অনলাইন ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা করেছে ভারত। নতুন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সাথে প্রথম বৈঠকে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে এ আলোচনা করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রহ্মণ্যম জয়শঙ্কর।
এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য নিজেই জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রহ্মণ্যম জয়শঙ্কর। তবে বাংলাদেশের বিষয়ে ঠিক কী আলোচনা হয়েছে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে চাননি ভারতীয় এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আজ ২৩ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, নতুন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সাথে নিজের প্রথম বৈঠকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন। দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর স্থানীয় সময় বুধবার ওয়াশিংটনে এক সংবাদ সম্মেলনে জয়শঙ্কর বলেন, বাংলাদেশ নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা হয়েছে।
তবে, বিস্তারিত কিছু জানাতে চাননি তিনি। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন ক্ষমতায় আসার পর জয়শঙ্করের সাথে নিজের প্রথম দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও।
পৃথক প্রতিবেদনে ভারতীয় বার্তাসংস্থা ইউনাইটেড নিউজ অব ইন্ডিয়া জানায়, নতুন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ওয়াল্টজ এবং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সাথে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার সময় বাংলাদেশের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন কর্মকর্তাদের সাথে তার আলোচনার বিষয়ে ওয়াশিংটনে এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন: “আমরা বাংলাদেশ নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেছি। এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত কথা বলা ঠিক হবে না।”
এদিকে ভারতীয় ও মার্কিন কূটনীতিকরা আগামী মাসে (ফেব্রুয়ারি) ওয়াশিংটনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মাঝে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক আয়োজনের চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে। চীনকে মোকাবিলা করার প্রচেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক বৃদ্ধি ও নিজ নাগরিকদের সহজে দক্ষ কর্মী ভিসা প্রাপ্তিতে আগ্রহী মার্কিন কৌশলগত অংশীদার ভারত। দুই দেশের সরকার প্রধান বৈঠকে মিলিত হলে তাদের এজেন্ডায় এ দুটি বিষয় থাকবে।
এছাড়া হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনে ভারতের ওপর মার্কিন শুল্ক আরোপের বিষয়ে নয়াদিল্লির কর্মকর্তাদের মাঝে উদ্বেগ বৃদ্ধি পেয়েছে। মার্কিন পণ্যের ওপর উচ্চ শুল্ক রয়েছে এমন দেশগুলোর তালিকায় ভারতের নাম যুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ডোনাল্ড ট্রাম্প গত সোমবার প্রেসিডেন্টের শপথ নেওয়ার পর সেসব দেশের বিরুদ্ধে পাল্টা উচ্চ শুল্ক চাপিয়ে দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
এমন অবস্থায গত ২০ জানুয়ারি সোমবার ওয়াশিংটনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে অংশ নেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রহ্মণ্যম জয়শঙ্কর। সেখানে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে বৈঠকও করেন তিনি। আগামী ফেব্রুয়ারিতে ওয়াশিংটনে ট্রাম্প-মোদি বৈঠক আয়োজন নিয়ে মার্কিন নতুন প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার বিষয়টি জয়শঙ্করের এজেন্ডায়ও রয়েছে বলে ভারতীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে।
অন্যদিকে, প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প শপথ নেওয়ার পরপরই দেশটিতে অবৈধভাবে বসবাসকারী প্রায় ১৮ হাজার ভারতীয় অভিবাসীকে ফেরৎ নিয়ে আসার প্রক্রিয়া শুরু করেছে ভারত। মূলত অবৈধ অভিবাসীদের ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করে দিল্লির পক্ষ থেকে ট্রাম্প প্রশাসনকে একটা বার্তা দেওয়া হচ্ছে যাতে ওয়াশিংটন কোনও ধরনের বাণিজ্যিক বিধি-নিষেধ আরোপ না করে।
অনলাইন ডেস্ক :
ইরানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন সংস্কারপন্থী মাসুদ পেজেশকিয়ান। তিনি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির আশীর্বাদপুষ্ট রক্ষণশীল সাঈদ জালিলিকে বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে ইরানের ১৪তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। খবর আল-জাজিরার
ইরানের নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্যানুসারে, প্রথম দফার নির্বাচনে সংস্কারপন্থী হিসেবে পরিচিত মাসুদ পেজেশকিয়ান ১ কোটি ৪ লাখ ১৫ হাজারে বেশি ভোট পেয়ে এগিয়েছিলেন। প্রতিদ্বন্দ্বী খামেনি সমর্থিত কট্টরপন্থী সাঈদ জালিলি পেয়েছিলেন ৯৪ লাখ ৭৩ হাজার ২৯৮ ভোট।
ইরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, দ্বিতীয় দফার ভোটে মাসুদ পেজেশকিয়ান পেয়েছেন প্রায় ১ কোটি ৬৩ লাখ ভোট। বিপরীতে তার প্রতিদ্বন্দ্বী সাঈদ জালিলি পেয়েছেন মাত্র ১ কোটি ৩০ লাখের বেশি ভোট। অর্থাৎ মাসুদ পেজেশকিয়ান প্রায় ৩৩ লাখ ভোটের ব্যবধানে খামেনি সমর্থিত প্রার্থী সাঈদ জালিলিকে হারিয়েছেন।
গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম দফায় কোনো প্রার্থীই ৫০ শতাংশের বেশি ভোট নিশ্চিত করতে পারেননি। তাই নিয়ম অনুসারে নির্বাচন গড়ায় দ্বিতীয় দফায় তথা রান-অফে। এই রান-অফে অংশ নেন প্রথম দফার নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়া দুই প্রার্থী মাসুদ পেজেশকিয়ান ও সাঈদ জালিলি।
কট্টরপন্থীদের ব্যাপক নির্বাচনী প্রচারণার মাঝে নারীর অধিকার, অধিক সামাজিক স্বাধীনতা, পশ্চিমের সঙ্গে বৈরিতায় সতর্কতা ও অর্থনৈতিক সংস্কারের প্রতি সমর্থন জানিয়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন মধ্যপন্থী মাসুদ পেজেশকিয়ান।
মাসুদ পেজেশকিয়ানের বয়স ৬৯ বছর। তিনি হৃদ্রোগবিষয়ক সার্জন। ইরানের পার্লামেন্টে ২০০৮ সাল থেকে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় তাবরিজ শহরের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করছেন তিনি। ইরানের প্রধান সংস্কারপন্থী জোট তাঁকে সমর্থন দিয়েছে। সাবেক দুই সংস্কারপন্থী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ খাতামি ও হাসান রুহানিরও সমর্থন পেয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে ৫৮ বছর বয়সী জালিলি পশ্চিমাবিরোধী অবস্থানে অনড়। তিনি কট্টরপন্থী সমর্থকদের যথেষ্ট সমর্থন ধরে রেখেছেন। অন্য রক্ষণশীল নেতাদের কাছ থেকেও সমর্থন পেয়েছেন তিনি।
অনলাইন ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়া যাচাই প্রক্রিয়া আরো বিস্তৃত করার প্রস্তুতি নিচ্ছে ডোনাল্ড ট্রাম্প এর প্রশাসন। এতে করে দূতাবাসগুলোকে নতুন করে শিক্ষার্থী ভিসার অ্যাপয়েন্টমেন্ট সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ পদক্ষেপে বিশ্বজুড়ে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বাংলাদেশি আবেদনকারীদের মধ্যেও উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে বিভিন্ন কূটনৈতিক মিশন ও পোস্টে পাঠানো মেমোতে উল্লেখ করা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত- এই স্থগিতাদেশ বলবৎ থাকবে। মেমোতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, শিক্ষার্থী এবং বিদেশি এক্সচেঞ্জ ভিসা আবেদনকারীদের সোশ্যাল মিডিয়া কার্যকলাপ আরো গভীরভাবে যাচাই করা হবে, যার ফলে দূতাবাস ও কনস্যুলেটগুলোর কার্যক্রমে ‘গুরুতর প্রভাব’ পড়বে।
বিবিসির মার্কিন অংশীদার সিবিএস নিউজ মেমোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তারা জানিয়েছে মঙ্গলবার মার্কিন দূতাবাসগুলোকে বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্টের শিডিউল বাতিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে যাদের অ্যাপয়েন্টমেন্ট ইতিমধ্যে নির্ধারিত হয়ে গেছে তাঁরা সাক্ষাৎকারে অংশ নিতে পারবেন।
এমন এক সময়ে এই পদক্ষেপ এল যখন ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কিছু শীর্ষস্থানীয় ও অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছেন। তাঁর মতে, এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো অতিমাত্রায় বামপন্থী এবং ক্যাম্পাসে ইহুদিবিদ্বেষকে প্রশ্রয় দিচ্ছে ও বৈষম্যমূলক ভর্তি নীতি অনুসরণ করছে।
সাধারণত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে ইচ্ছুক বিদেশি শিক্ষার্থীদের নিজ দেশে আমেরিকান দূতাবাসে ইন্টারভিউয়ের জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হয়। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ই বিদেশি শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি-এর ওপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। কারণ বিদেশি শিক্ষার্থীরা সাধারণত বেশি হারে টিউশন ফি দিয়ে থাকে।
শিক্ষার্থী ভিসা সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে মঙ্গলবার পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন মুখপাত্র বিবিসিকে বলেন, কারা দেশে প্রবেশ করছে, সেই যাচাই প্রক্রিয়াকে আমরা অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে দেখি এবং আমরা তা অব্যাহত রাখব।
উল্লেখ্য, ট্রাম্প প্রশাসন এর আগেও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বরাদ্দকৃত কোটি কোটি ডলারের (যেমন হার্ভার্ডের জন্য আনুমানিক ১০০ মিলিয়ন ডলার) তহবিল স্থগিত করেছে। এ ছাড়া ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ করার কারণে শিক্ষার্থীদের ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে এবং হাজার হাজার ভিসা বাতিল করেছে। যদিও এর অনেকগুলোই আদালতের নির্দেশে আটকে গেছে।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
ক্যালিফোর্নিয়া রিপাবলিকান দলীয় কংগ্রেসম্যান কেভিন কিলি বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে অবৈধ অভিবাসীদের মেডিকেড সুবিধা বাতিল করার লক্ষ্যে একটি বিল উত্থাপন করেছেন। কিলির ধারণা যে এটি বাস্তবায়িত হলে প্রতি বছর শুধু ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্য ৬.৫ বিলিয়ন ডলার সাশ্রয় করতে পারবে।
২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্য সব অবৈধ অভিবাসীকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য মেডিকেড তালিকাভুক্তি প্রসারিত করে।
কিলি বিলের বিষয়ে বিবৃতিতে বলেন, ‘এই সাধারণ জ্ঞানের আইনটি নিশ্চিত করে যে করদাতাদের অর্থায়ন করা স্বাস্থ্যসেবা সুবিধাগুলো তাদের জন্যই সংরক্ষিত হয় যারা আইনত যোগ্য, আমেরিকার নাগরিক এবং আইনী বাসিন্দা।’ কিলি আরও উল্লেখ করেন, নিম্ন আয়ের ব্যক্তিদের জন্য করদাতাদের অর্থায়ন করা পাবলিক হেলথ কেয়ার সিস্টেম- মেডিকেডে নথিভুক্ত অনেক আমেরিকান ইতিমধ্যেই ডাক্তার খুঁজে পেতে রীতিমতো হিমসিম খাচ্ছেন।
কিলি বলেন, ‘ক্যালিফোর্নিয়া প্রতি বছর এখানে অবৈধ অভিবাসী প্রত্যেককে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য ৬.৫ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করছে। অন্যদিকে আমাদের নিজস্ব নাগরিকদের অনেকেই ডাক্তারের কাছে যেতেও পারে না।’
ক্যালিফোর্নিয়ায় অভয়ারণ্য রাজ্যের আইন বহাল রয়েছে। বর্তমানে ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউজমের আহ্বানে রাজ্যকে ‘ট্রাম্প-প্রুফ’ করার একটি বিশেষ অধিবেশন চলছে। প্রধানত রাজ্য ও ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে স্থানীয় মামলার জন্য ২৫ মিলিয়ন ডলার প্রদান এবং নির্বাসন প্রতিরক্ষার আইনি সহায়তার জন্য আরও ২৫ মিলিয়ন ডলার প্রদানের বিষয়ে এই অধিবেশন ডাকা হয়।
এদিকে ক্যালিফোর্নিয়ায় প্রায় ২.৭ মিলিয়ন অবৈধ অভিবাসী বাস করে। তাদেও সংসারে জন্ম নেওয়া শিশুদের জন্মগত নাগরিকত্ব প্রদান বন্ধ করার ট্রাম্প প্রশাসনের নির্বাহী আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে একটি মামলা দায়ের করেছে ক্যালিফোর্নিয়া প্রশাসন। বিষয়টি সম্পূর্ণরূপে আদালতে বিচার না করা পর্যন্ত এই আদেশের বিরুদ্ধে একটি প্রাথমিক নিষেধাজ্ঞা এখন কার্যকর হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পোশাকের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণের লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশের খ্যাতনামা ফ্যাশন হাউস ‘সিগনেচার কালেকশন’র শাখা নিউইয়র্কে চালু হলো ৫ জানুয়ারি। এটি বাংলাদেশের বাইরে তাদের প্রথম আউটলেট ও প্রদর্শনী কেন্দ্র। একটি জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিপুল সংখ্যক প্রবাসীর উপস্থিতিতে জ্যামাইকায় হিলসাইড এভিনিউর সন্নিকটে (৯০-০৩ মেরিক বুলেভার্ড) আউটলেটটির উদ্বোধন করেন “সিগনেচার কালেকশন” এর প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও ফারজানা ইসলাম রুমকি। কেক কেটে উদযাপনের সূচনা করেন তিনি।
মনোরমভাবে সজ্জিত এ শাখা উদ্বোধন উপলক্ষে আকর্ষণীয় ডিসকাউন্টের সুবিধা নিয়ে বিভিন্ন ধরণের দেশি-বিদেশি পোশাক, মূলত সালোয়ার-কামিজ এবং শাড়ি ক্রয় করেন আগতরা। ডিসকাউন্টের এই সুযোগ আরো কয়েকদিন পাবেন ক্রেতারা।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে বাংলাদেশে “সিগনেচার কালেকশন” আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরুর পর এ পর্যন্ত মোট পাঁচটি আউটলেট খুলেছে। এর চারটি ঢাকায় এবং একটি চট্টগ্রামে অবস্থিত।
উদ্বোধনীর সময় সিগনেচার কালেকশনে’র সিইও রুমকি বলেন, বিদেশের মাটিতে প্রথম আউটলেট খুলতে পেরে আমরা খুবই গর্বিত ও আনন্দিত। তিনি বলেন, বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন, বিশেষ করে বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে পরিচিত এই নিউইয়র্কে এবং বাংলাদেশি পোশাকের ক্রমবর্ধমান চাহিদার দিকে লক্ষ্য রেখে তারা এই শাখা খুলেছেন।
রুমকি বলেন, আমেরিকায় বাংলাদেশি অধ্যুষিত অন্যান্য সিটির পাশাপাশি অন্য দেশেও আউটলেট খোলার পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি আরও বলেন, দেশে এবং বিদেশে তাদের সাড়ে ৮ লাখ অনলাইন ফলোয়ার রয়েছেন, যারা প্রতিনিয়ত উৎসাহ দিচ্ছেন।
অনলাইন ডেস্ক :
তাইওয়ানে নতুন প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন দেশটির ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টির (ডিপিপি) নেতা উইলিয়াম লাই। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাইওয়ানের স্থানীয় গণমাধ্যমের মতে, প্রায় ৫০ লাখ ভোট পেয়েছেন উইলিয়াম লাই। যা দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
এর মাধ্যমে তাইওয়ানের ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টি (ডিপিপি) থেকে টানা তৃতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলো। তাইওয়ানের বর্তমান প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েন পরপর দুই মেয়াদে ক্ষমতায় থাকায় সংবিধান অনুযায়ী তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেননি।
শনিবারের এ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মোট তিনটি দল থেকে তিনজন লড়ছিলেন। তারা হলেন, ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টির উইলিয়াম লাই, তাইওয়ান পিপলস পার্টির কো ওয়েন-জে এবং কুওমিনতাং (কেএমটি) দলের হাউ ইউ-ইহ। ইতোমধ্যেই বাকী দুই প্রতিদ্বন্দ্বী উইলিয়াম লাইয়ের জয় স্বীকার করে নিয়ে তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
নির্বাচনটি শনিবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় (বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টা) শুরু হয়ে শেষ হয় বিকাল ৪টায় (বাংলাদেশ সময় ২টা)। এরপর শুরু হয় ভোট গণনা। এতে শুরু থেকেই এগিয়ে ছিলেন উইলিয়াম লাই।
দেশটির নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, উইলিয়াম লাই পেয়েছেন মোট ভোটের ৪২ শতাংশ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাউ ইউ-ইহ পেয়েছেন ৩৩ শতাংশ ভোট। আর কো ওয়েন-জে পেয়েছেন ২৫ শতাংশ ভোট।
প্রসঙ্গত, ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টি প্রচণ্ডভাবে তাইওয়ানের সার্বভৌমত্ব এবং স্বাতন্ত্রে বিশ্বাসী। অর্থাৎ তারা কখনোই তাইওয়ানকে চীনের অংশ বলে মনে করে না। এক কথায় স্বায়ত্তশাসন।
অন্যদিকে পিপলস পার্টি পুরোপুরি চীনপন্থি দল। তাদের মতে, চীনের ছায়া তাইওয়ানের জন্য মঙ্গল। আর সবচেয়ে ছোট দল কুওমিনটাংয়ের নীতি ‘ভারসাম্যে’। নিজের স্বাধীনতা অটুট রেখে চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখায় বিশ্বাসী।