মুরাদ মৃধা, নাসিরনগর :
নাসিরনগর আশুতোষ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা-২০২৫ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২৩ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ের হল রুমে প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুর রহিম সভাপতিত্বে বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
নুরুল আলমের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, সহকারী প্রধান শিক্ষক অরবিন্দু ঘোপ।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, ম্যানিজিং কমিটি সদস্য সৈয়দ আশরাফুল আবদাল মোকাল্লিদো, রফিকুল ইসলাম খান, রিমা আক্তার, শিক্ষক আসাদুজ্জামান ভুইয়া,অমরিত লাল সরকার, চন্দন কুমার দেব প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলা সদরের সাথে সরাইল-লাখাই আঞ্চলিক সড়কের সংযোগ রক্ষাকারী দু‘টি পুরাতন আরসিসি ব্রিজ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ব্রিজগুলো হলো-নাসিরনগর-সরাইল সড়কের দাতঁমন্ডল নামক স্থানে ব্রিজ ও নাসিরনগর-লাখাই সড়কে আশুরাইল (বেনীপাড়া) মহাখাল নামক ব্রিজ। সরেজমিনে দেখা গেছে, আশুরাইল (বেনীপাড়া) মহাখাল নামক ব্রিজ মধ্যবর্তী স্থানে সংযোগ থেকে সরে গেছে। ফলে স্থানচ্যুত হয়ে যাওয়ায় মূল ব্রিজটি হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে।
স্থানীয়রা জানান, নাসিরনগর-লাখাই আঞ্চলিক সড়কে আশুরাইল (বেনীপাড়া) মহাখাল ব্রিজটি অনেক বছরের পুরনো। ব্রিজের মধ্যবর্তী স্থানে হঠাৎ করেই সংযোগ থেকে সরে গেছে। পাশের রেলিংও ভেঙে পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ঝুকিঁপূর্ণ ব্রিজটি দিয়ে যানবাহন চলাচল করলেও হঠাৎ করে ব্রিজের মধ্যবর্তী স্থানে সংযোগ সরে যাওয়ায় মনে আতঙ্ক নিয়েই চলাচল করছে হাজারো মানুষসহ ভারী যানবাহন। অন্যদিকে নাসিরনগর-সরাইল সড়কের দাতঁমন্ডল নামক স্থানে ব্রিজটি গতবছর বর্যার স্রোতে একদিকে হেলে পড়েছে। দীর্ঘ এক বছর যাবৎ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করলেও আজো মেরামতের কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি বলে স্থানীয়রা জানান। তাই ব্রিজ দুইটি অপসারণ করে এখানে নতুন ব্রিজ নির্মাণ না করলে যেকোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
এ বিষয়ে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো: ইমরানুল হক ভূঁইয়া জানান, তিনি ডিসি অফিসে জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীকে ঝুঁকিপর্ণ দুইটি ব্রিজের বিষয়ে অবহিত করেছেন।
এ বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজের পুন:নির্মাণের বিষয়ে এখনো সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের কোন অনুমোদন পাননি। তবে অনুমোদন পেলে টেন্ডারে যাবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কয়েকটি জেলার ১০ কর্মকর্তাকে বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্থায়ীভাবে চাকুরি চাকরিচ্যুৎ করা হয়। এরই প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট জেলার বিদ্যুৎ সাময়িক বন্ধ করে রাখা হয়েছে। দাবি আদায় না হলে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে না বলে নিশ্চিত করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মো. আমজাদ হোসেন।
বহিষ্কারাদেশে উল্লেখ করা হয়, পল্লী বিদ্যুৎ খাতকে অস্থিতিশীল করায় নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড এর নির্দেশনার প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন এবং দাপ্তরিক শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যকলাপে লিপ্ত থাকায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির চাকরি বিধি ১৯৯২ (সংশোধিত, ২০১২) অনুযায়ী চাকরি হতে অব্যাহতি দেয়া হলো।
চাকরি হতে স্থায়ী বহিস্কৃতরা হলো- ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ২ এর সহকারী জেনারেল ম্যানেজার মো. সালাহ উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. আসাদুজ্জামান ভূইয়া, নেত্রকোনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী ম্যানেজার মনির হেসেন, মাগুরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. রাহাত, ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ১ এর সহকারী জেনারেল ম্যানেজার আব্দুল হাকিম, কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ৪ এর সিনিয়র সহকারী জেনারেল ম্যানেজার মো. জাকির হোসেন, নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ওয়্যারিং পরিদর্শক সালাম জাবেদ, বরিশাল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজারমো. হুমায়ুন কবীর, মুন্সিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী জেনারেল ম্যানেজার রাজন কুমার দাস ও কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ১ এর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার দিপক কুমার সিংহ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সূত্রে জানা যায়, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৪৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী দেশের ৮০ ভাগ অঞ্চলের প্রায় ১৪ কোটি মানুষকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করেন। পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের দ্বৈতশাসন ৪৭ বছর ধরে চলমান আছে। তাদের শোষণ, বৈষম্য ও নিপীড়ন থেকে মুক্তির জন্য আরইবি-পবিস একীভূতকরণসহ অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন এবং সব অনিয়মিত ও চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীদের নিয়মিতকরণের ২ দফা দাবি তোলা হয়। বিদ্যুৎ সচিবসহ প্রধান উপদেষ্টার দাবি তাদের দাবিকে যৌক্তিক বললেও বাস্তবায়ন না করে উল্টো আমাদের ১০ কর্মকর্তাকে চাকুরি থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয় এবং একজনকে আইসিটি আইনে গ্রেফতার করা হয়। যা আমাদের উদ্বিগ্ন করেছে।
নাসিরনগর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মো. আমজাদ হোসেন বলেন, আরইবির লোকজনের কেনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জন্য নির্মাণসামগ্রী থেকে শুরু করে সব মালামাল খুবই নিম্নমানের। এসবের কারণে ভূতুড়ে বিল আসে। এর দায় আসে আমাদের ওপর। আমরা এসবের প্রতিবাদ করায় আমাদের ১০ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। চাকরি থেকে বহিষ্কার করা ১০ কর্মকর্তার সব মামলা বাতিল করে সসম্মানে চাকরিতে পূনর্বহালসহ আমাদের যৌক্তিক সকল দাবি না মানলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
তীব্র গরম আর লোডশেডিং এর কারণে ক্লাসে যখন বসাই যায় না তখন শিক্ষার্থীদের নিয়মিত গাছতলায় ক্লাস নিচ্ছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় ডিগ্রি কলেজের একজন প্রভাষক। পৌরনীতি ও সুশাসন বিষয়ের ওই শিক্ষকের নাম মো. মানিরুল হোসাইন। একাডেমিক ভবনের সামনে গাছতলায় সোমবার বেলা ১টায় দেখা যায় ক্লাস নিচ্ছেন তিনি।
জানা যায়, উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৫ কি.মি. দূরে অবস্থিত চাতলপাড় ডিগ্রি কলেজ হাওরের উচ্চ শিক্ষার একমাত্র প্রতিষ্ঠান। বর্তমান সময়ে লোডশেডিং আর তীব্র গরমে শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে যেতে চায় না। উপজেলা সদরের তুলনায় আশেপাশের ইউনিয়ন গুলোতে লোডশেডিং এর মাত্রাও ব্যাপক। এই পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত গাছতলায় ক্লাস নিবেন ওই শিক্ষক।
২০২৩ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থী মান্নান মিয়া জানান, সকালে কিছুটা তাপমাত্রা কম থাকলেও বেলা ১১টার পর আর ক্লাসে বসা যায় না। কারেন্ট তো থাকেই না। দুপুর বেলায় তো ক্লাস করার কথা ভাবাই যায় না। স্যার গাছ তলায় ক্লাস নেওয়ায় আমাদের গরম কম লাগে আর ক্লাসও মিস হয় না।
আরেক শিক্ষার্থী জোনাকী বেগম জানান, আমরা গরমের কারণে ক্লাসে বসতে পারি না। বিদ্যুৎ তো থাকেই না। অনেকে গরম সহ্য করতে না পেরে কলেজে আসে না আবার আসলেও চলে যায়। গাছ তলায় ক্লাস করলে এতটা গরম লাগে না।
শিক্ষক মো. মানিরুল হোসাইন বলেন, গরমের কারণে ছাত্র-ছাত্রীরা ক্লাসে বসতে পারে না। অনেকে আবার কলেজে আসতেও চায় না। সামনে এইচএসসি পরীক্ষা হাতে সময় তেমন নেই। তাই গাছতলাই পড়াই, তবু পড়ুক।
চাতলপাড় ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. ওমর আলী বলেন, তীব্র গরমে আমার ওই শিক্ষক গাছ তলায় ক্লাস নেয়। আমি তার এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগর উপজেলার ফান্দাউক ইউনিয়নের আতুকুড়া গ্রামে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে পুলিশসহ অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ১২ মার্চ রবিবার সন্ধ্যায় শুরু হওয়া চার ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে জড়িত সন্দেহে ৩২ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ১১ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার ফান্দাউক ইউনিয়নের ফান্দাউক দরবার শরিফের বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল হয়। সেখানে আতুকুড়া গ্রামের দুই যুবক মোতাব্বির ও বাদল মিয়ার মধ্যে বসার জায়গা নিয়ে তর্ক হয়। পরদিন সন্ধ্যায় আতুকুড়া গ্রামে গিয়ে সেই ঘটনায় আবার তর্কে জড়ায় দু’জন। এর জেরে এক পর্যায়ে দুই ওয়ার্ডের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়।
সংঘর্ষ থামাতে গেলে পুলিশ সদস্য, গ্রামবাসীসহ উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়। আহত পুলিশ সদস্যদের নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ঘটনার দিন রাতে অভিযান চালিয়ে দুই পক্ষের ৩২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ ছাড়া শতাধিক লোককে আসামি করে একটি মামলাও করা হয়েছে।
আতুকুড়া গ্রামের ৯নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ফরিদ মিয়া বলেন, ‘ফান্দাউক দরবার শরিফে ওয়াজে গিয়ে ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের দু’জনের মধ্যে ঝগড়ার জেরে পরদিন আকুতুড়া বাজারে গেলে ৮নং ওয়ার্ডের লোকজন আমাদের লোকদের ওপর হামলা করে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষই পরে সংঘর্ষে জড়ায়। ৯নং ওয়ার্ডের ২৫ জন নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে গেলে সেখান থেকে পুলিশ সবাইকে আটক করে।’ তবে এ ব্যাপারে ৮নং ওয়ার্ডের কারও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
নাসিরনগর থানার ওসি হাবিবুল্লাহ সরকার জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে ১৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিএনপি চেয়ারপার্সনের বহিষ্কৃত উপদেষ্টা ও আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী (কলার ছড়ি প্রতীক) সৈয়দ একে একরামুজ্জামান বলেছেন, নাসিরনগরে এখন নির্বাচনী পরিবেশ বিরাজ করছে।
আজ ২৭ ডিসেম্বর বুধবার বেলা ১১টায় নাসিরনগরে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আশ্বস্ত করেছেন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া নির্বাচনী এলাকার ভোটারদের একটা চাপ ছিলো তাই নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছি।
তিনি বলেন, নির্বাচনী মাঠে জনগণের বিরাট সাড়া পাচ্ছি। জনগণ পরিবর্তন চায়। জনগণ এক ব্যক্তির কারাগার থেকে মুক্তি চায়। তিনি বলেন, উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নেই নির্বাচনী পরিবেশ ভালো। আশাকরি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হবে। তিনি বলেন, ইতিমধ্যেই জাতীয় পার্টির প্রার্থী শাহানুল করিম (গরিবউল্লাহ সেলিম) আমাকে সমর্থন করে নির্বাচন থেকে সড়ে দাড়িয়েছেন। বর্তমান পরিবেশ যদি ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত বজায় থাকে তাহলে আমি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদি।
তিনি বলেন, আগে দলীয় প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছি। বর্তমানে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছি। তাই আমার সাথে আওয়ামীলীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা আছে। আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন বঞ্চিত তিন প্রার্থী মাঠে আমার জন্য কাজ করছেন। সাধারন মানুষের কাছ থেকেও বিপুল সাড়া পাচ্ছি।
স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ একে একরামুজ্জামান অভিযোগ করে বলেন, আমি নির্বাচিত হলে নিরাপদ নাসিরনগর বির্নিমান করবো। নাসিরনগর সরকারি কলেজে অনার্স, মাস্টার্স কোর্স চালু করে শিক্ষার ক্ষেত্রে উন্নয়ন করবো।
তিনি বলেন, নাসিরনগরের জেলেরা উপেক্ষিত। তাদের যে দাবি-দাওয়া গুলো আছে, প্রয়োজনে আমি নিজে জেলে হয়ে জেলেদের দাবি-দাওয়া আদায় করবো। তিনি বলেন, জাল যার জলা তার নীতির ভিত্তিতে জেলেদেরকে সুযোগ-সুবিধা করে দিবো।
তিনি বলেন, সব জায়গায় বিশেষ শিল্প কারখানা গড়ে তোলা যায়না। তিনি বলেন, ঢাকায় নাসিরনগরের প্রায় ২ হাজার কুটির শিল্পের উদ্যোক্তা আছে। আমি নির্বাচিত হলে ওই শিল্পটা নাসিরনগরে এনে শিল্পটা প্রসারিত করবো।
নির্বাচনী মাঠ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচনের মাঠে প্রতিপক্ষের অনবরত হুমকি পাচ্ছি। এর মধ্যে যে গুলো জরুরি মনে করছি সে গুলোর বিষয়ে অভিযোগ করছি। কিছু কিছু বিষয় আমলে নিচ্ছি না। কারণ কিছু বিষয় থাকে সব বিষয় আমলে নেয়া যায় না।
তিনি বলেন সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে আমাদের ভোটারদেরকে ভয় দেখানো হচ্ছে। তারা বলছে তোমরা যেখানেই ভোট দাও রেজাল্ট আমার পক্ষেই আসবে। এটা ভোটারদের জন্য বড় হুমকি। যার কারণে ভোটাররা মনে করছে ভোট দিয়ে তাহলে কি হবে। ভোট যদি ওরা পাল্টে ফেলে। তখন তাদেরকে আমি বলি আপনারা এ গুলোতে কান দেবেন না। তিনি বলেন, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিশ্চয়তা দিয়েছেন,সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, নাসিরনগরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা সন্তোষজনক। তবে শেষের কথা এই মূহুর্তে বলতে পারছিনা।
মতবিনিময় সভায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের কার্যকরি কমিটির নেতৃবৃন্দ ও সিনিয়র সাংবাদিকগণসহ বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।