অনলাইন ডেস্ক :
‘কট্টর’ জো বাইডেনের আমলের ৭৮টি নির্বাহী আদেশ বাতিল করেছেন নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওয়াশিংটনের ক্যাপিটল ওয়ান অ্যারেনার মঞ্চে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথম ভাষণে বাইডেন আমলের সব নির্বাহী আদেশ বাতিল করার ঘোষণা দেন। এর কিছুক্ষণ পরই যেসব নির্বাহী আদেশে সই করেন তার শুরুতেই জো বাইডেন আমলের ৭৮টি নির্বাহী আদেশ বাতিল করেন। স্থগিতাদেশে সই করার পর ট্রাম্প জনতার উদ্দেশ্যে সেটি তুলে ধরে দেখান। এছাড়া প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার আদেশেও সই করেন ট্রাম্প।
এর আগে ক্ষমতা ছাড়ার আগে শেষ মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ফৌজদারি মামলার হুমকিতে রয়েছেন এমন বেশ কয়েকজনকে ক্ষমা করে দেন। নিজের প্রথম ভাষণে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ওই আদেশও বাতিল হবে।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত একটি আদেশেও সই করেছেন ট্রাম্প।
এর আগে ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটল ভবনে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাকে শপথ পাঠ করান যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস। এ সময় বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, তার স্ত্রী জিল বাইডেনসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
সবার উপস্থিতিতে ধর্মীয় গ্রন্থ বাইবেলের ওপর হাত রেখে শপথ পাঠ করেন ৭৮ বছর বয়সী ট্রাম্প। তিনিই হলেন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বয়সে ক্ষমতায় বসা প্রেসিডেন্ট।
এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর আগে ২০১৭ সালে ক্যাপিটল ভবনের পাশে ন্যাশনাল মলে বিপুল আয়োজনে শপথ নিয়েছিলেন তিনি। তবে এবার বাদ সাধে তীব্র ঠান্ডা আবহাওয়া। সে কারণেই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় ক্যাপিটল ভবনের ভেতরে। ৪০ বছর আগে ১৯৮৫ সালে একই কারণে ক্যাপিটল ভবনের ভেতরে শপথ নিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান।
চলারপথে রিপোর্ট :
হিন্দু ধর্মালম্বীদের ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া সীমান্তে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স বা ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে (বিএসএফ) মিষ্টি উপহার দিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
১৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আখাউড়া-আগরতলা চেকপোস্টের (নোম্যান্সল্যান্ড) শূন্য রেখায় সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হয় দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর চেকপোস্ট ক্যাম্প কমান্ডারদ্বয়।
এ সময় ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা আইসিপি বিএসএফ ক্যাম্প কমান্ডার মো. জাবেদ সশীলের হাতে মিষ্টির প্যাকেট তুলে দেন আখাউড়া চেকপোস্ট ৬০ ব্যাটালিয়নের বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার মো. শাহ আলম। এ ছাড়া দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কমান্ডাররা কুশল বিনিময় করেন। এ সময় উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা উপস্থিত ছিলেন।
বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার মো. শাহ আলম বলেন, সৌহাদ্য, সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ববোধ বজায় রাখতে প্রতিবছর শারদীয় দুর্গোৎসবে একে অপরকে মিষ্টি বিতরণ করে আসছে বিজিবি ও বিএসএফ। এতে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও ভ্রাতৃত্ববোধ আরো সুদৃঢ় হবে।
স্টাফ রিপোর্টার:
কঠোর নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও থার্টি ফার্স্ট নাইটে রাজধানীর আকাশ ছেয়ে যায় নানা রঙের ফানুসে। আর এসব ফানুসের কারণে রাজধানীতে চারটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স। ফায়ার সার্ভিস জানায়, এসব আগুনে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি না হলেও স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে এ চারটি আগুনের মধ্যে শুধু এক জায়গায়ই ফায়ার সার্ভিসকে কাজ করতে হয়েছে। বাকি তিন জায়গায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি যাওয়ার আগেই আগুন নিভে যায়। সোমবার (১ জানুয়ারি) সকালে এসব তথ্য জানান ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রোজিনা আক্তার।
তিনি বলেন, রাত ১২টার পর আমরা রাজধানীর চার জায়গায় ফানুসের কারণে আগুন লেগেছে বলে জানতে পেরেছি। সেই স্থানগুলো হলো- সদরঘাট হকার্স মার্কেটের টিনের ছাদ, লালবাগ মৌলভীবাজার মসজিদের সামনে বিদ্যুতের তার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলের ছাদ ও মানিকদি বাজারের একটি বাসার ছাদ। এর মধ্যে মানিকদি বাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে আমাদের দুটি ইউনিট ১০-১৫ মিনিট কাজ করেছিল। বাকি তিন জায়গার আমাদের গাড়ি পৌঁছানোর আগেই আগুন নিভে যায়। রোজিনা আক্তার বলেন, এই চার জায়গায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটলেও তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে আগুনের কারণে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল।
এর আগে ডিএমপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, থার্টি ফার্স্ট নাইটে যাতে ফানুস ওড়ানো না হয় এবং আতশবাজি না ফোটানো হয়ে সে বিষয়ে প্রতিটি থানায় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, থার্টি ফার্স্টে উন্মুক্ত স্থানে কোনো আয়োজন করা যাবে না। কোথাও কোনো ডিজে পার্টি হবে না। কোথাও আতশবাজি-পটকা ফুটানো যাবে না, ফানুস ওড়ানো যাবে না। আপনারা জানেন, ঢাকা অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। তাই স্ট্রিক্টলি অনুরোধ করছি যাতে কেউ ফানুস না ওড়ায়। ফানুস ওড়ালে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সলিড কোকেনের চালান জব্দ করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)। আফ্রিকান দেশে মালাউইর এক নারী ৮ কেজি ৩০০ গ্রামের এই কোকেনের চালানটি বাংলাদেশে নিয়ে আসনে। বুধবার রাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মালাউইর নাগরিক নোমথেনডাজো তাওয়েরা সোকোকে (৩৫) কোকেনের এই চালানসহ গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার করা কোকেনের মূল্য ১০০ কোটি টাকা।
ডিএনসি জানায়, কোকেনের এই চালানটি আফ্রিকার দেশ মালাউই অথবা ইথোপিয়া থেকে বাংলাদেশে এসেছে। বাংলাদেশকে ট্রানজিট রুট হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিল চালানটি পাচার করার জন্য। কারণ এই পরিমাণ কোকেন চাহিদা বাংলাদেশে নেই।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ডিএনসির উত্তর কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশন) তানভীর মমতাজ।
তিনি বলেন, কোকেন চোরাচালানের আন্তর্জাতিক সিন্ডিকেটের দেশি ও বিদেশি সক্রিয় কয়েকজন সদস্য বাংলাদেশকে ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করার উদ্দেশ্যে কোকেনের একটি বৃহৎ চালান আফ্রিকা থেকে কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে আফ্রিকান একজন নাগরিকের মাধ্যমে ঢাকায় আসবে এমন তথ্য পাই আমরা।
‘এর পর থেকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নজরদারি বাড়ানো হয়। এপিবিএনকে সঙ্গে নিয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি টিম গঠন করে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ৮ নম্বর টার্মিনালের বোর্ডিং ব্রিজ এলাকায় অবস্থান নেওয়া হয়। ফ্লাইটি থেকে নামা সব বিদেশি যাত্রীকে আমরা ফলো করি।’
তানভীর মমতাজ বলেন, এ সময় দেখা যায়, নোমথেনডাজো তাওয়েরা সোকো (৩৫) নামে এক বিদেশি নারী বিমানবন্দরের নিচতলায় ভিসা অন এ্যারাইভাল ডেক্সে দীর্ঘক্ষণ ধরে অবস্থান করছেন। তার গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে সন্দেহজনক হওয়ায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকার করেন লাগেজে কোকেন আছে। পরবর্তী সময়ে লাগেজের ভেতরে বিশেষভাবে রাখা ৮ কেজি ৩০০ গ্রাম কোকেন জব্দ করা হয়।
তিনি বলেন, নোমথেনডাজো তাওয়েরা সোকো আফ্রিকান দেশ মালাউইর নাগরিক। তিনি প্রথমে মালাউই থেকে ইথোপিয়া যান। পরে তিনি ইথোপিয়া থেকে যান দোহাতে। পরে তিনি দোহা থেকে কাতারের এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে বাংলাদেশে আসেন। আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি তার বাংলাদেশ থেকে আবারও মালাইউতে যাওয়ার কথা ছিল। কোকেনের এই চালানটি বাংলাদেশকে ট্রানজিট রুট হিসেবে ব্যবহার করার কথা ছিল। পরে বাংলাদেশ থেকে কোকেনের চালানটি অন্য কোনো দেশে চলে যেত। আমাদের ধারণা তাওয়েরা সোকো কোকেনের এই চালানটি মালাইউ থেকে নয়তো ইথোপিয়া থেকে সংগ্রহ করেছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিচালক বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে সোকো জানান, ২০২৩ সালে তিনি বাংলাদেশে একবার এসেছিলেন। গার্মেন্টস ব্যবসার কথা বলে তিনি ওই বছর বাংলাদেশে আসেন। এবারও তিনি বাংলাদেশের একটি গার্মেন্টসের আমন্ত্রণপত্র নিয়ে আসেন। অন এ্যারাইভাল ভিসা নেওয়ার জন্য তিনি তার পরিচয় লুকিয়ে গার্মেন্টস ব্যবসার নাম করে বাংলাদেশে ঢুকার চেষ্টা করছিলেন। সোকো মালাইউতে পেশায় একজন নার্স। তিনি মূলত কোকেনের এই চালানের বহনকারী। বাংলাদেশে তিনি আরেক জন বিদেশি নাগরিকের কাছে এই চালান পৌঁছে দিয়ে নিজ দেশে চলে যাওয়ার কথা ছিল।
বাংলাদেশে সোকো কার কাছে কোকেন হস্তান্তর করতেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা এ বিষয়ে তদন্ত করছি। তবে বাংলাদেশ অবস্থারত কয়েকজন বিদেশি নাগরিকের কাছে এই কোকেন যাওয়ার কথা ছিল। আমরা একজন বিদেশিকে সন্দেহ করছি। তদন্তের স্বার্থে এ বিষয়ে বেশি কিছু বলতে চাচ্ছি না। আমরা আশা করি চক্রটিকে ধরতে পারব।
২০২৩ সালে সোকো বাংলাদেশে কোকেনের চালান নিয়ে এসেছিলেন কিনা জানতে চাইলে তানভীর মমতাজ বলেন, তখনো তিনি গার্মেন্টস ব্যবসার নাম করে এসেছিলেন। তিনি আসলে কিসের জন্য এসেছিল সেই বিষয়ে আমরা তদন্ত করে যাচ্ছি।
কোকেনের এই আন্তর্জাতিক চক্রের সঙ্গে বাংলাদেশের কেউ জড়িত আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোকেনের চালানের সঙ্গে দেশি ও বিদেশি চক্র জড়িত আছে। এই চক্রটিকে চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি।
কোকেনের চালানটি বাংলাদেশে কোনো দেশে যাওয়ার কথা ছিল, এমন প্রশ্নে মাদকের এই কর্মকর্তা বলেন, এগুলো আমরা আমাদের তদন্ত শেষে বলতে পারব। তবে এটা বলতে চাই- কোকেনের চালানটি বাংলাদেশের জন্য ছিল না। কারণ বাংলাদেশে এই পরিমাণ কোকেন কনজিউম করার মার্কেট নেই।
এই কোকেনের আনুমানিক বাজার দর ১০০ কোটির ওপরে। দেশের ইতিহাসে সলিড কোকেনের এইটিই বড় চালান বলে জানান ডিএনসির এই কর্মকর্তা।
স্টাফ রিপোর্টার:
এমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেমের (ইপিএস) আওতায় আরও ২৬৩ জন বাংলাদেশি কর্মী দক্ষিণ কোরিয়া যাচ্ছেন। এসব কর্মীরা মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সিউলের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বে। ঢাকার কোরিয়ান দূতাবাস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। দূতাবাসের এক কর্মকর্তা বলেন, মঙ্গলবার ইপিএস সিস্টেমের মাধ্যমে আরও ২৬৩ জন বাংলাদেশি কর্মী দক্ষিণ কোরিয়া যাবেন।
এদিকে, প্রবাসী কল্যাণ বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এসব কর্মীদের বিমানবন্দরে বিদায় জানাবেন।
ঢাকার কোরিয়া দূতাবাসের তথ্য বলছে, ২০০৮ সাল থেকে এমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেম বা ইপিএস সিস্টেমের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় কর্মী যাচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় কর্মী পাঠানো সংক্রান্ত চুক্তি হলো ইপিএস। এখন পর্যন্ত ২৭ হাজার ৫৬১ জন কর্মী এই পদ্ধতিতে কোরিয়া গেছে। বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (বোয়েসেল) তথ্য বলছে, ২০১০ সালে বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি ২ হাজার ৬৯১ জন ইপিএসের আওতায় কর্মী নিয়েছিল কোরিয়া। ইপিএসের প্রোগ্রামের আওতায় বাংলাদেশসহ ১৬টি দেশ থেকে অদক্ষ বিদেশী কর্মী নিয়োগ দিয়ে থাকে কোরিয়া। করোনা মহামারির কারণে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার ২০২০ সালের মার্চ থেকে ২০২১ সালের নভেম্বর পর্যন্ত বিদেশি ইপিএস কর্মী নেওয়া স্থগিত রেখেছিল। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে ২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে কোরিয়া সরকার আবার বিদেশি কর্মী নেওয়া শুরু করে।
অনলাইন ডেস্ক :
সম্পূর্ণ বিনা খরচে মালয়েশিয়া গেলেন ৩১ বাংলাদেশি কর্মী। আজ২৭ আগস্ট রবিবার রাতে তারা মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের উদ্দেশে যাত্রা করেন।
ওইদিন বিকালে রাজধানীর কাকরাইলে বিএমইটি আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রবাসী কর্মীদের হাতে স্মার্ট কার্ড তুলে দেওয়া হয়। পরে তারা বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওয়ানা দেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) ‘স্বল্পব্যয় ও বিনা খরচে প্রবাসে কর্মী প্রেরণ’ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে ক্যাথারসিস ইন্টারন্যাশনাল।
মালেশিয়ার রেডউড ফার্নিচার এসটিডি কোম্পানির সম্পূর্ণ খরচে ওই শ্রমিকদের নিয়োগ করা হয়েছে। এর আগে চলতি বছরের ১৯ জুন প্রথমবার ২০ কর্মী নিয়োগ করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বত্তৃদ্ধতায় বিএমইটির মহাপরিচালক শহিদুল আলম বলেন, কানাডাসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আমাদের জনশক্তি রপ্তানি হচ্ছে। ওইসব দেশে বাংলাদেশের কর্মীরা কর্মদক্ষতা দিয়ে প্রশংসা অর্জন করছেন। শ্রমিক ভাইদের মালয়েশিয়ায় গিয়ে প্রতিষ্ঠানের জন্য আরো বেশি করে শ্রম দিতে হবে। তাহলে তারা নিজ খরচে বাংলাদেশি কর্মী নিতে আগ্রহী হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে কেথারসিস গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. রুহুল আমিনসহ বিএমইটির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।