হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র :
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের ‘ইটজি চাইনিজ রেস্টুরেন্টে-এ হুমায়ন কবিরের সভাপতিত্বে এবং শরিফ হোসেন নিরব ও কবির হোসেনের সঞ্চালনায় “চাটখিল উপজেলা সোসাইটি ইউএসএ”এর অনুষ্ঠান গত ২১ জানুয়ারি মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭ টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট রাজনৈতিক ও সংগঠক হাজী আনোয়ার হোসেন লিটন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন-মাঈন উদ্দিন নটু।
উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাস্ট্রে বসবাসরত চাটখিল উপজেলার সকল ইউনিয়ন ও চাটখিল পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের ব্যক্তিবর্গ এর মাঝে নুর আলম সেলিম, মোহাম্মদ আলি, কবির হোসেন, মাসুদ রানা, আবু সাঈদ, সরাজ ইসলাম, হুমায়ন বাংগালী, শওকত আকবর, গোলাম গাউস রুবেল, শফিকুল ইসলাম, রাশেদ আলম, নুর হোসেন, তারেক হোসেন, শিবলু, শিহাব বিন ওয়াছেক, আসিফ মাহবুব, রাজিব হোসেন, মামুন, শাহরিয়ার হিমেল, নুরুল হুদা পিন্টু, মাহবুব আলম, আবদুর রহিম, নুর জালাল, শাওন শুভ, ইসমাইল হোসেন পলাশ, রাব্বি হোসেন, নুর হোসেন মিঠু, ইয়াছিন আরাফাত, মোহাম্মদ কাকন, হাছান আহম্মেদ, মোহাম্মদ রবিন, মেহেদী হাসান ফাহাদ, আহমেদ বাবু, মেহিদী হাসান অন্তর, মোহাম্মদ ইয়াছিন, গোলাম রাব্বানী অপু, কার্তিক, রমযান আলি রাশেদ, আমিন উল্যাহ সহ অনেক ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সকলের সম্মতিতে অতিশীঘ্রই চাটখিলের ৯টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার যুক্তরাস্ট্রে বসবাসরত সকল স্টেটের সমন্বয়ে কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। অনুষ্ঠানে আপ্যায়ন শেষে হুমায়ন কবিরের সমাপনী বক্তব্যে দ্রুত কমিটি গঠনের জোর দাবি জানানো হয়।
হাকিকুল ইসলাম খোকন:
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে গত ২০ জানুয়ারি সন্ধ্যায় নিউইয়র্কে স্টেট বিএনপির উদ্যোগে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। মাওলানা সাদিকের নেতৃত্বে জ্যাকসন হাইটস মসজিদে এ মাহফিল পরিচালিত হয়। এ সময় শহীদ রাষ্ট্রপতির আত্মার মাগফেরাত এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার আরোগ্য কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএসএমএমইউর প্রক্টর ডা. শেখ ফরহাদ। বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা এবং আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার জিয়াউর রহমানের জীবন ও আদর্শ উপস্থাপন করেন।
প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের পররাষ্ট্র সম্পর্কিত উপদেষ্টা কমিটির অন্যতম সদস্য গোলাম ফারুক শাহীন। তিনি বলেন, স্বৈরাচার মুক্ত হলেও বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কাজ এখনও শেষ হয়নি। এজন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে এবং দেশের স্বজনকে বিএনপির কর্মসূচির সাথে একাত্ম থাকতে হবে। এটাই হচ্ছে সময়ের দাবি।
সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান।
বিশেষ অতিথি ছিলেন জাহাঙ্গীর এম আলম, রুহুল আমিন সিদ্দিকি। আরো বক্তব্য রাখেন মিয়া আলিম পাখি, আমিনুল ইসলাম চৌধুরী, বদরুল হক আজাদ, মাহবুবুর রহমান মুকুল, দেওয়ান কাউসার।
নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপি এবং বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের মধ্যে আরো ছিলেন মো. দেলোয়ার হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মাইন উদ্দিন মিয়াজী, মোহাম্মদ আবুল কালাম, রুহুল আমিন, সেলিম আহমদ, মনির হোসেন, মামুন হোসেন বিপ্লব, সাইদুজ্জামান রিঙ্কু, জাকির হোসেন, রাহিমুল আলম প্রিন্স, আব্দুল করিম ও মো. ফয়সাল হোসেন।
সুন্দর ভবিষ্যৎ ও উন্নত জীবনের আশায় স্বপ্নবাজ তরুণরা দেশ ছেড়ে প্রবাসে পাড়ি জমাচ্ছেন। অনেকেই মনে করেন ইউরোপের কোনো দেশে পৌঁছে গেলেই ভাগ্যের চাকা বদলে যাবে। তাইতো পছন্দের শীর্ষে থাকা ইউরোপের পথেই পাড়ি জমাচ্ছেন তরুণরা। তবে বৈধ পথে ইউরোপ যাত্রা অনেকটা সোনার হরিণ পাওয়ার মতোই। নানা জটিলতা ও বৈধভাবে কোনো উপায় না পেয়ে বাধ্য হয়েই অবৈধ পথ বেছে নিচ্ছেন অনেক তরুণ। আর দালালের খপ্পড়ে পড়ে এ পথে পাড়ি দিয়ে কেউ কেউ গন্তব্যে পৌঁছাতে পারলেও অনেকেরই হচ্ছে সর্বনাশ।
অবৈধভাবে সমুদ্রপথে বা বিভিন্ন দেশের ঝুঁকিপূর্ণ সীমানা পাড়ি দিয়ে ইউরোপে প্রবেশের সময় প্রায়ই জীবন হারাচ্ছেন স্বপ্নবাজ তরুণরা। অনেকেই নিখোঁজও হচ্ছেন। তাদেরই দু’জন মাসুদ রানা (২২) ও পাবেল আমদে (২৫)। অবৈধপথে ইউরোপে পাড়ি দিতে গিয়ে ২ বছর ধরে নিখোঁজ রয়েছেন তারা। একই গ্রামের মাসুদ ও পাবেল ইরান-তুরস্ক হয়ে ইউরোপের দেশ গ্রিসে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হন।
নিখোঁজরা হলেন হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের সাতাইহাল গ্রামের চুনু মিয়ার ছেলে পাবেল আহমেদ ও একই গ্রামের দলাই মিয়ার ছেলে মাসুদ রানা।
নিখোঁঁজ মাসুদের স্বজনরা জানান, পরিবারে স্বচ্ছলতা ফেরাতে তারা কয়েকজন অভিবাসন প্রত্যাশী ইউরোপের দেশ গ্রিসে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে দুবাই থেকে জাহাজে ইরান পৌঁছান। ইরানে কয়েকদিন অবস্থানের পর ২০২৩ সালের ২৩ জানুয়ারি পাহাড়ি পথ বেয়ে ইরান থেকে তুরস্কে প্রবেশের চেষ্টা করেন। এক সাথে ১০ জন বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশি মোট ২৪ জন নাগরিক ছিলেন তাদের দলে। উঁচু-নিচু পাহাড়, মরুভূমি আর বরফে ঢাকা দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে তুরস্ক সীমান্ত অতিক্রম তরার সময় তারা নিখোঁজ হন। এরপর থেকে মাসুদের কোনো হদিস পাওয়া যায়নি।
অপর নিখোঁজ পাবেলের স্বজনরা জানান, পাবেলসহ ৩৫ জন যুবক ইরান থেকে তুরস্কের পথে যাত্রা শুরু করে। তুরস্ক সীমান্ত অতিক্রম করার সময় দালাল চক্রের সদস্যরা রাতের অন্ধকারে পাহাড়-পর্বত মরুভূমি আর বরফে ঢাকা দুর্গম রাস্তা পাড়ি দিয়ে তুরস্কে প্রবেশকালে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ক্যাম্পের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালায়। এ সময় ৮ জন যুবক একদিকে লুকিয়ে পড়ে এবং অন্যদিকে ২৭ জন যুবকের সঙ্গে পাবেল দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এরপর থেকে পাবেল নিখোঁজ হয়। পাবেলের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
নিখোঁজ পাবেলের মামা সাইফুর রহমান তালুকদার জানান, ‘পাবেল দেশের বাইরে যাওয়ার কিছুদিন আগে তার ছোট ভাই শাহ ফাহিম ও তার মা নাজমা তালুকদার মারা যান। নিজের পরিবারকে প্রতিষ্ঠিত করতে ইউরোপ যাওয়ার চিন্তা করে পাবেল। ৪ ভাই বোনের মধ্যে পাবেল সবার বড়।’
তিনি কাঁন্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘পাবেলের মা মারা যাওয়ার পর আমাদের কাছেই সে বড় হয়েছে, মা হারা পাবেলকে অনেক কষ্ট করে লালন-পালন করেছি। ইরান অবস্থানকালে ও তুরস্ক যাওয়ার আগে আমার সঙ্গে ভাগিনার কথা হয়েছে। সে দোয়া চেয়ে বলেছিল, মামা আমি পৌঁছে ফোন দিব, কিন্তু আর তাকে ফোনে পাইনি। তার সঙ্গে থাকা সঙ্গীদের তথ্য অনুযায়ী, পুলিশ তাদের দেখে অভিযান চালালে যে যার মতো দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এরপর থেকে পাবেলের আর কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।’
নিখোঁজের ২ বছর অতিবাহিত হলেও এখনো কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি পাবেল ও মাসুদের। আজও তাদের অপেক্ষায় আছেন স্বজনরা।
মৃত্যু ঝুঁকির পথ বেয়ে ইরান-তুরস্ক সীমান্ত পাড়ি দেয়া আল-আমিন আহমেদ নামে অভিবাসী জানান, ‘ইরান হতে তুরস্ক সীমান্ত অতিক্রম করা অনেকটা মরণ ফাঁদের মতো। সীমান্তপথ পাড়ি দেওয়া অনেকটা ঝুঁকিপূর্ণ, অনেক উঁচু-নিচু পাহাড় অতিক্রম করতে হয়, পাশাপাশি মরুভূমি আর বরফে ঢাকা দুর্গম পথ পাড়ি দিতে হয়। রাতের অন্ধকারে কোনো ধরনের আলো ছাড়াই দালাল চক্রের সদস্যদের পিছনে-পিছনে যেতে হয়। কখনো দীর্ঘপথ মরুভূমি, আবার কোনো কোনো সময় উঁচু-নিচু পাহাড় কিংবা বরফে ঢাকা ঝুঁকিপূর্ণ পথ। মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে সীমান্ত অতিক্রম করতে হয়। আর সীমান্তে আটক হলে অমানবিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়।
অভিবাসন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ‘বর্তমানে বৈধ পথে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এসব বিপদজ্জনক পথে বিদেশে পাড়ি না জমানোর অনুরোধ। সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন
আরিফুর রহমান আরিফ ২০ জানুয়ারি সোমবার ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আমেরিকার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ শুরু। আরিফুর রহমান আরিফ আশা প্রকাশ করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করে বিশ্বের সকল যুদ্ধ বন্ধ ঘোষণা করবেন। তিনি বিশ্ব মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করবেন। পাশাপাশি নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী উপর সকল ভ্যাট ও টাক্স পরিহার করে মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য কমানোর জন্য এক মাইলফলক স্থাপন করবেন। জাতিসংঘ সহ বিশ্বের সকল মানুষের কল্যাণের এক শান্তির বার্তা ছড়িয়ে পড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন। পাশাপাশি বিশ্বের সকল বিশ্ব নেতাদের প্রতি আমার অনুরোধ বিশ্বে মানবতার কল্যাণে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। দলমত ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল আল্লাহর/ স্রষ্ঠার সৃষ্টি সকল মানুষকে ভালোবেসে মহান আল্লাহ সন্তুষ্টি অর্জনে বিশ্ব মানবতার কল্যাণ ও শান্তি লক্ষ্যে সকলে একসাথে কাজ করলে আল্লাহ রহমতে বিশ্ব শান্তি বয়ে আনবে। পরিশেষে আজকের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সকল বিশ্ব নেতাদের দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করে এবং আমেরিকার ৪৭ তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন Brahmanbaria2usa.com এর সম্পাদক ও প্রকাশক আরিফুর রহমান আরিফ।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি
অনলাইন ডেস্ক :
কানাডার অন্টারিওতে বসবাসরত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ইঞ্জিনিয়ারদের সংগঠন এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশি ইঞ্জিনিয়ার্স অব অন্টারিও (এবিইও) এর নতুন পরিচালনা পরিষদের অভিষেক অনুষ্ঠান ডেনফোর্থ রোডের বিডি ফিউশন রেস্তোরাঁয় অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংগঠনের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ রেজাউর রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে অভিষেক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। এ সময় বক্তব্য রাখেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার মির্জা শহিদুর রহমান।
আরও পড়ুন
পর্তুগালে বাংলাদেশি দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৭জন আহত
ইউসুফ তালুকদারকে প্রেসিডেন্ট করে নতুন পরিচালনা পরিষদে রয়েছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট এ কে এম ফজলুল করীম, পরিচালক যথাক্রমে মো. বজলুর ভূইয়া মারুফ, অপূর্ব ভৌমিক, ইফাত আরা, মো. আতিকুল ইসলাম, ড. আবুল বাশার, ফারহাত নাইম খান, কাজী বদিউল আলম লিটন, বিপ্লব কর্মকার, শেখ মোহাম্মদ ইসমাইল, শফিকুল ইসলাম, মোহাম্মদ সোলাইমান দেওয়ান।
ইফাত আরা এবং মো. বজলুর ভূইয়া মারুফ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে নবনির্বাচিত কর্মকর্তাদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয় এবং ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। কেক কেটে অভিষেক উদযাপন করা হয়।
আরও পড়ুন
কিশোরি হেনস্থার মামলায় নিউইয়র্কে গ্রেফতার বাংলাদেশি
উল্লেখ্য, তিন সদস্যের নির্বাচন এ বিইওর নতুন পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচিত করে। বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজ এলামনাইর প্রতিনিধিবর্গ উক্ত অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করে এবং শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন।
নতুন প্রেসিডেন্ট ইউসুফ তালুকদার বলেন, কানাডায় বসবাসরত বাংলাদেশি প্রকৌশলীদের পেশাগত উন্নয়নে এই সংগঠনকে গুরুত্বপূর্ণ প্লাটফরমে পরিণত করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। বিদায়ী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ রেজাউর রহমান কানাডায় বাংলাদেশি প্রকৌশলীদের পেশাদারিত্বের প্রশংসা করে মূলধরায় অধিকতর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
অনলাইন ডেস্ক :
সৌদি আরবের মদিনায় শ্রমিকের কাজ করে বাসায় ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো কুমিল্লার দেবিদ্বারের যুবক মো. বাছির উদ্দিনের (২৩) মরদেহ প্রায় দেড় মাস পর দেশে এসেছে। মো. বাছির দেবিদ্বার উপজেলার হোসেনপুর গ্রামের মৃত স্বপন আলীর ছেলে।
১৭ জানুয়ারি শুক্রবার রাত ৭টার দিকে উপজেলার জাফরগঞ্জ ইউনিয়নের হোসেনপুর ঈদগাহ মাঠে সামনে জানাযা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
জানাযায় উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ, কুমিল্লা উত্তর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মু সাইফুল ইসলাম শহীদ, উপজেলা বিএনপি নেতা মো. আবুল হোসেন লিপুসহ স্থানীয়রা।
বিকালে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাছির উদ্দিনের মরদেহ এসে পৌঁছায়। পরে সন্ধ্যায় মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। তার মৃত্যুতে পরিবার ও এলাকাবাসীর মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
বাছির উদ্দিনের শ্বশুর সিরাজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বাছির উদ্দিন মারা যাওয়ার পর মরদেহ দেশে ফেরানোর জন্য চেষ্টা করেও ব্যর্থ হই।
পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহর সহযোগিতায় দেড় মাস পর বাছিরের মরদেহ বাড়িতে আনা হয়।
তিনি আরো বলেন, গত ৫ ডিসেম্বর সৌদি আরবের মদিনায় একটি কোম্পানির কনস্ট্রাকশন কাজ শেষ করে বাসায় ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় বাছির মারা যায়। আমরা প্রতিবেশী এক প্রবাসীর মাধ্যমে খবর জানতে পারি।
বাছিরের মা শাহীনা বেগম বলেন, বাছিরের বাবা দুই বছর আগে মারা যায়।
পরে অনেক ধারদেনা করে বাছিরকে সৌদি আরবে পাঠাই। আমার ছেলে যে ওখানে মারা যাবে কে জানত। আমার পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ছিল বাছির।
জানাযা পূর্ব বক্তব্যে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, বাছিরের পরিবারের প্রায় সাড়ে ৭ লাখ টাকা ঋণ রয়েছে। এই ঋণ পরিশোধের দায়িত্ব আমাদের। আমাদের কিছু সময় দিতে হবে। আমরা এলাকার সবাই মিলে যদি বাছিরের পরিবারের দিকে খেয়াল রাখি, তাহলে এই পরিবারটি স্বাবলম্বী হবে।