চলারপথে রিপোর্ট :
র্যাব-৯ এর পৃথক অভিযানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে ৫৮ কেজি গাঁজাসহ ১ জনকে গ্রেফতার করা হয়। র্যাব-৯, সিপিসি-১, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৯, সিপিসি-১, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি আভিযানিক দল গতকাল ২৫ জানুয়ারি আনুমানিক ৬টা ২০ মিনিটে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পৌর শহরের পুনিয়াউট রেলক্রসিং এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ৩০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে।
এছাড়াও অপর এক অভিযানে র্যাব-৯, সিপিসি-১, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি আভিযানিক দল গত ২৫ জানুয়ারি আনুমানিক ৯টা ৪০ মিনিটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার রানিয়ারা বিষ্ণপুর এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ২৮.১ কেজি গাঁজাসহ ১ জনকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত মো. রুহুল আমীন (২৮), কসবা উপজেলার বায়েক গ্রামের (সর্দার বাড়ি) মো. সহিদ মিয়ার ছেলে।
পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮-এর সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করা হয় এবং গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি ও জব্দকৃত আলামত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এছাড়াও মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়ন র্যাব-৯, সিলেট এর গোয়েন্দা তৎপরতা এবং চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১০ মামলার আসামিসহ ৩ ছিনতাইকারিকে গ্রেফতার করেছে সদর মডেল থানা পুলিশ।
১০ মার্চ রবিবার ভোরে জেলা শহরের পুনিয়াউট এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত পিয়াস (২৩) জেলা শহরের দক্ষিণ পৈরতলা এলাকার পাণ্ডু মিয়ার ছেলে, কাজীপাড়া এলাকার আবেদ মিয়ার ছেলে মো. রাব্বি (২৪) ও দক্ষিন পৈরতলা এলাকার ছায়েদ মিয়ার ছেলে মো. আল আমিন (২৬)।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন বলেন, রবিবার ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা শহরের পুনিয়াউট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ৩ চিহ্নিত ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের তল্লাসী করে রাম দা, ছুরি ও ব্যানার চাকু উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা এলাকার চিহ্নিত ডাকাত, ছিনতাইকারী ও চোর। গ্রেফতার পিয়াসের বিরুদ্ধে ১০টি ও আল আমিনের বিরুদ্ধে ৩টি মামলা রয়েছে। দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই ইন দ্যা ইউ কে’র সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সন্তান অ্যাডভোকেট মেসবাহ উদ্দিন ইকো। তিনি যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর অন্যতম সদস্য। দু’বছর মেয়াদী এই কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মারুফ আহমেদ চৌধুরী। গত ১২ নভেম্বর লন্ডনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র-ছাত্রীদের অন্যতম এই সংগঠনের বার্ষিক সাধারণ সভা ও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ।
ইকো ব্রাহ্মণবাডিয়ার বিশিষ্ট আইনজীবী অ্যাডভোকেট শামসুদ্দিন-এর পুত্র। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেডক্রিসেন্টের নির্বাচিত সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
পূর্ব লন্ডনের ক্রিস্টাল ব্যাংকুয়েটিং হলে আনন্দঘন পরিবেশে অনুষ্ঠিত সংগঠনের ষষ্ঠ এ সাধারণ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম। বিদায়ী কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ডাকসুর সাবেক সদস্য দেওয়ান গৌস সুলতান এতে সভাপতিত্ব করেন। সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেনের পরিচালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু মুসা হাসান, এমদাদ তালুকদার এম বি ই, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই ইন দ্য ইউ কের সভাপতি এ কে এম ইয়াহিয়া এবং বাংলাদেশ টিচার্স এসোসিয়েশন ইউ কের সভাপতি আবু হোসেন, প্রশান্ত পুরকায়স্থ, নিলুফা ইয়াসমীন হাসান, মেহেরুন আহমেদ মালা, মুস্তাফিজুর রহমান, ফয়জুল হক রিপন, ড. অজিত কুমার ঘোষ, কাজী কল্পনা, ব্যারিষ্টার আবুল কালাম, মতিন চৌধুরী প্রমুখ।
৩২ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির অন্যান্য পদে নির্বাচিতরা হচ্ছেন সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রশান্ত পুরকায়স্থ বিইএম, সহ-সভাপতি সহুল আহমেদ মকু, নিলুফা ইয়াসমীন হাসান ও সিরাজুল বাসিত চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক সলিসিটার সৈয়দ আবু আকবর আহমেদ ইকবাল, ব্যারিষ্টার মোহাম্মদ কামরুল হাসান ও ব্যারিস্টার মাহারুন আহম্মেদ মালা, সাংগঠনিক সম্পাদক ড. মোহাম্মাদ কামরুল হাসান, ব্যারিস্টার কামরুল হাসান ও বেলাল রশীদ চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ সৈয়দ জাফর, যুগ্ম কোষাধ্যক্ষ ফাইজুল হক রিপন ও খোকন কান্তি ঘোষ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার মিজানুর রহমান, রীপা সুলতানা রাকীব সাংস্কৃতিক সম্পাদক, খালিদ ইয়াহইয়া প্রেস অ্যান্ড পাবলিসিটি সম্পাদক ও এ্যারিনা সিদ্দিকী সুপ্রভা শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।
কার্যকরি কমিটির সদস্যরা হলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা দেওয়ান গৌস সুলতান, ইসমাইল হোসেন, মাহফুজা রহমান, সৈয়দ সাইদুর রহমান ফারুক, সৈয়দ এনামুল ইসলাম, মির্জা আসাব বেগ, ফখরুল মোহাম্মদ ইসলাম, মোহাম্মদ রফিক আহমেদ, ব্যারিস্টার মোহাম্মদ আবুল কালাম, শারমিন চৌধুরী, সৈয়দ হামিদুল হক, মিসেস কল্পনা কাজী ও সৈয়দ ফারহানা সুবর্ণা। সভায় সংগঠনের জ্যেষ্ঠতম সদস্য ‘একুশের গান’ খ্যাত আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী ও আরো তিনজন অ্যালামনাইর মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব গ্রহন এবং পরলোকগত সদস্যদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন সংগঠনের সদস্য মাওলানা মোবারক আলী।
এছাড়া সভায় ইসরাইল কর্তৃক ফিলিস্তিনবাসীদের উপর নৃশংস আক্রমনের প্রতিবাদে ও অনতিবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে একটি বিশেষ প্রস্তাব পাশ এবং এক মিনিট নীরবতা পালন ও দোয়া করা হয়।
সভায় ফিলিস্তিনের গাজায় হামলার শিকার অগণিত অসহায় মানুষের সাহায্যার্থে তহবিল সংগ্রহ করা হয় এবং র্যাফেল ড্র এর মাধ্যমে সংগৃহিত সমুদয় অর্থ গাজার দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের ত্রাণকাজে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবা সীমান্তে বিজিবি কর্তৃক পরিচালিত অভিযানে ১ কোটি ৮০ লক্ষ টাকারও অধিক মূল্যের বিপুল পরিমাণ ভারতীয় শাড়ি ও থ্রিপিস আটক করা হয়েছে।
আজ ১৭ সেপ্টেম্বর সকালে বিজিবির সুলতানপুর ব্যাটালিয়ন (৬০ বিজিবি) এর ব্যাটালিয়ন সদরের একটি বিশেষ টহলদল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলাধীন সীমান্তবর্তী গুরুহিত মোড় পাকা রাস্তার উপর হতে চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানে বিজিবি টহলদল একটি ট্রাকসহ ভারতীয় উন্নতমানের ১৫৮৪ পিস শাড়ি এবং ১৭৭ পিস থ্রিপিস মালিকবিহীন অবস্থায় উদ্ধার করে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা জননেতা উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন,বিএনপি-জামাতের রাজনীতি হচ্ছে জ্বালাও-পোড়াও ও মানুষ হত্যা। কিন্তু ওরা জানে না জ্বালাও-পোড়াও করে শেখ হাসিনার সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরানো যাবেনা। ২০১৩-১৪ সালেও দিনের পর দিন জ্বালাও-পোড়াও ও মানুষ খুন করেও শেখ হাসিনারকে ক্ষমতা থেকে সরানো যায়নি। শেখ হাসিনার সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরানোর একমাত্র পথ নির্বাচন আর জনরায়। নির্বাচনে জনরায় আমাদের বিরুদ্ধে গেলে আমরা ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়াবো। কেউ সরানোর দরকার পড়বেনা। তিনি দেশের অকল্পনীয় উন্নয়নধারা অব্যাহত রাখতে আবারো নৌকা প্রতিকে ভোট দেয়ার আহবান জানান।
তিনি আজ ৮ নভেম্বর বুধবার বিকালে সদর উপজেলার বটতলী বাজারে ৮ নং নাটাই উত্তর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আহবায়ক হাজি আবুল কাসেমের সভাপতিত্বে ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক উপদপ্তর সম্পাদক মো. মনির হোসেনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি হাজি মো. হেলাল উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সাবেক কোষাধ্যক্ষ মহসিন মিয়া, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি হাবিবুল্লাহ বাহার, জেলা যুবলীগ সভাপতি অ্যাড. শাহানুর ইসলাম, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি অ্যাড. লোকমান হোসেন, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শোভন, যুগ্ম-সম্পাদক মোমিন মিয়া, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাবেক সভাপতি কাজী মোবারক হোসেন, ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহবায়ক নাসির উদ্দিন মাস্টার, সোহেল মিয়া, যুবলীগ নেতা আবু কাউসার।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সার্বিক সহযোগিতায় জেলা কারা কর্তৃপক্ষের আয়োজনে ২৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার মাদকের কুফল সম্পর্কে সচেতনতামূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জেলা কারাগার অভ্যন্তরে মাদকমুক্ত রাখতে বক্তারা গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন। কারাবন্দিদের বিনোদন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন বলে জানিয়েছেন বর্তমান জেল সুপার মোঃ শাহ আলম খান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেল সুপার মোঃ শাহ আলম খান যোগদানের পর থেকে কারাবন্দীদের জন্য চিত্তবিনোদনের ব্যবস্থা করা হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহযোগিতায় নানা ধরনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। এরমধ্য মোবাইল সার্ভিসিং বিদ্যুৎ ওয়াইরিং প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। চিত্তবিনোদনের মধ্যে রয়েছে, ফুটবল খেলা, ভলিবল ও ব্যাডমিন্টনসহ বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলার বিষয়ে কারাবন্দীদেরকে উদ্বুদ্ধ করা। এখানে মূল আলোচ্য বিষয় ছিল, কারাবন্দিদেরকে মাদক সেবন থেকে বিরত রাখা, মাদকের কুফল সম্পর্কে ধারণা দেয়া, এবং তারা কারাগার থেকে মুক্ত হয়েও যেন পরবর্তীতে মাদকাসক্ত না হয়ে পড়ে এ বিষয়ে সঠিক পরামর্শ দেয়া।
এ ব্যাপারে সম্প্রতি কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে আসা আসামীদের সাথে কথা বললে তারা জানায়, বর্তমান জেল সুপার গত ৩০ অক্টোবর ২৪ ইং তারিখে যোগদানের পর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারের পরিস্থিতি, আগের তুলনায় আমূল পরিবর্তন এসেছে। যা কারাবন্দীদের ও দর্শণার্থীদের চোখে পড়ার মতো। আসামিদের সাথে সাক্ষাৎ করতে আসা অভিভাবকরাও স্বাচ্ছন্দ বোধ করছে বলে জানা যায়। জেল সুপার মোহাম্মদ শাহ আলমের সভাপতিত্বে এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা আক্তার।
বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক, মোঃ রফিকুল ইসলাম, জেলার, কামরুল ইসলাম। এছাড়াও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগরের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।