অনলাইন ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প শপথগ্রহণ করেছেন। এদিন আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতাগ্রহণের পর বেশ কিছু নির্বাহী আদেশও জারি করছেন তিনি। পাশাপাশি প্রথমবারের মতো কোনো সামাজিক অনুষ্ঠানেও ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্প অংশ নিয়েছেন। তাদের সাথে রয়েছেন ভাইস-প্রেসিডেন্ট দম্পতিও। এই অনুষ্ঠান প্রেসিডেনশাল ইন্যাগিউরাল বল নামেও পরিচিত। মূলত মার্কিন প্রেসিডেন্টের নতুন মেয়াদের শুরু উদযাপন করতেই এই আয়োজন করা হয়।
এদিকে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারির ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গায় যুক্ত থাকার অভিযোগে আটক হওয়া প্রায় এক হাজার পাঁচশ জনকে ক্ষমা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্প যখন ক্যাপিটল ওয়ান অ্যারেনায় ভাষণ দিয়েছিলেন, তখন তিনি ঘোষণা করেন যে ওভাল হাউজে পৌঁছেই তিনি ৬ জানুয়ারির ঘটনার জন্য অভিযুক্তদের ক্ষমা করবেন।
ক্যাপিটল হিল আক্রমণের জন্য কারাবন্দিদের ডোনাল্ড ট্রাম্প রাজনৈতিক বন্দি হিসেবে চিহ্নিত করেছেন এবং তিনি তাদেরকে ক্ষমা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সূত্র : বিবিসি
অনলাইন ডেস্ক :
ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে বলেছেন, যুদ্ধবিরতি এখন কার্যকর, দয়া করে লঙ্ঘন করবেন না।
এদিকে, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী বা আইডিএফ জানায় যে- ইরান থেকে কয়েক দফায় ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। দেশটিতে চার জন নিহত হওয়ার খবরও জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, কয়েক ঘণ্টা আগে থেকেই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির কথা জানান। কিন্তু ইসরায়েল এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব গ্রহণ করেনি।
এর আগে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানায় যে, যুদ্ধবিরতির জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ‘মিনতি’ করেছিলেন।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন নিউজ চ্যানেল আইআরআইএনএন জানায়, কাতারে মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের ‘সফল’ হামলার পর এই যুদ্ধবিরতি ইসরায়েলের ওপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেল এক বিবৃতিতে জানায়, ইরানের হামলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির জন্য ‘মিনতি’ করেছিলেন এবং এই বিবৃতিটি উপস্থাপক পড়ে শোনান।
বিবৃতিতে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বা আইআরজিসি সেনাবাহিনীর প্রশংসা করা হয় এবং ইরানিদের প্রতিরোধকে সম্মানও জানান হয়েছে।
এদিকে, যুদ্ধবিরতির মধ্যেই আজ মঙ্গলবার ইসরায়েলে কয়েক দফায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে চার জনে দাঁড়িয়েছে।
ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের বিয়েরশেবা শহরে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় এই নিহতের খবর পাওয়া গেছে। ইসরায়েলি সংবাদ মাধ্যমের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসির অ্যারাবিক সার্ভিস।
এদিকে, ইসরায়েলি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস ইরানের হামলার প্রভাব সম্পর্কে সম্প্রতি একটি আপডেট দিয়েছে।
তারা বলছে, এখন পর্যন্ত চারজনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে ও ২২ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা মাঝারি এবং ২০ জন সামান্য আঘাত পেয়েছেন।
এর আগে ইসরায়েলের দক্ষিণে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় তিনজন নিহতের কথা জানিয়েছিল দেশটির ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ সার্ভিস।
তারা জানায়, যে এলাকায় হামলা হয়েছে সেখানে গিয়ে ফায়ার সার্ভিস একাধিক ভবনে ধ্বংসযজ্ঞ দেখতে পায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
দীর্ঘ ৫ মাস বাংলাদেশে বাংলাদেশে আটক থাকার পর দেশে ফিরেছে তিন ভারতীয় নাগরিক।
আজ ২৯ মার্চ বুধবার বেলা ১১টার সময় আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে তাদেরকে ফেরত দেয় জেল পুলিশ ও ইমিগ্রেশন পুলিশ। এর আগে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের দায়ে ওই তিন ভারতীয় নাগরিক আটক হয়।
ভারতীয় নাগরিকরা হলেন ত্রিপুরা রাজ্যের সিপাহীজলা জেলার মধুপুর থানার দেবীপুর এলাকার রামু দেববর্মা, সুনীল দেববর্মা ও স্বপন দেববর্মা।
ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৮ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা সীমন্ত দিয়ে বাংলাদেশ অনুপ্রবেশকালে বিজিবি তাদেরকে আটক করে কসবা থানায় হস্তান্তর করেন। পরবর্তীতে আদালতে প্রেরন করলে অনুপ্রবেশের দায়ে ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ৫০০ টাকা আর্থিক জরিমানা করা হয়।
এরপর থেকে দু’দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পর্যায়ে চিঠিপত্র আদান-প্রদানের মাধ্যমে আইনি পক্রিয়া শেষে দীর্ঘ ৫ মাস পর তাদেরকে আজ ভারতে ত্রিপুরায় ফিরত পাঠানো হয়।
প্রত্যাবাসনের সময় চেকপোস্ট শূন্য রেখায় উপস্থিত ছিলেন, আখাউড়া ইমিগ্রেশন ইনচার্জ স্বপন চন্দ্র দাস, এএসআই দেওয়ান মোর্শেদুল হক, ভারতের আগরতলা পশ্চিম থানার এএসআই মিলন দেববর্মাসহ দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
ক্ষময়তায় এসেই আবারও ইরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের নীতিতে ফিরলো মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি এরই মধ্যে এ সংক্রান্ত একটি প্রেসিডেন্সিয়াল মেমোরেন্ডামে স্বাক্ষর করেছেন। এর মাধ্যমে মূলত তার প্রথম মেয়াদের নীতিতে ফিরে গেলেন। ট্রাম্পের সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের এই নীতির মধ্যে রয়েছে, ইরানের তেল রফতানি শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা, যাতে তেহরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত রাখা যায়।
প্রেসিডেন্সিয়াল মেমোরেন্ডামে স্বাক্ষর করার পর এবং সফররত ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সাথে বৈঠকের আগ মুহূর্তে ট্রাম্প সাংবাদিকদের জানান, তিনি ইরানের বিরুদ্ধে এই আদেশে স্বাক্ষর করতে কিছুটা দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট আদেশটির কথা উল্লেখ করে বলেন, সবাই চায় আমি এটি স্বাক্ষর করি। আমি তা করেছি এবং এটি ইরানের জন্য খুবই কঠিন হবে। ট্রাম্প দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সাথে একটি চুক্তি করতে চায়। আমি ইরানকে বলছি, যারা খুব মনোযোগ সহকারে শুনছে, আমি একটি দুর্দান্ত চুক্তি করতে চাই। এমন একটি চুক্তি যেখানে আপনি আপনার জীবন চালিয়ে যেতে পারেন।
ট্রাম্পের মতে, ইরানের একটি জিনিস থাকতে পারে না। তাদের হাতে পারমাণবিক অস্ত্র থাকতে পারে না। তারা যদি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির দিকে এগিয়ে যায়, তাহলে আমি মনে করি এটি তাদের জন্য খুবই দুর্ভাগ্যজনক হবে। তেহরান পারমাণবিক অস্ত্রের কতোটা কাছাকাছি জানতে চাইলে ট্রাম্প বলেন, তারা খুব কাছাকাছি।
নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘে ইরানের মিশন এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।
ট্রাম্প সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিরুদ্ধে ইরানের ওপর তেল রফতানি নিষেধাজ্ঞা কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগ করেছেন। তেল রফতানি নিষেধাজ্ঞা কঠোরভাবে প্রয়োগ না করার বাইডেনের নীতি ওয়াশিংটনকে দুর্বল করেছে এবং তেহরানকে সাহস জুগিয়েছে। যা ইরানকে তেল বিক্রি, নগদ অর্থ সঞ্চয় এবং সশস্ত্র মিলিশিয়ার মাধ্যমে পরমাণু কর্মসূচি ও প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম করেছে।
গত বছরের ডিসেম্বরে জাতিসংঘের পরমাণু বিষয়ক নজরদারি সংস্থা ‘ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সির একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল, ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি শুরু করেছে ইরান। তাদের কাছে ৬০ শতাংশ বিশুদ্ধ ইউরেনিয়াম রয়েছে, যা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির ৯০ শতাংশের কাছাকাছি। তবে, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির লক্ষ্য অস্বীকার করেছে।
ট্রাম্পের স্বাক্ষর করা প্রেসিডেন্সিয়াল মেমোরেন্ডামে অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে- মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারিকে ইরানের ওপর ‘সর্বোচ্চ অর্থনৈতিক চাপ’ আরোপের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে বিদ্যমান নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা ও প্রয়োগ ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এছাড়া মার্কিন অর্থ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ইরানের তেল রফতানি শূন্যের কোঠায় নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মার্কিন জ্বালানি তথ্য প্রশাসনের অনুমান অনুযায়ী, তেল রফতানি থেকে তেহরানের ২০২৩ সালে ৫৩ বিলিয়ন ডলার এবং এর আগের বছর ৫৪ বিলিয়ন ডলার আয় হয়েছে। ওপেকের তথ্য্নুযায়ী, ২০২৪ সালে উৎপাদন ২০১৮ সালের পর সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।
ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে ইরানের তেল রফতানি প্রায় শূন্যের কোঠায় নিয়ে গিয়েছিলেন। বাইডেনের আমলে ইরান নিষেধাজ্ঞা এড়াতে সফল হওয়ায় তেল রফতানি বৃদ্ধি পায়।
ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানি গত ডিসেম্বরে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে জানিয়েছে, প্রয়োজনে তারা ইরানের ওপর সব আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করতে প্রস্তুত। যাতে করে দেশটি পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করতে না পারে। সূত্র: রয়টার্স
অনলাইন ডেস্ক :
অবরুদ্ধ গাজায় দখলদার ইসরাইলি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে ১৬ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে। কিন্তু ইসরাইলি বাহিনী তাদের হামলা অব্যহত রয়েছে। মাঝে কয়েকদিন যুদ্ধবিরতী থাকলেও তা আর কার্যকর চাইছে না ইসরাইল। এদিকে গাজা অভিযানে নানা সমস্যা মুখোমুখি হচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী। ইতোমধ্যে অনেক ইসরাইলি সেনা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে গাজা ছেড়েছেন। অন্যদিকে অনেকে দৃষ্টিশক্তি হারাতে বসেছেন।
জানা যায়, গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত ইসরাইলের শত শত সৈন্য চোখে আঘাত পাচ্ছে এবং তাদের অনেকে দৃষ্টিশক্তি পর্যন্ত হারিয়ে ফেলেছে। কারো এক চোখ এবং অনেকের দুই চোখের জ্যোতিই নিভে গেছে বলে কেএএন নিউজ বুধবার জানিয়েছে।
কেএএনের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বাহিনীর যেসব সৈন্য সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম পরিধান করেনি, মূলত তারাই বেশি চোখের আঘাত পেয়েছে।
বুলেট স্রাপনেল এবং রিকোয়েলের সংস্পর্শ এসে এবং অনেকে হামাসের আঘাতের ফলে দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছে বলে প্রতিবেদনটিতে বলা হয়।
এতে উল্লেখ করা হয়, যারা চোখে আঘাত পেয়েছে, তাদের প্রায় ১৫ ভাগই এক বা দুই চোখের দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেছে।
কেএএনের প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয় যে চোখের আঘাত নিয়ে প্রায় ৪০ জন ইসরাইলি সৈন্য বিরসেবার সরোকা মেডিক্যাল সেন্টারে ভর্তি হয়েছে। চলতি সপ্তাহেই সেখানে আরো পাঁচ সৈন্য ভর্তি হয়েছে।
দক্ষিণ গাজায় ইসরাইল হামাসের তুমুল লড়াই অব্যাহত
গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় মূল শহর খান ইউনিসে হামাসের সাথে ইসরাইলি সেনাদের তুমুল লড়াই চলছে। এদিকে গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের দু’মাস পরে চলমান ভয়াবহ সঙ্ঘাত সম্পর্কে জাতিসঙ্ঘ সতর্ক করে বলেছে, গাজার আইনশৃঙ্খলা একেবারে ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে। গাজার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খান ইউনিসে ইসরাইলি সৈন্যরা বুলডোজার ও ট্যাংক নিয়ে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
ইতোমধ্যে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা সেখান থেকে নতুন করে পালাতে বাধ্য হচ্ছে। ফিলিস্তিনের অপর গ্রুপ ইসলামিক জিহাদ ও হামাস সূত্রে বলা হয়েছে, শহরের ভেতরে ইসরাইলি সৈন্যকে ঢুকতে না দেয়ার জন্যে তারা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।
কিন্তু ইসরাইলের সেনাবাহিনী বলছে, তারা প্রতিরক্ষা লাইন ভেঙে শহরের কেন্দ্রস্থলে অভিযান চালিয়েছে। তারা ৩০টি সুড়ঙ্গ ধ্বংসের দাবি করেছে।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এক ভিডিও বিবৃতিতে বলেন, ইসরাইলি সৈন্যরা হামাস প্রধান ইয়াহিয়া সিনাওয়ারের বাড়ির কাছে পৌঁছে গেছে।
তার এক মুখপাত্র বলেন, তার বাড়িটি খান ইউনিস এলাকার ভূগর্ভে রয়েছে।
এদিকে খান ইউনিসের এক বাসিন্দা অমল মাহদি বলেন, আমরা বিধ্বস্ত। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। এ পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্যে একটি সমাধান পেতে আমাদের কাউকে দরকার।
হামাস সরকার জানিয়েছে, বুধবার রাতে অমল মাহদি ইসরাইলি হামলা থেকে অল্পের জন্যে রক্ষা পেয়েছেন। গাজায় ইসরাইল হামলা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ১৬ হাজার ২৪৮ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে।
জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেস সতর্ক করে বলেন, গাজার ভয়াবহ পরিস্থিতির কারনে আইনশৃঙ্খলা একেবারে ভেঙে পড়ছে। জাতিসঙ্ঘের এ সতর্কতার পর ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলি কোহেন জাতিসঙ্ঘে গুতেরেসের বর্তমান কালকে বিশ্ব শান্তির জন্যে বিপদ বলে মন্তব্য করেছেন।
এদিকে ইসরাইলি আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতে ফিলিস্তিনিরা উত্তর গাজা ছেড়ে দক্ষিণে আশ্রয় নিয়েছিল। এখন তাদের দক্ষিণের শহর খান ইউনিসও ছাড়তে হচ্ছে। তাদের নেই খাবার, নেই আশ্রয়। তারা বন্ধ থাকা রাফা সীমান্তের দিকে ছুটছে। তাদের তাড়া করে ফিরছে ইসরাইলি বোমা।
ঘাসান বকর নামের এক ফিলিস্তিনি বলছেন, ‘আমরা এখানে এসেছি। কাল রাতে বৃষ্টি হয়েছে। অথচ কোনো আশ্রয় নেই, খাবার নেই। নেই রুটি, নেই আটা। সূত্র : আল জাজিরা, এএফপি, জেরুসালেম পোস্ট এবং অন্যান্য