ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার একটানা ২২ বছরের সফল পৌর চেয়ারম্যান মৌড়াইল এর কৃতিসন্তান, নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক, নাট্য ব্যক্তিত্ব, সাবেক এন এম এ, শিক্ষানুরাগী, সাংস্কৃতির পুরোধা ব্যাক্তিত্ব গণ মানুষের নেতা আজিজুর রহমান মোল্লা ওরফে জারু মোল্লার ৩৭তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ৪ মার্চ পালিত হয়েছে। মরহুমের পরিবারবর্গ কোরানখানি ও মিলাদ মাহফিল এর মাধ্যমে উনার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। মরহুম জারু মোল্লা ১৯৮৭ সালের ৪ মার্চ মৃত্যুবরণ করেন। মরহুম জারু মোল্লার সুযোগ্য পুত্র সাবেক সফল পৌর মেয়র ও জেলা বি এন পির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি জেলাবাসীর কাছে উনার পিতার রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া চেয়েছেন।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি
চলারপথে রিপোর্ট :
জামালপুরের বকশিগঞ্জে সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১৭ জুন শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়।
এ সময় বক্তারা বলেন, সাংবাদিক নাদিম হত্যার মাস্টার মাইন্ড ইউপি চেয়ারম্যান বাবু ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই মামলা মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তা খারিজ করে দেন। কিন্তু মামলা খারিজের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই চেয়ারম্যান বাবু নিজে উপস্থিত থেকে সাংবাদিক নাদিমকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। সাংবাদিকদের নিরাপত্তা কোথায়? সঠিক সংবাদ প্রকাশ করেও সাংবাদিক নাদিমকে প্রাণ দিতে হয়েছে।
বক্তারা আরও বলেন, দীর্ঘদিনেও সাংবাদিক সাগর-রুনি দম্পতির হত্যার বিচার হয়নি। আমরা জানি না নাদিম হত্যার বিচার হবে কিনা। হত্যাকারী ইউপি চেয়ারম্যান বাবুসহ সব খুনিদের ফাঁসির দাবি জানাই। পাশাপাশি আমরা সব সাংবাদিক হত্যা ও নির্যাতনের বিচার দাবি করছি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের আয়োজনে মানববন্ধনে ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. বাহারুল ইসলাম মোল্লা, টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মনজুরুল আলম, প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিহাব উদ্দিন বিপু, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল-আমিন শাহীন, দৈনিক সমকালের নিজস্ব প্রতিবেদক আব্দুন নূর, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন, সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পী, ইমজা সভাপতি পীযূষ কান্তি আচার্য, সাবেক সহ-সভাপতি মফিজুর রহমান লিমন, সাবেক সহ-সভাপতি সৈয়দ মো. আকরাম, সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. মনির হোসেন, টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহির রায়হান ও প্রেসক্লাবের কার্যকরী সদস্য ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ।
উল্লেখ্য, গোলাম রাব্বানী নাদিম বকশিগঞ্জ উপজেলার নিলাখিয়া ইউনিয়নের গোমের চর গ্রামের আবদুল করিমের ছেলে ও বাংলানিউজটুয়েন্টিফোর.কমের জামালপুর ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট।
বুধবার (১৪ জুন) রাতে পেশাগত দায়িত্বপালন শেষে বাড়ি ফেরার পথে বকশীগঞ্জের পাথাটিয়ায় পৌঁছালে অস্ত্রধারী ১০ থেকে ১২ জন দুর্বৃত্ত নাদিমকে পিটিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
এরপর রাত ১২টায় সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় বৃহস্পতিবার সকালে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা পৌনে ৩টার দিকে তিনি মারা যান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রাক্তন স্কাউটস- এর উদ্যোগে আজ ১৪ অক্টোবর শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে দিনব্যাপী বিনামূল্যে চক্ষু শিবির এবং গুণীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশ লায়ন ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনায় এ চক্ষু শিবির উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া -৩ সদর ও বিজয় নগর আসনের সংসদ সদস্য, বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন স্কাউটরা ভাল কাজে সবসময়ই মিশে থাকে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার স্কাউটিং আন্দোলনকে গতিশীল রাখতে সবসময়ই পাশে থাকবো।
তিনি বলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সেবামনস্ক মানুষ প্রয়োজন লায়ন্স ফাউন্ডেশনের সভাপতি একেএম রেজাউল হকের ব্যবস্থাপনায় প্রাক্তন স্কাউটদের এ কর্মসূচি অত্যন্ত প্রশংসনীয়।
অনুষ্ঠানে ৬ষ্ঠ বারের মতো লায়ন্স ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান হওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কৃতি সন্তান একেএম রেজাউল হক ঝুনু এমজেফ, পিসিসিকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মিলনায়তনে উদ্বোধনী ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রাক্তন স্কাউটস এর সভাপতি মোঃ মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাবিবুর রহমান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ জিয়াউল হক মীর,উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল ওয়াহিদ খান লাভলু, উপদেষ্টা ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ মোঃ আবু সাঈদ, উপদেষ্টা অরুণাভ চক্রবর্তী টিংকু অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদা নাজনীন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি হাজী মোঃ হেলালউদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধরী মন্টু, জেলা বারের পিপি অ্যাড. মাহবুবুল আলম খোকন প্রমুখ।
অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক আল আমীন শাহীন।
সহযোগিতায় ছিলেন সহ-সভাপতি শাহ আলমগীর, এহতেশামুল বারী তানজিন।
বক্তারা সুষ্ঠ সমাজ বিনির্মাণে স্কাউটদের অবদান তুলে ধরেন। চক্ষু শিবিরে বাংলাদেশ লায়ন ফাউন্ডেশনের চিকিৎসকবৃন্দ ২ হাজার রোগীকে চিকিৎসা দেন। অনুষ্ঠানে সম্প্রতি ঝড়ে বিধ্বস্ত এলাকার ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিম্ন আয়ের কার্ডধারী মানুষের মধ্যে টিসিবির নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রয় শুরু হয়েছে।
আজ ২২ জানুয়ারি সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে পন্য বিক্রয় কার্যক্রম উদ্বোধন করেন সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোশারফ হোসাইন।
প্রত্যেক কার্ডধারীকে ৬০টাকা কেজি দরে ২ কেজি মশুর ডাল, ১০০ টাকা লিটার দরে ২ লিটার সয়াবিন তেল ও ৩০ টাকা কেজি দরে ৫ কেজি চাল দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোশারফ হোসাইন বলেন, জানুয়ারি মাসে সদর উপজেলার নিম্ন আয় ও সুবিধাবঞ্চিত কার্ডধারী মানুষের মধ্যে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে।
পৌর এলাকার ৪৯৫২ জনসহ সদর উপজেলায় ১৬ হাজার ৬শত ১৮ জন কার্ডধারী মানুষের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে এই পণ্য বিক্রি করা হবে।
পৌর এলাকার মেড্ডা উপজেলা পরিষদ চত্বর, কালভৈরব, কারখানাঘাট, আনন্দবাজার ও শেরপুর ঈদগাহ মাঠে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। তিনি বলেন, এই কার্যক্রমটি খুবই জনবান্ধব। নিম্ন আয়ের লোকজন যাতে সঠিকভাবে এই পণ্য পায় সেজন্য তদারকি করা হচ্ছে। কোন ডিলার দুর্নীতি করলে তার বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে বন্দিদের টাকা ছাড়া স্বজনদের সাক্ষাত করতে না দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। কারাগারে বন্দিদের ওকালত নামা সহি, রাজনৈতিক বন্দিদের নিয়ম বর্হিভূত ভাবে টাকার বিনিময়ে একাধিক বার সাক্ষাতের ব্যবস্থার অভিযোগ রয়েছে।
জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে বর্তমানে ১৩ শতাধিক বন্দি রয়েছেন। প্রতিদিন গড়ে ১২০ থেকে ১৫০ জন বন্দির সাথে দেখা করতে আসেন স্বজনরা। কারাগারের প্রধান ফটক অতিক্রম করতে পারলেও বিড়ম্বনায় পড়েন স্বজনরা দেখা করতে গিয়ে। টাকা না দিলে বন্দিদের সাথে সাক্ষাৎ করা যাবে না বলে জানানো হয়।
দূর দূরান্ত থেকে আসা স্বজনরা নিরুপায় হয়ে কারাগারে সংস্থাপনের দায়িত্বে থাকা কারারক্ষী আল আমিন (ব্যাচ নং ২২৯৫১) এর শরনাপন্ন হন। কারারক্ষী আল আমিন বন্দিদের সাথে সাক্ষাতের জন্য ৩০০/৫০০ টাকা নেন দর্শনার্থীদের কাছ থেকে। আবার অনেকে টাকা দিতে না পারায় সাক্ষাৎ না করেই বাড়িতে ফিরে যান।
রাজনৈতিক বন্দিদের সাথে ডিও নিয়ে ১৫ দিনে একবার সাক্ষাতের নিয়ম থাকলেও আল আমিন দেড় থেকে দুই হাজার টাকার বিনিময়ে একাধিক বার ব্যবস্থা করে দেন।
আদালত থেকে আসা ওকালত নামা কারাগারের বক্সে জমার বিধান থাকলে অজ্ঞাত কারণে দেখাশুনা করছেন কারারক্ষী আল আমিন। কয়েক মাস পূর্বে কারাগারের ওকালত নামার বক্সটি প্রধান ফটক থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে ওকালত নামা বক্সটি কারারক্ষী আল আমিন সরিয়ে ফেলেছেন। ওকালত নামা সহির জন্য স্বজন বা আইনজীবীর সহকারীর কাছ থেকে ১ হাজার টাকা আদায় করে থাকেন। আদালত থেকে জামিন হওয়ার পর কারাগারে আসা কাগজপত্রে ভূল রয়েছে বলে ভয় দেখিয়ে বন্দির স্বজনদের কাছে কাঙ্ক্ষিত টাকা আদায় করেন। কারাগারের সংস্থাপনের দায়িত্বে কারারক্ষী আল আমিন অন্য কারারক্ষীদের অভ্যন্তরে নিয়োগ পাইয়ে দেবার কথা বলে টাকা নিয়ে থাকেন। এমন কি কারারক্ষীদের ছুটি নিতে হলেও তাকে ম্যানেজ করে ছুটি নিতে হয়।
কারারক্ষী আল আমিন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কারাগারে কর্মরত থাকা অবস্থায় তার বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। সেখানেও সে সংস্থাপনের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় কারাগারে থাকা এক জেএমবি সদস্যকে গোপনে মোবাইল ব্যবহার করার সুযোগ করে দেন। পরে ঘটনাটি জানাজানি হলে তোলপাড় সৃষ্টি হয় চট্টগ্রাম কারাগারে। তখন চট্টগ্রাম কারাগারের ডিআইজি আলতাব হোসেন কারারক্ষী আল আমিনকে সেখান থেকে সরিয়ে দেন।
কারারক্ষী আল আমিনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি শুধু কারারক্ষীদের ছুটি, কারাগারের অভ্যন্তরে নিয়োগের কাজ দেখাশুনা করি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেল সুপার ওবায়দুর রহমান জানান, এখানে সবেমাত্র যোগদান করেছি। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে তিনি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেলওয়ে স্টেশনে চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে মো: ওয়ালিউল্লাহ নিবিড় (১৮) নামে এক কলেজ ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।
আজ ২৯ সেপ্টেম্বর রবিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের এক নম্বর প্লাটফর্মে এ ঘটনা ঘটে। নিহত নিবিড় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মৌড়াইল এলাকার আমান মিয়ার ছেলে। সে শহরের ইউনাইটেড কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলো।
রেলওয়ে পুলিশ ও নিহতদের পরিবারের স্বজনেরা জানান, রবিবার দুপুরে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা তিতাস কমিউটার ট্রেনের দরজায় বসে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আসছিলেন নিবিড়। ট্রেনটি স্টেশনের ফ্লাটর্ফমে প্রবেশ করার সময় ফ্ল্যাটফর্মের দেয়ালে ধাক্কা লেগে ট্রেনের দরজা থেকে ছিটকে ট্রেনের নিচে পড়ে যায় সে। পরে স্টেশনের যাত্রীসহ স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে আসলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সুব্রত বিশ্বাস জানান, জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে পরিবারের অনআপত্তির আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।