অনলাইন ডেস্ক :
নব্বই দশকের লাস্যময়ী ও সাহসী বলিউড অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নি। অক্ষয় কুমার, আমির খান, সালমান খান, গোবিন্দ, সঞ্জয় দত্তের মতো অভিনেতাদের সাথে জুটি বেঁধে পর্দায় ঝড় তুলেছেন। বলিউড থেকে দীর্ঘ দিন ধরে দূরে। এবার আলো ঝলমলে দুনিয়াকে বিদায় জানিয়ে সন্ন্যাসিনী হলেন এই অভিনেত্রী।
ভারতীয় গণমাধ্যম জানায়, শুক্রবার ভারতের উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজ বা এলাহাবাদে গিয়ে মহাকুম্ভে যোগ দেওয়ার মাধ্যমে জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করলেন শাহরুখের এই নায়িকা।
মহাকুম্ভের কিন্নর আখড়াতে ‘মহামণ্ডলেশ্বর’ রীতির মাধ্যমে সন্ন্যাস গ্রহণ করেছেন মমতা। এদিন পিণ্ডদানও করেন তিনি। এই রীতির মাধ্যমে নতুন নামও গ্রহণ করেছেন। আজ থেকে তার নতুন নাম- শ্রী ইয়মাই মমতা নন্দ গিরি।
কিন্নর আখড়ার আচার্য মহামণ্ডলেশ্বর অর্থাৎ লক্ষ্মী নারায়ণ ত্রিপাঠী ও জুনা আখড়ার আচার্য স্বামী জয় আম্বানন্দ গিরির সাথেও দেখা করেন মমতা। আর সেই মুহূর্তের বেশ কিছু ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে নেট দুনিয়ায়।
এসব ভিডিওতে মমতাকে গেরুয়া রঙের পোশাকে দেখা যায়। তার সাথে অভিনেত্রীর গলায় শোভা পাচ্ছে রুদ্রাক্ষের মালা। পুরোপুরি অচেনা রূপে ধরা দিয়েছেন এই অভিনেত্রী।
মমতা কুলকার্নি এখন সন্ন্যাসিনী
২০১৬ সালে থানে পুলিশ ২ হাজার কোটি রুপির একটি মাদক পাচার চক্রের তদন্ত শুরু করে; যেখানে মমতার নাম জড়িয়ে পড়ে। মূলত, মমতা কুলকার্নি ও তার সঙ্গী কথিত মাদক সম্রাট ভিকি গোস্বামীকে এই মামলায় অভিযুক্ত করা হয়। এ নিয়ে জলঘোলা কম হয়নি। গত বছরের শেষের দিকে এ মামলা থেকে খালাস পান এই অভিনেত্রী। কিন্তু ২৪ বছর এই অভিযোগ মাথায় নিয়ে বিদেশে কাটিয়ে মমতা কুলকার্নি গত বছর ভারতে ফিরেন।
১৯৯২ সালে রাজ কুমার ও নানা পাটেকরের ‘তিরঙ্গা’ সিনেমার মাধ্যমে অভিনয়জীবন শুরু করেন মমতা কুলকার্নি। নব্বইয়ের দশকে ‘করণ অর্জুন’, ‘ওয়াক্ত হামারা হ্যায়’, ‘ক্রান্তিবীর’, ‘সাবছে বড় খিলাড়ি’-এর মতো হিট সিনেমার নায়িকা তিনি।
অনলাইন ডেস্ক :
দক্ষিণ কোরিয়ায় বাঞ্জি জাম্পিং প্ল্যাটফরম থেকে পড়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ঘটনাস্থলেই এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। দ্য ইনডিপেনডেন্টের মতে, ২৬ ফেব্রুয়ারি দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল।
মারা যাওয়া ওই নারীর নাম প্রকাশ করা হয়নি। তবে তাঁর বয়স ৬০-৬৯ বছরের মধ্যে।
তিনি প্ল্যাটফরম থেকে আট মিটার নিচে কংক্রিটের মেঝেতে পড়ে গিয়েছিলেন। সে সময় তিনি গেয়ংগি প্রদেশের স্টারফিল্ড আনসেং মলে অবস্থিত প্ল্যাটফরম থেকে বাঞ্জি জাম্প করার চেষ্টা করেছিলেন।
গেয়ংগি নামবু প্রদেশের পুলিশের ধারণা, ত্রুটিপূর্ণ ক্যারাবিনারের কারণে বাঞ্জি কর্ডটি বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। পুলিশ এখনো ঘটনাটি তদন্ত করছে এবং শিগগিরই বিস্তারিত বেরিয়ে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
পুলিশ নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাস্তবায়িত হয়েছে কি না সেদিকে নজর দিচ্ছে বলেও জানিয়েছে গণমাধ্যমটি।
দুর্ঘটনার সময় ওই নারী নিরাপত্তার সরঞ্জামে সজ্জিত ছিলেন। তবে একটি ক্যারাবিনার (একধরনের সুরক্ষা হুক) সুরক্ষিত ছিল না। তাঁকে অবিলম্বে হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং চিকিৎসকরা তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন।
কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তিনি বেঁচে ফেরেননি। পড়ে যাওয়ার এক ঘণ্টা পর তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছিল।
এদিকে গত বছরের ডিসেম্বরে চীনে অবস্থিত বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু বাঞ্জি জাম্প প্ল্যাটফরমের একটি থেকে লাফ দিয়ে এক জাপানি পর্যটক মারা যান। অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই ওই পর্যটকের মৃত্যু হয়। ৫৬ বছর বয়সী ওই পর্যটক ম্যাকাও পৌরসভার ম্যাকাও টাওয়ারের ৭৬৪ ফুট উঁচু থেকে লাফ দেওয়ার পর তাঁর শ্বাসকষ্ট হয়েছিল।
এর আগে ২০১৯ সালে পোল্যান্ডে ৩৩০ ফুট উঁচু থেকে বাঞ্জি জাম্পের সময় এক ব্যক্তি মাটিতে পড়ে যান। ৩৯ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির মেরুদণ্ডে আঘাত লেগেছিল। সূত্র : এনডিটিভি
অনলাইন ডেস্ক :
জনসেবার জন্য সরকারি ক্যাম্প, সাধারণ মানুষের লম্বা লাইন। নিজেদের অভাব-অভিযোগ নিয়ে হাজির সবাই। বসে রয়েছেন সরকারি কর্মকর্তারা। সমস্যা শুনে তা সমাধানের আশ্বাসও দিচ্ছেন। সেই ক্যাম্পে হাজির এক যুবক। পেশায় তিনি কৃষক। কিন্তু কর্মকর্তাদের কাছে যে সমস্যার কথা তিনি বলেন, তাতে চোখ কপালে ওঠার জোগাড়!
কী চেয়েছিলেন যুবক? তার দাবি, তিনি দীর্ঘদিন ধরে একা। তাকে বিয়ের জন্য পাত্রী খুঁজে দিতে হবে। তা শুনে কার্যত হেঁসে লুটোপুটি খাওয়ার জোগাড় সরকারি কর্তাদের। সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের কর্ণাটকে।
জানা যায়, রাজ্যের কোপ্পাল জেলায় ‘জনস্পন্দন’ নামে একটি সরকারি ক্যাম্পের আয়োজন করেছিল প্রশাসন। জনগণের অভাব-অভিযোগ শুনছিলেন কর্মকর্তারা এবং যথাসম্ভব সমাধানও করা হচ্ছিল।
সেখানেই সঙ্গপ্পা নামে ওই কৃষক তার জন্য পাত্রী খুঁজে দেওয়ার আবেদন জানান। জেলা কমিশনার নলিনী অতুলের কাছে গিয়ে তিনি বলেন, ১০ বছর ধরে পাত্রী খুঁজছি। কিন্তু বিয়ে হচ্ছে না। কেউ আমাকে পাত্রী দিতে রাজি নয়। এতে আমি মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছি। স্যার, পাত্রী খুঁজে দেন!
এলাকার অন্যসব বাসিন্দা যখন পানির অভাব, রাস্তা ঠিক করার দাবি জানাচ্ছিলেন; সেখানে ওই যুবকের এ ধরনের দাবি শুনে প্রথমে কিছুটা হকচকিয়ে যান সরকারি কর্মকর্তারা। উত্তর কী দেবেন বুঝতে না পেরে মাথা চুলকাতে থাকেন তারা।
সঙ্গপ্পাকে প্রাথমিকভাবে বোঝানো গেলেও তার পাত্রী খোঁজার আবেদনের কী হবে, এখনো ভাবছেন কর্তারা।
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন
অনলাইন ডেস্ক :
অবশেষে বিচ্ছেদ ঘটল হলিউডের পাওয়ার কাপল খ্যাত ব্র্যাড পিট ও অ্যাঞ্জেলিনা জোলির। দীর্ঘ আট বছরের আইনি লড়াইয়ের পর বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছেছেন এই জুটি; যার ফলে এই চূড়ান্ত বিচ্ছেদ।
অ্যাঞ্জেলিনার আইনজীবী জানিয়েছেন, জোলি ও পিট চূড়ান্ত বিবাহবিচ্ছেদে স্বাক্ষর করেছেন। তবে পিটের আইনজীবী তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। সূত্র : বিবিসি
২০১৬ সালে দাম্পত্যজীবনের ইতি টানতে এর আগে বিভিন্ন অমীমাংসিত বিষয় সামনে এনে বিচ্ছেদের জন্য মামলা দায়ের করেছিলেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। কারণ হিসেবে ‘অমিমাংসিত মতবিরোধের’ কথা জানিয়েছিলেন তারা। তাদের রয়েছে ৬ সন্তান। একসময় তাদের অভিভাবকত্ব কে নেবেন, এই নিয়ে তিক্ত লড়াই শুরু হয় জোলি ও পিটের। ২০২১ সালে আদালত তাদের সন্তানের যৌথ অভিভাবকত্বের সিদ্ধান্ত দেয়।
ভক্তদের কাছে ‘ব্র্যাঞ্জেলিনা’ নামে পরিচিত এই দম্পতি ২০০৫ সালে মিস্টার অ্যান্ড মিসেস স্মিথ সিনেমার সেটে একে অপরের সঙ্গে পরিচিত হন, যেখানে তাদের সম্পর্কের শুরু হয় এবং পরে তা প্রেমে পরিণত হয়।
নাসিরনগর প্রতিনিধি :
নাসিনরনগরে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করেছেন শেখ জহির উদ্দিন তুন্নান। তিনি পেশায় প্রকৌশলী ও নাসিরনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রাফিউদ্দিন আহমেদের ছেলে। বিয়ের দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে তুন্নান হেলিকপ্টারে করে বিয়ে করেছেন।
কনে লিগার সুলতানা লিসা ও একজন প্রকৌশলী। তিনি নাসিরনগর উপজেলা সদরের সাবেক স্বাস্থ্য পরিদর্শক হাবিবুর রহমানের মেয়ে।
আজ ১৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার দুপুরে বর তুন্নান কয়েকজন বরযাত্রী নিয়ে তার গ্রামের বাড়ি নাছিরপুর থেকে হেলিকপ্টার চড়ে নাসিরনগর আশুতোষ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে অবতরন করেন। সেখান থেকে ঘোড়ার গাড়িতে করে কনের গ্রামে পৌছান।
বিয়ের পর বিকেলে তুন্নান নববধূকে নিয়ে ঘোড়ার গাড়িতে করে আশুতোষ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে যান। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে করে নাসিরনগর প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ের মাঠে অবতরণ করেন। এদিকে হেলিকপ্টারে বিয়ে হওয়া নব দম্পতিকে দেখতে ভিড় করে শত শত উৎসুক জনতা। উপচেপড়া মানুষের ভীড় সামলাতে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে প্রকৌশলী শেখ জহির উদ্দিন তুন্নান জানান, বিয়ের দিনটাকে স্মরণীয় করে রাখতেই হেলিকপ্টারে করে বিয়ে করেছি।
এ ব্যাপারে নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ হাবিবুল্লাহ সরকারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বিষয়টির নিশ্চিত করেছেন।
অনলাইন ডেস্ক :
দুই দলের শুরুটা ছিল সাবধানী। তবে সময় বাড়লে মধ্যমাঠের দখল নিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টায় থাকে ভারত। কিন্তু বাংলাদেশের রক্ষণে আফিদা-জয়নবরা ছিলেন সতর্ক। প্রথমার্ধ ভারতের মেয়েদের হলে দ্বিতীয়ার্ধ ছিল বাংলাদেশের।
আক্রমণে আধিপত্য দেখিয়ে গোলের আশা জাগাচ্ছিলেন বারবার।
মনে হচ্ছিল এই বুঝি গোল পেয়ে যাবে। শেষ পর্যন্ত গোল এলো যোগ করা সময়ে। আফিদা খন্দকারের বাড়ানো লম্বা বল ভারতের অর্ধে পেয়ে বক্সে ঢুকে ঠাণ্ডা মাথায় বল জালে পাঠান সাগরিকা।
১-০ গোলে ম্যাচ জয়ের সঙ্গে অনূর্ধ্ব-১৯ সাফের ফাইনালও নিশ্চিত করে ফেলে বাংলাদেশ।
এই হারের পরও ফাইনালে যাওয়ার সুযোগ আছে ভারতের সামনে। পরের ম্যাচে হারাতে হবে নেপালকে। সুযোগ থাকছে নেপালেরও।
গতকাল ভুটানকে ১-০ গোলে হারানোয় শেষ রাউন্ডে ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে থাকছে তারাও। কমলাপুরে প্রথম সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশই। আফিদার দূরপাল্লার ফ্রি কিক অবশ্য চলে যায় পোস্টের খানিকটা ওপর দিয়ে। একটু পরেই বাংলাদেশের রক্ষণের ভুলে সুযোগ পেয়ে যায় ভারত। কিন্তু ভারতের মিডফিল্ডার পূজা বলের নাগাল পাওয়ার আগেই স্লাইডে ক্লিয়ার করেন গোলরক্ষক স্বপ্না রানী।
দ্বিতীয়ার্ধে খেলায় প্রাণ ফেরায় সাইফুল বারীর শিষ্যরা। সাগরিকা-পূজা দাসরা আক্রমণে মনোযোগী হলে চাপে পড়ে যায় ভারতের মেয়েরা। পর পর তিনটি প্রচেষ্টায় গোল করতে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশের আক্রমণভাগ। এরপর মুনকি আক্তারের শট এগিয়ে এসে ফেরান ভারতের গোলরক্ষক আনিকা দেবী। তাতে ম্যাচ ড্রয়ের পথেই এগোচ্ছিল। কিন্তু আগের ম্যাচেই জোড়া গোল করা সাগরিকা এদিন শেষ মুহূর্তে এনে দেন কাঙ্ক্ষিত গোল।