চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের গোল্ডকাপ ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৪ মার্চ শনিবার মিরপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ১২ ওভারের ম্যাচে বাঘাউরা ক্রিকেট একাদশ মিরপুর উওর পাড়া আশিক শান্ত ক্রিকেট একাদশকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
ফাইনাল ম্যাচে মিরপুর উত্তরপাড়া ক্রিকেট একাদশের করা ১৫২ রানের জবাবে তিন উইকেট হারিয়ে দুই বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাঘাউড়া ক্রিকেট একাদশ।
জয়ের অনুভূতি ব্যক্ত করেন বাঘাউড়া ক্রিকেট একাদশের পরিচালক ও যুবনেতা সুমন সরকার। তিনি বলেন, পুরো টুর্নামেন্টে আমাদের দল নিজেদের সেরা দিয়ে খেলে বিজয় ছিনিয়ে এনেছে। খেলোয়াড়, দর্শক ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের ধন্যবাদ জানাই আমাদেরকে অনুপ্রেরণা ও উৎসাহ যোগানোর জন্য।
ফাইনাল ম্যাচে খাইরুল এনামের সঞ্চালনায় ও অধ্যক্ষ আল-আমিন সরকারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রালয়ের উপসচিব আশরাফুল আফসার। আরো ছিলেন আনোয়ার হোসেন, আমেরিকা প্রবাসী জয়দিল হোসেন, আব্দুল আলিম, হোসাইন আহাম্মেদ খোকন, মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের কুমিল্লা অঞ্চলের ব্যুরো প্রধান সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম ইমরুল, মোশারফ হোসেন, হারুন সরকার, দেলোয়ার হোসেন, ইমরুল হাসান শিবলী, রুমন মাস্টার।
খেলার স্পন্সর করেছে ওয়েলকাম ইলেকট্রনিকস, ডাচ বাংলা এজেন্ট ব্যাংকিং মিরপুর পুরাতন বাজার, নুরনগর আইডিয়াল গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মিরপুর শিশু কিশোর মডেল একাডেমি।
খেলা শেষে অতিথিরা চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলকে গোল্ডকাপ ও চেক তুলে দেন। ধারাভাষ্যকার হিসেবে পুরো ফাইনাল ম্যাচটিকে দশর্কদের সার্বক্ষণিক বিনোদন দিয়েছেন সাংবাদিক জুয়েল রানা, রাশেদ আলম রাসেল, মোহাম্মদ নুরনবী।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে প্রায় ৩’শ বছরের প্রাচীন ‘নবীনগর বড় বাজার’ রক্ষায় নির্মানাধীন হাইওয়ে সড়কের এ্যালাইনমেন্ট পরিবর্তন করতে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে।
আজ ১৩ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বাজারের ব্যবসায়ীসহ স্থানীয় লোকজন স্মারকলিপিটি প্রদান করেন। এর আগে তারা জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে মিছিল শেষে মানববন্ধন করেন।
এ সময় বক্তব্য রাখেন নবীনগর বড় বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি মোঃ মনির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম জনি, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস, ব্যবসায়ী গৌরাঙ্গ দেবনাথ অপু, বীরগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি জহির রায়হান প্রমূখ। বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির আলোকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ থেকে নবীনগর পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ হাইওয়ে সড়ক নির্মিত হচ্ছে। প্রকল্পের এ্যালাইনমেন্ট অনুযায়ী নবীনগর অংশে নবীনগর বড় বাজারের ৫’শত দোকান অধিগ্রহনের আওতায় আসবে। তারা বলেন, নবীনগরের প্রধান অর্থনৈতিক বাণিজ্যিক কেন্দ্রস্থল এই বাজারটি ধ্বংস হলে অন্তত ৭ থেকে ৮ হাজার লোক বেকার হয়ে পড়বে। এ অবস্থায় তারা বাজারটি রক্ষায় সড়কের নকশা পরিবর্তন করে সড়কটি নির্মাণে সরকারসহ প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, সড়ক বিভাগের সাথে কথা বলে নকশা পরিবর্তনের সুযোগ থাকলে তা করা হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে আশুগঞ্জ-নবীনগর সড়কের নির্মাণকাজ শুরু করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। সড়কটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪শ ৩৬ কোটি টাকা।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহয়তায় কয়েক বছর ধরেই উন্নত মানের চিনাবাদাম চাষ হচ্ছে। চাহিদা থাকায় কৃষক পর্যায়ে প্রতি কেজি চিনাবাদাম বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকায়, এর চাষ লাভজনক হওয়ায় অনেকেই আগ্রহী হচ্ছে চাষে। বিশেষ করে নবীনগর পশ্চিম ইউনিয়নে কৃষকরা চিনাবাদাম চাষ করে ইদানিং বেশি লাভের স্বপ্ন দেখছেন।
উপজেলার নবীপুর ব্লকের দড়ি লাপাং গ্রামের কৃষক ফজলুল হক জানান- কৃষি বিভাগের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আকলিমা বেগমের উৎসাহে প্রথম বার বাদাম চাষে আগ্রহী হয়েছি। কৃষি অফিসের প্রণোদনার আওতায় বিনা চিনাবাদাম- ৪ জাতের বীজ দেওয়া হয়। জমির ফলন দেখে অনেক কৃষক আগামীতে বীজ নেওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
বীরগাঁও ইউনিয়নের নজরদৌলত ব্লকের কৃষক ধন মিয়া, পৌরসভা ব্লকের সুহাতা গ্রামের রুকিয়া বেগম ও রাজস্ব প্রদর্শনী কার্যক্রমের আওতায় বিনা চিনাবাদাম- ৪ আবাদ করে লাভবান হয়েছেন। উপজেলা কৃষি অফিসার মো. জাহাঙ্গীর আলম লিটন বলেন- বছরের যে কোন সময় এর চাষ করা যায়, তবে রবি মৌসুমে (অক্টোবর – ফেব্রুয়ারির) এবং খরিফ মৌসুমে (জুলাই – সেপ্টেম্বর) বীজ বপন করলে ফলন ভাল পাওয়া যায়। ফলন ভাল পেতে বিঘা প্রতি অন্যান্য সারের পাশাপাশি ৩০-৩৫ কেজি জিপসাম সারের প্রয়োগ করতে হবে। অতীতে নবীনগর উপজেলায় স্থানীয় বাদামের আবাদ করা হত বেশি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এই মূহুর্তে বারি চিনাবাদাম- ৬ এবং বিনা চিনাবাদাম-৪ আবাদ নিয়ে কৃষকদের মাঝে কাজ করছেন, এ বছর সন্তোষজনক ফলন এসেছে। বিঘা প্রতি ফলন ৮-১০ মন। চিনাবাদামে মনো- আনস্যাচুরেটেড এবং পলি- আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট নামের দুই ধরনের চর্বি জাতীয় পদার্থ রয়েছে, যা কোলেস্টেরল কমায়। খাদ্য হিসেবে প্রতিদিন অন্তত ১০ গ্রাম চিনাবাদাম গ্রহণ করতে হবে। চিনাবাদামের ফুল মাটির উপরে ফুটলেও গর্ভাশয়ের নীচের যে বৃন্তটি গুটি গঠন করে, সেটি মাটির নীচে চলে যায় এবং সেখানে পুষ্ট হয়ে বাদামে পরিণত হয়। এ কারণে হাল্কা, ঝুরঝুরে দোঁয়াশ মাটিতে বাদাম চাষ করা উচিত। খাদ্য হিসেবে চিনাবাদাম আমাদের দেহের ভারসাম্য রক্ষা করে- কলেস্টেরলের মাত্রা কমায়, রক্তের চাপ নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে, ওজন কমায়, স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনে দ্বিতীয়বারের মতো নৌকার প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও নবীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফয়জুর রহমান।
আজ ৩০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে সহকারী রিটার্নিং ও নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম ফরহাদ তানভীরের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মমিনুল হক সাঈদ, মেয়র শিব শংকর দাস, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্য জহির উদ্দিন সিদ্দিক টিটু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার জাকির আহাম্মদ, সদস্য গুলাম শাহরিয়ার বাদল, পরিষদের চেয়ারম্যান প্রমুখ।
নবীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে ফয়জুর রহমান বাদল নেতাকর্মীদেরকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘নির্বাচনী বিধি-নিষেধ মেনে চলতে হবে। সেই সঙ্গে সবাইকে নৌকার বিজয়ের জন্য কাজ করতে হবে।’
২০১৪ সালে তিনি নৌকার প্রার্থী হিসেবে এমপি নির্বাচিত হন। নির্বাচনের পর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হন তিনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে পরিবেশ আইন লঙ্ঘন করে একটি প্রভাবশালী মহল রাতের আঁধারে জলাশয় ভরাট করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রশাসনের অভিযানের পরও বন্ধ হয়নি জলাশয় ভরাট। এ ঘটনায় গত ৪ মার্চ জালশুকা গ্রামের মোঃ শওকত, আলি মিয়া, রহিম মিয়া, নান্টু মিয়া ও খবির উদ্দিন জলাশয় ভরাট বন্ধে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন।
গ্রামবাসীর লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সিএস, আরএস ও বিএসসহ সকল কাগজপত্রে উপজেলার বড়াইল ইউনিয়নের জালশুকা গ্রামে পানি প্রবাহিত হওয়ার খাল বিদ্যমান রয়েছে। এক সময় এই খাল দিয়ে পুরো ইউনিয়নের লোকজন কৃষি পন্য নৌকা দিয়ে জমি থেকে বাড়িতে আনা-নেওয়া করত। স্থানীয় প্রভাবশালীরা খালটির বিভিন্ন অংশে দখল করেছেন।
উপজেলার জালশুকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের জলাশয় ভরাটের দায়ে গত ১৬ ফেব্রæয়ারি নবীনগর উপজেলার তৎকালীন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা জাহান ভ্রাম্যমান আদালতের পরিচালনা করেন। অভিযানকালে অভিযুক্তদের একজনকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেন তিনি। অভিযানের সময় বালু ভরাট কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম পাইপ নষ্ট করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের ১ সপ্তাহ পর থেকে জলাশয়টি ব্যক্তি মালিকানার জায়গা দাবি করে রাতের আধারে বালু ফেলে ভরাট করা হচ্ছে। জালশুকা গ্রামের আবেদ হোসেন ও তার ভাই মোঃ রহমান জলাশয়টি ভরাট করছেন।
অভিযোগকারীদের দাবি জলাশয়ের পাশে মানুষের চলাচলের জন্য থাকা ১ নম্বর খাস খতিয়ানের ১৭শতক জায়গাও ভরাট করা হয়েছে। প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইনের (২০০০) ৫ ধারা অনুযায়ী, খেলার মাঠ, উন্মুক্ত স্থান, উদ্যান ও প্রাকৃতিক জলাধার হিসেবে চিহ্নিত জায়গার শ্রেনী পরিবর্তন করা যাবে না।
এ ছাড়া এ ধরনের জায়গা অন্য কোনোভাবে ব্যবহার করা, ভাড়া, ইজারা বা হস্তান্তর করা যাবে না। পরিবেশ সংরক্ষণ আইন (২০১০ সালে সংশোধিত) অনুযায়ী যেকোনো ধরনের জলাশয় ভরাট করা নিষিদ্ধ।
জলাধার সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী, কেউ আইনের বিধান লঙ্ঘন করলে অনধিক ৫ বছরের কারাদন্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা যাবে। শাস্তি প্রদানের পাশাপাশি আইন অমান্যকারীর নিজ খরচে সেটা আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়ার বিধানও রয়েছে।
ভূমি কার্যালয়ের একটি নথিতে দেখা গেছে, ১ নম্বর খাস খতিয়ানের ১২১ দাগে মানুষের চলাচলের জন্য ১৭শতক চলার পথ রয়েছে। ইতোমধ্যে জায়গাটি ভরাট করে ফেলা হয়েছে।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, জালশুকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে একটি জলাশয় রয়েছে। ওই জলাশয়ের নিচের দিকে বেশিরভাগ অংশ বালু ফেলে ভরাট করা হয়েছে। এর দক্ষিণদিকে গোকর্ণ-কৃষ্ণনগর সড়ক সংলগ্ন একটি খাল রয়েছে। তবে ওই খালেরও অনেকটা জায়গা বালু ফেলে ভরাট করে ফেলা হয়েছে। ভরাট করার পরও কিছু অংশে পানি দেখা যায়। ওই জায়গা বেশ কিছু শিশু শিক্ষার্থীকে খেলা করতে দেখা যায়।
এ ব্যাপারে উপজেলার বড়াইল ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ের নায়েব মো. রাসেল জানান, অনুমতি না নিয়ে জলাশয় ভরাটের অভিযোগে জরিমানা করা হয়। তবে যতদূর জানি জরিমানা করার পর জায়গাটিতে আর বালু ফেলা হয়নি।
ভরাটের সাথে যুক্ত আবেদ হোসেন বলেন, প্রশাসনের অভিযানের পর আমরা আর বালু ফেলিনি। জায়গাটি আমাদের নিজস্ব। স্কুলের মাঠের জন্য এখান থেকে মাটি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন জলাশয় হয়ে যাওয়ায় অনুমতি না নিয়ে ভরাটের কারণে প্রশাসন অভিযান চালিয়েছে। তারা বলছে ভরাটের অনুমতি লাগবে।
এ ব্যাপারে মোঃ রহমান বলেন, ‘এটি খাল বা জলাশয় নয়। পৈতৃকসূত্রে পাওয়া এখানে আমাদের ৪০শতক জমি রয়েছে। আমাদের জমির মাটি দিয়ে বিদ্যালয়ের মাঠ এবং গোকর্ণঘাট-কৃষ্ণনগর সড়ক নির্মানের জন্য দেয়া হয়েছে। খালের কোনো জায়গা ভরাট করা হয়নি। বরং আমাদের জমির উপর দিয়ে সেচের পানির নালা গিয়েছে। তিনি বলেন, আমরা এলাকায় থাকি না। একটি চক্র আমাদের জমি ভরাটকে জলাশয় ভরাটের নাম দিচ্ছেন।
এ ব্যাপারে বড়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন বলেন, আমি শুনেছি ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানের পর থেকে জলাশয় ভরাট বন্ধ রয়েছে। তবে আমি যতদূর জানি এটি তাদের ব্যক্তিগত জায়গা। একসময় জমি ছিল। স্কুলের মাঠ ও রাস্তা নির্মাণের সময় তাদের জমি থেকে মাটি নিয়েছিল। এটাকে এলাকায় মরা ডোবা বলে। বর্তমানে ভরাট বন্ধ আছে। শুনেছি ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে নবীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর ফরহাদের সাথে যোগাযোগগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেনি।
চলারপথে নিউজ :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় খ্রিষ্টিয়ান মেমোরিয়াল হাসপাতাল থেকে নবজাতক গায়েবের অভিযোগে হাসপাতালের মালিক, চিকিৎসক, নার্সসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে প্রসূতির স্বামী নবীনগর উপজেলার আলিয়াবাদ গ্রামের ফরহাদ আহমেদ বাদি হয়ে সদর মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার আসামীরা হলেন, খ্রিষ্টিয়ান মেমোরিয়াল হাসপাতালের মালিক ডাঃ ডিউক চৌধুরী, গাইনী চিকিৎসক ও সার্জন ডাঃ নওরিন পারভেজ, ডাঃ ইসরাত আহমেদ, হাসপাতালের কো-অর্ডিনেটর মার্শাল চৌধুরী, নার্স স্নেহলতা ও অপারেশন টিম সদস্য অথৈ মন্ডল।
থানায় দায়েরকৃত মামলা ও বাদি সূত্রে জানা গেছে, নবীনগর উপজেলার আলিয়াবাদ গ্রামের ফরহাদ আহমেদের স্ত্রী লিজা প্রথমবারের মতো গর্ভবতী হলে নবীনগর উপজেলার স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক মেহেরুন্নেছার তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সে সময় করা একটি আল্টাসনোগ্রাফিতে তার স্ত্রীর গর্ভে ২টি সন্তান দেখা যায় বলে জানান সেখানকার চিকিৎসকরা। সর্বশেষ ১৮ এপ্রিল করা আল্টাসনোগ্রাফি রিপোর্টেও লিজার গর্ভে দুটি সন্তান আছে বলে জানান চিকিৎসক।
গত শুক্রবার লিজার প্রসব ব্যাথা উঠলে সেখানকার চিকিৎসকরা যমজ শিশু গর্ভে থাকায় ঝুঁকি না নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কোন হাসপাতালে নিয়ে তাকে সিজারিয়ান করতে পরামর্শ দেন। ওইদিনই দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে লিজাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের খ্রিষ্টিয়ান মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানকার চিকিৎসক নওরিন পারভেজ আল্ট্রাসনোগ্রাফি করান। রিপোর্টে দুটি সন্তান দেখা যায়। পরে একই দিন তিনি নিজেই লিজাকে অপারেশন থিয়েটারে সিজারিয়ান করেন। এর কিছুক্ষণ পর হাসপাতালের লোকজন এসে জানান লিজা একটি কন্যা সন্তান জন্ম দিয়েছেন। আর কোন সন্তানের কথা তারা জানাতে পারেনি। তারা জানায় লিজার গর্ভে একটি সন্তান ছিলো। বিষয়টি নিয়ে আলোচনার ঝড় উঠে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম জানান, খ্রিষ্টিয়ান মেমোরিয়াল হাসপাতালে গর্ভে থাকা শিশু নিখোঁজের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টির তদন্ত চলছে।