চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে অধ্যক্ষ শেখ মোঃ আবু হামেদ স্মরণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ৩ মার্চ শুক্রবার বিকেলে আবু হামেদ স্মৃতি সংসদ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মারুফা আক্তার পপি।
আবু হামেদ স্মৃতি সংসদের আহবায়ক সঞ্জীব কুমার দেবনাথের সভাপতিত্বে ও সরাইল প্রেসক্লাবের সাহিত্য সম্পাদক জহিরুল ইসলাম রিপনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সাবেক সচিব ড. আরিফুর রহমান, বাংলাদেশ আইন সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট কামরুজ্জামান আনসারী, জাতীয় প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশরাফ আলী, কবি ও গবেষক জয়দুল হোসেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোকেয়া বেগম, সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আসলাম হোসেন, প্রাবন্ধিক ও গবেষক ঠাকুর জিয়া উদ্দিন আহমেদ, শাহবাজপুর বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলী, প্রাবন্ধিক ও গবেষক ড. ওবায়েদুল্লাহ মামুন প্রমুখ।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন- জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক শেখ আদনান ফাহাদ।
সভায় বক্তারা বলেন, অধ্যক্ষ শেখ মোঃ আবু হামেদ ছিলেন একজন সত্যিকারের দেশপ্রেমিক, শিক্ষানুরাগী ও রাজনীতিবিদ। আবু হামেদ আপাদ মস্তক ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনাধারণকারী অসাম্প্রদায়িক চেতনার মানুষ। তার নীতি ও আদর্শ বর্তমান ও পরবর্তী প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে।
সভায় আবু হামেদের সংক্ষিপ্ত জীবনীসহ একটি মুর্যাল নির্মাণ করার প্রস্তাব করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের খবর ছড়িয়ে যাওয়া মাত্রই সারাদেশে পাল্টে যায় দৃশ্য। বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে পুলিশ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। নিরাপত্তার সব দায়িত্ব ছেড়ে নিজেদের জীবন নিয়েই সংকটে পড়ে পুলিশ। এমন অবস্থায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল থানা পুলিশের পাশে থাকায় সরাইলবাসীকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন পুলিশ।
গতকাল ৭ আগস্ট বুধবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট দেন সরাইল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রুবেল আখন। সেখানে তিনি লেখেন, প্রিয় সরাইলবাসি, ধন্যবাদ তোমাদেরকে। সরাইল থানার প্রতিটা পুলিশ সারা জীবন মনে রাখবে তোমাদেরকে। আমরা চির কৃতজ্ঞ তোমাদের কাছে। ভালোবাসা অবিরাম সরাইলের প্রতিটা মানুষের প্রতি।
স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানান, সরাইল থানা আমাদের, পুলিশ এখানকার অতিথি, থানায় যাতে হামলা না হয় সে বিষয়ে আমরা ব্যাপক তৎপর ছিলাম। সরাইল থানায় কোনো হামলা হয়নি।
উল্লেখ্য, সরকার পতনের এক দফা দাবিতে আন্দোলনে নামে ছাত্র-জনতাসহ দেশের সর্বস্তরের মানুষ। ওই আন্দোলনে গুলিতে নিহত হন কয়েকশ মানুষ। পরে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের খবরে রাজধানীসহ দেশের প্রায় সব থানায় বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে পুলিশ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। নিরাপত্তার সব দায়িত্ব ছেড়ে নিজেদের জীবন নিয়েই সংকটে পড়ে পুলিশ।
চলারপথে রিপোর্ট :
মুজিব বর্ষ উপলক্ষে সরাইল উপজেলায় ৪৯টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পাবেন আশ্রয়ণ প্রকল্প-২-প্রকল্পের আওতায় ঘর। আজ ২১ মার্চ মঙ্গলবার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ সরওয়ার উদ্দীন এই তথ্য জানান।
প্রেস ব্রিফিংয়ে ইউএনও মুহাম্মদ সরওয়ার উদ্দীন জানান, মুজিব বর্ষে দেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবেনা” প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আশ্রয়ণ-২-প্রকল্পের আওতায় ‘ক’ শ্রেনীর ভূমিহীন (যাদের জমি নেই, ঘরও নেই) তাদের পুর্নবাসনের জন্য তৃতীয় পর্যায়ে সরাইল উপজেলার ৪৯টি পরিবারের জন্য গৃহ নির্মাণ করা হয়েছে। এরই মধ্যে এই ঘর গুলোর নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। ২ শতাংশ খাস জমিতে ২ কক্ষ বিশিষ্ট প্রতিটি আধাপাকা ঘরের নির্মাণ ব্যয় হয়েছে ২ লাখ ৮৪ হাজার ৫ শত টাকা। সব গুলো ঘর একই নকশায় তৈরী করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আগামীকাল ২২ মার্চ বুধবার সকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশ্রয়ণ প্রকল্পের এসব ঘর উদ্বোধন করবেন। পাশাপাশি তিনি সরাইল উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষনা করবেন। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর পরই ৪৯ টি পরিবারকে ঘরের চাবি ও দলিল হস্তান্তর করা হবে।
তিনি বলেন, এ পর্যন্ত সরাইল উপজেলায় এ পর্যায়ে সরাইলে প্রথম পর্যায়ে ১০২টি, দ্বিতীয় পর্যায়ে ৩১ টি ঘর, তৃতীয় পর্যায়ের প্রথম ধাপে পেয়েছেন ১৮১ টি পরিবার। বুধবার পাবেন আরো ৪৯টি পরিবার। তিনি বলেন, সরাইলে মোট ৩৬৩টি পরিবার পাবেন আশ্রয়ণ প্রকল্পর ঘর। বুধবার ৪৯টি ঘর হস্তান্তর করলে ৩৬৩টি ঘর হস্তান্তর করা হবে। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরাইল উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা দিবেন।
ইউএনও মুহাম্মদ সরওয়ার উদ্দীন বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর বরাদ্দ একটি চলমান প্রক্রিয়া। ভবিষ্যতে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা অন্য কোন কারণে কোন পরিবার ভূমিহীন ও গৃহহীন হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (প্রেষনে) মোঃ সাইফুল ইসলাম, সরাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ আইয়ূব খান, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মাহবুব খান বাবুলসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে পুলিশের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। আজ ২১ আগস্ট সোমবার এ ঘটনায় হাকিম মিয়া(২৮) নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
হাকিম মিয়া উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের অরুয়াইল গ্রামের মৃত ফারুক মিয়ার ছেলে। সোমবার দিনে দুপুরে উপজেলা অরুয়াইল বাজারে এ ঘটনা ঘটে। আহত দুই পুলিশ সদস্যকে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
হামলায় আহত সরাইল থানার এএসআই শামছুল আলম বলেন, দুপুরে অরুয়াইল বাজার এলাকায় দায়িত্বকালে বাজারের সুতা ব্যবসায়ী কালা মিয়া জানান, তার মেয়ে জামাই হাকিম মিয়া (২৮) তার মেয়ে সোমাকে (২১) মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন। এখন তার মেয়ে সোমা অরুয়াইল বাজারের হাজি শিশু মিয়া মার্কেটের ব্যবসায়ী বাচ্চু মিয়ার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে অবস্থান করছেন। সোমা ও তার বাবা কালা মিয়া থানা বা কোর্টে গিয়ে আইনের আশ্রয় নিতে সাহায্য প্রার্থনা করেন। ব্যবসায়ী বাচ্চু মিয়ার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে তাদের নিয়ে বের হওয়ার সাথে সাথে মেয়ের জামাই হাকিম মিয়া ও রিফাতসহ অজ্ঞাত ৫/৬ জন যুবক দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে আমাদের উপর হামলা চালায়। তাদের হামলায় আমিসহ আরেকজন পুলিশ সদস্য রোকন উদ্দিনও আহত হয়।
সরাইল থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) আ.স.ম আতিকুর রহমান বলেন, পুলিশের ওপর হামলা এবং সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার ঘটনায় নামধারী ২ জন এবং অজ্ঞাত ৫/৬ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলের বিখ্যাত বংশীবাদক মো. রুবেল (৩২) চলে গেলেন না ফেরার দেশে। আজ সোমবার সকাল ১০টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে তিনি মারা যান। উদীয়মান এই নক্ষত্রের আকস্মিক মৃত্যুতে সরাইলের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তির মৃত্যুতে এতিম ৩ সন্তান নিয়ে দিশেহারা এখন স্ত্রী রুপা বেগম (৩২)।
পারিবারিক সূত্র জানায়, উপজেলার শাহবাজপুর প্রথম গেইট এলাকার প্রয়াত হাসনাত মিয়ার ছেলে রুবেল। রুবেল ২ ছেলে সন্তানের জনক। ছাত্র জীবন থেকেই সাংস্কৃতিক চর্চার প্রতি গভীর আগ্রহ ছিল তার। সেই থেকেই বাঁশি বাজানো অনুশীলন করতে থাকেন। এক সময় রুবেল ভাল বংশীবাদক হয়ে ওঠেন। বড় বড় অনুষ্ঠানে রুবেলের ডাক আসতে থাকে। ইউনিয়ন ছাড়িয়ে উপজেলা, জেলায় ও সমগ্র দেশে রুবেলের পরিচিতি বিস্তৃতি লাভ করে। আর এভাবেই রুবেলের বংশীবাদকের ক্যারিশমা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। হাজার হাজার ভক্তের কাছে রুবেল হয়ে ওঠেন প্রিয় বংশীবাদক। তাঁর আচার আচরণ ও সদালাপের সুনাম খ্যাতিও মানুষের মন কাড়ে। অগণিত দর্শক শ্রোতার প্রিয় রুবেল প্রথমে ডায়বেটিস ও পরে লিভারের জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন। উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
আজ ২৬ ফেব্রুয়ারি সোমবার সকালে হঠাৎ করে রুবেলের শাররীক অবস্থার অবনতি ঘটে। পরিবারের লোকজন তাকে দ্রুত নিয়ে যান জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। সকাল ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন রুবেল।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে শারদীয় দুর্গা পূজা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপন উপলক্ষ্যে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সরাইল উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আজ ৩০ সেপ্টেম্বর সোমবার সকাল ১১টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উক্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মেজবা উল আলম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সেনা ক্যাম্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার ক্যাপ্টেন আহমেদ, সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক, খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. তৌহিদ, সরাইল আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা বিউটি আক্তার, সরাইল বিদ্যুৎ বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী মো. তারেক, সরাইল সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার, সরাইল উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো: আনিসুল ইসলাম ঠাকুর, সাংগঠনিক সম্পাদক দুলাল মাহমুদ আলীসহ (ডি এম দুলাল) বিভিন্ন পূজা মন্ডপ কমিটির সদস্যবৃন্দ।
এছাড়া বিভিন্ন স্তরের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, আগামী ২ অক্টোবর থেকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত উপজেলার ৪১ টি পূজা মন্ডপে শারদীয় দুর্গা পূজার বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা অনুষ্ঠিত হবে।