হাকিকুল ইসলাম খোকন:
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে গত ২০ জানুয়ারি সন্ধ্যায় নিউইয়র্কে স্টেট বিএনপির উদ্যোগে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। মাওলানা সাদিকের নেতৃত্বে জ্যাকসন হাইটস মসজিদে এ মাহফিল পরিচালিত হয়। এ সময় শহীদ রাষ্ট্রপতির আত্মার মাগফেরাত এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার আরোগ্য কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএসএমএমইউর প্রক্টর ডা. শেখ ফরহাদ। বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা এবং আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার জিয়াউর রহমানের জীবন ও আদর্শ উপস্থাপন করেন।
প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের পররাষ্ট্র সম্পর্কিত উপদেষ্টা কমিটির অন্যতম সদস্য গোলাম ফারুক শাহীন। তিনি বলেন, স্বৈরাচার মুক্ত হলেও বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কাজ এখনও শেষ হয়নি। এজন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে এবং দেশের স্বজনকে বিএনপির কর্মসূচির সাথে একাত্ম থাকতে হবে। এটাই হচ্ছে সময়ের দাবি।
সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান।
বিশেষ অতিথি ছিলেন জাহাঙ্গীর এম আলম, রুহুল আমিন সিদ্দিকি। আরো বক্তব্য রাখেন মিয়া আলিম পাখি, আমিনুল ইসলাম চৌধুরী, বদরুল হক আজাদ, মাহবুবুর রহমান মুকুল, দেওয়ান কাউসার।
নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপি এবং বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের মধ্যে আরো ছিলেন মো. দেলোয়ার হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মাইন উদ্দিন মিয়াজী, মোহাম্মদ আবুল কালাম, রুহুল আমিন, সেলিম আহমদ, মনির হোসেন, মামুন হোসেন বিপ্লব, সাইদুজ্জামান রিঙ্কু, জাকির হোসেন, রাহিমুল আলম প্রিন্স, আব্দুল করিম ও মো. ফয়সাল হোসেন।
হাকিকুল ইসলাম খোকন :
পোশাক শিল্পের নতুনত্বে ফ্যাশন ডিজাইনারদের অবদান অনস্বীকার্য।পোশাকের মাধ্যমে মানুষের রুচিশীল মনোভাব ব্যক্তিত্ব ও রুচিবোধের প্রকাশ পেয়ে থাকে। আর তাই ফ্যাশন নিয়ে অন্ত নেই গবেষণার। সময়ের সাথে ছুটে চলেছেন ফ্যাশন অনুসারীরা তাদের পছন্দের ডিজাইনারদের সৃষ্টি নিয়ে।ফ্যাশন এর প্রচলিত ধারা প্রতিনিয়ত বদলে দিচ্ছেন ডিজাইনাররা তাদের মেধা দিয়ে।
আত্মবিশ্বাস ও পরিবর্তনশীল চিন্তাধারায় সৃষ্টিশীল কাজ নিয়ে ডিজাইনার রোজিনা আহামেদ রুনি রয়েছেন দীর্ঘদিন যাবত এই পোশাক শিল্পে একজন সফল ফ্যাশন ডিজাইনার হিসেবে। যা তার নেশা এবং পেশা দুটোই বলা যেতে পারে।
তারই প্রেক্ষাপটে ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, রবিবার নিউইয়র্ক এর জ্যামাইকার মান্নান সুপার মার্কেট সংলগ্ন ‘জাশন’ পার্টি সেন্টারে(১৬৫-২৩ হিলসাইড এভিনিউ) দেশি গার্লস বাই মিলিয়া লেনিন আয়োজন করেছেন ডিজাইনার রুনির একক পোশাক প্রদর্শনী। এ তথ্য জানিয়েছেন সাংস্কৃতিক সংগঠক নিসার জামিল শুড্ডু। দুপুর দুটো থেকে রাত এগারোটা অবদি দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এতে সকল প্রবাসীের সাদর আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ডিজাইনার রুনি,তার এই প্রচেষ্টায় একাত্ম্য হওয়ার জন্য।
এবারে তার ফ্যাশন আয়োজনে রয়েছে ট্র্যাডিশনাল ক্ল্যাসিক, রেট্রো, ফিউশন, আংরাখা, বক্স প্লিটেড সহ বৈচিত্র্যময় নানা প্যাটার্নের সালোয়ার-কামিজ, ডাবল লেয়ারড সালোয়ার-কামিজ, লং-কুর্তি, রেগুলার কুর্তি, টপস, ডাবল লেয়ারড কুর্তি, টিউনিক, কাফতান, প্যান্টসহ টপস, টপস-স্কার্ট।
শাড়ির বৈচিত্র্যপূর্ণ ডিজাইনে থাকছে মোটিফের ব্যবহার, কালার কম্বিনেশন সহ আরো নানা আকর্ষণীয় ডিজাইন। আপনাদের উপস্থিতি ডিজাইনার রুনি’র উৎসাহের উৎস হয়ে থাকবে বলে আয়োজকদের বিশ্বাস।
অনলাইন ডেস্ক :
২৬তম অস্ট্রেলিয়ান জাতীয় স্কাউট জাম্বুরিতে অংশ নিয়েছেন ৬ জন প্রবাসী স্কাউট লিডার। ৬ থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনে অনুষ্ঠিত জাম্বুরিতে ৩৩টি দেশের স্কাউট প্রতিনিধি দল যোগদান করছেন।
জাম্বুরিতে ১২ জানুয়ারি রবিবার বাংলাদেশ স্কাউটস ফাউন্ডেশনের সদস্য ও বাইসাইকেলে বিশ্ব ভ্রমণকারী মো. আলাউদ্দিন আলোক (উডব্যাজার) এর নেতৃত্বে ৬ সদস্যের একটি বাংলাদেশি স্কাউটার প্রতিনিধি দল অংশ নেন। টিমের অন্য সদস্যরা হলেন মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান এএলটি, সরদার মোহাম্মদ খালেদ পিএস পিআরএস, মোঃ দেলোয়ার হোসেন উডব্যাজার ও সদস্য, বাংলাদেশ স্কাউটস ফাউন্ডেশন, সরকারী তিতুমীর কলেজের সাবেক সিনিয়র রোভার মেট আব্দুল করিম ভূঁইয়া এবং মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বাপ্পী।
মো. আলাউদ্দিন আলোক জানান, পৃথিবীর ১৭৪টি দেশকে নিয়ে গঠিত বিশ্ব স্কাউট সংস্থা। এর প্রতিটি দেশের স্কাউটরা বিশ্বভ্রাতৃত্ত্বের বন্ধনে আবদ্ধ। বিশ্ব ব্যক্তিত্বের এই বন্ধনকে সুদৃঢ় করতে এবং পারস্পরিক ভাবের আদান প্রদান করতে জাম্বুরিতে অংশগ্রহণ একটি সুবর্ণ সুযোগ। এই জাম্বুরিতে অংশগ্রহণ করে আমরা সুযোগ পেয়েছি বাংলাদেশের ইতিহাস ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরার।
অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশি কানাডিয়ান তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। একাকীত্ব, বর্ণবৈষম্য, অর্থনৈতিক চাপ, অভিভাবকত্বের সমস্যা, শিক্ষাগত চাপ এবং প্রযুক্তির অতিরিক্ত ব্যবহারের মতো বিভিন্ন কারণে তরুণরা মানসিক সমস্যায় ভুগছে। এই বিষয়ে সচেতনতা তৈরি ও সমাধানের পথ খুঁজতে বেঙ্গলি ইনফরমেশন অ্যান্ড এমপ্লয়মেন্ট সার্ভিসেস (বিআইইএস) একটি আলোচনা সভার আয়োজন করে।
কানাডার স্থানীয় সময় ১৭ জানুয়ারি সংগঠনের ডেনফোর্থস্থ অফিসে আয়োজিত ‘বাংলাদেশি কানাডিয়ান তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্যের চ্যালেঞ্জ এবং উত্তরণের পথ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। বিআইইএস-এর নির্বাহী পরিচালক ইমাম উদ্দিনের সঞ্চালনায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন সংগঠনের প্রেসিডেন্ট নিজাম উদ্দিন।
আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বিশিষ্ট সাংবাদিক শওগাত আলী সাগর, সোশ্যাল ওয়ার্কার নেসার আহমেদ, বিআইইএস-এর জেনারেল সেক্রেটারি ড. মাহতাব শাওন, বাংলাদেশি চিকিৎসক হুমায়রা তাহিতি, ব্যবসায়ী আজিম উদ্দিন আহমেদ, তরুণদের প্রতিনিধি ফাতেমা সরকার, উন্নয়ন কর্মী রীনা সেন গুপ্তা এবং বিআইইএস-এর পরিচালক গোলাম মোস্তফা।
বিআইইএস প্রেসিডেন্ট নিজাম উদ্দিন তার মূল বক্তব্যে উল্লেখ করেন, মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যাগুলো লুকিয়ে রাখা, অভিভাবকত্বের অভাব, ভিন্ন সংস্কৃতির সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর চ্যালেঞ্জ এবং সচেতনতার অভাব তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য সংকটের মূল কারণ। তিনি কমিউনিটি-ভিত্তিক মেন্টাল হেলথ প্রোগ্রাম চালু, সচেতনতা বৃদ্ধি এবং কালচারালি উপযোগী সেবা প্রদান করার সুপারিশ করেন।
সাংবাদিক শওগাত আলী সাগর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চতর শিক্ষাকার্যক্রমে পড়াশোনার চাপ অনেক তরুণকে হতাশাগ্রস্ত করছে। তিনি অভিভাবকদের প্রতি সন্তানদের সমস্যা গভীরভাবে বোঝার এবং তাদের পাশে থাকার আহ্বান জানান। ব্যবসায়ী আজিম উদ্দিন আহমেদ মানসিক স্বাস্থ্য সংকট মোকাবিলায় পলিসি লেভেলে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সোশ্যাল ওয়ার্কার নেসার আহমেদ উল্লেখ করেন, কমিউনিটির মধ্যে এখনও মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়টি গ্রহণযোগ্য নয়। তরুণদের জন্য কার্যকর কাউন্সেলিং সেবা এবং কমিউনিটি রিসোর্স ব্যবহারের ওপর জোর দেন তিনি।
তরুণদের প্রতিনিধি ফাতেমা সরকার বলেন, অভিভাবকরা আমাদের বোঝেন না, ভয় দেখান। তাদের উচিৎ আমাদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ হওয়া এবং মন খুলে কথা বলার পরিবেশ তৈরি করা।
সবশেষে, বক্তারা বাংলাদেশি কানাডিয়ান তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে কমিউনিটি সংগঠনগুলোর সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান।
হাকিকুল ইসলাম খোকন
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও প্রতিষ্ঠাতা মহিলা সম্পাদক আইরিন পারভীন এবং বিশিষ্ট শিল্পপতি গানিউর রহমানের তনয়া ডাঃ রুকসানা রহমানের সাথে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের অন্যতম উপদেষ্টা ও বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান প্রয়াত ড. খন্দকার মনসুর এবং মেরী মনসুর এর তনয় ড. কাবিড মনসুর এর বিবাহ উত্তর সংবর্ধনা ২৯ ডিসেম্বর রবিবার নিউইর্য়ক এর লং আইল্যান্ডের একটি অভিজাত পার্টি হলে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে প্রবাসের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের এবং কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, লেখক, শিল্পী ও কলাকুশলী সহ প্রায় দুই শতাধিক আমন্ত্রিত অতিথি উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
বাঙালির ঐহিত্যবাহী পিঠাকে প্রবাস প্রজন্মের সাথে পরিচিত রাখতে মনোজ্ঞ এক উৎসবের আয়োজন করেছিল নিউইয়র্ক অঞ্চলে বহুল পরিচিত ‘বহ্নিশিখা সঙ্গীত নিকেতন’।
জ্যাকসন হাইটসে জুইস সেন্টারে ২৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার বিপুলসংখ্যক প্রবাসীর সমাগমে শুরুতেই পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা লাবলু আনসার। এ সময় পাশে ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা রাশেদ আহমেদ এবং আবুল বাশার চুন্নু। হোস্ট সংগঠনের প্রধান ড. সবিতা দাস, শাকিলা রুনা, রুনা রায়, মুনমুন সাহা প্রমুখ।
বিজয় দিবসের সংক্ষিপ্ত আলোচনায় অংশ নেন এলাকার স্টেট অ্যাসেম্বলীম্যান স্টিভ রাগা, কম্যুনিটি লিডার ডা. প্রভাত চন্দ্র দাস, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাশার চুন্নু। বিভিন্ন পর্বে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশের ফাঁকে হোস্ট সংগঠন এবং নিরন্তরভাবে কর্মরতদের মধ্যে স্টেট অ্যাসেম্বলীর পক্ষ থেকে বিশেষ সম্মাননাপত্র বিতরণ করেন অ্যাসেম্বলীম্যান স্টিভ রাগা।
বহ্নিশিখার শিক্ষার্থীসহ কর্মকর্তারা সমবেত কন্ঠে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের পর সকলে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে। এরপর শুরু হয় বিজয় দিবসের আলোকে শিশু-কিশোরদের নৃত্য, সঙ্গীত, কবিতা পাঠ ও আবৃত্তি। ছিল মুক্তিযুদ্ধ ও বাঙালি ঐতিহ্য আলোকে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতাও।
একক, দ্বৈত, সমবেত সঙ্গীতে অংশ গ্রহণ করেন ড. সবিতা দাস, রুনা রায়, জুলি খাস্তগীর, ইমন বিশ্বাস, পূজিতা দাস, শিলা চন্দ, সুশীল সিনহা, প্লামী দাস, শাকিলা রুনা, মাধু রায়সহ আরো অনেকে।