অনলাইন ডেস্ক :
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে লিভারপুলের দাপট অব্যাহত রয়েছে। ইপসউইচ টাউনকে ৪-১ গোলে হারিয়ে তারা পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে অবস্থান করেছে। এ ম্যাচে মিশরীয় তারকা মোহাম্মদ সালাহ আরো একটি মাইলফলক স্পর্শ করেছেন। তিনি অ্যানফিল্ডে লিভারপুলের হয়ে ১০০তম গোল করেছেন। ম্যাচের ৩৫তম মিনিটে দারুণ এক শটে জালে বল জড়িয়ে দিয়ে এই মাইলফলক স্পর্শ করেন সালাহ। চলতি মৌসুমে তার এই ১৯তম এবং সব মিলিয়ে ২৩তম গোল। কোডি গাকপো জোড়া গোল করলেও সালাহের এই গোলই ম্যাচের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দৃশ্য ছিল।
আক্রমণাত্মক ফুটবল দিয়ে একাদশ মিনিটেই ম্যাচে লিড নেয় স্বাগতিক লিভারপুল। বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া দারুণ এক শটে সোবোসলাই গোলটি করেন। পরবর্তীতে ৪৪ ও ৬৬ মিনিটে গাকপো দুইটি গোল করে বড় জয় নিশ্চিত করেন সিটির। ম্যাচের শেষদিকে ইপসউইচ এক গোল শোধ করে।
ইপিএলের টেবিলে শীর্ষে থাকা লিভারপুল তাদের দাপুটে অবস্থান আরো মজবুত করলো। ২২ ম্যাচে আর্নে স্লটের দলটির পয়েন্ট ৫৩। একই রাতে (উলভসের বিপক্ষে) ১-০ গোলে জয় পাওয়া আর্সেনালের পয়েন্ট ৪৭। তারা টেবিলের দুইয়ে আছে। তিনে থাকা নটিংহ্যাম ফরেস্ট তাদের চেয়ে পিছিয়ে আছে ৩ পয়েন্টে।
অনলাইন ডেস্ক :
পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে সফরকারী জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সহজ জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।
আজ ৩ মে শুক্রবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের দেওয়া ১২৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ২৮ বল ও ৮ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ দল।
১২৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৫ রান তুলতেই লিটনের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ৩ বলে ১ রান করে সাজঘরে ফিরেন টাইগার ওপেনার লিটন কুমার দাস। এরপর ধীর গতির ব্যাট করেন নাজমুল শান্ত। আউট হওয়ার আগে তিনি ২৪ বলে ২১ রান করেন। এরপর তানজিদ তামিম ও তাওহীদ হৃদয় ঝড়ো ব্যাটিং করে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। অভিষিক্ত তানজিদ তামিম ৪৭ বলে ৬৭ রান করেন ও তাওহীদ হৃদয় ১৮ বলে করেন ৩৩ রান।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই প্রথম উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। মাহেদী নিজের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই সরাসরি বোল্ড করে ফেরান জিম্বাবুয়ের ওপেনার ক্রেইগ আরভিনকে (০)। এরপর শরিফুল ইসলাম এক ওভারে তিন বাউন্ডারি সহ হজম করেন ১৩ রান। কিন্তু তাসকিন আহমেদ এসে রানের চাকায় লাগাম টানেন। যার ফল তুলে নেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। প্রথমবার বল হাতে নিয়ে দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেন সাইফউদ্দিন।
ওভারের শেষ বলে তিনি জিম্বাবুয়ের অভিষিক্ত ব্যাটার জয়লর্ড গাম্বিকে (১৪) বিদায় করেন। উইকেট পতনের মিছিল এরপর চলতেই থাকে। ষষ্ঠ ওভারে ফের বল হাতে নেন মাহেদী। এবার প্রথম বলেই রান আউটের শিকার হন একপ্রান্ত আগলে রাখা ব্রায়ান বেনেট (১৬)।
পরের বলে এসেই ডাক মারেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। মাহেদীর লেন্থ বলে প্যাডেল সুইপ খেলতে গিয়ে ফার্স্ট স্লিপে থাকা লিটন দাসের হাতে ক্যাচ তুলে দেন রাজা। ১ উইকেটে ৩৬ রান করা জিম্বাবুয়ে আর কোনো রান যোগ করার আগেই হারায় আরও ৩ উইকেট।
এখানেই শেষ নয়। তাসকিন পরের ওভারে তুলে নেন জোড়া উইকেট। ওভারের প্রথম দুই বলেই তিনি বিদায় করেন শন উইলিয়ামস ও রায়ান বার্লকে। দু’জনেই বিদায় নিয়েছেন রানের খাতা খোলার আগেই। এরপর অষ্টম ওভারে লুক জঙওয়ে (২) বিদায় নেন সাইফউদ্দিনের বলে।
৪১ রানে ৭ উইকেট হারানোর পর ওয়েলিংটন মাসাকাদজাকে সঙ্গে নিয়ে ক্লিভে মাদানদে ইনিংস গড়ার দায়িত্ব নেন। শুরুতে তারা ধীরস্থিরভাবেই খেলছিলেন। কিন্তু শেষদিকে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন তারা।
শরিফুলের করা ১৭তম ওভারে ১১ ও রিশাদ হোসেনের করা পরের ওভারে ১৬ রান নেন মাসাকাদজা ও মাদানদে। এরপর ১৮তম ওভারের প্রথম বলে তাসকিনকেও ছক্কা হাঁকান মাসাকাদজা। এক বল পরই অবশ্য তার সঙ্গী মাদানদেকে বোল্ড করেন তাসকিন।
তার ইয়র্কার মাদানদের দুই পায়ের মাঝখান দিয়ে স্টাম্পে আঘাত করে। অষ্টম উইকেটে জিম্বাবুয়ের রেকর্ড ৬৫ বলে ৭৫ রানের জুটি ভেঙে যায় এতে। ৬ চারে ৩৯ বলে ৪৩ রান করে আউট হন মাদানদে। তার বিদায়ের পর জিম্বাবুয়ের রান হয়নি খুব একটা। শেষ বলে রান আউট হওয়ার আগে ৩৮ বলে ৩৪ রান করেন মাসাকাদজা।
বাংলাদেশের হয়ে ৪ ওভারে ১৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন তাসকিন। সমান ওভারে ১৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট পান সাইফউদ্দিনও।
জিম্বাবুয়ের ছোট লক্ষ্য তাড়ায় বাংলাদেশের শুরুটা মোটেও ভালো ছিল না। ব্যাট হাতে অনেকদিন ধরেই অধারাবাহিক ওপেনার লিটন দাস শুরুটা করেন বাজেভাবে। ব্লেসিং মুজারাবানির করা দ্বিতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলেই বোল্ড তিনি। গুড লেংথে ফেলা বলটি লিটনের ব্যাট ও প্যাডের ফাঁক গলে স্টাম্প ভেঙে দেয়। এতে ৩ বলে মাত্র ১ রানেই থামল সর্বশেষ ১৯ ইনিংস আগে ফিফটির দেখা পাওয়া লিটন। যা বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের জন্যও বড় চিন্তার কারণ!
শান্ত ভালো খেলতে থাকলেও কাটা পড়েছেন দলের ৫৭ রানের মাথায়। ২৪ বলে ২১ রান করে সাজঘরে ফিরে যান তিনি। তবে তানজিদকে থামানোই যাচ্ছিল না। দারুণ ছন্দে থাকা এই ওপেনার দৃষ্টিনন্দন সব শটে হাঁকাচ্ছিলেন একের পর এক বাউন্ডারি। দুর্দান্ত দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে অভিষেকেই হাঁকিয়েছেন ফিফটি।
চারে নেমে দারুণ কিছু শট খেলেছেন তাওহিদ হৃদয়ও। শেষ দিকে তানজিদ-হৃদয়ের ব্যাটে চড়েই এগিয়েছে বাংলাদেশের ইনিংস। দুজনে মিলে হতে দেননি কোনো বিপদ। হেসেখেলেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। ২৮ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটের জয় পায় টাইগাররা। তানজিদ অপরাজিত ছিলেন ৪৭ বলে ৬৭ রানের ইনিংস খেলে। অন্যদিকে হৃদয় ১৮ বলে ৩৩ রান করে শেষ পর্যন্ত টিকে ছিলেন। দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন তানজিদ-হৃদয়। জিম্বাবুয়ের হয়ে ১টি করে উইকেট নেন লুক জঙ্গুয়ে এবং ব্লেসিং মুজারাবানি।
অনলাইন ডেস্ক :
শ্রীলংকার বিপক্ষে ১১ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭৩ রানে ৩ উইকেট। জয় পেতে তখনও ৫৪ বলে ৫২ রান করতে হবে বাংলাদেশকে। এমন উইকেটে খুব একটা সহজ নয় এই কাজ। কেননা, খানিক আগেই শেষ ৩৬ বলে মোটে ২৪ রান তুলতে পেরেছিল লংকানরা। তাই শঙ্কা ছিলই। তবে সেই শঙ্কা দূর করার দায়িত্বটা কাঁধে তুলে নিলেন তাওহীদ হৃদয়। ইনিংসের ১২তম ওভারে লংকান অধিনায়ক ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্কাকে টানা তিনটি ছক্কা হাঁকালেন পরপর। চতুর্থ বলেই একই কাজ করতে গিয়ে বল মিস করলেন হৃদয়। লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফিরতে হলো তাকে। তবে ফেরার আগে ঠিকই ২০ বলে ৪০ রান করে দিয়ে গেছেন এমন উইকেটে। তাতেই জয়ের সুবাস পেয়ে যায় বাংলাদেশ।লিটন ও সাকিব দ্রুত ফিরলে খানিকটা শঙ্কাও জাগে হারের।
তবে সেই শঙ্কা আরও ঝেঁকে বসে মাহমুদউল্লাহকে রেখে পরপর রিশাদ ও তাসকিন ফিরলে। মনে হচ্ছিল মাহমুদউল্লাহ সুযোগ পাবেন তো শেষ পর্যন্ত। অবশেষে সুযোগটা পান তিনি। দাসুন শানাকার ১৯তম ওভারের প্রথম বলেই হাঁকান ছক্কা। দূর হয় সব শঙ্কা। বাংলাদেশ ম্যাচ জেতে ৬ বল ও ২ উইকেট হাতে রেখে। তাতে জয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু হয় নাজমুল শান্তর দলের।
এদিন বাংলাদেশের জয়ের রাস্তাটা প্রশস্ত করে দিয়ে গিয়েছিল বোলাররাই। ১৪ ওভারে দলীয় শত রান করা লংকানদের শেষ ৬ ওভারে আটকে দিয়েছিল মাত্র ২৪ রানে। তাতে বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১২৫ রানের। টি টোয়েন্টিতে যে কোনো উইকেটেই যা অতি মামুলি। তবে সেই টার্গেটটাই কঠিন করে তুলেছিল বাংলাদেশে টপ অর্ডার ব্যাটাররা। পাওয়ার প্লের আগেই ২৮ রানে খুইয়ে ফেলেছিল ৩ উইকেট। তাতে খানিকটা শঙ্কাও উঁকি দিচ্ছিল হারের। তবে সেই শঙ্কা দায়িত্ব নিয়েই দূর করে গেছেন লিটন দাস ও তাওহীদ হৃদয়। চতুর্থ উইকেট জুটিতে দু’জনে মিলে জমা করেছেন ৬৩ রান।
এরপর অতি আগ্রাসী হতে গিয়ে হাসারাঙ্গার বলে ২০ বলে ৪০ রান করে ফিরতে হয় হৃদয়কে। এরপর লিটন ফিরে যান ৩৮ বলে ৩৬ রান করে। খানকি পর ১৪ বলে ৮ রান করে সাজঘরে ফিরে যান সাকিবও। তাতেই শঙ্কায় পড়ে যায় বাংলাদেশের জয়। এরপর তুষারার পরপর দুই বলে রিশাদ ও তাসকিন ফিরলে সেই শঙ্কা আরও বাড়ে। তবে দায়িত্ব নিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। খেলেছেন ১৩ বলে ১৬ রানের হার না মানা এক ইনিংস।
এর আগে, টসে জিতে শ্রীলংকাকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ। শুরুতে বাংলাদেশি বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে রানের চাকা সচল রেখেছিলেন দলটির ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা। যদিও অপর প্রান্ত থেকে নিয়মিত উইকেট পড়ছিল। এরপরও বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে ফেলেছিল শ্রীলংকা। ১৪ ওভারেই ছুঁয়েছিল দলীয় শত রান।
তবে নিশাঙ্কা ২৮ বলে ৪৭ রান করে ফিরলে বাকিরা হাঁটতে পারেনি তার দেখানো পথে। মাঝে উইকেটে ধনঞ্জয়া ও আসালাঙ্কা জমে উঠার চেষ্টা চালিয়েছেন মাত্র। তাতে অবশ্য খানিকটা ভয় ঝেঁকে বসেছিল বাংলাদেশের। তবে সেই ভয় দূর করেছেন রিশাদ। ১৬তম ওভারে এসে পরপর ফিরিয়েছেন আসালাঙ্কা ও হাসারাঙ্কাকে। তাতেই বড় সংগ্রহের স্বপ্নটা শেষ শ্রীলংকার। বাংলাদেশের বিপক্ষে শেষ পর্যন্ত লংকানদের ইনিংস থামে ৯ উইকেটে ১২৪ রানে।
বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজ ও রিশাদ। মুস্তাফিজ ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ১৭ রান খরচায় তুলেছেন ৩ উইকেট। অন্যদিকে ২২ রান খরচায় রিশাদের শিকার ৩ উইকেট। ২ উইকেট নিয়েছেন তাসকিন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের বুড্ডা গ্রামে- বুড্ডা মৃধা কল্যাণ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে মিনি ফুটবল টুর্ণামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ আজ ৭ জুলাই রবিবার বিকেলে বুড্ডা মৃধাবাড়ি সংলগ্ন মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক, দৈনিক ফ্রনটিয়ার পত্রিকার সম্পাদক, এ এম টিভি বাংলা ও এ মালেক গ্রুপের চেয়ারম্যান এই সময়ের মানবতার ফেরিওয়ালা খ্যাত বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক আব্দুল মালেক।
আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মো: মনসুর আহমেদ।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আমজাদ মৃধা, মো: অলি আহাদ মৃধা মেম্বার, মো: সোহাগ মেম্বার, মো: মোহাম্মদ আলী, ব্যবসায়ী মো: বকুল মেম্বার, মো: আহাদ চৌধুরী, বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী মো: সাদেক মিয়া, মো: বিল্লাল মিয়া, মো: সাইকুল মিয়া, মো: আরমান মিয়া, মন্নাফ মৃধা প্রমুখ।
আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন, আনিছ মৃধা, ফরিদুল ইসলাম মৃধা, বিছু মিয়া, অলি মৃধা, আলী আজ্জম মৃধা, জাহার মৃধা, রুফন মৃধা, খালেক মৃধা, হামিদ মৃধা, শামিম মিয়া, স্বপন মৃধা, জাহার আলী মিয়া, লাল মিয়া, আলী রহমান, দ্বীন ইসলাম মৃধা, আল আমিন উল্লাহ প্রমুখ। পরিচালনায় ছিলেন জীবন মৃধা, রিপন মৃধা, জুম্মান মৃধা, রঙিণ চন্দ্র দাস, কানু চন্দ্র দাস, শহিদ মিয়া, আবু উল্লাহ, হারুনুর রশিদ মাষ্টার,তারা মিয়া, শিল্প চন্দ্র দাস, স্বপন চন্দ্র দাস, নান্টু চন্দ্র দাস, নারু চন্দ্র দাস, নুরু মিয়া প্রমুখ।
খেলায় রেফারির দায়িত্ব পালন করেন মো: হানিফ মিয়া।
ফুটবল খেলায় বুড্ডা একাদশ বনাম শাহবাজপুর টাইগার বয়েস ক্লাব অংশগ্রহন করে। খেলায় ২-১ গোলের ব্যবধানে শাহবাজপুর টাইগার বয়েস ক্লাব জয়লাভ করেন। খেলা শেষে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক আব্দুল মালেক অন্যান্য অতিথিদেরকে সাথে নিয়ে বিজয়ী দল ও অন্যান্য খেলোয়ারদের মাঝে পুরুষ্কার বিতরণ করেন।
এসময় প্রধান অতিথি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক আব্দুল মালেক বলেন, আমাদের যুবসমাজকে সুস্থ রাখতে হলে খেলাধুলার কোনো বিকল্প নেই। আমরা যারা সচেতন নাগরিক হিসেবে সমাজে আছি, আমাদের উচিৎ খেলাধুলায় পৃষ্ঠপোষকতা করা। তিনি বলেন, পড়াশোনার পাশাপাশি ভালো মানুষ হতে খেলাধুলার কোনো বিকল্প নেই। তিনি অত্র এলাকায় শিক্ষা ও খেলাধুলার প্রসারে তাঁর সকল প্রকার সহযোগিতার কথা পূণর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, আমাদের ঐতিহ্য গ্রাম বাংলার এসব খেলাধুলা আমাদেরকে নির্মল আনন্দ দেয়। যুবসমাজকে মাদকমুক্ত করতে খেলাধুলার পরিমাণ বাড়াতে হবে। বৃষ্টিস্নাত বিকেলে হাজার হাজার দর্শক এই ফুটবল খেলাটি উপভোগ করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
রংপুর জেলা স্টেডিয়ামে সকাল থেকেই মানুষের অপেক্ষা। সময়ের সঙ্গে দুপুর গড়াতে সেই অপেক্ষা রীতিমতো জনসমুদ্রের রূপ নেয়। হাজার হাজার মানুষ বরণ করে নেয় প্রিয় দল রংপুর রাইডার্সকে। আজ ২০ জানুয়ারি সোমবার দুপুরে হেলিকপ্টার যোগে রংপুর স্টেডিয়ামে আসেন দলের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, নাহিদ রানা, অলরাউন্ডার সৌম্য সরকার, শেখ মেহেদী হাসান, স্টিভেন টেইলর, খুশদিল শাহ, সাইফ হাসান। এছাড়াও আসেন হেড কোচ মিকি আর্থার, কোচ মোহাম্মদ আশরাফুল, টিম ডিরেক্টর শানিয়ান তানিমসহ টিম ম্যানেজমেন্ট।
গ্লোবাল সুপার লিগ (জিএসএল) শিরোপা জেতা দলটি শুরুতেই জার্সি উপহার দেয় হাজারো ভক্তদের মাঝে। রংপুরবাসীও সাদরে গ্রহণ করে রংপুর রাইডার্সের ক্রিকেটারদের। মাঠে প্রবেশের পর মঞ্চে আসেন রাইডার্সরা। একে একে দর্শকদের ধন্যবাদ দেন সব ক্রিকেটার ও কোচ।
রংপুরের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান বলেন, ‘আপনাদের ভালোবাসায় আমি মুগ্ধ। দোয়া করবেন যেন বিপিএল ট্রফিটা নিয়ে আসতে পারি। বসুন্ধরা গ্রুপকেও ধন্যবাদ।’
টিম ডিরেক্টর শানিয়ান তানিম জানান, ‘বসুন্ধরা গ্রুপ এদেশের ক্রিকেট বদলে দিচ্ছে। রংপুর রাইডার্স এই মাঠে এসে বিপিএলের অনুশীলন করবে, ম্যাচ খেলবে সুযোগ থাকলে। আমরা ট্রফি নিয়ে আবার রংপুরে আসব।’
হেড কোচ মিকি আর্থার জানান, ‘আসসালামু আলাইকুম। যদিও আমি অনেক বেশি বাংলা জানি না। তবে আপনাদের ভালোবাসায় আমি অবাক।’
এসময় দর্শকদের জন্য রাখা হয় বিপিএল ট্রফিও। মাঠে ছিল বিপিএল ২০২৫ এর মাসকটা ‘ডানা ৩৬’। এছাড়া রংপুর জেলা স্টেডিয়ামে দর্শকদের জন্য রাখা হয় বিশেষ কনসার্ট। চলতি বিপিএলে শুরুর ৮ ম্যাচের সবকটায় জিতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ এক নাম্বারে রয়েছে রংপুর রাইডার্স।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শুরু হয়েছে অনুর্ধ্ব-১৭ বালক ও বালিকা গোল্ডকাপ ফুটবল টুূর্ণামেন্ট-২০২৪। আজ ২২ জানুয়ারি বুধবার দুপুরে শহরের নিয়াজ মোহাম্মদ স্টেডিয়ামে জেলা পর্যায়ের এই টুর্ণামেন্টের উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো: সাইফুল ইসলাম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: ইকবাল হোসাইন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার মাহমুদুল হাসান, জেলা কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক শাহআলম খান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত মো: ইশতিয়াক ভূইয়া, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু হুরায়রা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা ক্রীড়া অফিসার মাহমুদা আক্তার।
জেলা প্রশাসন ও জেলা ক্রীড়া অফিস আয়োজিত টুর্ণামেন্টের উদ্বোধনী খেলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও বিজয়নগর উপজেলার বালক ও বালিকা দল অংশগ্রহন করে।
টুূর্ণামেন্টে জেলার ৯টি উপজেলার ১০টি দল অংশ গ্রহন করবে।