অনলাইন ডেস্ক :
ফেনীর শহরের গাজুরগাছ পয়েন্টে চাঁদাবাজির সময় হাতেনাতে তিন পুলিশকে আটক করেছেন ছাত্র সমন্বয়করা। ১৯ জানুয়ারি রবিবার রাত ২টায় এ ঘটনা ঘটে। আটক এসআই শুকুর, কনস্টেবল জাহিদ ও নিরবকে ফেনী থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় রাতেই তিনজনকে ক্লোজ করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, প্রতিদিনের মতো ফেনী শহর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই শুকুর ও কনস্টেবল জাহিদ রাতে ট্রাক থেকে চাঁদা আদায় করছেন দেখে ছাত্র সমন্বয়করা হাতেনাতে আটক করেন। এ সময় ছাত্র সমন্বয়কদের মধ্যে আজিজুর রহমান, সৌরভ হোসেন ও ইমরান হোসেন উপস্থিত ছিলেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তারা পুলিশের সরকারি গাড়ির সিএনজির (গ্যাস) টাকা জোগাড় করতে এ চাঁদাবাজি করছেন বলে স্বীকার করেছেন।
সমন্বয়ক আজিজুর রহমান জানান, বিষয়টি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হলে ফেনী মডেল থানার ওসি মর্ম সিংহ ত্রিপুরা ঘটনাস্থলে এসে তাদের থানায় নিয়ে যান।
পরে তাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে রাতে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে।
ফেনী জেলা পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান চলছে। সত্যতা পাওয়া গেলে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সূত্র : কালেরকণ্ঠ
অনলাইন ডেস্ক :
রাজশাহীর বাঘার কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী চপল আলীকে ১১ জানুয়ারি শনিবার ভোর সাড়ে ৪ টার দিকে বাঘা থানার আলাইপুর নামক এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে১৬১ বোতল ফেন্সিডিল ও ৫০ গ্রাম হেরোইনসহ নিজ বসতবাড়ী হতে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৫।
১১ জানুয়ারি দুপুরে র্যাব-৫ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৫, সিপিএসসি এর একটি আভিযানিক দল জানতে পারে যে, রাজশাহী জেলার বাঘা থানাধীন আলাইপুর নামক এলাকায় এক মাদক ব্যবসায়ী নিজ বসতবাড়ীতে অবৈধ মাদকদ্রব্য মজুদ রেখে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে।
পরবর্তীতে র্যাবের আভিযানিক দল আসামীর গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে এবং গভীর রাতে একটি চৌকস আভিযানিক দল মাদক ব্যবসায়ীর বাড়ীতে অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করে। পরে তার বসতবাড়ি তল্লাশী করে নিজ শয়ন কক্ষের এটাস বাথরুম এর লো কমোডের ভিতর থেকে অভিনব কায়দায় লুকায়িত ১৬১ বোতল ফেন্সিডিল ও ৫০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করে।
চপল আলী এলাকার কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী। যার বিরুদ্ধে একাধিক মাদক ও হত্যাচেষ্টাসহ সর্বমোট ৮ টি মামলা রয়েছে। সে দীর্ঘদিন যাবত অবৈধ মাদকদ্রব্য ফেন্সিডিল, হেরোইনসহ বিভিন্ন ধরণের মাদক অজ্ঞাত স্থান হতে সংগ্রহ করে রাজশাহী জেলার বিভিন্ন এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবীদের নিকট বিক্রয় করে আসছিল।
তাকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে বাঘা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে র্যাব জানায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ভারত থেকে আসা প্রায় আড়াই কোটি টাকার পশু জব্দ করেছে বিজিবি। জব্দকৃত পশুর মধ্যে রয়েছে রাজস্থানি তোতাপুরি ছাগল, দুম্বা, ট্রাক ও পিকআপ। এঘটনায় ১ জনকে আটক করা হয়েছে।
১০ মে শনিবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে বিজিবি এবং পুলিশ সদস্যের সমন্বয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে একজন জনকে আটক করা হয় এবং ভারতীয় অবৈধ রাজস্থানি তোতাপুরি-৩২টি ছাগল, ১০টি দুম্বা, ১টি মাঝারি ট্রাক এবং ১টি পিকআপ জব্দ করা হয়। জব্দকৃত তোতাপুরি ছাগল, দুম্বা, ট্রাক ও পিকআপের আনুমানিক সিজার মূল্য ২ কোটি ৪৭ হাজার টাকা।
আটককৃত মো. ইয়াকুব আলী (২৯) যশোরের পোটখালী উপজেলার শারশা এলাকার মো. আহাদ আলীর ছেলে।
পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ লক্ষ্যে আটককৃত আসামিসহ ভারতীয় তোতাপুরি ছাগল, দুম্বা, ট্রাক এবং পিকআপসহ সরাইল থানায় জমা দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সীমান্ত দিয়ে যাতে ভারত হতে ছাগল ও দুম্বাসহ অন্যান্য যে কোন ধরনের চোরাচালানি মালামাল বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে সে ব্যাপারে সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি) বদ্ধ পরিকর এবং সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি) এর অভিযান চলমান থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
প্রেমিক যুগল বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। তাদেরকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল শুক্রবার রাত ১০টার দিকে মাধবপুরের নতুন বেদে পল্লিতে।
প্রেমিকা পূর্ণিমা নতুন বেদে পল্লির বলু মিয়ার মেয়ে ও প্রেমিক বাদল একই পল্লির মৃত জামাল মিয়ার ছেলে। সম্পর্কে তারা চাচাতো ভাই-বোন।
হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাতে প্রেম সংক্রান্ত কলহের জেরে পূর্ণিমা ও বাদল তাদের নিজ নিজ বসতঘরে ইঁদুর মারার বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে তাদের পরিবারের লোকজন পূর্ণিমা ও বাদলকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিয়ে এলে, হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. নাজমুল হক তাদেরকে মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোজাফ্ফর হোসেন জানান, মাধবপুরের নতুন বেদে পল্লির প্রেমিক যুগল বিষপান করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভর্তি হয়েছে। হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তারা একসাথে বিষপান করলেও কী কারণে বিষপান করেছেন তা অস্পষ্ট।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার বড়াইল হোসাইনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সদ্য অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও ইতি:পূর্বে অবসর গ্রহণকারী তিনজন সিনিয়র শিক্ষকদের বিদায় সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। এ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করে স্কুলের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা।
আজ ৯ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে স্কুলের প্রাঙ্গনে সংবর্ধনা দেয়া হয় বিদায়ী প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলমগীর, সিনিয়র শিক্ষক হেফজুল করিম, সিনিয়র শিক্ষক আলহাজ্ব সিদ্দিকুর রহমান, সিনিয়র শিক্ষক এস. এম আবুল কালাম, সিনিয়র শিক্ষক মো. ইউসুফ আলী (মৌলভী)।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অসুস্থতাজনিত কারণে সিনিয়র শিক্ষক আলহাজ্ব সিদ্দিকুর রহমান এবং সিনিয়র শিক্ষক মো. ইউসুফ আলী (মৌলভী) উপস্থিত থাকতে পারেননি। তবে উপস্থিত শিক্ষকরা সংবর্ধনা সভায় যোগ দিয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বিদায়ী শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে মানপত্র পাঠ করা হয় এবং উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সায়েদুল হক সাঈদ এর সভাপতিত্বে এবং ডা. আলী আযম ও মুসলেহ উদ্দিন দুলালের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন কসবা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সায়েদুজ্জামান, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ডা. মো রুহুল আমীন, আশুগঞ্জ ফিরোজ মিয়া ডিগ্রী কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মজিবুর রহমান জিন্নাহ, চিনাইর বঙ্গবন্ধু কলেজের সহকারী অধ্যাপক আশরাফুল ইসলাম, বড়াইল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবুল বাশার, নাজির ভূঁইয়া হাই স্কুলের শিক্ষক নান্নু মাস্টার, পিটিআই এর অবসরপ্রাপ্ত ইন্সপেক্টর আবদুল আওয়াল কামাল, চিলোকুট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোজাম্মেল হক, বড়াইল হোসাইনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান লিটন, নবীনগর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মঈন উদ্দিন প্রমুখ।
অনলাইন ডেস্ক :
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক বরাব এলাকায় ২৩ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৮টার দিকে ট্রেনে কাটা পড়ে একসাথে দুই বন্ধু নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন, উপজেলার বলিয়াদি এলাকার আলহাজ সালাউদ্দিন সিদ্দিকীর ছেলে মাহমুদুল হাসান সিদ্দিকী চঞ্চল (৩৮) ও কোনাবাড়ী এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে হামিদুর রহমান রিপন (৩৯)। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করেছে জয়দেবপুর রেলওয়ে পুলিশ।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, রাত সাড়ে ৮টার দিকে চঞ্চল চৌধুরী ও রিপন হোসেন দুই বন্ধু কোনাবাড়ী থেকে বরাব এলাকার উদ্দেশে রওনা দেয়। বরাব গ্রামে বিএনপির একটি উঠান বৈঠক রয়েছে। তারা দুই বন্ধু উঠান বৈঠক সফল করার লক্ষ্যে বরাবর রওনা দেয়। পথিমধ্যে উত্তরবঙ্গের রেললাইনের বরাব খোলাপাড়ায় রেললাইন পারাপারের সময় দ্রুতগামী একটি ট্রেন দুই বন্ধু ওপর দিয়ে চলে যায়। এতে তাদের দেহ ছিন্ন-ভিন্ন হয়ে রেল লাইনের ওপর পড়ে থাকে।
জয়দেবপুর রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ নাদির উজ জামান বলেন, নিহতদের স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তাদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়।