হাকিকুল ইসলাম খোকন
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক নির্বাহী আদেশে জন্মসূত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পাওয়ার অধিকার বাতিল করেছেন। তবে তিনি স্বীকার করেন এই আদেশ আদালত পর্যন্ত গড়াবে।
ট্রাম্প তার অভিষেক শেষে ওয়াশিংটনের ক্যাপিটাল ওয়ান অ্যারেনায় ২০ হাজার সমর্থকের সামনে বসে এক রাশ নির্বাহী আদেশে সাক্ষর করেন। পরবর্তীতে তিনি হোয়াইট হাউসে ওভাল অফিসে বসে আদেশে সাক্ষর করেন।
ভয়েস অফ আমেরিকার এক প্রেতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, প্রথমেই ট্রাম্প প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জারী করা ৭৮টি আদেশ স্থগিত করেন। বাইডেন তার মেয়াদের শেষ দিকে এই আদেশগুলো জারী করেছিলেন, যেগুলোর বেশ কয়েকটি বাস্তবায়ন হয়নি।
এদিকে এক আদেশের মাধ্যমে ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশের দক্ষিণে যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে ‘জাতীয় জরুরী অবস্থা’ ঘোষণা করেন।
অভিবাসন এবং নাগরিকত্ব সংক্রান্ত আদেশে ট্রাম্প শরণার্থী পুনর্বাসন কর্মসূচী স্থগিত করেন এবং যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া মানুষের আমেরিকান নাগরিকত্ব অধিকার বন্ধ করেন।
আদেশে সাক্ষর করার সময় ট্রাম্প স্বীকার করেন যে, জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের অধিকার যেহেতু দেশের সংবিধানে নিশ্চিত করা আছে, তার এই আদেশ আইনগত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে।
তিনি বলেন, ‘জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব একেবারে হাস্যকর এবং তার বিশ্বাস এই বিধান বদলানোর জন্য ভালো আইনগত যুক্তি আছে।’
অনলাইন ডেস্ক :
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত ইরানি প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি আজ চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন। দুপুরে জন্মস্থান মাশহাদে জানাজা শেষে সমাহিত করা হবে এই মহান নেতা। এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে খোরাসানে প্রিয় প্রেসিডেন্টকে শেষ বিদায় জানাবেন সর্বস্তরের মানুষ।
২২ মে বুধবার তেহরানে ৫০ দেশের ৬৮ জন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা মরদেহের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এতে অংশ নেন কাতার, ইরাক, পাকিস্তান ও সিরিয়া, তুর্কমেনিস্তানের জাতীয় নেতাসহ বিশিষ্টজনেরা।
ওই দিন সকালে তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ে রাইসির তৃতীয় জানাযা পড়ান ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। পরে নিহতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তিনি।
গত রবিবার ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হন।
সেদিন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি একটি বাঁধ উদ্বোধন করতে আজারবাইজান সীমান্তবর্তী এলাকায় গিয়েছিলেন। সেখানে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভও ছিলেন। সেখান থেকে তিনটি হেলিকপ্টারের বহর নিয়ে ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের রাজধানী তাবরিজে ফিরছিলেন ইব্রাহিম রাইসি ও তার সঙ্গে থাকা অন্য কর্মকর্তারা। পথে পূর্ব আজারবাইজানের জোলফা এলাকার কাছে পাহাড়ি এলাকায় প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। তবে অন্য দুটি হেলিকপ্টার নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছে।
ঘন কুয়াশার কারণে দীর্ঘ ১৬ ঘণ্টার টানা অভিযান শেষে গত সোমবার হেলিকপ্টারটির খোঁজ পায় উদ্ধারকারী দল। হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্টসহ নয়জন নিহত হন।
সূত্র: আলজাজিরা।
অনলাইন ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পোশাকের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণের লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশের খ্যাতনামা ফ্যাশন হাউস ‘সিগনেচার কালেকশন’র শাখা নিউইয়র্কে চালু হলো ৫ জানুয়ারি। এটি বাংলাদেশের বাইরে তাদের প্রথম আউটলেট ও প্রদর্শনী কেন্দ্র। একটি জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিপুল সংখ্যক প্রবাসীর উপস্থিতিতে জ্যামাইকায় হিলসাইড এভিনিউর সন্নিকটে (৯০-০৩ মেরিক বুলেভার্ড) আউটলেটটির উদ্বোধন করেন “সিগনেচার কালেকশন” এর প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও ফারজানা ইসলাম রুমকি। কেক কেটে উদযাপনের সূচনা করেন তিনি।
মনোরমভাবে সজ্জিত এ শাখা উদ্বোধন উপলক্ষে আকর্ষণীয় ডিসকাউন্টের সুবিধা নিয়ে বিভিন্ন ধরণের দেশি-বিদেশি পোশাক, মূলত সালোয়ার-কামিজ এবং শাড়ি ক্রয় করেন আগতরা। ডিসকাউন্টের এই সুযোগ আরো কয়েকদিন পাবেন ক্রেতারা।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে বাংলাদেশে “সিগনেচার কালেকশন” আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরুর পর এ পর্যন্ত মোট পাঁচটি আউটলেট খুলেছে। এর চারটি ঢাকায় এবং একটি চট্টগ্রামে অবস্থিত।
উদ্বোধনীর সময় সিগনেচার কালেকশনে’র সিইও রুমকি বলেন, বিদেশের মাটিতে প্রথম আউটলেট খুলতে পেরে আমরা খুবই গর্বিত ও আনন্দিত। তিনি বলেন, বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন, বিশেষ করে বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে পরিচিত এই নিউইয়র্কে এবং বাংলাদেশি পোশাকের ক্রমবর্ধমান চাহিদার দিকে লক্ষ্য রেখে তারা এই শাখা খুলেছেন।
রুমকি বলেন, আমেরিকায় বাংলাদেশি অধ্যুষিত অন্যান্য সিটির পাশাপাশি অন্য দেশেও আউটলেট খোলার পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি আরও বলেন, দেশে এবং বিদেশে তাদের সাড়ে ৮ লাখ অনলাইন ফলোয়ার রয়েছেন, যারা প্রতিনিয়ত উৎসাহ দিচ্ছেন।
অনলাইন ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ১২৭ বছরের পুরনো পাইপলাইন ভেঙে বিখ্যাত টাইমস স্কয়ার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এর ফলে পাতাল রেল স্টেশন তলিয়ে যায়। খবর এবিসি নিউজের।
খবর অনুসারে, সোমবার ভোররাতের দিকে স্টেশনের পানি সরবরাহকারী ২০ ইঞ্চি (আধা মিটার) পাইপটি ভেঙে যায়। এরপর প্রবল বেগে জলধারা প্রবেশ করে সাবওয়েতে। ডুবে যায় ম্যানহাটনে শহরের অন্যতম ব্যস্ত স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম। ব্যাহত হয় রেল যোগাযোগ। বেশ কিছু রুটে বাতিল করা হয় ট্রেন চলাচল।
এ ঘটনায় ভোগান্তিতে পড়ে যাত্রীরা। চাপ বাড়ে সড়কে। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয় পাইপলাইন সংস্কারে।
নিউইয়র্ক সিটির পরিবেশ সংরক্ষণ বিভাগের কমিশনার রোহিত আগারওয়ালা বলেন, ডিইপি ক্রুদের পাইপলাইনের লিকের উৎস খুঁজে বের করে পানি বন্ধ করতে প্রায় এক ঘণ্টা সময় লেগেছে। তবে দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টার চেষ্টার পর মঙ্গলবার দুপুরের দিকে স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি।
উল্লেখ্য, ম্যানহাটনের মাটির নিচে পুরনো পানি, নর্দমা পাইপ, পাতাল রেলের টানেল ছাড়াও একটি বাষ্প শক্তি ব্যবস্থা এবং বৈদ্যুতিক ব্যবস্থাও রয়েছে।
চলারপথে ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্র সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের ক্ষমতায় স্বাধীনতা বিরোধী, খুনী ও অগ্নি সন্ত্রাসীরা কখনই যেন ফিরতে না পারে সে বিষয়ে দেশবাসীকে সতর্ক থাকতে হবে। এদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
গতকাল মঙ্গলবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে রিজ কার্লটন হোটেলের হলরুমে আমেরিকায় বাংলাদেশী প্রবাসীদের দেয়া এক নাগরিক সংবর্ধনায় প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘খুনী, স্বাধীনতা বিরোধী, যুদ্ধাপরাধীরা যাতে আর কখনই ক্ষমতায় ফিরতে না পারে তা নিশ্চিত করুন। এই বিএনপি-জামাত জোট বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ২০১৩ থেকে ১৫ সাল পর্যন্ত তথাকথিত আন্দোলনের নামে বহু মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে এবং রাস্তার পাশের হাজার হাজার গাছ উজাড় করেছে।’
প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে স্মরণ করিয়ে দেন যে, ‘এই চক্র দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিল যেখানে আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৪ বছরে দেশের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে একে আবারো উন্নয়নের মহাসড়কে তুলেছে।বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে। আমরা এ স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধাগুলোকে সর্বোচ্চ কাজে লাগিয়ে দেশে বিদেশে রাষ্ট্র বিরোধী অপপ্রচার চালানোর জন্যে বিএনপি জামাত জোটের কঠোর সমালোচনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আরও বলেন, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়েছি। বিএনপি-জামাত জোট ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা ব্যবহার করে আমাদেরই বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এসব অপপ্রচারে কান না দেয়ারও আহ্বান জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, লাখো মানুষের রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পেয়েছে। তিনি বলেন, সবাইকে মাথা উঁচু করে ও যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে বিশ্বে চলতে হবে।
বাংলাদেশের সামগ্রিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে তার সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, সরকার অবকাঠামো, স্বাস্থ্যসেবা, বাসস্থান, শিক্ষা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ প্রতিটি খাতের উন্নয়ন নিশ্চিত করেছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই আমরা এটা করতে পেরেছি।
দেশের উন্নয়নে প্রবাসীদের অবদানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের উন্নয়নে প্রবাসীরা অনেক অবদান রেখেছে।’
প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে হুন্ডির পরিবর্তে বৈধ মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠানোর আহ্বান জানান কারণ, সরকার যথাযথ প্রক্রিয়ায় রেম্যিটান্স প্রেরণকে উৎসাহিত করতে ২.৫ শতাংশ প্রণোদনা ঘোষণা করেছে।
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারনে বিশ^ব্যাপী অর্থনৈতিক সংকটের পরও সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারনে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখা সম্ভব হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, চলমান যুদ্ধের কারণে উন্নতসহ অনেক দেশ সংকটে পড়লেও বহু দেশের তুলনায় বাংলাদেশের অবস্থা এখনও ভালো।
প্রধানমন্ত্রী খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন যেন বাংলাদেশ কোন সংকটে না পড়ে।
দেশের দারিদ্র্যের হার ১৮.৭ শতাংশ এবং অতি দারিদ্রের হার ৫.৬ শতাংশে নামিয়ে আনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশে কোন চরম দারিদ্র্য থাকবে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাংক অনুসরণ করে সারাদেশে গৃহহীন ও ভূমিহীনদের আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় বিনামূল্যে বাড়ি দিয়ে আসছে।
তিনি আরো বলেন, তাঁরা ইতোমধ্যে আবাসন প্রকল্পের আওতায় ৩৫ লাখ লোককে বাড়ি দিয়েছেন এবং তাদের জীবিকা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘দেশে কেউ গৃহহীন থাকবে না, কারণ সরকার প্রতিটি গৃহহীন লোককে বিনামূল্যে আবাসন প্রকল্পের আওতায় আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
এ লক্ষে আরো ৬০ হাজার ঘর তৈরি হচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
এ সময় মঞ্চে অন্যান্যের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন উপস্থিত ছিলেন এবং যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান অন্ষ্ঠুান পরিচালনা করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
এশিয়ার দেশ সিঙ্গাপুরে মাত্র এক কেজি গাঁজা পাচার করার চেষ্টার দায়ে এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
ওই ব্যক্তির নাম তাঙ্গারাজু সুপিয়াহ। তার বয়স ছিল ৪৬ বছর। ২০১৮ সালে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন দেশটির আদালত। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০১৩ সালে মালয়েশিয়া থেকে সিঙ্গাপুরে গাঁজা আনার চক্রান্ত করেছিলেন তিনি।
তবে, এ মৃত্যুদণ্ড যেন কার্যকর করা নয় সেজন্য তার পরিবার, মানবাধিকার কর্মী এমনকি জাতিসংঘের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছিল।
তাঙ্গারাজুর পরিবার জানিয়েছে আজ ২৬ এপ্রিল বুধবার ভোরে চাঙ্গি কারাগারে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
মানবাধিকার কর্মীদের দাবি, গাঁজা পাচারের সঙ্গে তাঙ্গারাজুর সম্পৃক্ততা খুবই কম ছিল এবং তিনি যথাযথ আইনি অধিকার পাননি। তবে সিঙ্গাপুরের সরকার এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, সব আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেই তাঙ্গারাজুর দণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
তাঙ্গারাজুর পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছিলেন, তিনি কখনো ওই মাদক স্পর্শ করেননি এবং তার কাছ থেকে কোনো মাদক পাওয়াও যায়নি। তবে আদালতের বিচারক জানান, তদন্তে পাওয়া গেছে তাঙ্গারাজু এরসঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং ফোন কলের ইতিহাস ঘেটে এর প্রমাণও পাওয়া গেছে।
মাদক নিয়ে বিশ্বের যে কয়েকটি দেশে কঠোর আইন রয়েছে সেগুলোর মধ্যে সিঙ্গাপুর অন্যতম। দেশটির দাবি, মাদককে ঠেকাতে এমন আইনের প্রয়োজনীয়তা আছে।
গত বছর মাদক বিষয়ক অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে সিঙ্গাপুরে ১১ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। যার মধ্যে একজন মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিও ছিলেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তিনি হেরোইন পাচার করেছেন।
সিঙ্গাপুরে মাত্র এক কেজি গাঁজা পাচারের দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হলেও, দেশটির প্রতিবেশী থাইল্যান্ডে উল্টো গাঁজার ব্যাপারে উৎসাহিত করা হয়। সিঙ্গাপুরের আরেক প্রতিবেশী মালয়েশিয়া মাত্র এক সপ্তাহ আগে মৃত্যুদণ্ডের বিধানই বাতিল করে দেয়।