অনলাইন ডেস্ক :
“এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই” এই প্রতিপাদ্যে শেরপুরের নকলায় তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে ‘নিউট্রিশন অলিম্পিয়াড’ বিষয়ক বিতর্ক ও কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২১ জানুয়ারি মঙ্গলবার সকাল সারে ১১টায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে এ বিতর্ক ও কুইজ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দ্বীপ জন মিত্র।
এসময় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুর রশিদ, উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মোঃ মাহবুবুর রহমান সুমন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মোঃ মাহবুবুর রহমান সুমন, একাডেমিক সুপারভাইজার ফারজানা শিরাজী, সহকারি প্রোগ্রামার সাইমুন শাহনাজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
‘নিউট্রিশন অলিম্পিয়াড’ বিষয়ক বিতর্ক ও কুইজ প্রতিযোগিতা পক্ষে ও বিপক্ষে স্কুল পর্যায়ে ৬টি প্রতিষ্ঠান ও কলেজ পর্যায়ে ৩টি প্রতিষ্ঠান অংশ গ্রহণ করে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জে তারুণ্যের উৎসবের উদ্বোধন করেছেন আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্যামল চন্দ্র বসাক। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলা কমপ্লেক্সের সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি উপজেলার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আশুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
আশুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গেইটে জনসচেতনামুলক উপজেলা কমফ্লেক্সের সামনে ময়লা আবর্জনা পরিস্কার করার মাধ্যমে মাসব্যাপী তারুণ্যের উৎসবের উদ্বোধন উৎসবের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্যামল চন্দ্র বসাক। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. বিল্লাল হোসেন, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আলমাছ হোসেন, কৃষি কর্মকর্তা মো. হাসিব আব্দুল্লাহ, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো.শাহরিয়ার আহমেদ, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহরিয়ার হোসেন প্রমুখ।
তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্যাশল চন্দ্র বসাক বলেন, প্রথমদিন উপজেলা কমপ্লেক্সের সামনে ময়লা আর্বজনা পরিস্কার কার্যক্রম করার মাধ্যম তারুণ্যের উৎসব উদ্বোধন করা হল। পরবর্তীতে এ কার্যক্রম আশুগঞ্জ উপজেলা সবকটি ইউনিয়নসহ প্রতটি স্থান থেকে ময়লা আর্বজনা পরিস্কার করার কার্যক্রম করা হবে। আমরা নিজ উদ্যোগে ময়লা আবর্জনা পরিস্কার করব এবং নিজেদের আঙ্গিনা নিজেরাই পরিস্কার করবো।
অনলাইন ডেস্ক :
গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী মহিষের লড়াই অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২০ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের পশ্চিম বাদুরতলী গ্রামের দারোগা বাঁধ সংলগ্ন বিলে এ লড়াই অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্থানীয় সোহেল মিরা এবং হেলাল সরদারের দুটি বলি মহিষ অংশ নেয়। দুই মহিষের দুর্দান্ত লড়াই দেখে অনেকটা উচ্ছ্বসিত ছিলো দর্শকরা।
স্থানীয়রা জানায়, বলি মহিষ দুইটি ছিলো প্রচন্ডভাবে তেজী। প্রথম থেকেই আক্রমণ। যেন একে অপরকে হারানোর জন্য আপ্রান চেষ্ট করছে। থেমে থেমে লড়াই করেছিল। প্রায় ১০ মিনিটের লড়াইয়ে হেলাল সরদারের বলি মহিষটিকে হরিয়ে সোহেল মিরার বলি মহিষ বিজয় হয়। পরে মালিকপক্ষ মহিষ দু’টি নিয়ে চলে যায়।
আগে গ্রামবাংলার প্রায় সব অঞ্চলে মহিষের লড়াই আয়োজন করা হতো। এতে মালিকরা তাদের বলি মহিষকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রস্তত করতেন। লড়াইয়ের অংশ নেওয়া মহিষদের গায়ে সরিষার তেল মালিশ করা হতো। এছাড়া খাওয়ানো হতো পুষ্টিকর খাবার এমটাই জানিয়েছেন প্রবীণরা।
অনেকেই মনে করেন, ঐতিহ্য ধরে রাখতে নিয়মিত এ ধরণের প্রতিযোগিতার আয়োজন করা উচিত। এতে গ্রামীণ সংস্কৃতি বাঁচিয়ে রাখার পাশাপাশি স্থানীয়দের মধ্যে উৎসবের আমেজ তৈরি হবে।
মহিষের লড়াই দেখতে আশা ইমরান বলেন, এক সময় গ্রামবাংলার এমন প্রতিযোগিতা মহিষের লড়াই ছিলো। এখন আর সচারাচর এমন লড়াই দেখা যায় না। অপর এক যুবক বলেন, মহিষের লড়াই গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য। শৈশবে আমরা এমন লড়াই দেখেছি। মহিষের লড়াই হবে তা শুনে দেখতে এলাম। দীর্ঘদিন পর আবারও এই দৃশ্য দেখে দারুণ লেগেছে।
লড়াইয়ে অংশ নেয়া বলি মহিষের মালিক হেলাল সরদার বলেন, তার বাড়িতে অনেক মহিষ রয়েছে। প্রায়ই বলি মহিষের সাথে লড়াই দেয়া হয়। সোহেল মিরা জানান, শান্তিুপূর্ণ পরিবেশে মহিষের লড়াই সম্পন্ন হয়েছে। তবে এ লড়াইয়ে তার বলি মহিষটি বিজয় হয়েছে।
ভবিষ্যতে আরো বড় পরিসরে এ ধরনের আয়োজন করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে তারা জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
আধিপত্য বিস্তার নিয়ে তৃতীয় দিনের মতো দুই গোষ্ঠীর মধ্যে চলা সংঘর্ষে মিয়াজুল হোসেন (৪৫) নামে একজন নিহত হয়েছেন। এ সময় উভয় পক্ষের ১৫ জন আহত হয়। আজ ১৪ মে বুধবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই ইউনিয়নের চান্দের বাড়ি ও ছলিমের বাড়ির গোষ্ঠীর মধ্যে তিন ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ চলে। নিহত মিয়াজুল চান্দের গোষ্ঠীর তোতা মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, ছলিমের বাড়ির শহিদ মিয়ার ছেলে চান্দের বাড়িতে বসে গত সোমবার রাতে কয়েকজনকে নিয়ে মাদক সেবন করছিল। এ সময় চান্দের বাড়ির লোকজন তাতে বাধা দিলে এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়।
এক পর্যায়ে সোমবার রাতেই দুই গোষ্ঠীর লোকজনের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সকালে চান্দের বাড়ি ও ছলিম বাড়ির লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আবারও সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষ চলাকালীন সময়ে উভপক্ষের ১০/১২টি বাড়িতে ভাঙচুর করা হয়।
এরই জেরে আজ বুধবার বিকেলে ফের সংঘর্ষ জড়ায় দুই গোষ্ঠীর লোকজন। এ সময় টেটা, বল্লমসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে ব্যাপক ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে। সংঘর্ষ চলাকালে ১০/১২টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে পুরো গ্রাম জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে সংঘর্ষটি গ্রামের বিভিন্নস্থানে ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে চান্দের বাড়ি মিয়াজুল নামে একজন গুরুতর আহত হলে তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোজাফফর হোসেন বলেন, গোষ্ঠীগত বিরোধ ও দ্বন্দ্বের জের ধরে চান্দের বাড়ির গোষ্ঠী ও ছলিম বাড়ির গোষ্ঠীর লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংর্ঘষে আহত একজনের মৃত্যুর খবরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনাস্থলে র্যাব সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করছেন।
অনলাইন ডেস্ক :
মৌলভীবাজারের জুড়ীতে মেয়েকে সাঁতার শিখাতে গিয়ে পুকুরের পানিতে ডুবে বাবা-মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। আজ ৯ জুন সোমবার বিকেল ৪টায় জুড়ী উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের হামিদপুর গ্রামে মর্মান্তিক এ ঘটনাটি ঘটে।
তারা হলেন হামিদপুর গ্রামের বাসিন্দা ইটভাটা ব্যবসায়ী বাবুল আহমদ (৬০) ও তার মেয়ে হালিমা মোহাম্মদ (১৮)।
জানা যায়, ঈদুল আযহার ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল ব্যবসায়ী বাবুল আহমদের মেয়ে, ঢাকার ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী হালিমা মোহাম্মদ। সেই সুযোগে সাঁতার শিখতে পুকুরে নেমেছিল মেয়ে হালিমা আর সাঁতার শেখাচ্ছিলেন বাবা বাবুল।
একপর্যায়ে মেয়ে ডুবে গেলে তাকে রক্ষা করার চেষ্টা করেন বাবা। এ সময় দুইজনই ডুবে মারা যান। আগামী ২৬ জুন থেকে শুরু হতে যাওয়া এইচএসসি পরীক্ষায় মেয়ে হালিমার অংশগ্রহণের কথা ছিল।
স্থানীয় ও পরিবারের সদস্যদের সূত্রে জানা যায়, বাবুল আহমদের স্ত্রী তিন মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে ঢাকায় থাকেন। তাদের চার সন্তান সেখানে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করে। বাড়ির কাছে মানিকসিংহ এলাকায় বাবুল আহমদের বাব ব্রিকস নামে একটি ইটভাটা রয়েছে। ঈদুল আযহা উপলক্ষে চার-পাঁচ দিন আগে তাঁর স্ত্রী-সন্তানেরা বাড়িতে বেড়াতে আসে।
আজ বিকেল ৪টার দিকে দ্বিতীয় মেয়ে হালিমাকে নিয়ে পুকুরে নেমে প্লাস্টিকের টিউবের সাহায্যে সাঁতার শেখাচ্ছিলেন বাবা বাবুল আহমদ। একপর্যায়ে টিউব থেকে হাত ফসকে হালিমা পানিতে ডুবে যায়। এ সময় বাবুল মেয়েকে রক্ষার প্রাণপণ চেষ্টা করেন। কিন্তু দুজনই পানি থেকে উঠছিলেন না।
খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন ছুটে গিয়ে পুকুরে নেমে প্রায় আধা ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে তাদের উদ্ধার করেন। পরে কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে দুইজন মারা যান। বিকেলে বাবুল আহমদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, একসাথে বাবা ও মেয়ের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। নিহতের বাড়িতে ভিড় করেন স্বজন ও প্রতিবেশীরা। আলাদা দুইটি কক্ষে বাবা-মেয়ের লাশ রাখা। লাশের পাশে বসে স্বজনেরা বিলাপ করছেন। প্রতিবেশীরা তাদের সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিজিবির সুলতানপুর ব্যাটালিয়নের (৬০ ব্যাটালিয়ন) অভিযানে গত ১ বছরে (২০২৪ সালে) প্রায় একশত পঞ্চাশ কোটি টাকা মূল্যের বিপুল পরিমান মাদক ও বিভিন্ন প্রকার অবৈধ মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় ৮৬ জন আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ ১ জানুয়ারি বুধবার দুপুরে বিজিবির পক্ষ থেকে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানা গেছে।
বিজিবির সুলতানপুর ব্যাটালিয়নের (৬০ ব্যাটালিয়ন) অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল এ.এম. জাবের বিন জব্বার, পিএসসি, এসি স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ২০২৪ সালে বিজিবির মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযানে ১শত ৪৬ কোটি ৯৪ লাখ ৮ হাজার ৩১৯ টাকা মূল্যের বিপুল পরিমান ভারতীয় অবৈধ মাদক ও বিভিন্ন প্রকার মালামাল উদ্ধার করা হয়। একই সময় এসব মাদক ও চোরাচালানীর সাথে জড়িত ৮৬ জনকে গ্রেফতার এবং ২০ জন পলাতক আসামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের মধ্যে রয়েছে হুইস্কি ১০৭৭১ বোতল, বিয়ার ১৭০৮ পিস, ইস্কফ সিরাপ ৩৯১৩ বোতল, গাঁজা ৩৯২০.৯ কেজি, ফেন্সিডিল, ৩৪১৪ বোতল, ইয়াবা ট্যাবলেট- ৪৬,০৬৮ পিস, ভারতীয় বিভিন্ন প্রকার শাড়ি ১৭১৬৬ পিস, গরু ৩৩৩ টি, বিভিন্ন প্রকার মোবাইল ফোন ১৯৪৮ টি, মোবাইল ফোনের ডিসপ্লে ৪৫০৪০ টি, বাসমতি চাল ৩৭৩১৮.৫ কেজি, চিনি ১০,৯৫,৬৭০.৫ কেজি, নেহা মেহেদী ২১৫৮১৫ পিস, জিরা ১৫৬২ কেজি, বিভিন্ন প্রকার চকলেট ১১৭৯৯৮ পিস, বিভিন্ন প্রকার তালা ১৪,২৩৪ পিস, বিভিন্ন প্রকার বাঁজি-৬৩,৯০,০০৯ পিস, বিপুল পরিমাণ বিভিন্ন প্রকার নিষিদ্ধ ঔষধ সামগ্রী, বিভিন্ন প্রকার কাপড়, কসমেটিক্স সামগ্রী, খাদ্য সামগ্রী, যানবাহনের খুচরা যন্ত্রাংশ, মোটর সাইকেল, সিএনজি, বাংলাদেশী বিভিন্ন প্রকার মাছ ইত্যাদি। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বিজিবির সুলতানপুর ব্যাটালিয়নের (৬০ বিজিবি) এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।