অনলাইন ডেস্ক :
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, কোনো অসৎ উদ্দেশ্যে নয়, নির্বাচনী অঙ্গনকে দুর্নীতিমুক্ত করতেই নির্বাচন ব্যবস্থায় করা হয়েছে সংস্কার প্রস্তাব। আজ ২১ জানুয়ারি মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভবনে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারে দেয়া প্রস্তাব ও তা বাস্তবায়নে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের করণীয় নিয়ে এ বিটের সাংবাদিকদের সংগঠনের (আরএফইডি) সদস্যদের সাথে আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, কোনো অসৎ উদ্দেশ্য নয়, নির্বাচনী অঙ্গনকে দুর্নীতিমুক্ত করতেই নির্বাচন ব্যবস্থায় সংস্কার প্রস্তাব করা হয়েছে। এদিন জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এএসএম হুমায়ুন কবির বলেন, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীনদের বায়োমেট্রিক প্রক্রিয়ায় ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন।
তিনি আরো বলেন, দেড় সপ্তাহের মধ্যে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র। চোখ এবং আঙ্গুলে ক্ষতিগ্রস্তদের ইসির নির্দেশনায় দেয়া হবে এনআইডি। নতুন ভোটার ছাড়াও স্মার্ট কার্ড এবং ভুল সংশোধনের সুযোগও পাবেন আহতরা।
এছাড়াও সারা দেশের সব হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আন্দোলনে আহত এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা পাবেন এ সেবা।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে পাগলা কুকুরের কামড়ে নারী ও শিশুসহ আহত হয়েছেন অন্তত ৫০ জন। আজ ১৯ জুন সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রায়গ্রাম ইউনিয়ন ও পৌর এলাকার বিভিন্ন জায়গায় এসব মানুষকে কামড়ে জখম করে কুকুরটি। এর মধ্যে ১৭ জন কালীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। অন্যদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, সকালে রায়গ্রামে সাদা রঙের একটি পাগলা কুকুর একের পর এক পথচারী, দোকানি, স্কুলছাত্রী, শিশুদের কামড়াতে শুরু করে। স্থানীয়রা কুকুরটিকে ধাওয়া করলে সেখান থেকে দৌড়ে হেলা, বলিদাপাড়া ও পৌরসভার নতুন বাজারসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষকে কামড়ে আহত করে। এক পর্যায়ে কুকুরটি ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে যায়।
আহতদের উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আজগর আলী বলেন, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বেশ কয়েকজন রোগী এসেছে। আমরা তাদের ভ্যাকসিনসহ চিকিৎসা দিয়েছি। কামড়ে দু’জনের আঘাত বেশি গুরুতর হওয়ায় তাদের ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। আহতদের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।
অনলাইন ডেস্ক :
দেশের দারিদ্র্যপ্রবণ এলাকাগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে সপ্তাহে পাঁচদিন প্রাথমিকের ৩৫ লাখ শিক্ষার্থীকে পুষ্টিকর খাবার দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। এই ‘স্কুল ফিডিং’ কর্মসূচির আওতায় শিক্ষার্থীদের দুধ, ডিম, মৌসুমী ফল, কলা, ফর্টিফাইড বিস্কুট, কেক ও বনরুটি দেওয়া হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে দেশের ১৫০টি উপজেলার ১৮ থেকে ১৯ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
সরকারি স্কুল ফিডিং কর্মসূচি (ফেইজ-১) প্রকল্পের আওতায় এ উদ্যোগ নেওয়া হবে। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নতুন এ প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৩৫ লাখ শিক্ষার্থীকে সপ্তাহে পাঁচদিন পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ খাবার পরিবেশন করা হবে। প্রত্যেক স্কুলে দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত টিফিন টাইম চলাকালে শিক্ষার্থীদের মাঝে এসব খাবার বিতরণ করা হবে।
প্রকল্পটি চূড়ান্তভাবে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদনের পর তিন বছরের জন্য প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে চার হাজার ৭৫৯ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন চার হাজার ৬৫৯ কোটি টাকা এবং বৈদেশিক অনুদান হিসেবে আসবে ৬৪ কোটি টাকা।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছে, তিনটি ধাপে পর্যায়ক্রমে পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ খাবার বিতরণের জন্য একটি রোডম্যাপ প্রণয়ন করা হয়েছে। প্রকল্পটি চূড়ান্তভাবে অনুমোদনের জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় পরিকল্পনা কমিশনে প্রস্তাব পাঠিয়েছে।
সপ্তাহে পাঁচদিন নানা ধরনের খাবার পরিবেশন করবো। এরমধ্যে থাকবে দুধ, ডিম, ফর্টিফাইড বিস্কুট, কলা ও মৌসুমী ফল। যেদিন দুধ দেওয়া হবে, দুধের সঙ্গে বনরুটি থাকবে। যেদিন ডিম দেওয়া হবে, ডিমের সঙ্গে কলা এবং ফর্টিফাইড বিস্কুট থাকবে। মৌসুমী ফল দেওয়া হলে সঙ্গে অন্য খাবার থাকবে
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পের আওতায় খাদ্যসামগ্রী/স্কুল ফিডিং ক্রয়, পরিবহন ও পরিদর্শন খাতে ব্যয় হবে চার হাজার ১৮১ কোটি টাকা। যা মোট প্রকল্প ব্যয়ের ৮৭ দশমিক ৮৫ শতাংশ। প্রকল্পে মোট ২১ হাজার জন টিফিন মিল ম্যানেজার থাকবেন, এ খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪০ কোটি টাকা। ভেন্ডর পরিবহন, খাদ্য বিতরণ, গোডাউন, সার্ভিস চার্জ ও প্যাকেজিং খাতে ২৮২ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। চার লাখ ২০ হাজার অ্যাপ্রন ও রুমাল কিনতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩০ কোটি টাকা।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ১ জুন একনেক সভা থেকে বাতিল করা হয় ‘প্রাইমারি স্কুল মিল’ প্রকল্প। প্রকল্পের প্রস্তাবিত ব্যয় ছিল ১৭ হাজার ২৯০ কোটি টাকা। প্রাথমিক বিদ্যালয়গামী সব শিক্ষার্থীকে পর্যায়ক্রমে স্কুল মিল কার্যক্রমের আওতায় এনে তাদের শিক্ষা, পুষ্টি, স্বাস্থ্য ও সামাজিক নিরাপত্তায় অবদান রাখা, নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাবার সরবরাহের মাধ্যমে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পুষ্টি চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে প্রকল্পটি প্রস্তাব করা হয়। প্রকল্প থেকে খিচুড়ি রান্নার ফরমেট বাতিল করা হয়।
তখন একনেক সভায় সিদ্ধান্ত হয়, প্রতিষ্ঠানে প্রতিদিন খিচুড়ি রান্না করলে বাচ্চাদের পড়ালেখার ক্ষতি হবে। প্রকল্পের ফরমেট পরিবর্তন করে একদিন দুধ, একদিন ডিম ও একদিন বিস্কুটসহ খাবারে বৈচিত্র্য থাকতে হবে। বাচ্চাদের খাবার দেওয়ার জন্য একনেক সভায় ‘প্রাইমারি স্কুল মিল’ প্রকল্প উপস্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন দেওয়া হয়নি। সভা থেকে খাবারের ফরমেট পরিবর্তন করতে বলা হয়েছিল।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, প্রস্তাবিত প্রকল্পের আওতায় আমরা ৩৫ লাখ শিক্ষার্থীকে টিফিন টাইমে পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ খাবার দিতে চাই। এতে একদিকে শিক্ষার্থীদের মেধার বিকাশ হবে অন্যদিকে প্রাথমিকে ঝরে পড়ার শঙ্কাও থাকবে না।
স্কুল ফিডিং ক্রয়, পরিবহন ও পরিদর্শন খাতে ব্যয় হবে চার হাজার ১৮১ কোটি টাকা। যা মোট প্রকল্প ব্যয়ের ৮৭ দশমিক ৮৫ শতাংশ। প্রকল্পে মোট ২১ হাজার জন টিফিন মিল ম্যানেজার থাকবেন, এ খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪০ কোটি টাকা। ভেন্ডর পরিবহন, খাদ্য বিতরণ, গোডাউন, সার্ভিস চার্জ ও প্যাকেজিং খাতে ২৮২ কোটি টাকা ব্যয়
প্রকল্পের আওতায় কী ধরনের খাবার পরিবেশন করা হবে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা সপ্তাহে পাঁচদিন নানা ধরনের খাবার পরিবেশন করবো। এরমধ্যে থাকবে দুধ, ডিম, ফর্টিফাইড বিস্কুট, কলা ও মৌসুমী ফল। যেদিন দুধ দেওয়া হবে, দুধের সঙ্গে বনরুটি থাকবে। যেদিন ডিম দেওয়া হবে, ডিমের সঙ্গে কলা এবং ফর্টিফাইড বিস্কুট থাকবে। মৌসুমী ফল দেওয়া হলে সঙ্গে অন্য খাবার থাকবে। বরিশালে যেমন আমড়ার সময় আমড়া, রাজশাহীতে আমের সময় আম, সঙ্গে দুধ পরিবেশন করা হবে। এভাবে ১৫০টি উপজেলায় ৩৫ লাখ শিক্ষার্থীকে টিফিনে খাবার দেওয়া হবে।
সরকারি স্কুল ফিডিং কর্মসূচি (ফেইজ-১) নামের নতুন প্রকল্পটি নিয়ে প্রকল্প মূল্যায়ন সভা করবে পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগ। শিক্ষার্থীদের মাঝে খাবার কীভাবে বিতরণ করা হবে এবং এর আগে কেন ‘প্রাইমারি স্কুল মিল’ প্রকল্প বাতিল করা হয়েছিল, এ বিষয়গুলো ক্ষতিয়ে দেখছে পরিকল্পনা কমিশন।
পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের উপপ্রধান (শিক্ষা) মীর্জা মোহাম্মদ আলী রেজা বলেন, প্রকল্পের প্রস্তাব আমাদের হাতে এসেছে। সামনে প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (পিইসি) সভা হবে। সভায় বিস্তারিত আলোচনার পর প্রকল্পটি একনেক সভায় উপস্থাপন করা হবে। ৩৫ লাখ শিক্ষার্থীকে পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ টিফিন দেওয়া প্রস্তাবিত এ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য
অনলাইন ডেস্ক :
৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক ও এক্স অ্যাকাউন্টে এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেছেন তথ্য উপদেষ্টা।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করতে ভারতের শাসক গোষ্ঠী ‘সংখ্যালঘুর বিষয়টিকে’ সামনে এনে বাংলাদেশ বিরোধী প্রচারণা শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
বিবৃতিতে নাহিদ ইসলাম বলেন, ভারতের ক্ষমতাসীন অভিজাতরা বিভেদ সৃষ্টিকারী রাজনীতি ও বাংলাদেশ বিরোধী ভাষণে লিপ্ত হচ্ছে। বাংলাদেশের পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা এবং আসামের সাথে ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক রয়েছে; তারা আমাদের স্টেকহোল্ডার। বাংলাদেশে চলমান আন্দোলনকালে কলকাতা ও দিল্লি থেকে ছাত্রছাত্রীরা আমাদের সাথে সংহতি প্রকাশ করে শেখ হাসিনার নৃশংসতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে। ভারতের এই গণতন্ত্র প্রেমী মানুষ গুলো আমাদের বন্ধু।
ভারতের শাসক অভিজাত ও হিন্দুত্ববাদী শক্তি এই ধরনের গণতান্ত্রিক সম্পর্ক ও সম্প্রীতি চায় না। তারা বাংলাদেশের উত্থান ও শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক জাগরণকে হুমকি মনে করে। ফলে তারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ঘৃণা বৃদ্ধি করছে। ‘সংখ্যালঘু নিপীড়ন’ বর্ণ ব্যবহার করে, দিল্লি ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন এবং বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ও জাতি-পুনর্নির্মাণ প্রক্রিয়া ব্যাহত করার চেষ্টা করছে।
আমরা শুরু থেকেই জোর দিয়ে আসছি যে ভারত সরকারকে অবশ্যই আওয়ামী লীগের লেন্স দিয়ে বাংলাদেশকে দেখা বন্ধ করে দিতে হবে এবং সমতা, ন্যায্যতা এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের উপর ভিত্তি করে একটি নতুন সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে।
হিন্দুসহ সকল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পূর্ণ নাগরিকত্ব অধিকার, মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ বদ্ধপরিকর। আওয়ামী লীগের আমলে সংখ্যালঘুরা চরম নিপীড়নের শিকার অথচ দিল্লি নিঃশর্তভাবে আওয়ামী লীগকে সমর্থন করেছে। ভারত যখন তাদের নিজেদের সংখ্যালঘুদের অধিকার নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়, তখন তারা আওয়ামী লীগকে আশ্রয় ও সহায়তা দিয়েছে, একটি দল যারা সংখ্যালঘুদের নির্যাতন করেছিল এবং বাংলাদেশে গণহত্যা করেছিল।
গণহত্যা ও শিশু হত্যার জন্য দায়ী একজন পলাতক শেখ হাসিনাকে আশ্রয় ও সহায়তা প্রদান অব্যাহত রেখে ভারত সরকার যৌথ গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে ক্ষুণ্ণ করার ঝুঁকি নিচ্ছে। ভারত ভুলে গেলে চলবে না যে তার স্থায?িত্ব ও অখণ্ডতা বাংলাদেশের স্থায?িত্ব ও অখণ্ডতার সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সংযুক্ত।
বাংলাদেশকে ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক ইস্যুতে পরিণত করার চেষ্টা করছে বিজেপি। এটা হলে ভারতের দেশীয় রাজনীতির জন্য ক্ষতিকর হবে। বাংলাদেশ বিরোধী ও মুসলিম বিরোধী রাজনীতি ভারতের জাতীয় স্বার্থ সাধন করবে না বা তার ঐক্যতে অবদান রাখবে না। সুতরাং, আমরা ভারতকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার বন্ধ করে গণতন্ত্রের প্রতি সম্প্রীতি ও সম্মান বজায় রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।’
চলারপথে রিপোর্ট :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ চট্টগ্রাম বিভাগীয় শান্তি সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের প্রস্তুতিমূলক সভা আজ ১০ জুন শনিবার বিকালে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
স্থানীয় ডাকবাংলো মিলনায়তনে উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক মোঃ রায়হান আলী ভূইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য বি.এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম।
উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক ভানু চন্দ্র দেবের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান রাফিউদ্দিন আহমেদ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি জিতু মিয়া, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ লিয়াকত আব্বাস টিপু, কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগের সদস্য মোঃ নাজিম উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম জহির, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি মোঃ আলী আজম, নাসিরনগর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রুবিনা আক্তার, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক অরুণ জ্যোতি ভট্রার্চায, উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি নির্মল চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন প্রমুখ।
সভায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় শান্তি সমাবেশ সফল করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগণসহ নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে ডেস্ক :
আসন্ন রমজান মাস উপলক্ষে সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্ত্বশাসিত অফিসের সময় সূচি নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। এবারের রোজায় অফিস চলবে সকাল ৯টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত।
এর মধ্যে দুপুর সোয়া ১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত ১৫ মিনিট জোহরের নামাজের বিরতি থাকবে।
সোমবার সব সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের জন্য রমজান মাসের অফিসের এ সময়সূচি নির্ধারণ করে দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সময়-সূচি নির্ধারণ করা হয়।