সফিকুল ইসলাম বাদল, নবীনগর :
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য, কুমিল্লা বিভাগীয় বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সুর্যসেন হলের জিএস ও নবীনগর মহিলা কলেজের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি সায়েদুল হক সাঈদ উদ্যোগ নিয়ে নবীনগর বাসীর সেবায় নিয়োজিত থাকছেন। নিজস্ব অর্থায়নে এই মানুষটি নবীনগর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অসহায় মানুষের চিকিৎসা সেবায় ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও ওষুধ বিতরণের পাশাপাশি এবার তিনি প্রায় তিন শতাধিক অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য কম্বল বিতরণ করছেন।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মদিন উপলক্ষে নবীনগর উপজেলার পূর্ব এলাকার শিবপুর বাজার সংলগ্ন নুরনগর সাংবাদিক ফোরাম কার্যালয়ের সামনে এসব কম্বল তুলে দেয়া হয় সুবিধা বঞ্চিত সাধারণ মানুষের হাতে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে এইসব কম্বল বিএনপি নেতা সাঈদ এর অর্থায়নে বিতরণ করেন স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা। কম্বল বিতরণ সম্পর্কে মুঠোফোনে সায়েদুল হক সাঈদ বলেন, আমি শহিদ জিয়ার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বিগত দিনে রাজনীতি করেছে, ভবিষ্যতেও করবো। নবীনগরের মানুষের জন্য কিছু করতে পারলে মনে আনন্দ পাই,তাই চেষ্টা করি তাদের পাশে থাকার। ভবিষ্যতে ধারাবাহিকতা ধরে রেখে মানুষের জন্য যেন কাজ করতে পারি সেজন্য আমি আমার প্রাণের স্পন্দন নবীনগর বাসীর দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করছি।
এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যাকুট ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলী আহাম্মদ, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, নাটঘর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু হানিফ মোল্লা, বড়াইল উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মোজাম্মেল হক, উপজেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহবায়ক হুমায়ুন কবির, উপজেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহবায়ক মনির হোসেন সরকার, নাটঘর ইউনিয়ন বিএনপির সহ সভাপতি আমিনুল মহাজন, বিদ্যাকুট ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আমান উল্লা বাচ্ছু, বিটঘর ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ফোরকান ভূঁইয়া, শেখ ফরিদ আহমেদ, কাজী আল রাজিব, মো. বসির মিয়া, রিয়াদ ইসলাম ফুরকান, আব্দুল আলিম প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর উপজেলায় প্রীতি ফুটবল ম্যাচে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ফুটবল একাডেমিকে ২-০ গোলে হারিয়ে বিজয়ী হয়েছে ব্যারিস্টার হাবিবুর রহমান হাবিব ফুটবল একাদশ।
আজ ১৭ জুন শনিবার বিকেলে উপজেলার রসুল্লাবাদ ইউনিয়ন কালঘরা খেলার মাঠে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার হাবিবুর রহমানের আয়োজনে অর্ধলাখ দর্শকের সমাগমে টান টান উত্তেজনায় এই প্রীতি ফুটবল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়।
খেলা উপভোগ করতে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জনপ্রিয় ব্যক্তি ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে এক নজর দেখতে নবীনগর উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অর্ধলাখ দর্শকের সমাগমে ম্যাচটি আরও উপভোগ্য হয়ে উঠে।
প্রীতি ফুটবল ম্যাচে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহমান, সাবেক ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ডা. শফিকুর রহমান, রসুল্লাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খন্দকার মনির হোসেন, এনটিভির বিশেষ প্রতিনিধি হাসান জাবেদ, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শামস আলম প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
সমাজকল্যাণের ব্রত নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের বাঘাউড়া গ্রামে যাত্রা শুরু করেছে বাঘাউড়া প্রবাসী সমাজকল্যাণ সংগঠন। গ্রামটির সব প্রবাসীদের উদ্যোগে ও নিরলস পরিশ্রমের পর আত্মপ্রকাশ করেছে সংগঠনটি।
আজ ২৮ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সংগঠনটি ও একটি পাঠাগার উদ্বোধন করা হয়েছে। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পাঠাগারটি উদ্বোধন করেন গ্রামটির কৃতি সন্তান, শিবপুর ইউনিয়নের সাবেক সফল চেয়ারম্যান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শাহীন সরকার।
সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের সেবার পাশাপাশি সংগঠনটি গ্রামের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ভৌত অবকাঠামোর উন্নয়নেও ভূমিকা রাখবে। গ্রামের জ্ঞানপিপাসু শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের জ্ঞানের পরিধি বাড়ানোর লক্ষ্য পাঠাগারটি স্থাপন করা হয়েছে। সংগঠনের সদস্যদের আশা, এই পাঠাগারটি শিক্ষার্থীসহ সব বয়সের মানুষের মধ্যে বই পড়ার আগ্রহ গড়ে তুলবে।
ইতোমধ্যে এই সংগঠনের উদ্যোগে গ্রামের কবরস্থানের দেয়ালে টাইলসকরণ করা হয়েছে। এছাড়া, দুঃস্থ মানুষের সহায়তায় তাদের আর্থিকভাবে সহযোগিতা করা হয়েছে। একটি গৃহহীন পরিবারকে ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মো. শাহীন সরকার তার বক্তব্যে বলেন, শুরু থেকেই গ্রামের মাদরাসা ও কবরস্থানের বিভিন্ন কাজে তাদের অনেক ভূমিকা আছে। তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা আগামীতে আরও ভালো ভালো কাজ করবে বলে বিশ্বাস করি। যারা প্রবাসে থেকে গ্রামের উন্নয়নের জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়েছে তাদের জন্য আমরা দোয়া করব ও যেকোনো সময়ে যেকোনো সহযোগিতায় আমরা তাদের পাশে থাকব।
তিনি আরও বলেন, এখন আমরা গ্রামবাসী গ্রামের উন্নয়নে কাজ করছি, পাশাপাশি তারা প্রায় দুই শতাধিক যুবক মিলে গ্রামের উন্নয়নে অবদান রাখছে। আমরা সব গ্রামবাসী তাদের এই মহৎ উদ্যোগের জন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকব।
সংগঠনের কর্মপরিকল্পনা ও পাঠাগার স্থাপনের বিষয়ে সংগঠনটির কুয়েত প্রবাসী সদস্য মো. নাহিদ মিয়া মোবাইলফোনে বলেন, শিক্ষা থেকে শুরু করে সমাজের সব উন্নয়নমূলক কাজ করার লক্ষ্য নিয়ে এই সংগঠনের যাত্রা শুরু করা। এখানে গরিব মানুষকে সহায়তার পাশাপাশি গরিব শিক্ষার্থীদেরও শিক্ষাকার্যক্রম চালিয়ে নেওয়ার জন্য সব ধরনের সহায়তা করা হবে। সবাইকে বইমুখি করতে আমাদের পাঠাগারে বিভিন্ন ধরনের বইয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতে করে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ সবাই উপকৃত হবে বলে আশা করি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সংগঠনের আরও একটি উদ্দেশ্য আছে, সেটি হলো একতা। গ্রামের সবাই বিশেষ করে সব প্রবাসীদের ঐক্যবদ্ধ করতে আমাদের এই সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করা। এখানে সবাই ব্যক্তিগত স্বার্থ বাদ দিয়ে সবার জন্য কাজ করবে। তাই সংগঠনে আমরা কাউকে কোনো পদ-পদবি দিচ্ছি না। এখানে সবাই সমান।
অনুষ্ঠানে সুহেল মেম্বারের সভাপতিত্বে ও হাফেজ মাওলানা সাইফুল ইসলাম মোল্লার সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন মিরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণকান্ত দেবনাথ, শিবপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মো. জাকির হোসেন, মো. আব্দুল হক সাহেব, মো. বাছির মিয়া, শহীদ মিয়া, কালন সর্দার, ডা. রুকুনুজ্জামানসহ আরও অনেকে। মিলাদ ও দোয়া পরিচালনা করেন মুফতি আবুল হাসেম কাসেমী সাহেব।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে বাদশা মিয়া (১৭) নামক এক কিশোরকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করেছে বখাটেরা। মেয়েকে উত্যক্ত করার জের ধরে এ খুনের ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এ ঘটনায় আরো চারজন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে দু’জনকে আশংকাজনক অবস্থায় কুমিল্লা ও ঢাকায় প্রেরণ করা হয়।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার সলিমগঞ্জ ইউনিয়নের বাড্ডা গ্রামের পশ্চিম পাড়ায় আবু কালাম মিয়ার প্রতিবেশী মিয়াদের বাড়িতে ঢাকা থেকে এক কিশোরী মেয়ে সম্প্রতি বেড়াতে আসেন। মেয়েটির সাথে গ্রামের অনিক ও তার বন্ধুরা সম্পর্ক তৈরির চেষ্টা চালায়। অন্যদিকে গ্রামের সাইফুল, জিহাদ, তারেক ও তার বন্ধুরা মেয়েটির সাথে কথা বলতো। শুক্রবার মেয়েটির সাথে কথা বলা নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এসময় একটি দাওয়াতে গ্রামের বাহিরে ছিল বাদশা মিয়া। বিষয়টি মিমাংসার জন্য গ্রামের মুরুব্বিদের অবগত করা হলেও তারা কোন পদক্ষেপ নেয়নি।
শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে অনিকের পক্ষের লোকজন বাড্ডা পশ্চিম পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে চায়ের দোকানে গিয়ে মেয়েটির খোঁজ নিতে গিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এসময় অনিকের লোকজনের অতর্কিত হামলায় সাইফুল গুরুতর আহত হলে বাদশা চিৎকার দিলে হামলাকারীরা তাকে উপর্যপুরি কুপিয়ে মারাত্মক ভাবে আহত করে। একে একে তারেক ও জিহাদকে কোপায়। গুরুতর আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা ও ঢাকায় প্রেরন করে। ঢাকায় নেওয়ার সময় পথিমধ্যে বাদশা মিয়া মারা যায়।
এ ঘটনায় ২১জনের নাম উল্লেখ করে নিহতের বোন পপী আক্তার বাদী হয়ে নবীনগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। পুলিশ এ ঘটনায় এ পর্যন্ত রাসেল মিয়া (৩২), ইউনুস মিয়া (৩৫), শাকিল আহমেদ (১৯) ও মাসুদ মিয়া (২০) নামে এজহার নামীয় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
মামলার বাদী পপি আক্তার জানান, আমাদের তিন বোনের মাঝে একমাত্র ভাই বাদশা। ভাই বিদেশ যাওয়ার কথা ছিলো কয়েক মাসের ভিতরে। আমার ভাই মেয়ের ঘটনার সাথে জড়িত না। তারা আমার ভাইকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে ।
নবীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সিরাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, একটি মেয়েকে উত্যক্ত করার জের ধরেই বাদশাকে খুন করা হয়েছে। এ ঘটনায় অনিককে প্রধান করে ২১ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকীদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে।’ নিহতের মরদেহ জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ময়নাতদন্তের শেষে পরিবারের নিকট লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর উপজেলার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম ছিল নদীপথ। তখন তিতাস ও বুড়ি নদী পানিতে ছিলো টইটম্বুর। বর্ষা মৌসুমে দু’কূল উপচে পানি খালবিল, মাঠঘাট, হাওড় বিলে গিয়ে পড়ত। বারো মাসই এলাকার মানুষের যোগাযোগের একমাত্র ভরসা ছিল নৌযান। কিন্তু এখন ভরা বর্ষা মৌসুমেও সেই নদীতে পানি থাকে না বললেই চলে। পলি জমে কোথাও কোথাও ভরাট হয়ে গেছে। কোথাও আবার ধান চাষ হচ্ছে। হাট-বাজার ও বাসা-বাড়ির ময়লা-আবর্জনা নদীতে ফেলা হচ্ছে। ফলে এক সময়ের প্রমত্তা তিতাস ও বুড়ি নদী এখন মরা খাল আর ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। একসময় দিনরাত তিতাস ও বুড়ি নদীতে উত্তাল ঢেউ আর জাহাজের সাইরেন শোনা গেলেও এখন এর অস্তিত্বই হারিয়ে যেতে বসেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সহ নবীনগর উপজেলায় উন্নয়নের নামে ফসলি জমি ও খাল-বিল দখল করে সড়ক, স্থাপনা, বসতবাড়ি, হোটেল ও ফল ব্যবসায়ীরা বর্জ্য ফেলার কারনে তিতাস ও বুড়ি নদী এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজীব চৌধুরী নবীনগর উপজেলায় যোগদান করার পর নবীনগর উপজেলা সহ নবীনগর পৌর প্রশাসকের দ্বায়িত্ব নেয়ার পর তিতাস ও বুড়ি নদী রক্ষায় নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। যোগদানের মাত্র কয়েক মাসেই সামাজিক নানা ইস্যুতে কাজ করছেন তিনি। নবীনগর সদরের তিতাস ও বুড়ি নদীকে আগের রূপে ফিরিয়ে আনতে তিনি এলাকার স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়ে, আবার কখনো একাই তিতাস ও বুড়ি নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে দাঁড়িয়ে যান। নবীনগর সদর বাজারের ঘুরে ঘুরে নদী রক্ষায় জনসচেতনতা মূলক লিফলেট বিতরন করে বেহাল দশার চিত্র তুলে ধরছেন জাতীয় গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে।
সম্প্রতি ইউএনও রাজীব চৌধুরী কে দেখা যায়, নবীনগর পৌর সভার উদ্যোগে তিতাস ও বুড়ি নদীর পৌর সদরের শহর রক্ষা বাধে ফেলা ময়লা পরিস্কার করছেন। এবং নদীর পাড়ে জনসচেতনতামূলক ব্যনার টানিয়ে পৌর ডাস্টবিনে নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা ফেলার জন্য বিনীতভাবে আহ্বান জানাচ্ছেন।
স্থানীয় সূধি সমাজের নেতৃবৃন্দরা জানান, তিতাস ও বুড়ি নদীর নাব্যতা সংকটে যখন হারিয়ে যেতে বসেছে তখন ইউএনও রাজীব চৌধুরী সদরের শহর রক্ষা বাধের ময়লা আবর্জনা স্তূপ পরিস্কার করে বিভিন্ন পয়েন্টে ভ্রাম্যমাণ ডাস্টবিন স্থাপন করে সচেতনা মূলক লিফলেট বিতরণ করছেন। তিনি একাই দায়িত্ব নিয়ে নদী রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছেন। আমাদের উচিত ইউএনও রাজীব চৌধুরীর পাশে দাঁড়ানো।
এ বিষয়ে নবীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক রাজীব চৌধুরী বলেন,‘নদী বাঁচলে নবীনগর বাঁচবে’ প্রতিপাদ্যকে উপজীব্য করে নবীনগর পৌরসভার উদ্যোগে তিতাস নদীকে দূষণমুক্ত করতে আমরা উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। তিতাস পাড়ের ময়লা প্রতিদিন পৌরসভার ডাম্পিং স্পটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। নদী পাড়ে সরবরাহ করা হয়েছে পর্যাপ্ত ডাস্টবিন। সচেতনতামূলক কার্যক্রম হিসেবে ব্যবসায়ীদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করেছি। বিভিন্ন জায়গায় তিতাসকে দূষণমুক্ত রাখতে সচেতনতামূলক ব্যানার টাঙানো হয়েছে। তিতাস ও বুড়ি নদী রক্ষার কার্যক্রমকে টেকসই করতে নদীর পাড়ে স্থাপন করা হচ্ছে ১৬ টি সিসি ক্যামেরা। তিতাস ও বুড়ি নদী রক্ষায় নবীনগর উপজেলা ও পৌরবাসীর সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ৩০ এপ্রিল রবিবার কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন নবীনগরে ৬১ টি কেন্দ্রে সম্পূর্ণ সিসি ক্যামেরার আওতাধীন পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে শুরু হয়েছে ২০২৩ সালের এস.এস.সি, দাখিল ও সমমানের পরীক্ষা।
এ বছর নবীনগর উপজেলার দশটি কেন্দ্রে ৬,০২৪ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও অংশ গ্রহণ করেন ৫,৯৪০ জন, অনুপস্থিত ছিলেন ৮৪ জন পরীক্ষার্থী। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম নবীনগর পাইলট ইচ্ছাময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও নবীনগর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল সিদ্দিক, নবীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সিরাজুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদা জাহান, নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুদ্দিন আনোয়ার, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোকাররম হোসেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় ৬১টি কেন্দ্রে সি.সি ক্যামেরার আওতায় পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে জেলা প্রশাসক বলেন নকল মুক্ত ও শান্তিপূর্ণ আইন শৃংখলা বজায় রাখার স্বার্থে এ বছর এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।