অনলাইন ডেস্ক :
ডোনাল্ড ট্রাম্প আজ ২০ জানুয়ারি সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশ সময় সোমবার রাত ১১টার দিকে শপথ গ্রহণ করেছেন, যার মধ্য দিয়ে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করলেন। তিনি সংবিধান ‘সংরক্ষণ, সুরক্ষা ও প্রতিরক্ষা’ করার শপথ নিয়েছেন।
এই মুহূর্তকে স্মরণীয় করতে কামান দাগা হয়েছে, আর বাজানো হয়েছে ‘হেইল টু দ্য চিফ’। পাশাপাশি ট্রাম্পকে তার পরিবার ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্সের সঙ্গে উদযাপন করতে দেখা গেছে।
অষ্টাদশ শতাব্দীর নব্বইয়ের দশকের পর এই প্রথম কোনো প্রেসিডেন্ট বিজয়ী হয়ে দ্বিতীয়বার শপথ গ্রহণ করলেন, যিনি একবার নির্বাচনে পরাজিত হয়েছিলেন। খুব শিগগিরই ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম ভাষণ দেবেন।
শপথ গ্রহণের জন্য ট্রাম্পের প্রবেশ
ডোনাল্ড ট্রাম্প এখন অতিথিতে পূর্ণ ক্যাপিটল রোটান্ডা কক্ষে উপস্থিত হয়েছেন। এই স্থানেই অল্প সময়ের মধ্যে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করবেন। তার স্ত্রী, বর্তমান প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং তার পরবর্তী ভাইস প্রেসিডেন্ট কিছুক্ষণ আগেই সেখানে প্রবেশ করেছেন।
তিন সাবেক প্রেসিডেন্ট-বিল ক্লিনটন, জর্জ বুশ ও বারাক ওবামা এ কক্ষে প্রবেশ করলে অন্য অতিথিরা করতালি দিয়ে তাদের স্বাগত জানান। সাবেক ফার্স্ট লেডিদের মধ্যে শুধু মিশেল ওবামা অনুষ্ঠানে যোগ দেন নি।
আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট হাভিয়ের মিলেই ও ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনিও রোটাণ্ডায় তাদের আসন গ্রহণ করেছেন।
তার স্ত্রী, বর্তমান প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং তার পরবর্তী ভাইস প্রেসিডেন্ট কিছুক্ষণ আগেই সেখানে প্রবেশ করেছেন।
তিন সাবেক প্রেসিডেন্ট-বিল ক্লিনটন, জর্জ বুশ ও বারাক ওবামা এ কক্ষে প্রবেশ করলে অন্য অতিথিরা করতালি দিয়ে তাদের স্বাগত জানান। সাবেক ফার্স্ট লেডিদের মধ্যে শুধু মিশেল ওবামা অনুষ্ঠানে যোগ দেন নি।
আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট হাভিয়ের মিলেই ও ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনিও রোটাণ্ডায় তাদের আসন গ্রহণ করেছেন।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরই ডোনাল্ড ট্রাম্প কিছু নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করবেন। এরপর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট ভেন্স কংগ্রেসনাল মধ্যাহ্ন ভোজনে অংশ নেবেন। এরপর সেনা সদস্যদের পর্যালোচনা করবেন ট্রাম্প। এর ঠিক এক ঘণ্টা পর প্যারেড বা কুচকাওয়াজে অংশ নেবেন। শেষে মোটর শোভা যাত্রা নিয়ে হোয়াইট হাউসে যাবেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পকে স্বাগত জানিয়েছেন বাইডেন
এদিকে ক্যাপিটলে যাওয়ার আগে প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও তার স্ত্রী জিল ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং মেলানিয়াকে হোয়াইট হাউসে এক চায়ের আমন্ত্রণে স্বাগত জানিয়েছেন। হোয়াইট হাউসের উত্তর পোর্টিকোতে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ‘ওয়েলকাম হোম’ বলে স্বাগত জানান প্রেসিডেন্ট বাইডেন। হোয়াইট হাউসে প্রবেশের আগে সাংবাদিকরা চিৎকার করে প্রশ্ন করলেও কোনো প্রেসিডেন্টই উত্তর দেননি। আজ প্রথমবারের মতো এই জুটির দেখা হয়েছে।
এরই মধ্যে ইভাংকাসহ ট্রাম্পের পরিবারের সদস্যদের ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে ঢুকতে দেখা গেছে। সেখানে কিছুক্ষণ পরেই নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট যাবেন।
ট্রাম্পের আগমনের ঠিক আগে, বাইডেনকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, হোয়াইট হাউসে তার শেষ দিনে আজ কেমন অনুভব করছেন। উত্তরে ‘ভালো’ বলে বলে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তিনি।
চায়ের বৈঠকটি রুদ্ধদ্বার বৈঠক হবে। সেখানে কোনো সাংবাদিকের প্রবেশের অনুমতি নেই।
প্রেসিডেন্ট মার্টিন ভ্যান বুরেন ও অ্যান্ড্রু জ্যাকসনের সঙ্গে এই ঐতিহ্যবাহী চায়ের বৈঠক শুরু হয়েছিল ১৮৩৭ সালে। তবে ২০২১ সালে সেই ঐতিহ্য ভেঙে ট্রাম্প বাইডেনকে চায়ের আমন্ত্রণ করেননি। সে সময় ২০২০ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন—এমন মিথ্যা দাবি অনবরত করে গেছেন ট্রাম্প।
কিছু নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করতে পারেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
এটা এখন বেশ স্পষ্ট বলে মনে হচ্ছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউস থেকে মাত্র এক মাইল দূরে ক্যাপিটল ওয়ান অ্যারেনায় তার ২০ হাজার সমর্থকের সামনে বেশ কিছু নির্বাহী আদেশ ও পদক্ষেপগুলোর মধ্যে কিছু স্বাক্ষর করতে চাইবেন। যে স্টেজে তিনি বক্তব্য দেবেন, সেই স্থানের এক পাশে ঐতিহ্যবাহী মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু মজার বিষয় হলো, মঞ্চের অন্য পাশে একটি ডেস্ক, একটি অভিনব চেয়ার, একটি মাইক্রোফোন ও একটি বৃত্তাকার প্লেট রয়েছে। প্রেসিডেন্টের সিল বসানোর জন্য খুব সম্ভবত রাখা হয়েছে।
সেন্ট জন গির্জা
ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার স্ত্রী মেলানিয়া স্থানীয় সময় সোমবার সকালে সেন্ট জন গির্জায় পৌঁছন। এ সময় অভিষেকের দিনে প্রথমবারের মতো নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে দেখা যায়। পরিবারের অন্য সদস্যরাও সেখানে পৌঁছন। এ ছাড়া নির্বাচিত ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স ও উষা ভ্যান্সও গির্জায় ছিলেন।
গির্জায় শপথের এ রীতি ঐতিহ্যবাহী। গির্জায় পরিষেবাটি ‘আমেরিকা দ্য বিউটিফুল’-এর উপস্থাপনা দিয়ে প্রায় ২৫ মিনিট পর শেষ হয়। এরপর শিগগিরই শপথ নেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্যাথেড্রাল ছেড়েছেন।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এ অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রভাবশালী অন্যান্য যারা উপস্থিত হয়েছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও মার্ক জাকারবার্গ। হোয়াইট হাউস পুল জানিয়েছে, অ্যামাজনের জেফ বেজোস ও লরেন সানচেজ, বরিস জনসন, সবাই একই সারিতে বসেছেন। ট্রাম্প, মেলানিয়া ও তাদের ছেলে ব্যারন সামনের সারিতে আসন গ্রহণ করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
সনাতন হিন্দু ধর্মালম্বীদের শারদীয় দুর্গাপূজা, লক্ষ্মীপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটিসহ টানা সাতদিন বন্ধ থাকবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর। এ সময় বন্দরে আমদানি-রফতানিসহ সবধরনের বাণিজ্য কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে বন্দরের ইমিগ্রেশন চেকপোষ্ট দিয়ে দুই দেশের পাসপোর্টধারী যাত্রীদের পারাপার থাকবে স্বাভাবিক।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আখাউড়া স্থলবন্দরের মাছ রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক মিয়া।
তিনি জানান, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পরে চিঠির মাধ্যমে ছুটির বিষয়টি বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের তারা জানিয়েছেন।
তিনি আরো জানান, দুর্গাপূজা উপলক্ষে আগামী ১০ অক্টোবর থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত বন্দরে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। এরপর লক্ষ্মীপূজা উপলক্ষে ১৬ ও ১৭ অক্টোবর আরো দুদিন বন্দরে বাণিজ্য কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। পরের দিন ১৮ অক্টোবর শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি। ফলে ১৯ অক্টোবর শনিবার থেকে বন্দরে পুনরায় বাণিজ্য কার্যক্রম শুরু হবে।
আখাউড়া চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন ইনচার্জ মো. খায়রুল আলম বলেন, শারদীয় দুর্গাপূজা ও লক্ষ্মীপূজা উপলক্ষে বন্দরে বাণিজ্য কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও পাসপোর্টধারী বৈধ যাত্রীদের পারাপার থাকবে স্বাভাবিক।
অনলাইন ডেস্ক :
মানবদেহে ইমিউন কোষের সন্ধান পেয়েছেন গবেষকরা-যেটি অ্যালার্জি এবং অন্যান্য রোগপ্রতিরোধের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে পরিচিত। সঙ্গে এই কোষটি ক্যানসার নির্মূল এবং সার্স-কোভ-২ এর মতো ভাইরাসের সঙ্গেও লড়াই করতে সক্ষম। সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের কারণেই মানুষের শরীরে করোনার সংক্রমণ ঘটে।
হিউম্যান টাইপ-২ ইনন্যাট লাইমফোইড সেলস (আইএলসি২এস) নামের এ ইমিউন কোষটি মানবদেহের বাইরেও প্রসারিত করা যায় এবং এটি টিউমারের টিকে থাকার সক্ষমতাকে পরাজিত এবং ক্যানসার কোষকে নির্মূল করতে পারে। ইঁদুরের ওপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এই তথ্য পেয়েছেন মার্কিন গবেষকরা।
বিজ্ঞান বিষয়ক সাময়িকী ‘সেলে’ এই গবেষণার তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার সিটি অব হোপের— হেমাটোলোজি অ্যান্ড হেমাটোপোয়েটিক সেল ট্রান্সপ্ল্যানটেশন বিভাগের প্রফেসর জিয়ানহুয়া ইউ এ ব্যাপারে বলেছেন, ‘কোষ পরিবারে আমরা আইএলসি২ কোষকে নতুন সদস্য হিসেবে চিহ্নিত করেছি যেটি যে কোনো ধরনের ক্যানসারকে সরাসরি নির্মূলে সক্ষম। যার মধ্যে রক্তের ক্যানসার এবং সোলিড টিউমারও রয়েছে।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘ভবিষ্যতে এই কোষ উৎপাদন, ফ্রিজিংয়ের মাধ্যমে সংরক্ষণ করা এবং রোগীদের দেহে প্রয়োগ করা যাবে। টি-কোষ ভুক্ত থেরাপি যেমন সিএআর টি কোষ, যেটির বিশেষ বৈশিষ্ট্যের কারণে রোগীর নিজস্ব কোষের প্রয়োজন হয়— আইএলসি২এস কোষের ক্ষেত্রে এমনটি প্রয়োজন হবে না। এই কোষ শারীরিকভাবে সুস্থ কোনো দাতার কাছ থেকে সংগ্রহ করা যাবে। যেটি অ্যালোজোনিক হিসেবে আলাদা বিশেষ চিকিৎসাগত পদ্ধতি হবে। যা খুব সহজেই পাওয়া যাবে।’
এর আগে ইঁদুরের আইএলসি২এস কোষ নিয়ে পরীক্ষা চালানো হয়েছিল। তবে ইঁদুরের কোষের পরীক্ষায় ক্যানসার নির্মূলের ক্ষেত্রে ওই সময় আশাব্যাঞ্জক কোনো ফলাফল পাওয়া যায়নি।
কিন্তু নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, মানবদেহের আইএলসি২এস কোষ সরাসরি ক্যানসার নির্মূলে কাজ করে। কিন্তু ইঁদুরের কোষ সেটি করতে পারে না।
মানবদেহের আইএলসি২এস কোষ পরীক্ষার জন্য প্রফেসর ইউ এবং তার দল প্রথমে একটি রক্তের নমুনা থেকে এই কোষকে আলাদা করেছেন। তারা অভিনব একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছেন। যেটি মানবদেহ থেকে সংগ্রহ করা আইএলসি২এস কোষকে ২০০ গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করতে পারে।
এরপর তারা বাহ্যিকভাবে প্রসারিত করা এই কোষ সোলিড টিউমারে আক্রান্ত ইঁদুরের দেহে প্রবেশ করিয়েছেন। যারমধ্যে রয়েছে অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসার, ফুসফুসের ক্যানসার ও গ্লিওব্লাস্টোমা। এরপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা গেছে, এই প্রসারিত কোষ এসব টিউমারকে নির্মূল করতে পারে।
প্রফেসর ইউ বলেছেন, ‘একটি সন্তোষজনক সরাসরি প্রমাণ আমরা পেয়েছি যখন আমরা একটি আইএলসি২ কোষ এবং একটি টিউমার কোষ একসঙ্গে স্থাপন করেছি এবং দেখতে পেয়েছি টিউমার কোষটি নির্মূল হয়ে গেছে, কিন্তু আএলসি২ কোষটি অক্ষত রয়েছে।’
‘এটি প্রমাণ করে অন্যান্য কোষের অনুপস্থিতিতে আইএলসি২এস কোষ সরাসরি ক্যানসার কোষটিকে নির্মূল করেছে।’ যোগ করেন প্রফেসর ইউ।
ক্যালিফোর্নিয়ার হেমাটোলোজি অ্যান্ড হেমাটোপোয়েটিক সেল ট্রান্সপ্ল্যানটেশন বিভাগের অপর গবেষক প্রফেসর মাইকেল ক্যালিজিউরি বলেছেন, ‘আইএলসি২এস কোষটি মানবদেহে খুবই বিরল। এটি বেশিরভাগ পাওয়া যায় ফুসফুস, নাড়িভুঁড়ি এবং ত্বকে।’
তবে প্রফেসর ইউ জানিয়েছেন, আইএলসি২এস কোষটি ক্যানসার আক্রান্ত রোগীর নিজস্ব কোষ থেকে নিতে হবে না। অর্থাৎ ক্যানসার রোগীকে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য এই কোষ অন্য সুস্থ ব্যক্তির কাছ থেকে সংগ্রহ এবং সংরক্ষণ করে রাখা যাবে।
ক্যালিফোর্নিয়ার এ গবেষক বলেছেন, ‘আমরা এই গবেষণাটির ফলাফল প্রয়োগের স্বপ্ন দেখি। এমনকি ক্যানসারের বাইরে অন্য রোগের ক্ষেত্রেও এটি প্রয়োগ করা যেতে পারে। আইএলসি২এস কোষ ভাইরাসের বিরুদ্ধেও— যেমন কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে কাজ করতে পারে।’ সূত্র: আইএএনএস
অনলাইন ডেস্ক :
ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত চলছে। গত সপ্তাহে ইসরায়েলি বাহিনী ও হামাসের মধ্যে শুরু হয় এই রক্তক্ষয়ী লড়াই। ইসরায়েলে রকেট হামলার বিপরীতে গাজায় অব্যাহত বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে নেতানিয়াহু প্রশাসন। এরই মধ্যে শুরু করেছে স্থল অভিযানও। এতে গাজায় নিহতের সংখ্যা পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। আজ ১৪ অক্টোবর শনিবার প্রেসটিভির এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, দখলদারদের হামলায় এখন পর্যন্ত এক হাজার নয়শ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অবরুদ্ধ অঞ্চলে ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে সাত দিনে ৬১৪ শিশু, ৩৭০ জন নারীসহ কমপক্ষে ১৯০০ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে প্রায় আট হাজার ফিলিস্তিনি।
এর আগে উত্তর গাজায় বসবাসকারী ১০ লাখের বেশি ফিলিস্তিনিকে সরে যাওয়ার জন্য ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেয় ইসরায়েল। তাদের দক্ষিণ গাজায় চলে যেতে বলা হয়। এরপর স্থলপথে অভিযান শুরু করে ইসরায়েল।
জাতিসংঘ জানিয়েছিল, এত কম সময়ে লাখ লাখ মানুষের সরে যাওয়াটা অসম্ভব। এতে বিপর্যকর পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
উত্তর গাজা থেকে যারা পালিয়ে যাচ্ছে তাদের ওপরও হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। এতে ৭০ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে লেবাননে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হামলায় ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক ফটো সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। এছাড়া আল-জাজিরা, রয়টার্স, এপিসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের বেশ কয়েকজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন।
বার্তা সংস্থা রায়টার্স নিশ্চিত করেছে ১৩ অক্টোবর শুক্রবার ওই হামলায় তাদের ফটো সাংবাদিক ইসাম আবদুল্লাহ মারা গেছেন।
অণলাইন ডেস্ক :
এক দশক পর ভারতের লোকসভায় ফিরেছে বিরোধী দলনেতার পদ। বাজেট অধিবেশনে আজ ২৯ জুলাই সোমবার লোকসভায় কেন্দ্রীয় সরকারকে এক হাত নিলেন দেশটির বিরোধী দলীয় নেতা রাহুল গান্ধী। পৌনে এক ঘণ্টা বক্তব্যে বিজেপি-শাসিত সরকারকে তুলোধুনো করেছেন রাহুল।
রাহুল বলেন, ‘হাজার হাজার বছর আগে কুরুক্ষেত্রে ছয় জন মিলে অভিমন্যুকে চক্রব্যূহে ফাঁসিয়ে হত্যা করেছিলেন। আমিও একটু পড়াশোনা করে দেখেছি, চক্রব্যূহকে পদ্মব্যূহও বলা হয়। পদ্মের মতো সামরিক গঠনের জন্য।”
এর পরই কেন্দ্রকে বিঁধে লোকসভার বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘একবিংশ শতাব্দীতে এক নতুন চক্রব্যূহ তৈরি হয়েছে। তাও আবার পদ্ম ফুলের আকারে। যার প্রতীক প্রধানমন্ত্রী বুকে পরে থাকেন। অভিমন্যুর সঙ্গে যা করা হয়েছিল, যেভাবে তাকে ফাঁসানো হয়েছিল চক্রব্যূহে, সেটাই দেশের সঙ্গে, দেশের যুব সমাজ, কৃষক, নারী এবং ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্পের সঙ্গে করা হচ্ছে।’ রাহুলের যুক্তি, মহাভারতের চক্রব্যূহের রাশ ছিল ছয় জনের হাতে- দ্রোণাচার্য, কর্ণ, কৃপাচার্য, কৃতবর্মা, অশ্বত্থামা ও শকুনি। বর্তমান সময়ের যে চক্রব্যূহের কথা রাহুল বলছেন, সেখানেও ছয় জনের হাতে রাশ রয়েছে বলে দাবি বিরোধী দলনেতার। রাহুলের মতে সেই ছয় জন হলেন- নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ, মোহন ভাগবত, অজিত ডোভাল, আম্বানি ও আদানি।
লোকসভায় রাহুল এ কথা বলার সঙ্গে সঙ্গেই আপত্তি জানান স্পিকার ওম বিড়লা। বিজেপি শিবির থেকেও হট্টগোল শুরু হয়ে যায়। স্পিকার রাহুলকে জানান, যারা লোকসভার সদস্য নন, তাদের নাম ব্যবহার করা যাবে না। সাংবিধানিক পদে থেকে রাহুল যাতে সংসদীয় রীতি-রেওয়াজ মেনে চলেন, সেই বার্তা দেন স্পিকার। এর পর অবশ্য আম্বানী, আদানি ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের নাম প্রত্যাহার করে নেন। তবে বাকি তিনটি নামের ক্ষেত্রে নিজের বক্তব্যে অবিচল থাকেন রাহুল।
লোকসভার বিরোধী দলনেতার মতে, বর্তমান কালের এই চক্রব্যূহের নেপথ্য তিনটি শক্তি কাজ করছে। রাহুলের কথায় প্রথম শক্তি হল, ‘পুঁজির উপর একচেটিয়া অধিকারের ভাবনা, যেখানে গোটা দেশের সম্পত্তির উপর দু’জনের অধিকার থাকে।’ সরাসরি কারও নাম না করলেও রাহুলের খোঁচা যে দুই শিল্পগোষ্ঠীর দিকেই ছিল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এছাড়া রাহুলের যুক্তিতে, দ্বিতীয় শক্তি হল সিবিআই, ইডি, আয়কর দফতরের মতো বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থা এবং তৃতীয় শক্তি হল রাজনৈতিক নেতারা। এই তিন শক্তিই চক্রব্যূহের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে বলে আক্রমণ শানান লোকসভার বিরোধী দলনেতা।
এই ‘চক্রব্যূহের’ কারণে দেশবাসীর কী সমস্যা হয়েছে, সে কথাও তুলে ধরেন রাহুল। রাহুলের দাবি, যাঁরা ছোট ছোট ব্যবসা করেন, তাদের উপর এই চক্রব্যূহের প্রথম কোপ পড়েছে। নোট বাতিল থেকে শুরু করে পণ্য ও পরিষেবা কর এবং ‘কর-সন্ত্রাস’-এর কথা উঠে আসে রাহুলের সোমবারের বক্তৃতায়। তিনি বলেন, “দেশে যারা ছোট ছোট ব্যবসা করেন, রাতে তাদের কাছে আয়কর দফতর, পণ্য ও পরিষেবা কর দফতর থেকে ফোন যায়। তারা কর-সন্ত্রাসের শিকার হন। এই কর-সন্ত্রাস বন্ধ করার জন্য বাজেটে কোনও উল্লেখ নেই।”
অনলাইন ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনে বাংলাদেশিদের জয়-জয়কার। দেশটির ভার্জিনিয়া স্টেট পার্লামেন্টের সিনেটর হিসেবে বাংলাদেশি আমেরিকান সাদ্দাম সেলিম বিজয়ী হয়েছেন। ৭ নভেম্বর মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে ফিলাডেলফিয়া সিটির কাউন্সিল অ্যাট লার্জ (মেয়রের সমপর্যায়ের ক্ষমতাবান) পদে বিজয়ী হয়েছেন আরেক বাংলাদেশি আমেরিকান ড. নীনা আহমেদ।
এদিকে নিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিলে পুনরায় জয়ী হয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভ’ত শাহানা হানিফ। মিলবোর্ন সিটির নির্বাচনে কাউন্সিলর হিসেবে পুনরায় জয়ী হয়েছেন নুরুল হাসান এবং সালাহউদ্দিন মিয়া। হাডসন সিটি কাউন্সিলেও ৪ বাংলাদেশি আমেরিকান পুনরায় বিপুল বিজয় পেয়েছেন। এরা হলেন, কাউন্সিলম্যান শেরশাহ মিজান, দেওয়ান সারওয়ার এবং রনী ইসলাম ও ওয়ার্ড সুপারভাইজার আব্দুস মিয়া।
অপরদিকে মিশিগান স্টেটের হ্যামট্রমিক সিটির প্রো-টেম মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনরত কামরুল হাসান টানা চতুর্থবারের মতো আবারো বিজয়ী হয়েছেন। এই সিটির নির্বাচনে প্রথমবারের মত কাউন্সিলর পদে বিজয়ী হলেন মোহতাসিন সাদমান। বিজয়ীরা ডেমক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী ছিলেন।
নোয়াখালী জেলা সদরের সন্তান সাদ্দাম সেলিম ৭০% ভোট পেয়ে স্টেট সিনেটর হওয়ায় মার্কিন মুল্লুকে বাংলাদেশি আমেরিকান সিনেটরের সংখ্যা ৪ হলো। একই মর্যাদায় স্টেট রিপ্রেজেনটেটিভ হিসেবে গত চার টার্ম যাবত নির্বাচিত হয়ে আসছেন নিউ হ্যামশায়ার স্টেটের আবুল খান। নির্বাচিত প্রবাসীদের মধ্যে তিনিই একমাত্র রিপাবলিকান।
অপর সিনেটররা হলেন শেখ রহমান, মাসুদুর রহমান এবং নাবিলা ইসলাম। বিশ্বের রাজধানী খ্যাত নিউইয়র্ক সিটির ইতিহাসে প্রথম মুসলিম নারী ও প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকান হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য কাউন্সিলওম্যান হিসেবে নির্বাচিত হলেন শাহানা হানিফ। তিনি ৭৫% ভোট পেয়েছেন। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার উপদেষ্টা এবং ফিলাডেলফিয়া সিটির ডেপুটি মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী ড. নীনা আহমেদ এবার তৃণমূলের ভোটে ফিলাডেলফিয়া সিটির কাউন্সিলওম্যান অ্যাট লার্জ হিসেবে জয়ী হওয়ায় প্রবাসীরা উৎসবে মেতেছেন।
উল্লেখ্য, ড. নীনা এর আগে পেনসিলভেনিয়া স্টেট অডিটর জেনারেল এবং লেফট্যানেন্ট গভর্ণর পদে ডেমক্র্যাটিক পার্টির টিকিটে লড়েছেন। কিন্তু জয়ী হতে পারেননি। সামগ্রিক অবস্থা বিবেচনায় রেখেই সিটি মেয়রের সমমর্যাদার একটি আসনে বিজয়ী হলেন। ড. নীনা হচ্ছেন এই সিটির প্রথম দক্ষিণ এশিয়ান কাউন্সিলম্যান ও প্রথম মুসলিম নারী।