অনলাইন ডেস্ক :
কোনো বিদেশি খেলোয়াড় ছাড়াই বিপিএলে রংপুর রাইডার্সকে দুই রানে হারাল দুর্বার রাজশাহী। ১১৯ রানের জবাবে খেলতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১১৭ রান তোলে রংপুর। আজ ২৬ জানুয়ারি রবিবার বেতন ইস্যুতে রাজশাহীর কোনো বিদেশি খেলোয়াড় মাঠে নামেননি। এজন্য শুধু স্থানীয় ক্রিকেটারদের নিয়ে খেলতে নামে দলটি। বিপিএলে এর আগে তিন বিদেশির জায়গায় দুই বিদেশি নিয়ে খেলার নজির থাকলেও বিদেশি ছাড়া খেলার ঘটনা এটাই প্রথম।
মিরপুরে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই চাপে পড়ে রাজশাহী। বিশেষ করে রংপুরের খুশদিল শাহ, রাকিবুল হাসান ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন রাজশাহীর ব্যাটাররা।
সর্বোচ্চ অপরাজিত ২৮ রান করেছেন সানজামুল ইসলাম। এই রান করতে তিনি খেলেছেন ২৯ বল। তিনি ছাড়া আর কোনো ব্যাটার বিশের ঘর স্পর্শ করতে পারেননি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১ বলে ১৯ রান করেছেন আকবর আলী।
রংপুরের পক্ষে বল হাতে ৪ ওভারে ১৯ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন খুশদিল। এ ছাড়া রাকিবুল ও সাইফউদ্দিন নিয়েছেন ২টি করে উইকেট।
জবাবে খেলতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি রংপুরের। একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে দলটি। তবে শেষ দিকে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। তার অপরাজিত ৫২ রানের ইনিংস জয়ের আশা দেখালেও তা শেষ পর্যন্ত হয়নি।
অনলাইন ডেস্ক :
নারী ফুটবলের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায় রচনা হতে যাচ্ছে। ফিফা ঘোষণা দিয়েছে, ২০৩১ সালের নারী বিশ্বকাপ থেকে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যা ৩২ থেকে বাড়িয়ে ৪৮ করা হবে।
বিখ্যাত বিনোদন ও ক্রীড়া বিষয়ক সংবাদমাধ্যম ইএসপিএন-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফিফা কাউন্সিল সর্বসম্মতভাবে ৯ মে শুক্রবার এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
এরফলে, ২০৩১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিতব্য নারী বিশ্বকাপ থেকে প্রথমবারের মতো ১২টি গ্রুপে মোট ৪৮টি দল খেলবে।
এ নতুন ফরম্যাটে ম্যাচের সংখ্যা ৬৪ থেকে বেড়ে ১০৪-এ দাঁড়াবে, এবং টুর্ণামেন্টের সময় এক সপ্তাহ বাড়বে।
ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো বলেছেন, এই পরিবর্তনের ফলে আরও অনেক দেশ নারী ফুটবলের কাঠামো উন্নয়নে বিশ্বকাপ থেকে উপকৃত হতে পারবে। এটি নারী ফুটবলের বৈশ্বিক বিকাশের গতি ধরে রাখার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
২০২৭ সালে ব্রাজিলে অনুষ্ঠিতব্য ফিফা নারী বিশ্বকাপে পূর্বের আসরের মতো ৩২ দলই অংশ নেবে। ২০১৯ সাল পর্যন্ত মাত্র ২৪ দল নিয়ে আয়োজিত হয়েছে নারীদের বিশ্বকাপ। ২০২৩ সালেই প্রথমবারের মতো ৩২ দল নিয়ে মাঠে গড়ায় টুর্ণামেন্টটি।
অনলাইন ডেস্ক :
এশিয়া কাপ আর্চারিতে রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে স্বর্ণ জিতলো বাংলাদেশের আবদুর রহমান আলিফ। আজ ২০ শুক্রবার সিঙ্গাপুরে চলমান এশিয়া কাপ আর্চারির রিকার্ভ পুরুষ এককের ফাইনালে ৬-৪ সেট পয়েন্টে জাপানের মিয়াতা গাকুতোকে হারিয়েছেন আলিফ।
এর আগে বিশ্বকাপ, এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপ, এশিয়ান আর্চারি গ্রাঁ প্রিঁর মতো আসরে অংশ নিলেও কখনও রিকার্ভ এককে পদক জিততে পারেননি তিনি। অবশেষে এশিয়া কাপ আর্চারিতে স্বর্ণ পদক পেয়েছেন বাংলাদেশের এই আর্চার। এই আর্চারের সুবাদে সিঙ্গাপুরে উড়লো লাল সবুজের পতাকা।
প্রথম দুই সেটে এগিয়ে ছিলেন আলিফ। প্রথম সেটে যেখানে আলিফের স্কোর ছিল ২৮, গাকুতোর স্কোর ছিল ২৭। পরের সেটে আলিফ করেন ২৯ এবং গাকুতো ২৮ পয়েন্ট স্কোর করেন। এরপরই অবশ্য ঘুরে দাঁড়ান জাপানি আর্চার। পরের দুই সেট আবারও জিতে খেলায় সমতা আনেন। তৃতীয় সেটে গাকুতো করেন ২৮। আলিফ করেন ২৭। চতুর্থ সেটেও এগিয়ে যান গাকুতো। স্কোর করেন ২৭। আলিফ ২৬ স্কোর করে পিছিয়ে পড়েন। এরপর পঞ্চম সেটে গড়ায় খেলা। রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে শেষ শটে আলিফ করেন ২৯। আর গাকুতো স্কোর করেন ২৬।
এর আগে গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর এশিয়ান যুব আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপে রিকার্ভ এককের ফাইনালে চীনা তাইপের আর্চারের কাছে হেরেছিলেন বিকেএসপি থেকে উঠে আসা আর্চার আলিফ। পাবনার ছেলে এবার সিঙ্গাপুরের মাঠে চমক দেখালেন। রোমান সানা ও হাকিম আহমেদ রুবেলের পর তিনি নতুন করে আশা জাগাচ্ছেন।
অনলাইন ডেস্ক :
বিপিএলের একটি ম্যাচ খেলেছে ঢাকা পর্বে সিলেট স্ট্রাইকার্স। রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ওই ম্যাচে জয়ের সুযোগ থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা পারেননি জাকের আলীরা। সিলেটে এবার নাহিদ রানা-আকিফ জাভেদদের ওই রংপুরের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে ৪ উইকেটে ২০৫ রান করেছে সিলেট। ফিফটি করেছেন দলটির স্থানীয় ব্যাটার রনি তালুকদার ও জাকির হাসান। টস হেরে সিলেট ব্যাট করতে নেমে ওপেনিং জুটিতে ৫ ওভারে ৪৭ রান পায়। জর্জ মানসে ১২ বলে ১৮ করে ফিরে যান। এরপর রনি ও জাকির ৪১ রান যোগ করেন।
রনি তালুকদার ফিরে যান ৩২ বলে ৫৪ রানের ইনিংস খেলেন। জাতীয় দলে দুর্দান্ত কামব্যাক করে আবার বাইরে চলে যাওয়া ডানহাতি এই ওপেনার সাতটি চার ও তিনটি ছক্কার শট খেলেন। জাকির ৩৮ বলে ৫০ রান করেন। তিনি চারটি ছক্কা হাঁকান। ইনিংসে ছিল না কোন চারের শট।
শেষটায় যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় দলে খেলা ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার অ্যারন জোনস ১৯ বলে ৩৮ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। চারটি ছক্কার সঙ্গে একটি চার আসে তার ব্যাট থেকে। অপেক্ষাকৃত সিলেটের ছোট বাউন্ডারিতে ৫ বলে তিনটি ছয়ের শটে ২০ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন সর্বশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে দারুণ খেলা জাকের আলী।
রংপুর রাইডার্সের নাহিদ রানা ও পাকিস্তানের বাঁ-হাতি পেসার আকিফরা এদিন খরুচে ছিলেন। নাহিদ ৪ ওভারে ৪৫ রান দিয়ে উইকেট শূন্য ছিলেন। আকিফ ৪ ওভারে ৫১ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ৪ ওভারে ৩১ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। শেখ মাহেদী ৪ ওভারে ৩৮ রান দিয়ে দখল করেন ১ উইকেট।
স্পোটর্স ডেস্ক :
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো সেমিফাইনালে উঠল আফগানিস্তান। শান্ত বাহিনীকে ৮ রানে হারিয়েছে রশিদ-নবিরা। নাটকে ভরা ম্যাচটি। শেষে বাংলাদেশের জন্য জমা হলো হতাশা, যেন বরাবরের মতোই। সেমিফাইনালে যাওয়ার সমীকরণ মেলানোর মতো ব্যাটই করছিল বাংলাদেশ, কিন্তু হুট করে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এসে থামিয়ে দিলেন ওই চেষ্টা। পরে ম্যাচই হারতে হলো। এর আগে বোলাররা করেছিলেন দুর্দান্ত।
আজ ২৫ জুন মঙ্গলবার আর্নেস ভ্যাল স্টেডিয়ামে বৃষ্টি আইনে আফগানিস্তানের কাছে ৮ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। শুরুতে ব্যাট করে ৫ উইকেট হারিয়ে ১১৫ রান করে আফগানিস্তান। পরে ওই রান তাড়া করতে নেমে ১০৫ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। এই ম্যাচে ১২ ওভার ১ বলে জিততে পারলে সেমিফাইনালে যেতো তারা।
কিন্তু জয় তুলে নিয়ে বাংলাদেশের জয়ের অপেক্ষায় থাকা আরেক দল অস্ট্রেলিয়াকে বিদায় করে সেমিতে চলে গেছে আফগানরা। এবারই প্রথম এমন কীর্তি গড়লো তারা। সেমিফাইনালে ২৭ জুন দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে আফগানিস্তান। একই দিনে অন্য সেমিতে ভারতের মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড।
টস হেরে বাংলাদেশের হয়ে বোলিংয়ের শুরুটা করেন তানজিম হাসান সাকিব। প্রথম ওভারে ৩ রান দেন তিনি। পরের ওভারে তাসকিন আহমেদ দেন দুই রান। এই দুজনের করা প্রথম চার ওভারে আসে ২১ রান।
পঞ্চম ওভারে সাকিব আল হাসানকে নিয়ে আসেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। সাফল্যও প্রায় এনে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তার করা তৃতীয় বলে ইবরাহিম জাদরানের ক্যাচ ছেড়ে দেন তাওহীদ হৃদয়। শর্ট কাভারে দাঁড়িয়ে থাকা তার কাছে বল গিয়েছিল বেশ দ্রুত। হাতে জমিয়ে রাখতে পারেনননি হৃদয়।
পাওয়ার প্লের ছয় ওভারে ২৭ রান তুলতে পারেন দুই ওপেনার। এরপরও অবশ্য থামেননি তারা। ১০ ওভারে ৫৮ রান তুলে চায়ের বিরতিতে যায় আফগানিস্তান। ফেরার পরই অবশ্য তারা হারিয়ে ফেলে উইকেট। লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনকে এনেই সফল হন শান্ত।
১৮ বলে ২৯ রান করে রিশাদের বলে তানজিম হাসান সাকিবের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরত গেছেন ইবরাহিম জাদরানের। অনেকটুকু দৌড়ে এসে ক্যাচ নেন তানজিম। আগে থেকেই চাপে থাকা আফগানিস্তান খেই হারায় উইকেট হারানোর পর।
ইবরাহিম ফেরার পরের ওভারে এসে মেডেন দেন তাসকিন আহমেদ। রিশাদ নিজের তৃতীয় ওভারে এসে দুটি চার হজম করেন। তবে আরও একবার ম্যাচের মোড় ঘুরে এই লেগ স্পিনারের হাত ধরেই। অবশ্য গুরবাজের সঙ্গে গড়ে উঠা আজমতউল্লাহর জুটি ভাঙেন মোস্তাফিজুর রহমান।
তার বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ নেন লিটন দাস। শুরুতে আম্পায়ার আউট না দিলে রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। ১২ বলে ১০ রান করে সাজঘরে ফিরতে হয় আজমতউল্লাহকে। ১৭তম ওভার করতে এসে দুই উইকেট তুলে নেন রিশাদ। দুটিতেই ক্যাচ নেন সৌম্য সরকার।
তার করা অনেক বাইরের বলে তুলে মারতে গিয়ে বাউন্ডারিতে পৌঁছাতে পারেননি গুরবাজ। ৫৫ বলে ৪৩ রান করে আউট হন তিনি। তার করা চতুর্থ বলে দুর্দান্ত ক্যাচ নেন সৌম্য। এবার ৩ বলে ৪ রান করে সাজঘরে ফেরত যান গুলবাদিন নাইব।
পরের ওভারে এসে মোহাম্মদ নবীকেও আউট করেন তাসকিন। এই ওভারে টানা পাঁচটি ডট বল করে শেষটিতে ছক্কা হজম করেন তাসকিন। ১৯তম ওভারে মোস্তাফিজ দেন এক রান। কিন্তু তানজিম সাকিবের করা শেষ ওভারে ১৫ রান নেন রশিদ খান। ইনিংসের শেষে বৃষ্টি এলেও সেটি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি।
রান তাড়ায় নেমে সেমিতে উঠার সমীকরণ মেলানোর লড়াইয়ে নামে বাংলাদেশ। প্রথম ওভারেই আসে ১৩ রান। কিন্তু দ্বিতীয় ওভারে গিয়েই হারিয়ে ফেলে উইকেট। ৩ বলে শূন্য রানে নাভিন উল হকের বলে এলবিডব্লিউ হন তানজিদ হাসান তামিম। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি তিনি।
পরের ওভারে আরও কঠিন পরিস্থিতিতে পড়ে বাংলাদেশ। টানা দুই বলে আউট হয়ে যান নাজমুল হোসেন শান্ত ও সাকিব আল হাসান। ৫ বলে ৫ রান করে ডিপ মিডউইকেটে মোহাম্মদ নবীর হাতে ক্যাচ দেন শান্ত। নাভিন উল হকের পরের বলে তার হাতেই ক্যাচ দেন সাকিব আল হাসান। হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগালেও সেটি করতে পারেননি নাভিন।
মাঝে বৃষ্টিতে বেশ কিছুক্ষণ খেলা বন্ধ থাকার পর আবার শুরু হয়। তবে বাংলাদেশের সেমির সমীকরণ মেলানোর চেষ্টা অব্যাহত থাকে। সৌম্য সরকারের সঙ্গে লিটন দাসের জুটিও লম্বা হতে দেননি রশিদ খান। ১০ বলে ১০ রান করা সৌম্যকে বোল্ড করেন তিনি।
এরপরও উইকেটে এসে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন তাওহীদ হৃদয়। তারও ব্যাটে ঠিকঠাক টাইমিং হচ্ছিল না, তবুও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু ৯ বলে ১৪ রান করে হৃদয় আউট রশিদ খানের বলে বাউন্ডারির কাছে ক্যাচ দিয়ে।
তার আউটের পরই হুট করে বাংলাদেশের ইনেন্ট বদলে যায়। নূর আহমেদের ১০ম ওভারে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ পাঁচটি ডট দেন, হাঁকান কেবল একটি বাউন্ডারি! এমনকি তার মধ্যে কতটা চেষ্টা ছিল, প্রশ্ন উঠতে পারে সেটি নিয়েও।
এরপরের ওভারে আসেন রশিদ খান। বাংলাদেশের সেমিফাইনাল খেলার সম্ভাবনার শেষ তো বটেই, ম্যাচ হারের শঙ্কাও ভর করে এই ওভারে। পঞ্চম বলে রিয়াদের ব্যাট ছুয়ে উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ ইশহাকের হাতে যায়। আম্পায়ার আউট দেননি। পরে বদলি ইশহাকের কথায় রিভিউ নিয়ে সফল হয়ে যান রশিদ। পরের বলেই রিশাদ হয়ে যান বোল্ড।
বৃষ্টিতে এক ওভার কমে আস ম্যাচের দৈর্ঘ্য। একপ্রান্তে যখন উইকেট পড়ছে, তখন আরেকদিকে বাংলাদেশের জন্য ভরসা হয়ে থাকেন লিটন। তার দিকে তখন তাকিয়ে ছিল অস্ট্রেলিয়াও। কারণ বাংলাদেশ জিতলেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত হতো তাদের।
কিন্তু লিটন আর স্ট্রাইকেই আসতে পারেননি। ১৮তম ওভারে তাসকিনকে বোল্ড করার পরের বলেই এলবিডব্লিউ হন মোস্তাফিজুর রহমান। উল্লাসে ফেটে পড়ে পুরো আফগানিস্তানের ডাগ আউট। কারো চোখে দেখা মেলে জলেরও।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
আফগানিস্তান : ২০ ওভার ১১৫/৫
বাংলাদেশ : ১৭.৫ ওভার ১০৫
ফল : আফগানিস্তান বৃষ্টি আইনে ৮ রানে জয়ী ।
অনলাইন ডেস্ক :
৫ ম্যাচের টি-২০ সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ সফরে আসছে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল। ৩ মে শুরু হওয়া সিরিজের জন্য ১৫ জনের দল ঘোষণা করেছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। প্রথমবার দলে ডাক পেয়েছেন সাবেক ক্রিকেটার অ্যালিস্টেয়ার ক্যাম্পবেলে ছেলে জোনাথন ক্যাম্পবেল।
অ্যালিস্টেয়ার ক্যাম্পবেল জিম্বাবুয়ে জাতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন। সিকান্দার রাজার নেতৃত্বাধীন দলে ফিরেছেন ফারাজ আকরাম ও তাদিওনাসে মারুমানি। দলের বাকিরা জানুয়ারিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলা সিরিজের অংশ ছিলেন।
এছাড়া অভিজ্ঞ ক্রেগ আরভিন, শন উইলিয়ামস, ব্লেজিং মুজারাবানিরা আছেন দলে। রায়ান বার্ল, জনজি লুকরাও ভালো টি-২০ খেলেন। জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ড এখনও দলটির হেড কোচ নিয়োগ দেয়নি। বাংলাদেশ সিরিজে স্টুয়ার্ট মাটসিকেনারি কোচের দায়িত্ব পালন করবেন।
জিম্বাবুয়ের দল: সিকান্দার রাজা (অধিনায়ক), আকরাম ফারাজ, বেনেত্তি ব্রেইন, রায়ান বার্ল, ক্যাম্পবেল জোনাথন, ক্রেগ আরভিন, জয়লর্ড গাম্বিয়া, লুক জনজি, ক্লিভ মাদান্দে, তাদিওনাসে কায়তানো, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, ব্লেজিং মুজুরাবানি, আনিসলি এন্ডলভ, রিচার্ড এনগ্রাভা, শন উইলিয়ামস।