অনলাইন ডেস্ক :
কোনো বিদেশি খেলোয়াড় ছাড়াই বিপিএলে রংপুর রাইডার্সকে দুই রানে হারাল দুর্বার রাজশাহী। ১১৯ রানের জবাবে খেলতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১১৭ রান তোলে রংপুর। আজ ২৬ জানুয়ারি রবিবার বেতন ইস্যুতে রাজশাহীর কোনো বিদেশি খেলোয়াড় মাঠে নামেননি। এজন্য শুধু স্থানীয় ক্রিকেটারদের নিয়ে খেলতে নামে দলটি। বিপিএলে এর আগে তিন বিদেশির জায়গায় দুই বিদেশি নিয়ে খেলার নজির থাকলেও বিদেশি ছাড়া খেলার ঘটনা এটাই প্রথম।
মিরপুরে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই চাপে পড়ে রাজশাহী। বিশেষ করে রংপুরের খুশদিল শাহ, রাকিবুল হাসান ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন রাজশাহীর ব্যাটাররা।
সর্বোচ্চ অপরাজিত ২৮ রান করেছেন সানজামুল ইসলাম। এই রান করতে তিনি খেলেছেন ২৯ বল। তিনি ছাড়া আর কোনো ব্যাটার বিশের ঘর স্পর্শ করতে পারেননি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১ বলে ১৯ রান করেছেন আকবর আলী।
রংপুরের পক্ষে বল হাতে ৪ ওভারে ১৯ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন খুশদিল। এ ছাড়া রাকিবুল ও সাইফউদ্দিন নিয়েছেন ২টি করে উইকেট।
জবাবে খেলতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি রংপুরের। একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে দলটি। তবে শেষ দিকে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। তার অপরাজিত ৫২ রানের ইনিংস জয়ের আশা দেখালেও তা শেষ পর্যন্ত হয়নি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর সহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে জড়ো হয়েছেন মৎস্য শিকারিরা। শেরপুর মীর শাহাবুদ্দীন (রঃ) দারুল উলূম ইসলামিয়া মাদরাসা ও এতিমখানার মাজার শরীফ সংলগ্ন দিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী পুকুরে বড়শি দিয়ে মাছ ধরার প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়েছে। তাঁদের কারও হাতে বড়শি, আবার কারও হাতে মাছের খাবার। কেউ কেউ আবার মোড়া ও মাছ রাখার জাল নিয়ে এসেছেন।
৬ জুলাই শনিবার সকাল ছয়টা থেকে ঐতিহ্যবাহী পুকুরের চার পাড়ে মাছ ধরার প্রতিযোগিতায় মেতে ও উঠেন মৎস্যশিকারিরা। সন্ধ্যা ৬’টা পর্যন্ত টানা ১২ ঘণ্টা চলে মাছ শিকার। এই মাছ ধরার প্রতিযোগিতা বড়শিতে ধরা পড়ে রুই, কাতল, ব্রিগেড, মৃগেল, শোল, বড় তেলাপিয়সহ দেশি বিভিন্ন প্রজাতির কার্প জাতীয় মাছ রয়েছে। পুকুরে মাছ ধরা প্রতিযোগিতাকে কেন্দ্র করে যেন এক মিলনমেলা হয়। ৬হাজার ৩শত টাকার টিকেট মূল্যে ১৬জন মৎস্য শিকারিএতে অংশ নেন। প্রত্যেকেই তিনটি বড়শি দিয়ে মাছ ধরার এই প্রতিযোগিতায় জড়োহন। শৌখিন মৎস্য শিকারি শাহেদ মিয়া বলেন ছোটবেলা থেকেই বড়শি দিয়ে মাছ ধরতে খুব মজা লাগে। মাছ ধরা আমার পেশ নয়, এটি শুধু শখ। বড়শিতে মাছ ধরা পড়লে খুব আনন্দ লাগে এজন্যই এই ঐতিহ্যেবাহী পুকুরে মাছ ধরতে এসেছি।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে কমিটির আহবায়ক আরমান হোসেন, মনির খান (মনা) মোতোর্জা কমল জানান, আমরা নিজস্ব অর্থয়েনে প্রতি বছর ন্যায় এবারও এ মাছ ধরার প্রতিযোগিতা আয়োজন করছি, আগামীতে ও তা চলবে। এছাড়া দর্শনাথীদের মধ্যে ভালো লাগার একটি দৃশ্য ফুটিয়ে তুলতে আমরা মাছ ধরা প্রতিযোগিতা আয়োজন করি।
অনলাইন ডেস্ক :
নেপালের কাঠমুন্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে ২৭ অক্টোবর রবিবার প্রথম সেমি-ফাইনালে ৭-১ গোলে জিতেছে বাংলাদেশ। নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের গত আসরে এই ভুটানকে ৮-০ গোলে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। যদিও গত আসরের থেকে এই ভুটান দল সম্পূর্ণ ভিন্ন। গ্রুপপর্বে দুই ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালে ১৭ বার গোল দিয়েছে দলটি। এমন দলের বিপক্ষে ফাইনালে উঠার ম্যাচে তাই বাড়তি সতর্ক বাংলাদেশ। খেলেছে নিজেদের সেরা ফুটবলটাই। ফাইনালে পা রেখেছে সাফের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হিসেবেই। ভুটানকে সেমিফাইনালে উড়িয়ে দিয়েছে ৭-১ গোলের বড় ব্যবধানে।
নেপালের দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে ফাইনালে যাওয়ার রাস্তাটা অবশ্য প্রথমার্ধেই পরিষ্কার করে রেখে গিয়েছিল সাবিনা খাতুনের দল। প্রথমার্ধেই ভুটানের জালে ৫ গোল দিয়েছিল সাবিনা-তহুরারা। বিরতির পর সেই ব্যবধান আরও বাড়বে সেটাই ছিল অনুমেয়। হয়েছেও তাই। তবে ফাইনালের আগে চোট সতর্কতায় কোচ পিটার বাটলার বেশ কয়েকজনকে উঠিয়ে নেওয়ায় ব্যবধানটা তত বড় হয়নি এই যা।
দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমে ম্যাচের ৫৭ মিনিটে প্রথম গোল পায় বাংলাদেশ। অনেকটা ফাকায় দাঁড়িয়ে ডি বক্সে ঢুকে বল জালে জড়ান তহুরা। পূরণ করেন হ্যাটট্রিক। এই গোলের পর মাঝে একাদশে বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়। ৭১ মিনিটে গোল করেন মাসুরা পারভিন। সানজিদার নেওয়া কর্নার কিক দারুণ হেডে জালে জড়ান এই রক্ষণভাগের ফুটবলার। এরপর আর গোল না হলে ৭-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। নিশ্চিত করে আসরের ফাইনাল।
এর আগে, প্রথমার্ধের পুরো সময় জুড়ে দাপট ছিল বাংলাদেশের। ম্যাচের ৭ মিনিটে ডি বক্সের অনেক বাইরে থেকে দূর পাল্লার শটে জাল কাঁপালেন এই উইঙ্গার। বাংলাদেশ পেয়ে গেল জয়ের রসত। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি বাংলাদেশকে। ঋতুপর্ণার গোলের পর ১৪ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তহুরা খাতুন। গোলরক্ষক খানিকটা সামনের দিকে থাকায় ডি বক্সের বাইরে থেকে শট নেন তিনি। তাতে গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে বল জালে জড়ায়।
২৪ মিনিটে সাবিনার গোলরক্ষককে ফাকি দেওয়া শট গোলপোস্টে বাধা পেয়ে ফিরে আসে। নিশ্চিত গোল মিস হওয়ায় হতাশায় মুখ লুকান সাবিনা। অবশ্য এর এক মিনিট না যেতেই বল জালে জড়িয়ে গোল আদায় করে নেন সাবিনা। বাংলাদেশ এগিয়ে যায় ৩-০ ব্যবধানে।
৩৪ মিনিটে আবারও তহুরার ম্যাজিক। বক্সের বাইরে থেকে বা পায়ের বুদ্ধিদীপ্ত শটে জাল কাঁপান তিনি। তাতে বাংলাদেশ এগিয়ে যায় ৪-০ ব্যবধানে। এক হালি গোল হজম করে ম্যাচ থেকে একরকম ছিটকে যায় ভুটান। এর দুই মিনিট না যেতেই ফের গোল। এবার গোলপোস্ট থেকে রুপনা চাকমার নেওয়া দূর পাল্লার শট মাঝ মাঠ থেকে দারুণ দক্ষতায় নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ভুটানের ফুটবলারদের কাটিয়ে গোল করে আসেন অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। পঞ্চম দফা এগিয়ে যায় বাংলাদেশ।
খানিক পর অবশ্য এক গোল শোধ দিয়েছে ভুটান। দেখি লাজুম ৪০ মিনিটে এক গোল শোধ দেন। এ দফায় আর তাকে রুখতে পারেনি রুপনা। অনেকটা একাই পেয়ে গিয়েছিলেন রুপনাকে। সুযোগ কাজে লাগাতে ভুল হয়নি লাজুমের। ব্যবধান কমিয়ে বিরতিতে যায় ভুটান। যদিও দ্বিতীয়ার্ধে আর দুই গোল হজম করতে হয়েছে তাদের। বাংলাদেশ ম্যাচ জিতেছে ৭-১ ব্যবধানে।
একই দিন দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মাঠে নামবে ভারত ও নেপাল। সেই ম্যাচের জয়ী দল আগামী বুধবার বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিটে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশের।
স্পোটর্স ডেস্ক :
নকআউট ম্যাচে একদিকে দুবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আরেক দিকে এ টুর্নামেন্টের অপরাজিত দল দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে দুই দলের সামনে প্রায় বিস্মৃত সেমিফাইনালের হাতছানি। অ্যান্টিগার ম্যাচটি হওয়ার কথা ছিল রোমাঞ্চকর, শেষ পর্যন্ত হয়েছেও সেটি। তাতে ডিএলএস পদ্ধতিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩ উইকেটে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই সেমিফাইনালে চলে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
বৃষ্টির সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার শত্রুতা বেশ পুরনো। দুইটি (১৯৯২ ও ২০০৩) বিশ্বকাপে তাদের কপাল পুড়েছিল বৃষ্টির কারণে।
তবে এবার আর তা হলো না। যদিও ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুর্দান্ত পেস আক্রমণ ভয় পাইয়ে দিয়েছিল প্রোটিয়াদের। তবে শেষ পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বিদায় করে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে মার্করামবাহিনী।
অ্যান্টিগায় আজ গ্রুপ পর্বে ডু অর ডাই ম্যাচে ৩ উইকেটে জয় পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। আগে ব্যাট করে তাদের সামনে (৮ উইকেট হারিয়ে) ১৩৬ রানের লক্ষ্য দিতে পেরেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পরে বৃষ্টি আইনে সেই লক্ষ্য নেমে আসে ১২৩ রানে। যা ৭ উইকেট হারিয়ে পেরিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এক আসরে সবচেয়ে বেশি (৭) ম্যাচ জেতার রেকর্ডও গড়েছে তারা। এর আগে ২০০৯ সালে ৬ ম্যাচ জিতেছিল শ্রীলঙ্কা।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুতেই ধাক্কা খেয়েছিল প্রোটিয়ারা। দ্বিতীয় ওভারে তারা হারায় দুই ওপেনার রিজা হ্যানড্রিকস ও কুইন্টন ডি ককের উইকেট। দুজনকেই ফেরান ক্যারিবীয় পেস বোলিং অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল। এরপর নামে বৃষ্টি। পরে বৃষ্টি থামলে বৃষ্টি আইনে ইনিংসের দৈর্ঘ্য নেমে আসে ১৭ ওভারে, লক্ষ্য দাঁড়ায় ১২৩ রানে।
বৃষ্টির পরে প্রতিরোধ গড়েন প্রোটিয়া অধিনায়ক এইডেন মার্করাম ও ট্রিস্টান স্টাবস। কিন্তু ষষ্ঠ ওভারে মার্করাম (১৮) বিদায় নিলে ভাঙে এই জুটি। সপ্তম ওভারে গুদাকেশ মোতির বলে হেনরিখ ক্লাসেনের তিন চার ও এক ছক্কায় আসে ২০ রান। তবে পরের ওভারে আলজারি জোসেফের শিকার হন ১০ বলে ২২ রান করা ক্লাসেন।
প্রথম ১০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৮৯ রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু পরের দুই ওভারেই ফের চাপে পড়ে যায় তারা। রাসেলের এক ওভারে আসে ৩ রান। পরের ওভারে রোস্টন চেজের বলে আউট হন ডেভিড মিলার (৪)। ওই ওভারে আসে মাত্র ২ রান। এরপর রাসেল ৬ রান খরচ করে ওভার শেষ করেন।
১৪তম ওভারে ফের ধাক্কা খায় দক্ষিণ আফ্রিকা। চেজের করা ওভারের প্রথম বলেই বিদায় নেন ভালো খেলতে থাকা স্টাবস (২৯)। শেষ ৩ ওভারে তখন ১৯ রান দরকার ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। ক্রিজে স্বীকৃত ব্যাটার বলতে মার্কো ইয়েনসেন। ১৫তম ওভারে আসে ৬ রান।
১৬তম ওভারের প্রথম বলেই কেশভ মহারাজকে বিদায় করেন চেজ। ওভারের শেষ বলে চার হাঁকিয়ে লক্ষ্যটাকে হাতের মুঠোয় নিয়ে আসেন। তাতে শেষ ওভারে মাত্র ৫ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায়। ভয় কাটিয়ে ১৭তম ওভারের প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ শেষ করে দেন ইয়েনসেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে সুবিধা করতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ওপেনার কাইল মেয়ার্সের ৩৪ বলে ৩৫ রান ও চেজের ৪২ বলে ৫২ রানের ইনিংসে ভর করেই লড়াই করার মতো পুঁজি পায় বিশ্বকাপের সহ-আয়োজকরা। শেষদিকে ৯ বলে ১৫ রান করে কিছুটা ভূমিকা রাখেন রাসেল। কিন্তু তাদের এই পুঁজি যথেষ্ট প্রমাণিত হয়নি।
এই জয়ে গ্রুপ ‘টু’ থেকে সেমিফাইনাল নিশ্চিত হলো দক্ষিণ আফ্রিকার। ৩ ম্যাচের সবকটিতেই জিতে ৬ পয়েন্ট হয়েছে তাদের। দুই ম্যচ জিতে তদের সঙ্গী হয়েছে ইংল্যান্ডও। ফলে সহ-আয়োজক হয়েও সুপার এইট থেকেই বিদায় নিতে হলো ওয়েস্ট ইন্ডিজকে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ২০ ওভারে ১৩৫/৮ (চেজ ৫২, মায়ার্স ৩৫, রাসেল ১৫, জোসেফ ১১*; শামসি ৩/২৭, রাবাদা ১/১১, ইয়ানসেন ১/১৭, মহারাজ ১/২৪, মার্করাম ১/২৮)
দক্ষিণ আফ্রিকা: (লক্ষ্য-১৭ ওভারে ১২৩) ১৬.১ ওভারে ১২৪/৭ (স্টাবস ২৯, ক্লাসেন ২২, ইয়ানসেন ২১*, মার্করাম ১৮; চেজ ৩/১২, রাসেল ২/১৯, জোসেফ ২/২৫)
ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ৩ উইকেটে জয়ী (ডিএলএস)
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: তাব্রেইজ শামসি (দক্ষিণ আফ্রিকা)
অনলাইন ডেস্ক :
‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ শ্লোগানকে সামনে রেখে সামাজিক-সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ও মর্যাদা রক্ষায় গাইবান্ধায় সাঁওতাল নারী ফুটবল ও সাংস্কৃতিক উৎসব উদযাপন করা হয়েছে। আজ ২৭ জানুয়ারি সোমবার দিনব্যাপী নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে গাইবান্ধার জেলা পরিষদের সহযোগিতায় আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদ ও জনউদ্যোগের আয়োজনে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কাটাবাড়ী ইউনিয়নের তালতলা মাঠে তারুণ্যের উৎসব উদযাপিত হয়। বর্ণিল এই আয়োজনে নারীদের ফুটবল প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে সাঁওতালরা তাদের সংস্কৃতি তুলে ধরেন।
আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদের সদর উপজেলার আহবায়ক গোলাম রব্বানী মুসার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুর রউফ তালুকদার, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দা ইয়াসমিন সুলতান, কাটাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জোবায়ের হাসান শফিক মাহমুদ, পরিবেশ আন্দোলন গাইবান্ধার আহ্বায়ক ওয়াজিউর রহমান রাফেল, সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সভাপতি ফিলিমন বাসকে, জনউদ্যোগ গাইবান্ধার সদস্য সচিব প্রবীর চক্রবর্তী, ফুটবল কোচ রফিকুল ইসলাম লুলু, ব্যবসায়ী সরোয়ার হোসেন, ইউপি সদস্য সাদেক আলী ও পূজা উদযাপন পরিষদের গৌড় চন্দ্র পাহাড়ী প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সাঁওতালসহ বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর খেলাধুলা, সংস্কৃতি বিকাশে সরকারসহ বিভিন্ন সংগঠন কাজ করে যাচ্ছে। অন্যান্য জনগোষ্ঠীর অপেক্ষায় সাঁওতাল নারীরা আরও প্রান্তিক অবস্থানে রয়েছেন। মূল স্রোতধারায় ফিরিয়ে নিয়ে আসতে এ ধরনের উদ্যোগ প্রশংসনীয়।
বক্তারা আরো বলেন, নারী ফুটবল দলের খেলোয়াড়দেরও কখনো পড়াশোনা, কখনো মাঠে কৃষি কাজ করতে হয়। লাজ-লজ্জা আর সমাজের কু-দৃষ্টি উপেক্ষা করে তারা নারী ফুটবল দল গড়ে তুলেছেন। তারা একদিকে যেমন পড়াশোনা করছে, অন্যদিকে বাড়ির লোকদের কৃষি কাজে সহায়তা করছে, আবার প্রতিবেশীদের সাহায্যের জন্য বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডেও অংশগ্রহণ করছে।
সাঁওতাল নারীদের ফুটবল খেলায় মাদার তেরেসা ফুটবল একাডেমি ও পাল্লো কিশোরী ক্লাব অংশ নেয়। খেলায় মাদার তেরেসা ফুটবল একাডেমি ২-০ গোলে জয়লাভ করে। খেলা পরিচালনায় ছিলেন এম.এ.এইচ মানিক এবং ধারাভাষ্য দেন রফিকুল ইসলাম। সাংস্কৃতিক উৎসবে সাঁওতালদের ঐতিহ্যবাহী নাচ ও গান দর্শক শ্রোতাদের বিমোহিত করে।
অনলাইন ডেস্ক :
ফ্রেঞ্চ লেফটব্যাক থিও হার্নান্দেজের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছিলো টিভি মডেল লুইসা ক্রেমলেভা। সেটাও বেশ কয়েক বছর আগে। কিন্তু দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে প্রমাণিত হয়েছে, অভিযোগটি মিথ্যা ছিলো। এ কারণে আজ আদালত ক্রেমলেভাকে শাস্তি দিয়েছেন।
রাশিয়ায় জন্ম নেওয়া টিভি মডেল লুইসা ক্রেমলেভা দাবি করেছিলো, মেরবেয়ার একটি নাইটক্লাবের বাইরে তাঁকে ধর্ষণ করেছিলেন হার্নান্দেজ। ঘটনাটি ২০১৭ সালের। তখনো এতটা পরিচিত নন এই লেফটব্যাক। আতলেতিকো মাদ্রিদের একাডেমি থেকে ধারে আলাভেসে খেলতে গিয়েছিলেন। তখনই নাকি এই ঘটনা।
ক্রেমলেভা দাবি করেছিলো, ২০ বছর বয়সী হার্নান্দেজ নাইট ক্লাবের বাইরে একটি পোর্শের পেছনের আসনে তাঁর ওপর হামলা করেছিলেন। ২০১৭ সালে জুনের সে ঘটনার এক মাস পরই রেয়াল মাদ্রিদে যোগ দিয়েছিলেন এই লেফটব্যাক।
কিন্তু শুনানিতে স্বীকার করেন, তাঁর অভিযোগ মিথ্যা। এসি মিলান তারকার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগের দায়ে তাঁকে ছয় মাসের স্থগিত জেল খাটার শাস্তি দেওয়া হয়েছে। আগামী দুই বছরে এমন কোনো ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে তাকে জেল খাটতে হবে। ২৮ বছর বয়সী টিভি মডেল নিজের দোষ স্বীকার করে নিয়ে পাবলিক প্রসিকিউটরদের সহযোগিতা করাতেই শাস্তি কম হয়েছে। অবশ্য দেড় হাজার ইউরো জরিমানাও হয়েছে তাঁর।
গত অক্টোবরেই শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ক্রেমলেভা নিজে কোর্টে হাজির হননি, আর তাঁর আইনজীবী অসুস্থতার কথা বলে যেতে পারেননি।