চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাটিতে জেলা বিএনপির সম্মেলন করতে দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে একাংশের নেতাকর্মীরা। ত্যাগী ও নির্যাতিত এবং বিএনপির মূল ধারার নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে সম্মেলন করতে দেয়া হবে না। ২৬ জানুয়ারি রোববার রাতে সম্মেলনের প্রতিবাদে আয়োজিত মশাল মিছিল থেকে এ হুঁশিয়ারি দেয়া হয়। মশাল মিছিলটি শহরের শিমরাইলকান্দি এলাকা থেকে বের হয়ে কালিবাড়ি মোড়, টিএরোড, কোর্ট রোড, কুমারশীল মোড়সহ বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে লোকনাথ টেংকের পাড় মাঠ প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়।
এসময় জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি গোলাম সারোয়ারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এবিএম মমিনুল হক, সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ আলী আজম, জেলা যুবদলের সভাপতি শামীম মোল্লা।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- জেলা বিএনপির সাবেক কোষাধক্ষ্য জসীম উদ্দিন রিপন, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, বিএনপি নেতা মোঃ নিয়ামুল হক, জেলা যুবদলের সহ সভাপতি রাশেদ কবির আকন্দ প্রমুখ। এসময় বক্তারা বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছরের আন্দেলন সংগ্রামে যারা কারা নির্যাতিত হয়ে পরিবার পরিজন হারিয়েছে, শত ত্যাগ তিতিক্ষা শিকার করেছে তাদের বাদ দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি প্রহসনের সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। মূলত সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বিএনপির লেবাসধারী কবির আহমেদ ভূইয়ার কুট কৌশলে একটি মহল এ সম্মেলনের আয়োজন করতে চাচ্ছে। বক্তারা বলেন, বিএনপির মূলধারাকে পাশ কাটিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাটিতে সম্মেলন করতে দেয়া হবে না। সম্মেলন স্থগিত না করা পর্যন্ত তাদের এই আন্দোলন চলবে। প্রয়োজনে সম্মেলন প্রতিহত করতে নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান।
মশাল মিছিলে জেলা বিএনপির একাংশের নেতাকর্মীরা ছাড়াও জেলা যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবকদলসহ বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, এর আগে গত ২৮ ডিসেম্বর ও ১৮ জানুয়ারি জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু একপক্ষ সম্মেলন সকলের প্রস্তুতি নিলেও অপর পক্ষের বিরোধিতার জন্য দুটি তারিখই পরিবর্তন করে কেন্দ্রীয় বিএনপি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট উদ্বোধন করা হয়েছে।
আজ ১৬ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকেলে নিয়াজ মুহম্মদ স্টেডিয়ামে টুর্ণামেন্টের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শাহগীর আলম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ রহুল আমিন, সিভিল সার্জন মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ, জেলা ক্রিড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু প্রমুখ।
টুর্ণামেন্টে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভাসহ ৯টি উপজেলার মোট ১০টি দল অংশগ্রহণ করছে।
উদ্বোধনী খেলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা টাইব্রেকারে ১ গোলে নবীনগর উপজেলাকে হারিয়ে জয় লাভ করে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ ১৭ এপ্রিল বুধবার পালিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম. এম. মাহমুদুর রহমান, পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আ. কুদদূস, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি হাজী মোঃ হেলাল উদ্দিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ শামসুর রহমান, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভূঁইয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আরজু, মুক্তিযোদ্ধা আবু হোরায়রাহ, ওয়াছেল সিদ্দিকী প্রমুখ।
সভায় জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা মুক্তিযোদ্ধা শিক্ষক সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
স্টাফ রিপোর্টার :
ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বুয়েটে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত সাবেকুন নাহার সনির বাবা হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া।
আজ ১১ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকালে রাজধানীর ইবনে সিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
হাবিবুর রহমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের বিজেশ্বর গ্রামের সিদ্দিকুর রহমান ভুইয়ার ছেলে। তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর।
নিহত সনির ফুপাতো ভাই জাহিদুল ইসলাম ইমন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘মামা তিনমাস ধরে ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। একমাস ধরে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়েছিলেন ছয়টি কেমোথেরাপি দিতে। একটি থেরাপি দেওয়া হয়েছিল। এরই মধ্যে নিউমোনিয়া ধরা পড়ে। সকালে ঘুমের মধ্যে তিনি মারা যান।’
তিনি আরো বলেন, মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে বাদ এশা স্থানীয় বাজারের বড় মসজিদে জানাযা শেষে দাফন করা হবে।
জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘মামা মেয়েকে হারানোর পর ‘সন্ত্রাসমুক্ত শিক্ষাঙ্গনের’ দাবি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছিলেন। সনি মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন থেকে ৮ জুন ‘সন্ত্রাসমুক্ত শিক্ষাঙ্গন’ দিবস হিসেবে পালন করা হয়। সেই কর্মসূচিতে তিনি প্রতিবছর উপস্থিত হয়ে তার মেয়ে হত্যার বিচার দাবি করে আসছিলেন। মামা মারা গেছেন কিন্তু আফসোস, দীর্ঘ ২১ বছরেও উনি তার সন্তান সনি হত্যার বিচার কার্যকর হতে দেখে যেতে পারেননি।’
২০০২ সালের ৮ জুন টেন্ডারবাজিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে বুয়েট ছাত্রদল সভাপতি মোকাম্মেল হায়াত খান মুকিত ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএম হলের টগর গ্রুপ। দুই গ্রুপের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে বুয়েটের আহসান উল্লাহ হলের সামনে সাবেকুন নাহার সনি গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
সাবেকুন নাহার সনি কেমিকৌশল বিভাগের (৯৯ ব্যাচ) লেভেল ২, টার্ম ২ এর ছাত্রী ছিলেন। তার মৃত্যুতে দেশজুড়ে প্রতিবাদ জানানো হয়। দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের পর আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। নিম্ন আদালতে মুকিত, টগর ও সাগরের মৃত্যুদন্ডের রায় হয়।
২০০৬ সালের ১০ মার্চ হাইকোর্ট মুকিত, টগর ও সাগরের মৃত্যুদন্ডাদেশ বাতিল করে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেন। যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত এসএম মাসুম বিল্লাহ ও মাসুমকে খালাস দেন হাইকোর্ট। পরবর্তী সময়ে মোকাম্মেল হায়াত খান মুকিত পালিয়ে যান অস্ট্রেলিয়ায়। পলাতক রয়েছেন নুরুল ইসলাম সাগর ওরফে শুটার নুরু। শুধু জেলে রয়েছেন টগর।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৬২ জন পুলিশ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। আজ ১৮ ডিসেম্বর বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশ এই বিশেষ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। পুলিশ লাইন্সে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার জন্মগ্রহণকারী ৬২ জন পুলিশ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেন পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) মোহাম্মদ জাবেদুর রহমান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলকে স্বাগত জানিয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাবেদুর রহমান বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় এসব বীর পুলিশ সদস্যরা তাঁদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তাঁদের আত্মত্যাগ, অসম সাহসীকতা ও গুরুত্বপূর্ণ অবদান জাতি চিরকাল স্মরণ করবে।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাবেদুর রহমান আরো বলেন, আজকের এই সংবর্ধনা আমাদের ঋণ শোধের ক্ষুদ্র একটি প্রয়াস। মুক্তিযুদ্ধের বীর পুলিশ সদস্যদের আত্মত্যাগের জন্য দেশের জনগণ চিরকাল কৃতজ্ঞ থাকবে। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যরা।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪ তলা বিশিষ্ট প্রফেসর ফাহিমা খাতুন একাডেমিক ভবনের উদ্বোধন করা হয়েছে।
আজ ১২ নভেম্বর রবিবার বিকেলে সদর উপজেলার সুলতানপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান অতিথি থেকে এ একাডেমিক ভবনের উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য র. আ. ম উবায়দুল মোকতাধির চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হাই মাসুদ।
সুলতানপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি শেখ হেদায়েত হোসেন মোর্শেদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি ও সাবেক মেয়র হেলাল উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সদর উপজেলার চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান ওলিও, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের (পিপি) মাহবুবুল আলম চৌধুরী খোকন, বিদ্যালয় কমিটির সহ-সভাপতি গাজী শাহীন আলী প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি মোকতাদির চৌধুরী বলেন, বর্তমান সরকার দেশের সামগ্রিক শিক্ষার উন্নয়নে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। কারণ একটি দেশ, একটি জাতি তখনি উন্নতি করতে পারে, সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে যখন সেই জাতি শিক্ষা-দিক্ষায় এবং সংস্কৃতিতে অগ্রসর থাকে।
এসময় শিক্ষার্থীদের উদ্যেশ্যে তিনি বলেন, এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি যারা গড়ে তুলেছেন তাদের ইচ্ছে ছিল তাদের সন্তানদেরকে সত্যিকারের মানুষ হিসেবে গড়ে তুলার। তাদের এই ইচ্ছাই তোমরা পূরণ করবে।
এসময় তিনি আরো বলেন, চারদিকে মাদকের যেভাবে বিস্তার লাভ করছে বিস্তারের কারণে আমাদের যুব সমাজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এই মাদক থেকে রক্ষা করার উপায় হল শিক্ষাকে গ্রহণ করা। শিক্ষার সাথে সাথে ক্রীড়া ও সংস্কৃতির কর্মকান্ডের সাথে বেগমান করা ও বৃদ্ধি করা। তাহলে তারা মাদক থেকে দূরে থাকবে। মাদকের যে কূ প্রভাব আছে তা থেকে দূরে থাকতে তিনি সকল যুবকদের আহবান জানান।
প্রসঙ্গত, সরকারি অর্থায়নে সাড়ে তিন কোটি টাকা ব্যয়ে এই একাডেমিক ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি