অনলাইন ডেস্ক :
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক বরাব এলাকায় ২৩ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৮টার দিকে ট্রেনে কাটা পড়ে একসাথে দুই বন্ধু নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন, উপজেলার বলিয়াদি এলাকার আলহাজ সালাউদ্দিন সিদ্দিকীর ছেলে মাহমুদুল হাসান সিদ্দিকী চঞ্চল (৩৮) ও কোনাবাড়ী এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে হামিদুর রহমান রিপন (৩৯)। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করেছে জয়দেবপুর রেলওয়ে পুলিশ।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, রাত সাড়ে ৮টার দিকে চঞ্চল চৌধুরী ও রিপন হোসেন দুই বন্ধু কোনাবাড়ী থেকে বরাব এলাকার উদ্দেশে রওনা দেয়। বরাব গ্রামে বিএনপির একটি উঠান বৈঠক রয়েছে। তারা দুই বন্ধু উঠান বৈঠক সফল করার লক্ষ্যে বরাবর রওনা দেয়। পথিমধ্যে উত্তরবঙ্গের রেললাইনের বরাব খোলাপাড়ায় রেললাইন পারাপারের সময় দ্রুতগামী একটি ট্রেন দুই বন্ধু ওপর দিয়ে চলে যায়। এতে তাদের দেহ ছিন্ন-ভিন্ন হয়ে রেল লাইনের ওপর পড়ে থাকে।
জয়দেবপুর রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ নাদির উজ জামান বলেন, নিহতদের স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তাদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিজিবির সুলতানপুর ব্যাটালিয়নের (৬০ ব্যাটালিয়ন) অভিযানে গত ১ বছরে (২০২৪ সালে) প্রায় একশত পঞ্চাশ কোটি টাকা মূল্যের বিপুল পরিমান মাদক ও বিভিন্ন প্রকার অবৈধ মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় ৮৬ জন আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ ১ জানুয়ারি বুধবার দুপুরে বিজিবির পক্ষ থেকে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানা গেছে।
বিজিবির সুলতানপুর ব্যাটালিয়নের (৬০ ব্যাটালিয়ন) অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল এ.এম. জাবের বিন জব্বার, পিএসসি, এসি স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ২০২৪ সালে বিজিবির মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযানে ১শত ৪৬ কোটি ৯৪ লাখ ৮ হাজার ৩১৯ টাকা মূল্যের বিপুল পরিমান ভারতীয় অবৈধ মাদক ও বিভিন্ন প্রকার মালামাল উদ্ধার করা হয়। একই সময় এসব মাদক ও চোরাচালানীর সাথে জড়িত ৮৬ জনকে গ্রেফতার এবং ২০ জন পলাতক আসামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের মধ্যে রয়েছে হুইস্কি ১০৭৭১ বোতল, বিয়ার ১৭০৮ পিস, ইস্কফ সিরাপ ৩৯১৩ বোতল, গাঁজা ৩৯২০.৯ কেজি, ফেন্সিডিল, ৩৪১৪ বোতল, ইয়াবা ট্যাবলেট- ৪৬,০৬৮ পিস, ভারতীয় বিভিন্ন প্রকার শাড়ি ১৭১৬৬ পিস, গরু ৩৩৩ টি, বিভিন্ন প্রকার মোবাইল ফোন ১৯৪৮ টি, মোবাইল ফোনের ডিসপ্লে ৪৫০৪০ টি, বাসমতি চাল ৩৭৩১৮.৫ কেজি, চিনি ১০,৯৫,৬৭০.৫ কেজি, নেহা মেহেদী ২১৫৮১৫ পিস, জিরা ১৫৬২ কেজি, বিভিন্ন প্রকার চকলেট ১১৭৯৯৮ পিস, বিভিন্ন প্রকার তালা ১৪,২৩৪ পিস, বিভিন্ন প্রকার বাঁজি-৬৩,৯০,০০৯ পিস, বিপুল পরিমাণ বিভিন্ন প্রকার নিষিদ্ধ ঔষধ সামগ্রী, বিভিন্ন প্রকার কাপড়, কসমেটিক্স সামগ্রী, খাদ্য সামগ্রী, যানবাহনের খুচরা যন্ত্রাংশ, মোটর সাইকেল, সিএনজি, বাংলাদেশী বিভিন্ন প্রকার মাছ ইত্যাদি। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বিজিবির সুলতানপুর ব্যাটালিয়নের (৬০ বিজিবি) এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
অনলাইন ডেস্ক :
নরসিংদীর রায়পুরায় দুই গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে সৃষ্ট টেঁটা ও বন্ধুক যুদ্ধে ২ জন নিহত ও অন্তত প্রায় ২০ জন আহতের খবর পাওয়া গেছে। তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি নিহত ও আহতদের নাম।
আজ ২৬ জানুয়ারি রবিবার সকালে উপজেলার দূর্গম চরাঞ্চলের বাঁশগাড়ী ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান রাতুল হাসান জাকির ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল হক সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে রাতুল ও আশরাফুল সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিলো। এরই জেরে বিগত দিনে এ দু’দলের মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষ, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এতে নিহত ও আহতের ঘটনা ঘটেছিল। এরই জেরে আজ সকাল থেকেই উভয় গ্রুপের সমর্থকর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরলে দু’দলের ২ জন নিহত ও প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন আহতের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে রায়পুরা থানার ওসি আদিল মাহমুদ জানান, নিহতের সংখ্যা ২ বা ৩ কিনা সঠিক বলা যাচ্ছে না। নিশ্চিত হয়ে জানাতে হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঢাকা-সিলেট-ঢাকা রেলপথে চলাচলরত আন্তঃনগর ‘কালনী এক্সপ্রেস’ ট্রেন শিগগিরই যাত্রাবিরতি করবে। ১৫ জানুয়ারি বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম এ তথ্য দিয়েছেন। এছাড়া রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলামও এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, ‘কালনী এক্সপ্রেস ট্রেন থামানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি তা কার্যকর হবে।’
ঢাকা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া-ঢাকা রুটে নতুন ট্রেন সার্ভিস চালু, চট্টগ্রাম-জামালপুর-চট্টগ্রাম রুটের ‘বিজয় এক্সপ্রেস’ ও ঢাকা-সিলেট-ঢাকা রুটের ‘কালনী এক্সপ্রেস’-এর ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশনে যাত্রাবিরতি এবং বিদ্যমান ট্রেনসমূহের আসন সংখ্যা বৃদ্ধির দাবি দীর্ঘদিন ধরে জানানো হচ্ছিল। এ বিষয়ে জেলা নাগরিক ফোরাম গত কয়েক বছর ধরে নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে।
আরও পড়ুন
কৃষিজমি থেকে মাটি কাটার দায়ে দুইজনকে জেল-জরিমানা
বর্তমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম এ ব্যাপারে গেল বছরের ২ অক্টোবর রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে একটি চিঠি দেন, যাতে জেলার ট্রেন যাত্রীদের দুর্ভোগের চিত্র তুলে ধরা হয়। জেলা প্রশাসকের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা দীর্ঘদিন যাবৎ ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট রেল যোগাযোগের সংযোগস্থল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে মাত্রাতিরিক্ত যাত্রীদের ভিড় পরিলক্ষিত হচ্ছে। ট্রেনের আসন সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল হওয়ায় যাত্রীরা দাঁড়িয়ে বা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রেল ভ্রমণ করছেন। ভীড়ের কারণে টিকেটধারী যাত্রীরা নির্ধারিত বিরতির সময়ে ট্রেনে উঠতে পারছেন না এবং ট্রেনে ওঠার জন্য নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। এছাড়া ঢাকা-সিলেট ও কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের কাজ চলমান থাকায় যানজটে চরম দুর্দশার মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী ট্রেনকেই তাদের প্রধান যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করছে।
ওই চিঠি দেওয়ার পরও জেলা প্রশাসক তার চেষ্টা অব্যাহত রাখেন। সর্বশেষ গত ১২ জানুয়ারি রেল সচিবের সাথে টেলিফোনে কথা বলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রেলযাত্রীদের দুর্ভোগের বিষয়টি তুলে ধরেন। এরপর দ্রুতই রেল সচিব এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেন।
আরও পড়ুন
আখাউড়ায় জনসচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত
এর আগে ২০২৩ সালের মার্চে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো জেলা প্রশাসনের পাক্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদনে কয়েকটি আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতির বিষয়টি উঠে আসে। ২০২৩ সালের ৫ এপ্রিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে রেল সচিবকে একটি চিঠি দেওয়া হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনার এক বছর পার হলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে জেলা নাগরিক ফোরাম তাদের রেল যাত্রাবিরতির দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যেতে থাকে। ২০২৩ সালের ১৫ জুন এবং ২০২৪ সালের ১৭ জুলাই জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে রেলওয়ে সচিব বরাবর স্মারকলিপি দেয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নাগরিক ফোরাম।
আরও পড়ুন
জমিতে সেচ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নিহত ১
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি পীযূষ কান্তি আচার্য বলেন, আমরা প্রায় পাঁচ বছর ধরে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছি, তবে তেমন কোনো সুফল পাইনি। শুনতে পেলাম রেল মন্ত্রণালয় আমাদের দাবির আংশিক পূরণ করেছে। কালনী এক্সপ্রেসের যাত্রাবিরতি হবে, এটি আমাদের জন্য একটি সুসংবাদ। তবে আমাদের মূল দাবি হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-ঢাকা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া রুটে একটি স্পেশাল ট্রেন চালু করতে হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে উৎসুক জনতার ধাওয়া খেয়ে চোলাই মদ অটোরিক্সাতে রেখে পালিয়েছেন এক মাদক ব্যবসায়ী দম্পতি। এ সময় মদ উদ্ধারের পর অটোরিক্সাটি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় বিক্ষুব্ধরা। ২২ জানুয়ারি বুধবার দুপুরে উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের চিতুলিয়াপাড়া গ্রামের একটি মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরে অটোরিক্সা থেকে ২০ লিটার চোলাই মদ উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়রা ভূঞাপুর থানা পুলিশকে খবর দিলে জনতার হাতে উদ্ধার ২০ লিটার চোলাই মদ উদ্ধার করে পুলিশ।
মাদক ব্যবসায়ী ওই দম্পতি হলেন- উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের চিতুলিয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আনোয়ার ও তার স্ত্রী খালেদা। তারা দীর্ঘদিন ধরে মদ ও গাঁজা ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছে বলে জানায় স্থানীয়রা।
চিতুলিয়াপাড়া গ্রামের প্রত্যেক্ষদর্শী ইউসুফ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে গোপনে আনোয়ার ও খালেদা মিলে দেশি চোলাই মদ ও গাঁজা বিক্রি করে আসছিলেন। এ নিয়ে একাধিকবার নিষেধ করা হলেও তারা অস্বীকার করে আসতো। তারপর হাতে-নাতে ধরার জন্য তাদের ওপর বেশ কিছুদিন ধরে নজরদারি করে আসছিলাম। আজ আমাদের মসজিদের সামনে একটি অটোরিক্সা দাঁড় করানো অবস্থায় দেখি এবং তা সন্দেহ হলে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে আনোয়ার ও তার স্ত্রী খালেদা পালিয়ে যায়। এ খবর পেয়ে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে সমবেত হন। পরে অটোরিক্সা থেকে ১০ ব্যাগ পলিথিনে ২০ লিটার চোলাই মদ উদ্ধার করা হয়। পরে পুলিশকে খবর দিলে তারা এসে মদ উদ্ধার করে। এর আগে বিক্ষুব্ধ জনতা অটোরিক্সাটি পুড়িয়ে দেয়।
এ ব্যাপারে ভূঞাপুর থানার (ওসি) একেএম রেজাউল করিম বলেন, ২০ লিটার চোলাই মদ উদ্ধার করে স্থানীয় জনতা। পরে পুলিশকে খবর দিলে সেখান থেকে মদ উদ্ধার করা হয়। মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়। তাদেরকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে।
অনলাইন ডেস্ক :
সিলেটের রিজেন্ট পার্ক অ্যান্ড রিসোর্টে জনতার হাতে ধরা পড়া ১৬ তরুণ-তরুণীকে আটকের পর আটজনকে ১০ লাখ টাকা কাবিন ধার্য্য করে বিয়ে দিলেন এলাকাবাসী। অপ্রাপ্ত বয়স্ক অপর আটজনকে অভিভাবকের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনা ঘটে ১৯ জানুয়ারি রবিবার বিকেলে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার সিলাম এলাকায় অবস্থিত রিজেন্ট পার্ক ও রিসোর্টে।
জনতার হাতে আটকের পর তরুণ-তরুণীরা জানায়, তাদের কারো বাড়ি সিলেটের বিশ্বনাথ ও ফেঞ্চুগঞ্জ, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর এবং মৌলভীবাজারে।
স্থানীয়দের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে রিজেন্ট পার্ক ও রিসোর্টে অসামাজিক কার্যকলাপ চলে আসছিল। রবিবার দুপুরে জনতা রিসোর্টের বিভিন্ন কক্ষ থেকে ১৬ জন তরুণ-তরুণীকে আটক করা হয়। স্থানীয়রা এসময় তাদের অভিভাবকদের খবর দেন। পরে কথিত প্রেমিক প্রেমিকাদের মধ্যে প্রাপ্ত বয়স্ক আটজন ছেলে-মেয়েকে প্রকাশ্যে কাজী ডেকে অভিভাবকদের সম্মতিতে বিয়ে পড়িয়ে দেওয়া হয়। আর অপ্রাপ্ত বয়স্ক আট তরুণ-তরুণীকে অভিভাবকের জিম্মায় দেওয়া হয়। বিয়ে পড়াতে কাবিনে ১০ লাখ টাকা করে ধার্য করেন জনতা। এছাড়া কাজির বিয়ে পড়ানোর টাকাও জনতা চাঁদা তুলে পরিশোধ করেন।
এসময় জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ও কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক তাজরুল ইসলাম তাজুলও উপস্থিত ছিলেন। এসময় তিনি জানান, মালিক পক্ষের ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে যান তিনি।
স্থানীয়রা আরো অভিযোগ করেন, গ্রামের ভেতরে করা রিসোর্টটিতে বিশ্রামাগারে স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী ও প্রেমিক-প্রেমিকাদের অসামাজিক কার্যকলাপ করার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। পার্ক কর্তৃপক্ষ তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করেন। এছাড়া এখানে কোনো পর্যটক আসেন না। এ কারণে গ্রামের তরুণ সমাজের ওপরে প্রভাব পড়ছে। এলাকাবাসী এ ঘটনায় অতিষ্ঠ হয়ে রবিবার রিসোর্টের বিভিন্ন কক্ষ থেকে ১৬ জন তরুণ-তরুণীকে ভাড়া করা কক্ষ থেকে অসামাজিক কার্যকলাপরত অবস্থায় আটক করেন। এরপর বিক্ষুব্ধ জনতা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে পার্কটি বন্ধ ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে এসএমপির মোগলাবাজার থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও বিক্ষুব্ধ জনতার সামনে অসহায় ছিলেন তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রিজেন্ট পার্ক ও রিসোর্টটির মালিক সিলেট নগরের কুমারপাড়ার মো. মঞ্জু চৌধুরী। তিনি বলেন, পার্কটি নগরের ঝর্ণারপাড়ের হেলাল উদ্দিনকে চুক্তিতে ১০ বছরের জন্য ভাড়া দেন। ভাড়ার মেয়াদও শেষ হয়েছে। তবে হেলাল উদ্দিন চুক্তিবদ্ধ হলেও নেপথ্যে থেকে প্রবাসী মিসবাহ উদ্দিন রুপন পরিচালনা করেন। এদিন ঘটনার পর পুলিশের তরফ থেকে রিসোর্টের মালিক মো. মঞ্জু চৌধুরীকে তলব করা হলে রাতে তিনি ভাড়ার বিভিন্ন কাগজাদি নিয়ে থানায় গিয়ে দেখা করেন।
সিলেট মেট্টোপলিটন পুলিশের মোগলাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, পুলিশ ভাঙচুরের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায়। ওই সময় জনতা ১৬ তরুণ-তরুণীকে আটক করে অভিভাবকদের খবর দেন। তাদের সম্মতিতে আটজনকে বিয়ে দেওয়া হয়। অপর আটজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যেত। কিন্তু জনতার রোষানলে পুলিশ কোনো কিছু করতে পারেনি।
সিলেটের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, পুলিশ ভাঙচুরের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলেও সেখানে ১৬ জন তরুণ-তরুণীকে আটকের বিষয়টি জানতে পারে। পরে এলাকাবাসীর সিদ্ধান্তক্রমে অভিভাবকদের খবর দিয়ে বিয়ের আয়োজন করা হয়। যদিও বিষয়টি থানায় নিয়ে আইনি প্রক্রিয়ায় করা যেত। এরপরও জোরপূর্বক কেউ কিছু করার অভিযোগ করলে পুলিশ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবে।