অনলাইন ডেস্ক :
মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসী দমন অভিযানে ৭১ বাংলাদেশিসহ ১৭৬ জনকে গ্রেফতার করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। বৈধ কাগজপত্র না থাকা এবং দেশে অতিরিক্ত সময় অবস্থানে তাদের গ্রেফতার করা হয়। ২২ জানুয়ারি বুধবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় রাজধানী কুয়ালালামপুরের বুকিত বিনতাং থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
কুয়ালালামপুরের অভিবাসন বিভাগ জানিয়েছে, সন্ধ্যায় ‘হটস্পট’ হিসেবে পরিচিত বুকিত বিনতাংয়ের জালান আলোর আশপাশে অভিযান চালিয়ে ১৭৬ জন অভিবাসীকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের মধ্যে রয়েছে ৭১ জন বাংলাদেশি।
বিবৃতিতে কুয়ালালামপুরের অভিবাসন বিভাগের পরিচালক ওয়ান মোহাম্মদ সৌপি ওয়ান ইউসুফ জানান, কুয়ালালামপুর সিটি হলের (ডিবিকেএল) সহযোগিতায় শুরু হওয়া এ অভিযানে ৭১ জন বাংলাদেশি ছাড়াও মিয়ানমারের ৬০, ইন্দোনেশিয়ার ২৪, নেপালের ১৬, পাকিস্তানের ৩, মিশর ও সুদানের একজন করে নাগরিক রয়েছেন। গ্রেফতারকৃদের নথিপত্র ও পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য কুয়ালালামপুর ইমিগ্রেশন সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
নিউইয়র্কে বাঙালী অধ্যুষিত ব্রঙ্কসের বাংলাবাজার জামে মসজিদের প্রস্তাবিত নতুন বহুতল ভবণ নির্মানের জন্য ফান্ডরেজিং লাঞ্চ ২২ ডিসেম্বর রবিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী ঈদুল আযহার দিন প্রায় ৫ মিলিয়ন ডলার প্রাক্কলিত ব্যয়ে বেসমেন্টসহ ৬ তলা বিশিষ্ট ভবণ নির্মান কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করার কথা রয়েছে। নিউইয়র্কের লংআইল্যান্ডে একটি অভিজাত হোটেলে আয়োজিত এ ফান্ডরেজিং অনুষ্ঠানে উপস্থিত সুধীবৃন্দ মসজিদের নতুন ভবণ নির্মানে অর্থ প্রদানসহ সার্বিক সহযোগিতায় তাদের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
বাংলাবাজার জামে মসজিদের ফান্ডরেজিং কমিটির চেয়ারম্যান আলমাছ আলীর সভাপতিত্বে এবং মসজিদের সাধারণ সম্পাদক লালন আহমেদ ও মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক হাফিজ বদরুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাবাজার জামে মসজিদের সভাপতি ডা. আবদুস সবুর।
অনুষ্ঠানে পবিত্র কোরআন ও হাদিসের আলোকে বক্তব্য রাখেন জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের ইমাম মাওলানা মির্জা আবু জাফর বেগ ও বাংলাবাজার জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আবুল কাশেম মোহাম্মদ ইয়াহইয়া।
তারা মসজিদকে ইবাদত বন্দেগীর সর্বশ্রেষ্ট স্থান হিসেবে উল্লেখ করে কুরআন-হাদীসের আলোকে মসজিদ নির্মাণের গুরুত্ব তুলে ধরেন। ইহকাল-পরকালের কল্যাণে সহীভাবে ইসলাম পরিপালনের দিক নির্দেশনা মূলক বক্তব্য প্রদান করেন। তারা মসজিদের আর্থিক সহযোগিতায় এগিয়ে আসার জন্য সকলের নিকট অনুরোধ জানান।
মসজিদের সভাপতি ডা. আবদুস সবুর নতুন জায়গায় বহুতল মসজিদ ভবণ করার যৌক্তিকতা তুলে ধরে বলেন, স্থান সংকুলানের অভাবে বর্তমান মসজিদে জুমার নামাজে দু’টি পৃথক জামাত অনুষ্ঠিত হয়। তার পরও স্থান সংকুলান না হওয়ায় মুসল্লীদের বাইরে জুমার নামাজ আদায় করতে হয়। এজন্য এ প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তিনি মসজিদের আর্থিক সহযোগিতায় এগিয়ে আসার জন্য সকলের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানান।
ফান্ডরেজিং কমিটির চেয়ারম্যান আলমাছ আলী ফান্ডরেজিং অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে মসজিদ নির্মাণে সবার সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
অনুষ্ঠানে ব্রঙ্কসের ১৩৫১ ওডেল স্ট্রিটে বাংলাবাজার জামে মসজিদের প্রস্তাবিত নতুন বহুতল ভবন নির্মান কাজের বিষয়টি তুলে ধরে বলা হয়, মসজিদের ক্রয়কৃত পার্শ্ববর্তী ৫ হাজার স্কয়ারের খালি জায়গায় নতুন বহুতল ভবন নির্মান কাজ শুরু করার পর পর্যায়ক্রমে পুরো প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। আগামী ঈদুল আজহার দিন প্রায় ৫ মিলিয়ন ডলার প্রাক্কলিত ব্যয়ে বেসমেন্টসহ ৬ তলা বিশিষ্ট ভবণ নির্মান কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে।
আলমাছ আলী ইউএসএনিউজঅনলাইন.কমকে জানান, অনুষ্ঠানে সুধী ও মুসল্লীরা বাংলাবাজার জামে মসজিদের নতুন ভবণ নির্মানের জন্য অর্থ প্রদানের প্রতিশ্রুতিসহ সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
ফান্ডরেজিং অনুষ্ঠানে পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন কমিটির সহ-সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ আবু সাঈদ।
বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সোসাইটি সভাপতি আতাউর রহমান সেলিম, বাংলাবাজার মসজিদের প্রধান উপদেষ্টা মো. ফখরুল ইসলাম, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মোহাম্মদ দলা মিয়া ও ডা. মোহাম্মদ শাহ আলম, মসজিদের লাইফ মেম্বার ডা. রুমানা সবুর, ডা মাসুম, ডা. কাদের, ডা. জুয়েল, ফান্ডরেজিং কমিটির সদস্য আব্দুল হাশেম হাসনু ও সামাদ মিয়া জাকারিয়া, মসজিদ কমিটির সহ সভাপতি মোহাম্মদ এ হাসান, সহ সাধারণ সম্পাদক শামিম উদ্দিন, কোষাধ্যক্ষ ইকবাল হোসেন, সহ কোষাধ্যক্ষ সোহেল চৌধুরী, কার্যকরী সদস্য আজিজুল হক, ওয়ালিউর রহমান, লাইফ মেম্বার আকশাদ আলী বাবুল প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে মসজিদের কার্যকরী, উপদেষ্টা ও ফান্ডরেজিং কমিটি, মুসল্লীসহ সুধীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন মসজিদের কার্যকরী, উপদেষ্টা ও ফান্ডরেজিং কমিটির সদস্যরা।
শেষে বাংলাবাজার জামে মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আলহাজ গিয়াস উদ্দিনের আত্মার মাগফেরাত ও বিশ্ব মানবতার শান্তি কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়। মসজিদের জন্য সাহায্য পাঠাবার ঠিকানা : বাংলাবাজার জামে মসজিদ ইনক, ১৩৫১, ওডেল স্ট্রিট, ব্রঙ্কস, নিউইয়র্ক – ১০৪৬২, ফোন : ৩৪৭-২৯৩-৫৮৫৮।
বাংলাবাজার জামে মসজিদ ইনক্, চেজ ব্যাংক এন.এ. হিসাব নং : ১৭৮ ৭৩২ ৯০৬, রাউটিং নং : ০২১০০০০২১ এবং gofundme, Zelle.
উল্লেখ্য, নিউইয়র্কের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবী মরহুম আলহাজ গিয়াস উদ্দিনের প্রচেষ্টায় ব্রঙ্কসে বাঙালীদের অন্যতম ব্যবসা কেন্দ্র স্টারলিং-বাংলাবাজার এলাকায় ২০১২ সালের ১৪ ডিসেম্বর ভাড়া বাড়িতে বাংলাবাজার জামে মসজিদের যাত্রা শুরু হয়। পরের বছরের মাঝামাঝি ৫ লাখ ১০ হাজার ডলার মূল্যে মসজিদের বর্তমান নিজস্ব ভবণটি ক্রয় করা হয়। গত ২০২৩ সালে বাংলাবাজার জামে মসজিদের জন্য ১.৫২৫ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে মসজিদের পার্শ্ববর্তী ৫ হাজার স্কয়ারের খালি জায়গা ১.৫২৫ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে ক্রয় করা হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
রিদম অফ লাইফ শিরোনামে প্রতি বছরের মতো এবারো জার্মানির বাণিজ্যিক রাজধানী ফ্রাঙ্কফুর্টে শুরু হলো বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ভোক্তা পণ্য বাণিজ্য মেলা ‘অ্যাম্বিয়েন্তে ২০২৫’। ফ্রাঙ্কফুর্টের আন্তর্জাতিক মেসেতে ৭ ফেব্রুয়ারি আয়োজিত এ মেলা শুরু হয়।
মেলার আয়োজক জার্মানি ছাড়াও বিশ্বের প্রায় কয়েক লাখ দর্শনার্থী এবং চার হাজারের বেশি উদ্যােক্তা, প্রস্তুতকারক, চিন্তক, ডিজাইনার ও প্রদর্শক মেলায় অংশ নিচ্ছে। বরাবরের মতো বাংলাদেশও আছে। দেশের ৪২টি প্রতিষ্ঠান বিশ্বখ্যাত এইমেলায় তাদের তৈরি নানা পণ্য প্রদর্শন করছে। যার মধ্যে ১২টি প্রতিষ্ঠান দেশের রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) অধীনে। আর বাকিগুলো ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগে।
বাংলাদেশের অংশগ্রহণের গুরুত্ব তুলে ধরে বার্লিনে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্য আফেয়ার্স রাহাত বিন জামান বলেন, অ্যাম্বিয়েন্তের মতো আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলাগুলোতে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ দেশের রপ্তানি পণ্যে তো বটেই, সামগ্রিক অর্থনীতি ও দেশের ভাবমূর্তির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জার্মানিতে বাংলাদেশ দূতাবাস সবসময়ের মতো বাংলাদেশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশে থেকে আন্তর্জাতিক যেকোনো মেলায় অংশগ্রহণ নিশ্চিতে সার্বিক সহায়তা করে যাবে।
বাংলাদেশ দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর চৌধুরী মোহাম্মদ গোলাম রাব্বী বলেন, অ্যাম্বিয়েন্তে মেলা বিশ্বের বৃহত্তম ভোক্তা পণ্য বাণিজ্য মেলা, যেখানে বাংলাদেশের দৃঢ় উপস্থিতি আন্তর্জাতিক বাজারে দেশের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করছে। এবারের মেলায় হস্তশিল্প, সিরামিকস ও কুকওয়্যারসহ বিভিন্ন বৈচিত্র্যময় পণ্য প্রদর্শিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, পণ্য বহুমুখীকরণই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ বাণিজ্য সম্প্রসারণের মূল কৌশল এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও EPB-এর সহযোগিতার মাধ্যমে আগামী বছরগুলোতে বাংলাদেশ যাতে আরো বহুমুখী পণ্য নিয়ে এ মেলায় অংশগ্রহণ করতে পারে, আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।
এবারের মেলায় দেশের পণ্যের উচ্চমান ও পরিবেশবান্ধব হস্তশিল্পের পাশাপাশি বাংলাদেশি সিরামিকস, যা নান্দনিকতা ও টেকসই মানের জন্য পরিচিত, বৈশ্বিক খুচরা ক্রেতা, বিক্রেতা ও পরিবেশকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মেলা চলবে।
অনলাইন ডেস্ক :
ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে ‘সেন্টার কালচারাল মুসলমান ইডিএফর উদ্যোগে ঈদ পুনর্মিলনী ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। বণার্ঢ্য আয়োজনে প্যারিসের উপকণ্ঠ স্তা-তে এই আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ কমিউনিটি মসজিদ ও কালচারাল সেন্টারের হলরুম পরিণত হয় প্রবাসীদের মিলমেলায়। দুই পর্বের এই অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছিলো অন্যতম আকর্ষণ।
সাংস্কৃতিক বিভাগের সহকারী পরিচালক সাংবাদিক মুহাম্মদ নূরুল ইসলাম ও শিল্পী ওমর ফারুকের যৌথ পরিচালনায় প্যারিস শিল্পী গোষ্ঠী ও প্যারিস থিয়েটারের যৌথ পরিবেশনায় গান, কবিতা আবৃত্তি, দর্শক পর্ব ও নাটিকায় মুগ্ধ হয়েছেন প্রবাসীরা।
প্রথম পর্বের অনুষ্ঠানে ইমরান আহমেদের পরিচালনায় ও গোলাম ফারুক ভুঁইয়ার সভাপতিত্বে কুরআনে হাকীম থেকে তেলাওয়াত করেন হাফেজ কারী বেলায়েত হোসাইন খান। বক্তব্য রাখেন সেন্টার সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সালাহউদ্দিন, সিসিএএম সভাপতি নুরুল ইসলাম, ঈদ অনুভূতি ব্যক্ত করেন তোফায়েল শিপু, সাকিব সিদ্দিকী, সোহেল আহমেদ, হাবীবুল্লাহ বাহার, সাইফুর রহমান, নাজমুল ইসলাম কোরেশি প্রমুখ প্রবাসীরা।
অনলাইন ডেস্ক :
সিডনিতে পবিত্র ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হয়েছে। সিডনির সাউথ ওয়েষ্ট এলাকার অন্যতম বৃহত্তম বাংলাদেশিদের সংগঠন অস্ট্রেলিয়ান মুসলিম ওয়েলফেয়ার সেন্টার মঙ্গলবার পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাতের আয়োজন করে। সংগঠনটি চাঁদ দেখার ওপর জামাতের তারিখ নির্ধারণ করে। অস্ট্রেলিয়ান মুসলিম ওয়েলফেয়ার সেন্টারের আয়োজনে মিন্টুস্থ ভিক্টোরিয়া পার্কে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
নামাজে কয়েক হাজার মুসল্লির উপস্থিতি মুসলিম ঐক্যের মহামিলনে পরিণত হয়। ঈদের নামাজে বিশ্বের মুসলমানদের জন্য বিশেষ প্রার্থনা ও বিশ্বব্যাপী মুসলিম উম্মাহর শান্তি, কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। সকাল সাড়ে ৮টায় সেন্টার আয়োজিত এই ঈদের জামাতের ইমামতি করেন হাফেজ মাওলানা আবদুল হাদি তানভীর।
ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ফেডারেল এমপি ডা. মাইক ফ্রিল্যান্ডার ও ক্যাম্বেলটাউন সিটি কাউন্সিল মেয়র ডারসি লাউন্ড। সংগঠনের সভাপতি ড. আনিছুল আফছার ও সাধারণ সম্পাদক সাদিকুর খান মুন তাদের শুভেচ্ছা বক্তব্যে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান।
অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশি কানাডিয়ান তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। একাকীত্ব, বর্ণবৈষম্য, অর্থনৈতিক চাপ, অভিভাবকত্বের সমস্যা, শিক্ষাগত চাপ এবং প্রযুক্তির অতিরিক্ত ব্যবহারের মতো বিভিন্ন কারণে তরুণরা মানসিক সমস্যায় ভুগছে। এই বিষয়ে সচেতনতা তৈরি ও সমাধানের পথ খুঁজতে বেঙ্গলি ইনফরমেশন অ্যান্ড এমপ্লয়মেন্ট সার্ভিসেস (বিআইইএস) একটি আলোচনা সভার আয়োজন করে।
কানাডার স্থানীয় সময় ১৭ জানুয়ারি সংগঠনের ডেনফোর্থস্থ অফিসে আয়োজিত ‘বাংলাদেশি কানাডিয়ান তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্যের চ্যালেঞ্জ এবং উত্তরণের পথ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। বিআইইএস-এর নির্বাহী পরিচালক ইমাম উদ্দিনের সঞ্চালনায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন সংগঠনের প্রেসিডেন্ট নিজাম উদ্দিন।
আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বিশিষ্ট সাংবাদিক শওগাত আলী সাগর, সোশ্যাল ওয়ার্কার নেসার আহমেদ, বিআইইএস-এর জেনারেল সেক্রেটারি ড. মাহতাব শাওন, বাংলাদেশি চিকিৎসক হুমায়রা তাহিতি, ব্যবসায়ী আজিম উদ্দিন আহমেদ, তরুণদের প্রতিনিধি ফাতেমা সরকার, উন্নয়ন কর্মী রীনা সেন গুপ্তা এবং বিআইইএস-এর পরিচালক গোলাম মোস্তফা।
বিআইইএস প্রেসিডেন্ট নিজাম উদ্দিন তার মূল বক্তব্যে উল্লেখ করেন, মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যাগুলো লুকিয়ে রাখা, অভিভাবকত্বের অভাব, ভিন্ন সংস্কৃতির সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর চ্যালেঞ্জ এবং সচেতনতার অভাব তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য সংকটের মূল কারণ। তিনি কমিউনিটি-ভিত্তিক মেন্টাল হেলথ প্রোগ্রাম চালু, সচেতনতা বৃদ্ধি এবং কালচারালি উপযোগী সেবা প্রদান করার সুপারিশ করেন।
সাংবাদিক শওগাত আলী সাগর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চতর শিক্ষাকার্যক্রমে পড়াশোনার চাপ অনেক তরুণকে হতাশাগ্রস্ত করছে। তিনি অভিভাবকদের প্রতি সন্তানদের সমস্যা গভীরভাবে বোঝার এবং তাদের পাশে থাকার আহ্বান জানান। ব্যবসায়ী আজিম উদ্দিন আহমেদ মানসিক স্বাস্থ্য সংকট মোকাবিলায় পলিসি লেভেলে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সোশ্যাল ওয়ার্কার নেসার আহমেদ উল্লেখ করেন, কমিউনিটির মধ্যে এখনও মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়টি গ্রহণযোগ্য নয়। তরুণদের জন্য কার্যকর কাউন্সেলিং সেবা এবং কমিউনিটি রিসোর্স ব্যবহারের ওপর জোর দেন তিনি।
তরুণদের প্রতিনিধি ফাতেমা সরকার বলেন, অভিভাবকরা আমাদের বোঝেন না, ভয় দেখান। তাদের উচিৎ আমাদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ হওয়া এবং মন খুলে কথা বলার পরিবেশ তৈরি করা।
সবশেষে, বক্তারা বাংলাদেশি কানাডিয়ান তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে কমিউনিটি সংগঠনগুলোর সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান।