চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় ২০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ পলি আক্তার (৩০) নামে এক নারীকে গ্রেফতার করেছে বর্ডারগার্ড বিজিবি’র সদস্যরা। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার মনিয়ন্দ ইউপির শিকারমুড়া হতে ঘাগুটিয়া বিওপির টহলদল তাকে গ্রেফতার করেন।
আটককৃত পলি আক্তার কসবা উপজেলার শাহাপুর গ্রামের বাবুল মিয়ার স্ত্রী। আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে সুলতানপুর ব্যাটালিয়ন (৬০ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল এ এম জাবের বিন জব্বার বলেন, গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে ঘাগুটিয়া বিওপির সদস্যরা ওই নারী মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। তবে সাথে থাকা শিকারমুড়ার স্থানীয় বাসিন্দা হেবজু মিয়ার ছেলে কবির মিয়া (৪৫) নামে অপর মাদক চোরাকারবারি পালিয়ে যায়।
পরে আটককৃত মাদকসহ পলি আক্তারের বিরুদ্ধে মাদকের সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের পূর্বক আখাউড়া থানায় সোপর্দ করা হয়। এবং একই দায়ে পলাতক কবির মিয়ার বিরুদ্ধেও মামলা রুজু করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
গত ২৪ ঘণ্টায় মাদক ব্যবসায়ী, অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকা ও গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্তসহ ৯ জন আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরমধ্যে মাদক ব্যবসায়ী ৩ জন, গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত ৩ জন ও আবাসিক হোটেল থেকে ৩ জন রয়েছেন। এ সময় মাদক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৫৫ বোতল স্কাফ সিরাপ উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ ২৯ নভেম্বর শুক্রবার দুপুরে গ্রেফতারকৃতদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এর আগে, থানা পুলিশ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানায়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- হবিগঞ্জের মাধবপুরের পিয়াম গ্রামের জাবেদ আলীর ছেলে আলম, আখাউড়া উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের ফরিদ মিয়ার মেয়ে তিশা আক্তার, ময়মনসিংহের ফুলপুরের ছোট শুনোই গ্রামের রুকন মিয়ার স্ত্রী শান্তা, উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামের মৃত আওয়াল মিয়ার স্ত্রী রওশনা বেগম, উত্তর ইউনিয়নের চানপুর গ্রামের মৃত হামদু মিয়ার ছেলে মো. সোহেল মিয়া, পৌর এলাকার দুর্গাপুরের শামীম মিয়ার ছেলে মো. আরিফ মিয়া, তারাগন এলাকার শিপন মিয়ার স্ত্রী রুমা আক্তার, মনিয়ন্দ এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে আবুল বাশার ও একই গ্রামের মৃত অলেক মিয়ার ছেলে মো. রফিকুল ইসলাম।
পুলিশ জানায়, জেলা পুলিশের বিশেষ অভিযানের অংশ হিসেবে গোপন সংবাদের মাধ্যমে গত ২৪ ঘণ্টায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
আখাউড়া থানার ওসি মোহাম্মদ আব্দুল হাসিম বলেন, বিশেষ অভিযান চালিয়ে মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্তসহ ৯ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দিয়ে এবং গ্রেফতারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়।
তিনি আরো বলেন, আমাদের অভিযান নিয়মিত চলছে। যেকোনো মূল্যে অপরাধ নির্মূল করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ১৯৫টন ভাঙা পাথর আমদানি করা হয়েছে। আজ ২৬ আগস্ট শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আগরতলা বন্দর হয়ে ৯টি ট্রাকে করে এসব পাথর আখাউড়া স্থলবন্দর আসে।
এর মধ্য দিয়ে প্রায় দেড় মাস বন্ধ থাকার পর আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে আবারও পণ্য আমদানি শুরু হয়েছে।
পাথরগুলো আশুগঞ্জ-আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত নির্মাণাধীন চারলেন মহাসড়কের নির্মাণকারী ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এফকনস্ ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড আমদানি করেছে। আখাউড়া স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মেসার্স খলিফা এন্টারপ্রাইজ পাথরগুলো বন্দর থেকে ছাড়করণের কাজ করবে।
মেসার্স খলিফা এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি মোজাম্মেল হক জানান, বন্দর দিয়ে এক হাজার টন ভাঙা পাথর আমদানির জন্য এলসি খোলা হয়েছে। আগামী দু-একদিনের মধ্যেই বাকি পাথরগুলো চলে আসবে। এরপর বন্দর থেকে পাথর ছাড়করণের কাজ শুরু হবে।
আখাউড়া স্থলবন্দরের সুপারিনটেনডেন্ট মো. সামাউল ইসলাম জানান, গত ১০ জুলাই ভারত থেকে ১০ টন আদা আমদানি হয়েছিল। এরপর আর কোনো পণ্য আমদানি হয়নি। শনিবার সন্ধ্যায় ৯টি ট্রাকে করে ১৯৫ টন ভাঙা পাথর এসেছে। যদিও এদিন ১০টি ট্রাকে করে ২২০ টন পাথর আসার কথা ছিল। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত শুল্ক ও মাশুল পরিশোধের পর পাথর খালাস করবে।
এর আগে গত বছরের নভেম্বরে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে দুই হাজার ৭০০ টন চুনোপাথর আমদানি করেছিল এফকনস্ ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড।
চলারপথে রিপোর্ট :
এক সময় আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে অর্ধশতাধিক পণ্য ভারতে রপ্তানি হলেও এখন রপ্তানি হচ্ছে হাতে গোনা কয়েকটি পণ্য। মূলত এখন হিমায়িত মাছের ওপরই অনেকাংশে নির্ভর করে বন্দরের রপ্তানি বাণিজ্য। তবে মাছ রপ্তানি কমার কারণে ২০২২-২৩ অর্থবছরে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে রপ্তানি কমেছে ৩৭৬ কোটি ২৩ লাখ টাকার পণ্য। যা এর আগের অর্থবছরের তুলনায় ৩০৪ কোটি টাকা কম। এছাড়া তলানিতে ঠেকে আছে বন্দরের আমদানি বাণিজ্যও। ফলে আশানুরূপ রাজস্ব পাচ্ছে না বন্দর এবং শুল্ক স্টেশন কর্তৃপক্ষ।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১৯৯৪ সালে সর্বপ্রথম আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পণ্য রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথমে স্থল শুল্ক স্টেশন দিয়ে আন্তঃদেশীয় বাণিজ্য চললেও ২০০৮ সালে পূর্ণাঙ্গ বন্দর হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায় আখাউড়া স্থলবন্দর। মূলত এ বন্দর দিয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোতে পণ্য রপ্তানি হয়।
পাঁচ বছর আগেও আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে রপ্তানি হওয়া পণ্যের তালিকায় ছিল- হিমায়িত মাছ, পাথর, রড, সিমেন্ট, তুলা, ভোজ্য তেল, এলপি গ্যাস, প্লাস্টিক, শুঁটকি ও বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রীসহ অর্ধশতাধিক পণ্য। তবে সময়ের পরিক্রমায় ছোট হয়ে এসেছে সেই তালিকা। বর্তমানে হিমায়িত মাছ, রড, সিমেন্ট ও প্লাস্টিকসহ হাতে গোনা কয়েকটি পণ্য যাচ্ছে ভারতে।
রপ্তানিকৃত পণ্যের অর্ধেকই হিমায়িত মাছ। আর মাছের মধ্যে রয়েছে রুই, পুঁটি, পাঙ্গাস, তেলাপিয়া ও পাবদাসহ সব ধরনের চাষের মাছ। প্রতি কেজি মাছের রপ্তানি মূল্য আড়াই মার্কিন ডলার। প্রতিদিন (ছুটির দিন ব্যতিত) গড়ে এক থেকে দেড় লাখ মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি হয় ভারতে।
তবে, গেল কয়েক মাস ধরে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে মাছ রপ্তানি কমেছে আশঙ্কাজনক হারে। আগে প্রতিদিন ৫০ থেকে ৬০ টন মাছ রপ্তানি হলেও এখন তা কমে অর্ধেকে নেমেছে। ফলে সামগ্রিকভাবে বন্দরের রপ্তানি আয় কমেছে। মূলত সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে তাজা মাছ পাচারের কারণে রপ্তানি ক্রমেই কমছে বলে অভিযোগ মাছ রপ্তানিকারকদের।
আখাউড়া স্থলবন্দরের মাছ রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক মিয়া বলেন, আখাউড়া উপজেলার সীমান্তের কয়েকটি পয়েন্ট দিয়ে প্রতিনিয়ত তাজা মাছ পাচার হচ্ছে। এর ফলে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা হিমায়িত মাছের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। বিষয়টি বিজিবি, বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। এটি বন্ধ না করতে পারলে যে কোনো মুহূর্তে হিমায়িত মাছের রপ্তানি বন্ধ হয়ে পড়বে।
এদিকে, ভারত থেকে পণ্য আমদানিও এখন অনিয়মিত। সদ্য বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে বন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি হয়েছে গম, ভুট্টা পাথর ও পেঁয়াজ। নিজেদের চাহিদা মতো পণ্য আমদানির সুযোগ পাওয়ায় আমদানি বাণিজ্যে খুব একটা আগ্রহ নেই ব্যবসায়ীদের। এতে করে বন্দরের রাজস্ব আদায়ও তলানিতে ঠেকেছে।
আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশন কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ভারতে রপ্তানি হয়েছে ৩৭৬ কোটি ২৩ লাখ ২০ হাজার ৯১১ টাকার পণ্য। আর ভারত থেকে আমদানি হয়েছে মাত্র ৬৫ কোটি ৯৩ লাখ ৬১ হাজার ৫২৮ টাকার পণ্য। আমদানি পণ্য থেকে শুল্ক কর্তৃপক্ষ রাজস্ব পেয়েছে ৫৫ লাখ ৭৮ হাজার ৬৯৮ টাকা। তবে বিগত ২০২১-২২ অর্থবছরে ভারতে রপ্তানি হয়েছিল ৬৮০ কোটি ১১ লাখ ৯৯ হাজার ১৭৪ টাকার পণ্য। ওই অর্থবছরে আমদানি হয়েছিল ২৮৮ কোটি ৪১ লাখ ১৩ হাজার ৪৬৮ টাকার পণ্য।
স্থলবন্দরের কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোতে সড়ক ও রেল যোগযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় অনেক পণ্য এখন নিজ দেশ থেকেই সংগ্রহ করেন সেখানকার ব্যবসায়ীরা। ফলে রপ্তানি বাণিজ্য বাড়ার তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে আমদানি বাণিজ্যের মাধ্যমে এখনও বন্দরটির ঘুড়ে দাঁড়ানোর সুযোগ আছে। সেজন্য যখন যে পণ্যের চাহিদা, সেটি আমদানির সুযোগ দিতে হবে ব্যবসায়ীদের।
আখাউড়া স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ফোরকান আহমেদ খলিফা বলেন, কখন কোন পণ্যের চাহিদা তৈরি হবে- সেটি আগে থেকে বলা যায় না। সেজন্যই আমরা সব পণ্য আমদানির জন্য বন্দর খুলে দেওয়ার দাবি করে আসছি। কিন্তু আমাদের সেই দাবি পূরণ হচ্ছে না। সম্প্রতি এনবিআর চেয়ারম্যানের কাছে কিছু পণ্যের তালিকা দিয়ে আমদানির অনুমতি চাওয়া হয়েছে। কিন্তু সেটির এখনও সুরাহা হয়নি।
একমাত্র আমদানি বাণিজ্যের মাধ্যমেই বন্দরে আবার কর্মচাঞ্চল্যতা ফিরে আসতে পারে। যার মাধ্যমে সরকারও বিপুল অংকের রাজস্ব পাবে’- উল্লেখ করেন ফোরকান আহমেদ খলিফা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, বন্দরগুলো থেকে সরকারের রাজস্ব আহরণের বিষয়টি অনেকাংশেই আমদানি বাণিজ্যের ওপর নির্ভর করে। এক্ষেত্রে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি অনিয়মিত হওয়ায় রাজস্ব আদায় হচ্ছে কম। আমদানি বাড়াতে ব্যবসায়ীরা যেসব পণ্য আমদানির জন্য তালিকা দিয়েছেন- সেটি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা ও চিঠি চালাচালি হচ্ছে। অচিরেই এ বিষয়টি সমাধান হবে বলে আশা করছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ১৮ সেপ্টেম্বর সোমবার বিকালে উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের তন্তর বাজারে ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট আউটলেটের ৫ম বর্ষে পদার্পন উপলক্ষে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন আখাউড়া ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মোঃ জয়নাল আবেদীন, এফএবিপি।
এজেন্ট ব্যাংকের স্বত্বাধিকারী মোঃ মাহমুদুল হাছানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ধরখার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সাফিকুল ইসলাম।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন তন্তর বাজার ব্যবসায়ী পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ লোকমান খন্দকার, আখাউড়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কাজী হান্নান খাদেম, ব্যাংকের গ্রাহক মোঃ ইকবাল হোসেন, জাকির হোসেন ভূইয়া প্রমুখ।
প্রধান অতিথি তার বক্তৃতায় গ্রাহকদেরকে নিয়ম মেনে লেনদেন করার অনুরোধ করেন। কোন প্রকার অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য গ্রাহকদের প্রতি অনুরোধ করেন।
এজেন্ট আউটলেটের স্বত্বাধিকারী মোঃ মাহমুদুল হাছান ৪ বছর ব্যাংক পরিচালনা করে ৫ম বর্ষে পদার্পণ করায় গ্রাহকদেরকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। এবং গ্রাহকদের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি গ্রাহকদেরকে আশ^স্ত করেন বলেন, আপনাদের কষ্টার্জিত আমানত এ ব্যাংকে সুরক্ষিত থাকবে।
বক্তারা বলেন, ইসলামী ব্যাংক সেবার মাধ্যমে গ্রাহকের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছে। তন্তর বাজারে ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা চালু হওয়ায় মানুষ সুফল পাচ্ছে। বক্তারা বলেন, ব্যাংকে এসে গ্রাহক যেন হয়রানির শিকার না হয়।
গ্রাহকদেরকে ভালো সেবা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন এবং ব্যাংকের সফলতা কামনা করে বলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার মোঃ ওবায়দুল হক।
চলারপথে রিপোর্ট :
“আমার জীবন আমার সম্পদ, বীমা করলে থাকবে নিরাপদ” এই প্রতিপাদ্যে আখাউড়া উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জাতীয় বীমা দিবস পালিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে আজ ০১ মার্চ বুধবার সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বরে থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়। র্যালিতে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্মা এবং বিভিন্ন বীমা কোম্পানীর কর্মকর্তা ও কর্মীরা অংশ নেয়। পরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমা। উপজেলা বীমা ফোরামের সভাপতি ও ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি, আখাউড়া ইসলামী তাকাফুল জোনের প্রধান মোঃ নিসারুল ইসলাম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা মৎস্য অফিসার মোঃ রেজাউল করিম, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোসলে উদ্দিন, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের সরকারি জোনাল ইনচার্জ আব্দু রউফ ভূঁইয়া, আখাউড়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কাজী হান্নান খাদেম, আখাউড়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি’র এজিএম মো: জালাল হোসেন মামুন, প্রোগ্রেসিভ লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি’র আখাউড়া অফিসের ইনচার্জ মো: জামির হোসেন, সাবেক ছাত্রনেতা মোঃ শরীফুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা ইন্সুরেন্সের প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্বারূপ করে বক্তব্য রাখেন। গ্রাহক সেবা বৃদ্ধি, সচ্ছতার সাথে বীমা করে মানুষের আস্থা অর্জনের আহবান জানান।
বীমার মেয়াদান্তে গ্রাহকরা যাতে ভোগান্তির শীকার না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখার অনুরোধ জানান।