্টে যাওয়া ট্রাকটি রাস্তার মাঝখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যানবাহন চলাচল শুরু হয়।
এ ব্যাপারে খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুখেন্দু বসু বলেন, খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। উল্টে ট্রাকটি রেকার দিয়ে মাঝ রাস্তা থেকে সরিয়ে নিলে আধাঘন্টা পর যানবাহন চলাচল শুরু হয়।
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দৈনিক চলারপথে পত্রিকার সকল পাঠক, গ্রাহক, বিজ্ঞাপনদাতা, শুভাকাক্সক্ষী ও শুভানুধ্যায়ীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন দৈনিক চলারপথে পত্রিকার সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান ভূইয়া (ফেরদৌস)। শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতর সবার জীবনে বয়ে আনুক অপার্থিব সুখ শান্তি ও সমৃদ্ধি।
স্টাফ রিপোর্টার :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকার বলেছেন, একটি পক্ষ আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য মন্ত্রীর কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এখনো কোন প্রকল্প পাস কিংবা অর্থ বরাদ্দ হয়নি। তাহলে অনিয়ম হল কোথায়? তারা রাজনৈতিকভাবে আমাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতেই উদ্দেশ্যপ্রণোতিভাবে এমনটি করছেন।
তিনি আজ ১৬ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটির সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লাসহ কার্যকরী কমিটির নেতৃবৃন্দকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামিকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের পক্ষ থেকে দেয়া এক লাখ টাকার আর্থিক সহায়তার চেক তুলে দেওয়া উপলক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে একথা বলেন।
এ সময় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আল-মামুন সরকার আরো বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যানের কার্যকালে রাজস্ব ও এডিপির বরাদ্দে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহন ও বাস্তবায়নে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এসব অভিযোগের মধ্যে জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুল আলমের বিরুদ্ধে সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের একটি সরকারি নিবন্ধনবিহীন মাদ্রাসার নামে দেড় কোটি টাকা বরাদ্দ ও জেলা পরিষদের সদস্য মোঃ বাবুল মিয়ার বিরুদ্ধে সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের শালগাঁও-কালিসীমা গ্রামের শতাধিক প্রকল্পের নামে কয়েক কোটি সরকারি টাকা হরিলুটের অভিযোগ উল্লেখযোগ্য।
তিনি বলেন, অনুসন্ধ্যানে জানতে পেরেছি, ২০১৭-১৮ থেকে ২০২১-২-২২ অর্থবছর পর্যন্ত সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের পয়াগ দারুল উলুম মাদ্রাসার নামে জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুল আলম ১ কোটি ৫৫লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। একই সময়ে জেলা পরিষদের সদস্য সদস্য মোঃ বাবুল মিয়া সদর উপজেলার কালিসীমা-শালগাঁও গ্রামে বিভিন্ন খাতে ১১৮টি প্রকল্প দেখিয়ে কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
জেলা পরিষদ সদস্য পায়েল হোসেন মৃধা সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনয়নসহ পাশ্ববর্তী বিভিন্ন ইউনিয়নে ভূয়া প্রকল্প বরাদ্দ করে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। নাসিরনগর উপজেলা থেকে নির্বাচিত সাবেক সদস্য ফারুকুজ্জামান ফারুক উপজেলার ফান্দাউক ইউনিয়নে বিভিন্ন প্রকল্প দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।
তিনি বলেন, শুধুমাত্র একটি গ্রামে এভাবে বরাদ্দ দিতে পারে না। একইভাবে একটি প্রকল্প শেষ হতে না হতেই একই প্রতিষ্ঠানে বার বার বরাদ্দ দেওয়া যায় না। যা সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শফিকুল আলম দিয়েছেন।
মতবিনিময় সভায় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল-মামুন সরকার আরো বলেন, গত ৯ ফেব্রুয়ারি জেলা পরিষদের নির্বাচিত ৮জন সদস্য স্থানীয় সরকার উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর কাছে জেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে (আল-মামুন সরকার) বিধি বহির্ভূতভাবে উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের অনুকূলে অর্থ বরাদ্দ প্রদানসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ করেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, জেলা পরিষদের প্রথম সভা থেকে নির্বাচিত সদস্যদের পাশ কাটিয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের অনুকূলে অর্থ বরাদ্দের প্রস্তাব করেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার।
তিনি নিজ ক্ষমতাবলে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে চার লাখ টাকা, মেয়রকে চার লাখ ও ইউপি চেয়ারম্যানকে তিন লাখ টাকা করে বরাদ্দের বিভাজন করেছেন। যা স্থানীয় সরকার বিভাগের অনুমোদিত রাজস্ব তহবিল ও এডিপির বরাদ্দের ব্যবহার নীতিমালা ২০২২ এর পরিপন্থী।
জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ১৩ এপ্রিল গেজেট বিপ্তপ্তিতে জেলা পরিষদ আইন ২০০০ এর অধিকতর সংশোধনীর প্রেক্ষিতে জাতীয় সংসদের প্রণীত ২০২২ সালে ১০ নং আইন মোতাবেক প্রত্যেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র এবং ক্ষেত্রমতে সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের প্রতিনিধি পদাধিকার বলে জেলা পরিষদের সদস্য।
এছাড়া জেলা পরিষদের এডিপি ও রাজস্ব খাতের অর্থে প্রকল্প গ্রহন, বাস্তবায়ন ও বন্টন নীতিমালা ২০০০ এর ৩ ধারা এর ৩ মোতাবেক জেলা পরিষদের প্রকল্প প্রণয়নের সময় জেলাধীন সকল উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের সঙ্গে সমন্বয় করে জনসংখ্যার সংখ্যানুপাতে প্রকল্প গ্রহন ও অনুমোদন করতে হবে। সেই অনুসারে তাদের প্রকল্পের প্রস্তাব দিতে বলা হয়েছে।
আল মামুন সরকার বলেন, তাদের অভিযোগটি সঠিক নয়। কারণ পরিষদে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, মেয়র ও ইউপি চেয়ারম্যানকে প্রকল্পের প্রস্তাব দিতে বলা হয়েছে। প্রকল্পের প্রস্তাব দিলে সেটি পরবর্তী সভায় পাস হবে। পরবর্তী সভা এখানো হয়নি। অনুমোদনের জন্য প্রকল্প মন্ত্রণালয়ের পাঠানো হবে। মন্ত্রণালয় সেই প্রকল্প অনুমোদন দিয়ে অর্থ বরাদ্দ দিবেন। পরে দরপত্র আহবান করা হবে। যার কোনো কিছুই এখনো হয়নি।
তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি যদি কোন অনিয়ম করি তাহলে আপনারা আমার বিরুদ্ধে লিখবেন। সংবাদ সম্মেলনে জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা (উপ-সচিব) আমিনুল ইসলাম, জেলা পরিষদের সদস্য আবদুল আজিজ ও রুমানা ফেরদৌসিসহ জেলা পরিষদের কর্মকর্তা, কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে জেলা পরিষদের সদস্য (সদর উপজেলা থেকে নির্বাচিত) ও সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মোঃ বাবুল মিয়া সাংবাদিকদের জানান, গত ৫ বছরে বিভিন্ন খাতে ১১৮টি প্রকল্প দিয়েছি। সকল প্রকল্পই বাস্তবায়ন করা হয়েছে। অবহেলিত ও যাদের প্রয়োজন তাদেরকেই প্রকল্প দিয়েছি। সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ সত্য নয়। উল্লেখ্য মোঃ বাবুল মিয়া জেলা পরিষদের বিগত পরিষদেও সদস্য ছিলেন।
এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুল আলমকে কয়েকবার তার মোবাইল ফোনে কল দেয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভি করেননি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার আনন্দবাজারে পরিবেশ অধিদপ্তর জেলা প্রশাসন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহযোগিতায় আজ ১৮ ফেব্রুয়ারি রবিবার নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিনের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়।
পরিচালিত মোবাইল কোর্টে নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন মজুদ ও বিক্রয় করায় ২টি প্রতিষ্ঠানকে ২ টি মামলায় মোট ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় এবং দোকানগুলো থেকে মোট ২৮ কেজি নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন জব্দ করে। একইসাথে প্রায় ৫০ টি দোকানে পলিথিন মজুদ, বিক্রয় ও ব্যবহার বন্ধে প্রচারনা চালানো হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পালন করেন মোঃ ইকরামুল হক নাহিদ। পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক বিসল চক্রবর্ত্তী ও বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা সহযোগিতা করেন। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) পরিচালনা পর্ষদ ও সাধারণ পর্ষদে সদস্য হিসাবে নিয়োগ পেয়েছেন আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটির অধ্যাপক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কৃতি সন্তান ড. মো. তৌফিকুল ইসলাম (মিথিল)।
৪ সেপ্টেম্বর বুধবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ পরিকল্পনা শাখা-১ সহকারি সচিব মুহাম্মদ আমিন শরীফ স্বাক্ষরিত পত্রে রাষ্ট্রপতি আদেশ ক্রমে পরবর্তী ৩ বছরের জন্য পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) পরিচালনা পর্ষদ ও সাধারণ পর্ষদে সদস্য হিসাবে তাকে নিয়োগ প্রদান করা হয়।
সদ্য নিয়োগ পাওয়া পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) পরিচালনা পর্ষদ ও সাধারণ পর্ষদে সদস্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কৃতি সন্তান ড. মো. তৌফিকুল ইসলাম এর জন্মস্থান ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় রামরাইল ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামে। শৈশব ও কৈশোর কেটেছে শহরের প্রাণকেন্দ্র ফুলবাড়িয়ায়। স্কুল জীবন শুরু হয় অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ও পরবর্তীতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শেষ করে জাপান সরকারের বৃত্তি নিয়ে পাড়ি জামান জাপানে। সেখানে পিএইচডি শেষ করে আমেরিকাতে, তারপর শিক্ষকতা শুরু করেন আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (অওটই) তে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে তিনি ব্যাপক ভূমিকা পালন করেন। পি কে এস এফ পরিচালনা পর্ষদ এর সদস্য পদে নিয়োগ পাওয়া নিয়ে ড. মো. তৌফিকুল ইসলাম জানান, এই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে সবাইকে সবার স্থান থেকে কাজ করতে হবে। আমি একটি কাজের দায়িত্ব পেয়েছি। সবার সহযোগিতা কামনা করছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
হাইওয়ে পুলিশের নির্দেশে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিশ্বরোডের আশপাশ এলাকার চারটি সিএনজি চালিত পাম্প থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকসায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশীষ কুমার সান্যালের লিখিত নির্দেশে গত শনিবার থেকে পাম্প মালিকরা এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এতে করে কয়েক হাজার সিএনজি চালিত অটোরিকসার চালক চরম বিপাকে পড়েছেন। সিএনজিচালিত অটো রিকসার চালকরা জানান, দ্রুত সময়ের মধ্যে সিদ্ধান্ত বাতিল না করলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, দিনের বেলায় ফিলিং স্টেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারিগন মহাসড়কের উপর অবৈধভাবে পার্কিং করে গ্যাস সরবরাহ করে আসছে। ফলে মহাসড়কে প্রতিনিয়ত যানজট হচ্ছে। সরকারি নির্দেশনায় রেয়েছে যে, মহাসড়কের উপর অবৈধভাবে গাড়ি পার্কিং করা এবং সকাল ৮টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত থ্রী হুইলার টাইপের গাড়ি যেমন সিএনজিতে গ্যাস সরবরাহ করা সম্পূর্ন বেআইনি ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
এ অবস্থায় মহাসড়কের উপর অবৈধভাবে গাড়ি পার্কিং না করার জন্য এবং সিএনজি গাড়িতে সকাল ৮টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহ না করার জন্য অনুরোধ রইল। বর্নিত নির্দেশনার ব্যতয় ঘটলে বিধি মোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পাম্প মালিকরা জানান, শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিষ কুমার সান্যাল স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে সিএনজিচালিত অটোরিকসায় যেন, দিনের বেলায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়, এমন নির্দেশনা দেয়া হয়। এদিকে সিএনজিচালিত অটোরিকসায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকার কারণে হাজার হাজার অটো রিকশাচালক চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
সিএনজিচালিত অটোরিকসা চালক এরশাদ মিয়া বলেন, সারারাত জেগে গ্যাস নিতে হলে, পরের দিন গাড়ি চালাতে হবে চোখে ঘুম নিয়ে। এতে সিএনজি অটো চালকদের দুর্ঘটনার ঝুঁকি আরো বাড়বে।
অপর চালক হালিম হোসেন বলেন, আমাদের সিএনজিতে সকাল থেকে গ্যাস দিচ্ছে না। আমরা চলব কিভাবে। আমাদেরকে বলা হয়েছে রাত ১১টার পর গ্যাস নেয়ার জন্য। এখন আমরা যদি সারারাত গ্যাস নিয়ে সজাগ থেকে পরের দিন গাড়ী চালাই তাহলে আমাদের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
এদিকে জেলা সিএনজি চালক ও মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবদুল কুদ্দুস সাংবাদিকদের বলেন, কোনো ধরনের পূর্ব ঘোষণা ছাড়া হঠাৎ করে পুলিশ নির্দেশ দিয়েছেন, সিএনজিতে রাতে গ্যাস দেয়ার জন্য। এতে করে আমাদের চালকেরা অসহায় হয়ে পড়েছেন। তিনি বলেন, যদি এই সিদ্ধান্ত পরির্বতন করা না হয়, তাহলে আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে বৃহৎ আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। পুরো জেলা অচল করে দেবো।
এ ব্যাপারে সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক স্বপন মিয়া বলেন, আমাদের শ্রমিকদের স্বার্থে দ্রুত সময়ের মধ্যে হাইওয়ে পুলিশের এই সিদ্ধান্ত বদল না করলে মহাসড়ক বন্ধ সহ বৃহৎ আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
এ বিষয়ে সিএনজি মালিক সমিতির কার্যকরী সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: বাহার চৌধুরী বলেন, এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর আবেদন করা হয়েছে। বিষয়টি নিস্পত্তির জন্য আমাদেরকে তারা আশ্বাস দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে খাঁটিহাতা হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিষ কুমার সান্যাল বলেন, যানজট নিরসনের জন্যে হাইওয়ে পুলিশ সুপারের নির্দেশনা মোতাবেক তিনি সিএনজি পাম্প গুলোতে চিঠি দিয়েছেন।
বিআরটিএ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক এবং সিলেট-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশে কমপক্ষে ১৬ হাজার নিবন্ধিত এবং অনিবন্ধিত সিএনজি চালিত অটোরিক্সা চলাচল করে।