অনলাইন ডেস্ক :
রংপুর জেলা স্টেডিয়ামে সকাল থেকেই মানুষের অপেক্ষা। সময়ের সঙ্গে দুপুর গড়াতে সেই অপেক্ষা রীতিমতো জনসমুদ্রের রূপ নেয়। হাজার হাজার মানুষ বরণ করে নেয় প্রিয় দল রংপুর রাইডার্সকে। আজ ২০ জানুয়ারি সোমবার দুপুরে হেলিকপ্টার যোগে রংপুর স্টেডিয়ামে আসেন দলের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, নাহিদ রানা, অলরাউন্ডার সৌম্য সরকার, শেখ মেহেদী হাসান, স্টিভেন টেইলর, খুশদিল শাহ, সাইফ হাসান। এছাড়াও আসেন হেড কোচ মিকি আর্থার, কোচ মোহাম্মদ আশরাফুল, টিম ডিরেক্টর শানিয়ান তানিমসহ টিম ম্যানেজমেন্ট।
গ্লোবাল সুপার লিগ (জিএসএল) শিরোপা জেতা দলটি শুরুতেই জার্সি উপহার দেয় হাজারো ভক্তদের মাঝে। রংপুরবাসীও সাদরে গ্রহণ করে রংপুর রাইডার্সের ক্রিকেটারদের। মাঠে প্রবেশের পর মঞ্চে আসেন রাইডার্সরা। একে একে দর্শকদের ধন্যবাদ দেন সব ক্রিকেটার ও কোচ।
রংপুরের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান বলেন, ‘আপনাদের ভালোবাসায় আমি মুগ্ধ। দোয়া করবেন যেন বিপিএল ট্রফিটা নিয়ে আসতে পারি। বসুন্ধরা গ্রুপকেও ধন্যবাদ।’
টিম ডিরেক্টর শানিয়ান তানিম জানান, ‘বসুন্ধরা গ্রুপ এদেশের ক্রিকেট বদলে দিচ্ছে। রংপুর রাইডার্স এই মাঠে এসে বিপিএলের অনুশীলন করবে, ম্যাচ খেলবে সুযোগ থাকলে। আমরা ট্রফি নিয়ে আবার রংপুরে আসব।’
হেড কোচ মিকি আর্থার জানান, ‘আসসালামু আলাইকুম। যদিও আমি অনেক বেশি বাংলা জানি না। তবে আপনাদের ভালোবাসায় আমি অবাক।’
এসময় দর্শকদের জন্য রাখা হয় বিপিএল ট্রফিও। মাঠে ছিল বিপিএল ২০২৫ এর মাসকটা ‘ডানা ৩৬’। এছাড়া রংপুর জেলা স্টেডিয়ামে দর্শকদের জন্য রাখা হয় বিশেষ কনসার্ট। চলতি বিপিএলে শুরুর ৮ ম্যাচের সবকটায় জিতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ এক নাম্বারে রয়েছে রংপুর রাইডার্স।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় ৩৭ রকমের সবজি, বাংলা ও ইংরেজিতে নাম লেখা। টেবিলে সাজানো সবজি ঘিরে শিক্ষার্থীদের ভিড়। কেউ খাতায় লিখছে, কেউ কেউ নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছে। উপস্থিত শিক্ষার্থীদেরকে এসব সবজি নিয়ে ধারণা দিচ্ছেন শিক্ষকগণ।
আয়োজনের নাম ‘সবজি দেখে লিখবো খাতায়’। বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে আখাউড়ার রাধানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২১ জানুয়ারি সোমবার এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে শিক্ষার্থীরা সবজি নিয়ে লিখিত পরীক্ষায় বসে। তিনটি কক্ষে প্রায় দেড়শ’ শিক্ষার্থী ৫০ নম্বরের পরীক্ষায় অংশ নেয়। পরে তাদেরকে নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী সবজি পুরস্কার দেওয়া হয়। তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির নয়জন শিক্ষার্থী পুরস্কায় পায়। বেলা ১২টা তেকে ২টা নাগাদ চলে এ আয়োজন।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও পৌর প্রশাসক গাজালা পারভীন রুহি। কালের কণ্ঠের ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি বিশ্বজিৎ পাল বাবুর সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শাহ ইলিয়াস উদ্দীন, উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ লুৎফর রহমান। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইয়ার হোসেন শামীম, ফরহাদুল ইসলাম, আশীষ সাহা প্রমুখ।
প্রধান শিক্ষক মৌসুমী আক্তার বলেন, ‘আয়োজনটি শিক্ষার্থীরা বেশ উপভোগ করেছে। তারা সবজি দেখে তাৎক্ষনিকভাবে বাংলা ও ইংরেজিতে নাম, গুনাগুন লিখে আমাদেরকে অবাল করে দিয়েছে। আয়োজনটির জন্য শুভসংঘের প্রতি কৃতজ্ঞতা।’
প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শাহ ইলিয়াস উদ্দীন বলেন, ‘সবজির প্রতি শিশুদের আগ্রহ কম। এ আয়োজনের মধ্য দিয়ে শিশুরা সবজি সম্পর্কে যেমন ধারণা পাবে তেমনিভাবে খাওয়ার প্রতিও আগ্রহ বাড়বে। আয়োজনকে ঘিরে শিশুদের স্বতস্ফূর্ততা ছিলো চোখে পড়ার মতো।’
ইউএনও পৌর প্রশাসক গাজালা পারভীন রুহি বলেন, ‘বসুন্ধরা শুভসংঘের এ আয়োজন খুবই ব্যতিক্রম। শিশুদের মেধা ও মননশীলতার বিকাশে আয়োজনটি কাজে লাগবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ৭নং তালশহর পূর্ব ইউনিয়ন ডিজিটাল সেবা সেন্টার (ইউডিসি)-এর অপারেটর মোজাম্মেল হক বদরুলকে অপসারণের দাবিতে আজ ২৮ আগস্ট বৃহস্পতিবার মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উদ্যোক্তা মোজাম্মেল হক বদরুল ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের সব ধরনের কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি প্রদানের জন্য এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাইমন আহমেদ, শরীফ, জিয়াউল, জুনায়েদ, বাবু, সাব্বির, ফারুক, ওমর, জুবায়ের, মোবাশ্বের, মো: শফিকুল ইসলাম, তানভীর, বাইজিদ প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জন্ম ও মৃত্যুসনদের জন্য অতিরিক্ত ফি আদায়, একই ব্যক্তির নামে একাধিকবার ভুল জন্ম ও মৃত্যুসনদ প্রদান, সনদ সংশোধনের নামে একাধিকবার অর্থ আদায়, ইউনিয়ন পরিষদে আসা সেবাপ্রত্যাশীদের সাথে খারাপ আচরণ করাসহ বিভিন্ন অভিযোগ। ৭ দিনের সময় বেঁধে দিয়ে বলেন, অনতিবিলম্বে মোজাম্মেল হক বদরুলকে অপসারণ করা না হলে কঠোর কর্মসূচি নেয়া হবে।
ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের এক ব্যক্তির জন্ম নিবন্ধন দেখিয়ে এক ব্যক্তি বলেন, জন্ম নিবন্ধনে বাবার নাম- খলিলুর রহমান, মায়ের নাম- আমেনা খাতুন কিন্তু জন্ম নিবন্ধনে ইংরেজি অংশে বাবার নাম আসে-AMENA এবং মায়ের নাম-KHALIL লিপিবদ্ধ হয়। এক বছর যাবৎ জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের জন্য ঘুরেও এ কোন সুরাহা করতে পারেনি। সরকারি বিভিন্ন কাজ করতে পারেনি।
আরেক জন অভিযোগ করে বলেন, ২০১৫ সালে তার ছেলেন নাম ভুল আসে পরে এটি ২০১৭ সালে সংশোধন করা হয় পরবর্তীতে কিভাবে সার্ভার থেকে অটোমেটিক নাম পরিবর্তন হয়ে যায় যা বোধগম্য নয়।
মানববন্ধনে আসা একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, উদ্যোক্তা মোজাম্মেল ইচ্ছা করেই এই কর্মকান্ড করে থাকে কারণ সংশোধন করতে গেলে অনলাইন করতে হয় তখন তাকে অনলাইনের টাকা দিতে হয়। আবার সরকারি ফি তাও দিতে হয়। পরে এর বাইরেও অতিরিক্ত টাকা দিতে হয়।
মানববন্ধন শেষে ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম এর কাছে তাদের দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন। এ সময় চেয়ারম্যান তাদেরকে ৭ দিনের সময় প্রদান করেন।
ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম বলেন, উদ্যোক্তা মোজাম্মেল এর জন্য তাঁর নাকি বদনাম হয় কারণ সে রাতেও নাকি অফিস করে। রাতে কিসের জন্য অফিস করতে হয়। এছাড়া অফিসও ঠিকভাবে করে না।
অনলাইন ডেস্ক :
গাজীপুরের শ্রীপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবৈধ অটোরিক্সা জব্দ করতে গেলে পুলিশ সদস্যকে ঝুলিয়ে এক কিলোমিটার নিয়ে যান চালক। আজ ১৮ ফেব্রুয়ারি বুধবার বিকেলে শ্রীপুর উপজেলার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের জৈনাবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় চালককে আটকসহ অটোরিক্সাটি জব্দ করা হয়েছে।
আটককৃত অটোরিক্সা চালক জনি আহমেদ (২৪) ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ি গ্রামের মো. আহমেদ আলীর ছেলে। তিনি মাওনা হাইওয়ে থানার পুলিশ কনস্টেবল কমল দাসকে অটোরিক্সায় ঝুলিয়ে এক কিলোমিটার টেনে নিয়ে যান। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
পুলিশ কন্সস্টেবল কমল দাস বলেন, ‘ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে নিয়মিত অবৈধ অটোরিকশার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার অংশ হিসেবে বিকেলে উপজেলার জৈনাবাজার এলাকায় অভিযান চলাকালে একটি অটোরিকশা যাত্রী নিয়ে আসে। থামানোর জন্য অটোরিকশাকে সিগন্যাল দেয়া হয়। রিকশা থামানোর পর চাবি নেয়ার চেষ্টা করলে সঙ্গে সঙ্গে অটোরিক্সা চালাতে শুরু করে। আমি অটোরিকশায় উঠার চেষ্টা করি, কিন্তু চালক রিকশার গতি আরোও বাড়িয়ে দেয়। অটোরিকশা চালককে অনুরোধ করলেও গতি কমায়নি। আমাকে মহাসড়কে ফেলে দেয়ার চেষ্টা করে। আমাকে ঝুলিয়ে কমপক্ষে এক কিলোমিটার নিয়ে যায়।’
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, একজন পুলিশ সদস্য ইউনিফর্ম পড়া অবস্থায় চলন্ত অটোরিক্সার রড ধরে ঝুলে আছে। পেছনে কয়েকজন যাত্রী চালককে অনুরোধ করছেন অটোরিকশা থামানোর জন্য কিন্তু অটোরিকশা চালক থামাচ্ছেন না। অটোরিকশার পাশদিয়ে বিভিন্ন পরিবহন যাচ্ছে। পরবর্তীতে একটি স্থানে পৌঁছালে জ্যামে উপস্থিত স্থানীয় জনতা ও পুলিশ সদস্য মিলে চালককে আটক করেন।
মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আইয়ুব আলী বলেন, ঘটনার পরপরই অতিরিক্ত পুলিশ পাঠিয়ে পাশ্ববর্তী ভালুকা উপজেলার জামিরদিয়া এলাকার ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে অভিযুক্ত চালককে আটক করা হয়। জব্দ করা হয়েছে অটোরিকশাটি। এবিষয়ে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দায়ের করা নাশকতা মামলার আসামি উপজেলার ভলাকুট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রুবেল মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ ২০ এপ্রিল রোববার ভোরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার ভলাকুট গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে রুবেল মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার রুবেল মিয়া (৪০) ভলাকুট গ্রামের বাসিন্দা এবং ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ধনু মিয়ার ছেলে। তিনি বর্তমান ভলাকুট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।
পুলিশ জানিয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় একটি সহিংস ঘটনার পেছনে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন রুবেল মিয়া।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খাইরুল আলম বলেন, রুবেল মিয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় পরিস্থিতি উত্তপ্ত করতে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। তার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য ও নাশকতার অভিযোগে মামলা রয়েছে। তাকে দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কুমিল্লার লাকসামে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ভিক্টোরি অব হিউম্যানিটি অরগানাইজেশনের আয়োজনে ‘তারুণ্যের ভাবনায় আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। আজ ৩০ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় উপজেলা সদরের দৌলতগঞ্জ মাদ্রাসায় মিলনায়তনে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
ভিক্টোরি অব হিউম্যানিটি অরগানাইজেশনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক লুৎফুর রহমান জুয়েলের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা, সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব রাফসান ইসলাম।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ভিক্টোরি অব হিউম্যানিটি অরগানাইজেশনের সভাপতি ফয়সাল ইসলাম বাপ্পীর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিখির বক্তব্য রাখেন- দৌলতগঞ্জ মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ড. মো. আবদুল হান্নান, হেড মুহাদ্দিস মাওলানা ড. আবদুল হালিম, সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব শাহরিয়ার কবির রাতুল, তন্ময় ইসলাম, লাকসাম প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব ফারুক আল শারাহ, সামাজিক ব্যক্তিত্ব আজিজুর হক মজুমদার সুইট। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ভিক্টোরি অব হিউম্যানিটি অরগানাইজেশনের সাধারণ জহিরুল কাইয়ুম অনিক।