অনলাইন ডেস্ক :
কুমিল্লা নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আগ্নেয়াস্ত্রসহ ১০ সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
জানা যায়, গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার রাত থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত চলমান অভিযানে গ্রেফতার, অস্ত্র উদ্ধার। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে অনেকেই নগরীর বিভিন্ন এলাকায় চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত ছিল।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন মোঃ নাইমুল ইসলাম, মো. জাবেদুর রহমান, আবির হামিদ মাহি, মো. রাকিব, মো. সাজিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলী, মো. সাব্বির হোসেন, অভিজিৎ রায় সরকার, মোঃ অপু, মো. আবুল খায়ের।
উদ্ধারকৃত অস্ত্রের তালিকা:
একটি বিদেশি পিস্তল, একটি রিভলভার, তিনটি শর্টগান, ৯টি শটগানের বুলেট, ৪টি পিস্তল ও রিভলবারের বুলেট, এবং বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র।
কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মো. মহিনুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
নরসিংদীর শিবপুরে ১২ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণ মামলার আসামী নারায়ণ চন্দ্র পালকে (৬০) গ্রেফতার করেছে র্যাব ১১। আজ ১১ এপ্রিল শুক্রবার দুপুরে নরসিংদীর আলীজান জুট মিলে র্যাবের কার্য্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান, র্যাব ১১ এর নরসিংদী ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার মেজর সাদমান ইবনে আলম। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে কুমিল্লার বুড়িচং থানার কংশনগর গ্রামে আসামীর মেয়ের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার নারায়ণ চন্দ্র পাল (৬০) শিবপুর থানার কুন্দারপাড়া এলাকার কুমার বাড়ির মৃৃত সুভাষ চন্দ্র পালের ছেলে।
র্যাব ১১ এর নরসিংদী ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার মেজর সাদমান ইবনে আলম জানায়, গত মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে শিবপুরের কুন্দারপাড়া গ্রামে মহিলা মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ওই কিশোরী বাড়ির পাশে গাছ থেকে আম পাড়তে যায়। এসময় একই এলাকার নারায়ণ চন্দ্র পাল (৬০) ওই কিশোরীর মুখ চেপে ধরে পাশের ধান ক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণ করে। এসময় কিশোরীর চাচী ঘটনা দেখে ফেললে নারায়ণ চন্দ্র পাল দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। পরে ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা থানায় মামলা করেন। কিশোরীকে ধর্ষণের পর হতে আসামী নারায়ণ চন্দ্র পাল পলাতক ছিলেন। তাকে গ্রেপ্তারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানার কংশনগর পশ্চিম বাজার এলাকার মেয়ের বাড়ি হতে নারায়ণ চন্দ্র পালকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে শিবপুর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হচ্ছে।
অনলাইন ডেস্ক :
ইন্দুরকানী উপজেলায় ট্রাক্টরের ফালে প্যাঁচানো দঁড়ি খুলতে গিয়ে আব্দুল্লাহর (১৪) নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।
আজ ১৯ জানুয়ারি রবিবার সকালে পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার পূর্ব চরবলেশ্বর গ্রামে জমি চাষ করার সময় এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আব্দুল্লাহ ওই গ্রামের হাফিজ পঞ্চায়েতের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালের দিকে পূর্ব চরবলেশ্বর গ্রামের কচা নদী সংলগ্ন একটি ফসলি মাঠে জমি চাষ করার সময় ট্রাক্টরের ফালে একটি লাইলনের দঁড়ি পেচিয়ে যায়। এ সময় ট্রাক্টর চালক হাসান ট্রাক্টরটির ইঞ্জিন নিউটাল করেন। আব্দুল্লাহ নিজে এ সময় পেচানো দঁড়িটি ছাড়ানোর চেষ্টা করতে গেলে মুহূর্তেই ট্রাক্টরের ফাল ঘুরে তিনটি কাচি তার শরীরের ভিতরে ঢুকে পড়ে। ঘটনার পর প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা করে ট্রাক্টরের ফাল খুলে আব্দুল্লাহকে বের করা হয়। এরপর তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরে তার মৃত্যু হয়।
ইন্দুরকানি থানার ওসি মো. মারুফ হোসেন জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে এ দুর্ঘটনার খবর পেয়েছি। এ মর্মান্তিক মৃত্যু সত্যিই দুঃখজনক। সংবাদ পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
মাগুরায় জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী উপজেলা প্রশাসন বিতর্ক উৎসব-২০২৫ এর উদ্বোধন হয়েছে। আজ ২৯ আগস্ট শুক্রবার সকালে মাগুরা জেলা প্রশাসন চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি শহর প্রদক্ষিণ করে নোমানি ময়দানে গিয়ে শেষ হয়। বর্ণাঢ্য এ র্যালিতে মাগুরা সদর উপজেলার ২৫ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। র্যালি শেষে মাগুরা জেলা অডিটরিয়ামে জেলা প্রশাসক মো. অহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক মো. মাহবুবুল আলম।
অনুষ্ঠানে প্রধান বিতর্ক ব্যক্তিত্ব ন্যাশনাল ডিবেট ফেডারেশন বাংলাদেশ এনডিএফ বি ডির চেয়ারম্যান এ কে এম শোয়েব ও বিশেষ বিতর্ক ব্যক্তিত্ব ন্যাশনাল ডিবেট ফেডারেশন বাংলাদেশ এম ডি এফ বিডি খুলনা অঞ্চলের তাকদিরুল গনি উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মাগুরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হাসিবুল হাসান।
দিনব্যাপী এ উৎসবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের পরিচালনায় আন্তর্জাতিক শিশু বিতর্ক রম্য, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে সনাতনী স্কুল বিতর্ক, তাৎক্ষণিক বিতর্ক এ অংশ নেয় মাগুরা সদর উপজেলার ২৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২৬টি বিতর্ক ক্লাবের শিক্ষার্থীরা।
অনুষ্ঠানে মাগুরা আদর্শ বিতর্ক সংঘের সার্বিক সহযোগিতায় উপজেলা প্রশাসন মাগুরা সদর এ উৎসবের আয়োজন করে।
সার্বিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মাগুর আদর্শ বিতর্ক সংঘের চেয়ারম্যান নাহিদুর রহমান দুর্জয়।
অনুষ্ঠান শেষে বিতর্কিকদের অংশগ্রহণ মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
সঞ্জীব ভট্টাচার্য্য :
বিশিষ্ট চিকিৎসা বিজ্ঞানী জাতীয় অধ্যাপক ডাক্তার নুরুল ইসলামের প্রতিষ্ঠিত বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ Institute of Applied Health Science (IAHS) এর MBBS COURSE এ ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের নবীন বরণ অনুষ্ঠান গত ১৭ জুন ২০২৫ সকাল সাড়ে ৯টায় এনেক্স ভবনের চতুর্থ তলায় হল রুমে অনুষ্ঠিত হয়।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজসমূহে এমবিবিএস কোর্সের ১ম বর্ষের অনলাইন ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে সংযুক্ত হওয়ার মাধ্যমে সূচনা করা হয়।
অনলাইন ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মোঃ সায়েদুর রহমান।
অনলাইন ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম সমাপ্তির পরবর্তিতে পবিত্র গ্রন্থ আল কোরান পাঠের মাধ্যমে আইএএইচএস কর্তৃক আয়োজিত নবীন বরণ, শিক্ষাবর্ষঃ ২০২৪-২০২৫ খ্রিঃ এর শুরু হয় এবং আইএএইচএস এর রূপকার জাতীয় অধ্যাপক ডাক্তার নুরুল ইসলামের স্মৃতিতে দাড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
নবীন বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি আইএএইচএস এর গভর্ণিং বডির চেয়ারম্যান আহমেদ ইফতেখারুল ইসলাম এর স্থলে সভাপতিত্ব করেন অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. রমা বড়ুয়া, বিভাগীয় প্রধান, এনাটমি, আইএএইচএস।
বিশেষ অতিথি উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ডা. মোঃ শফিউল হাসান, বিভাগীয় প্রধান, সাইকিয়েট্রি বিভাগ, আইএএইচএস, অধ্যাপক ডা. বদিউল আলম, একাডেমিক কোঅরডিনেটর ও বিভাগীয় প্রধান, সার্জারি, আইএএইচএস, অধ্যাপক ডা. সাবিনা ইয়াসমিন, বিভাগীয় প্রধান, ফিজিওলজি বিভাগ, আইএএইচএস এবং ডা. সুব্রত কুমার বড়ুয়া, সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগ, আইএএইচএস ও বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানসহ , অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক, প্রভাষকগণ, ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ।
নবীন বরণ অনুষ্ঠানে অধ্যাপকগণ নবীনদের উদ্দেশে মেডিক্যাল কারিকুলামের বিশাল পরিধিনিয়ে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে দিকনির্দেশনা মুলক বক্তব্য রাখেন।
উপস্থিত অভিভাবকবৃন্দদের সন্তানের প্রতি সচেতনতামূলক আচরণের পরামর্শ প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে নবীন শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরনের পাশাপাশি সকল শিক্ষার্থী ও সম্মানিত শিক্ষক মণ্ডলীর মাঝে পরিচিতি পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও নবীন-প্রবীণ দেশী বিদেশী শিক্ষার্থীগণ ও অভিভাবকবৃন্দগণ উক্ত নবীন বরণ অনুষ্ঠানে তাঁদের অনুভুতির কথা বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় ব্যক্ত করেন। সবশেষ সভাপতি সবাইকে ধন্যবাদ ও আইএএইচ এ আবারও আমন্ত্রণ জানিয়ে মনোজ্ঞ নবীন বরণ অনষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
জায়েদুল কবির ভাঙ্গি, আঞ্চলিক প্রতিনিধি, গাজীপুর:
গাজীপুর জেলার শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসেবে সম্মানিত হয়েছেন শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল বারিক, শ্রীপুর মডেল থানার উপপরিদর্শক নাজমুল হক, মতিউর রহমান, এএসআই এমদাদুল হক খান। সম্প্রতি জেলা পুলিশের আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তাঁর হাতে এই সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়।
স্থানীয়দের মতে, এটি কেবল একজন ব্যক্তির সাফল্য নয়, বরং পুরো শ্রীপুর থানার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, সেবা প্রদান এবং জনগণের আস্থা অর্জনের একটি বড় স্বীকৃতি। ওসি আব্দুল বারিক দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে শ্রীপুরে আইন-শৃঙ্খলার চিত্রে এসেছে ইতিবাচক পরিবর্তন। মাদক, চুরি-ডাকাতি, জমি দখল কিংবা নারী ও শিশু নির্যাতন-প্রতিটি অপরাধ দমনে তিনি কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। নিয়মিত টহল, হঠাৎ অভিযান, অপরাধ দমন ও ট্রাফিক শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে তাঁর নেতৃত্বে পুলিশ ভিন্নধর্মী কার্যক্রম হাতে নেয়। ফলে শ্রীপুরে অপরাধ দমনে দৃশ্যমান সাফল্য এসেছে। অভিযোগ রয়েছে, আগে থানায় গিয়ে সেবা নিতে হয়রানি নর শিকার হতে হতো অনেককে। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলেছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী আব্দুল কুদ্দুস বলেন, আগে রাতের বেলা ব্যবসা শেষে ফেরার সময় ভয়ে থাকতাম। এখন মনে হয় পুলিশ আমাদের পাশে আছে। থানার প্রতি আস্থা বেড়েছে। এছাড়া বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসা ভুক্তভোগীরা বলছেন, থানায় গেলে দ্রুত অভিযোগ নেওয়া হয় এবং ব্যবস্থা নেওয়া হয়। মাদকবিরোধী অভিযানে শ্রীপুর থানা পুলিশ এখন সবচেয়ে বেশি কঠোর। একের পর এক অভিযানে ধরা পড়েছে ইয়াবা, গাঁজা ও ফেনসিডিলের বড় চালান।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুল বারিক এর ভাষায় ‘মাদক সমাজকে ধ্বংস করছে। তাই এখানে কোনো ছাড় নেই। যে-ই জড়িত থাকুক, আইনের কঠোর শাস্তি পেতেই হবে।’
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহম্মদ আব্দুল বারিক পুরস্কার পাওয়ার পর তিনি বলেন, এই সম্মাননা আসলে শুধু আমার নয়, পুরো শ্রীপুর থানার প্রতিটি সদস্যের কঠোর পরিশ্রম ও নিষ্ঠার ফল। আমি সব সময় বিশ্বাস করি, পুলিশ জনগণের জন্য। জনগণের আস্থা অর্জন ছাড়া আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা সম্ভব নয়। তাই চেষ্টা করেছি থানার দরজা সব সময় খোলা রাখতে। যে- ই অভিযোগ করুক না কেন, সামাজিক অবস্থান বা প্রভাব যাই থাকুক, আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছি। আমার কাছে পুলিশের কাজ শুধু অপরাধ দমন নয়, বরং মানুষের পাশে দাঁড়ানো, তাদের ভরসা দেওয়া। মাদক ও অপরাধের বিরুদ্ধে আমরা ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিয়েছি। একই সঙ্গে চেষ্টা করেছি যেন থানায় কেউ হয়রানির শিকার না হন, বরং নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচারের নিশ্চয়তা পান। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা শুধু পুলিশের পক্ষে সম্ভব নয়। জনগণের সহযোগিতা, জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ এবং গণমাধ্যমের ইতিবাচক ভূমিকা ছাড়া কোনো উদ্যোগ সফল হয় না। আমি বিশ্বাস করি, আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করলে শ্রীপুরকে একটি নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ ও সেবামুখী এলাকায় রূপান্তর করা সম্ভব।