চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ ও পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।
আজ ৪ মার্চ শনিবার বেলা ১১টার দিকে কলেজ প্রাঙ্গণে দিনব্যাপী পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এম.পি।
পিঠা উৎসবের আয়োজকেরা বলেন, এটি গ্রাম বাংলার প্রাচীন ঐতিহ্য। এক সময় বাংলার ঘরে ঘরে শীত আসলে পিঠা বানানোর ধুম পড়ে যেত। কিন্তু আধুনিকতার উৎকর্ষে এ ঐতিহ্য অনেকটাই হারিয়ে যাচ্ছে। নতুন প্রজন্মের কাছে ঐতিহ্যটাকে ধরে রাখতে পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।
নবীনরা এ ঐতিহ্যকে লালন করে আগামী প্রজন্মের কাছে নিজেকে আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারলে এ আয়োজন সার্থক বলে মনে করেন আয়োজকেরা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর খান রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে পিঠা উৎসবে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ফাহিমা খাতুন, সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ মোহাম্মদ হামজা মাহমুদ, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক আবু জাফর মোহাম্মদ আরিফ হোসেন।
পিঠা উৎসবে ২০টি স্টলে প্রায় শতাধিক প্রকারের দেশীয় পিঠা প্রদর্শন করা হয়। এর মধ্যে পাপড়ি, ঝিনুক, তালের কোন, নারিকেল, পাক্কন, রেশমি, ত্রিভুজ, ঝিলমিল, ডিম সুন্দরী, হৃদয় হরণ, বেণী, চন্দ্রপুলি, চিংড়ি পিঠা, মুখ চাহনী ইত্যাদি। পরে অতিথিরা বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
সাংগঠনিক আবৃত্তি চর্চায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ প্রবর্তিত ‘গোলাম মুস্তাফা আবৃত্তি পদক’ অর্জন করায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাহিত্য একাডেমির সভাপতি, বিশিষ্ট কবি, সংগঠক ও গবেষক জয়দুল হোসেনকে সংবর্ধনা প্রদান করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন সাহিত্য-সংস্কৃতি ও সামাজিক সংগঠনের সদস্যরা।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বর্ণাঢ্য এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে কবি জয়দুল হোসেন সংবর্ধনা পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, বরেণ্য আবৃত্তিশিল্পী ও প্রশিক্ষক গোলাম সারোয়ার।
কবি জয়দুল হোসেন সংবর্ধনা পরিষদের আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মো মনির হোসেন-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বঙ্গীয় সাহিত্য-সংস্কৃতি সংসদ জেলা শাখার সভাপতি, বিশিষ্ট কবি ও নাট্যকার আবদুল মান্নান সরকার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো: বাহারুল ইসলাম মোল্লা, নারীনেত্রী বেগম ফজিলাতুন্নাহার, জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের সহকারী পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম লিমন, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সদস্য সচিব এটিএম ফয়েজুল কবির, সাহিত্য একাডেমির সহ-সভাপতি মানিক রতন শর্মা, বাংলাদেশ বেসরকারি গণগ্রন্থাগার পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সভাপতি কবি আমির হোসেন, নতুনমাত্রা পাবলিকেশনের স্বত্বাধিকারী, কবি ও সাংবাদিক আল আমীন শাহীন, ভাষা ও সাহিত্য অনুশীলন কেন্দ্রের সহ-সভাপতি মমিনুল আলম বাবু, নদী প্রাণ ও প্রকৃতি সুরক্ষা বিষয়ক সংগঠন তরী বাংলাদেশ-এর আহ্বায়ক শামীম আহমেদ, আবরনীর নির্বাহী পরিচালক, আবৃত্তিশিল্পী হাবিবুর রহমান পারভেজ, সমাজকর্মী কমরেড নজরুল ইসলাম, তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের সহকারী পরিচালক সুজন সরকার, কবির কলমের সভাপতি কবি হুমায়ুন কবির, সোনালি সকালের সভাপতি ফাহিম মুনতাসির।
কিচিরমিচির সম্পাদক মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ ও আবৃত্তিশিল্পী ফারদিয়া আশরাফী নাওমীর সঞ্চালনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য উপস্থাপন করেন জেলা খেলাঘর আসরের সাধারণ সম্পাদক নীহার রঞ্জন সরকার। ধন্যবাদ বক্তব্য রাখেন সাহিত্য একাডেমির সাধারণ সম্পাদক মোঃ নুরুল আমিন। অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় কবি জয়দুল হোসেনকে নিবেদিত কবিতা পাঠ করেন তিতাস সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের উপদেষ্ট, কবি মোঃ আব্দুর রহিম ও সাহিত্য একাডেমির সদস্য রিপন দেবনাথ। অনুষ্ঠানে কবি জয়দুল হোসেন রচিত বিভিন্ন কবিতার দলীয় আবৃত্তি পরিবেশন করে সাহিত্য একাডেমি, তিতাস আবৃত্তি সংগঠন, ভাষা ও সাহিত্য অনুশীলন কেন্দ্র, আবরনি আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্র এবং সোনালি সকাল সংগঠনের আবৃত্তিশিল্পীবৃন্দ। এছাড়াও দলীয় নৃত্য পরিবেশন করে সুরসম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনের নৃত্য শিল্পীর দল। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সংবর্ধিত অতিথি কবি জয়দুল হোসেনকে ফুলের শুভেচ্ছা ও উপহার সামগ্রী প্রদান করেন।
সংবর্ধনা শেষে কবি জয়দুল হোসেন তার অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন- বাংলা সাহিত্যের আদি নিদর্শন চর্যাপদ যা মূলত কবিতা। পৃথিবীর অনেক ভাষার আদি নিদর্শনী কবিতা। ফলে বলা যায় মানুষের সাহিত্য সাধনার প্রথম থেকেই কবিতা রচনা তথা কাব্যচর্চা হয়ে আসছে। বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে সাংগঠনিক আবৃত্তি চর্চা শুরু হয় আশির দশকে। সমসাময়িক সময়ে আমি জেলার সাহিত্য-সংস্কৃতির চর্চা শুরু করি। সেই সঙ্গে আবৃত্তি চর্চাও। আমি নিজে কখনো আবৃত্তি না করলেও অন্যদেরকে দিয়ে আবৃত্তি করিয়েছি। কেননা আমি তখন থেকেই বুজতে পেরেছিলাম যে কবিতার লেখার মাধ্যমে, আবৃত্তি চর্চার মাধ্যমে মানুষের মাঝে দেশপ্রেম, সমাজ সচেতনতা ও চেতনা ছড়িয়ে দেয়া যায়। আবৃত্তি দিয়ে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করা যায়। সাংগঠনিকভাবে আবৃত্তি চর্চা করলে যে পুরস্কার পাওয়া যায়, এই বিষয়টি আমার আগে থেকে জানা ছিল না। তাই পুরস্কারে আমার নাম ঘোষণা করা হলে তখন থেকেই বিষয়টি নিয়ে আমি সন্দিহান ছিলাম। যা নিয়ে আমি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলেছি।
বক্তব্যে তিনি আরো বলেন- আমি কখনো পদক বা পুরস্কারের জন্য কোন কাজ করিনি, কোনো লেখা লেখিনি, আবৃত্তি চর্চা করিনি, সাংগঠনিক কাজও করিনি। আমি জীবনে যা করেছি তা নিজের মনের তাগিদে করেছি। দায়িত্ব ও চেতনা বোধ থেকে কাজ করেছি। সংগঠন করেছি নিজের আদর্শের জায়গা থেকে। তিনি অন্যদেরকেও নিজের নাম ছড়ানোর জন্য কাজ না করে, দেশ ও মানুষের জন্য কাজ করার কথা বলেন। বক্তব্যে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চার উর্বর ভূমি উল্লেখ করে সকলকে এই ভূমিতে সোনার ফসল ফলানোর জন্য আহ্বান জানান। তিনি তাকে সংবর্ধনা প্রদান করার জন্য আয়োজকদের এবং উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন- টেলিভিশনে ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে যেভাবে পারস্পরিক যুদ্ধের জনপদ, সংঘর্ষের জনপদ হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে, আমি মনে করি এটা উচিত নয়। কেননা এই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আছে সুদীর্ঘ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। সে ঐতিহ্যের টানেই বারবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছুটে আসতে মন চায়। তিনি বলেন জয়দুল হোসেন আবৃত্তি পদকে ভূষিত হলেও আমরা তাঁকে এই ছোট্ট গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ রাখতে চাই না। কেননা তাঁর দীর্ঘ জীবনে যা যা অবদান, সেই তুলনায় একটি সুনির্দিষ্ট বিষয়ে পুরস্কার খুবই ছোট্ট একটি অর্জন। তবে, যে কোনও পুরস্কার মানুষকে আলোকিত করে, দায়িত্বশীল করে। জয়দুল হোসেন তাঁর আলোয় সমাজ ও শিল্প সাহিত্যকে আরো আলোকিত করেছেন এবং ভবিষ্যতেও করবেন বলে আমার বিশ্বাস।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও গণপূর্ত মন্ত্রী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, নির্বাচন আসলেই যারা নৌকার বিরোধিতা করে নৌকার দল আওয়ামী লীগে তাদের জায়গা নেই। এমন বিরোধিতাকারীদের সনাক্ত করে তাদরে সরিয়ে প্রকৃত নিবেদিত তরুণ নেতাকর্মীদের পদায়ন করে দলকে শক্তিশালী করতে হবে। আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনকে তৃণমূল থেকে ঢেলে সাজাতে হবে। আগামী নির্বাচন হবে ৫ বছর পর। এখনই সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে সঠিক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে পারলে আগামী নির্বাচনে তারা দলকে সহজে জেতাতে পারবেন।
আজ ২৭ এপ্রিল শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে পৌর আওয়ামী লীগ আয়োজিত বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি মো মুসলিম মিয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো রফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি মো হেলাল উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সহ-সভাপতি হাজি হেলাল উদ্দিন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবুল কালাম ভূঞা।
বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মো মহসিন,পৌর আওয়ামী লীগ নেতা জামাল খান, রফিকুল ইসলাম, হানিফ মিয়া, আবুল বাশার, খবির উদ্দিন আহমেদ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে সাড়ে ৩শ’ অসহায় প্রবীণকে ঈদি হিসেবে শাড়ি-লুঙ্গি ও ঈদসামগ্রী দিয়েছে ফেসবুকভিত্তিক সংগঠন ‘বাউনবাইরার কতা’।
আজ ৭ এপ্রিল রবিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নিয়াজ মুহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের হলরুমে প্রবীণদের হাতে ইতি তুলে দেয়া হয়। এছাড়া সংগঠনের সদস্যদের দেওয়া যাকাতের অর্থে ২০টি দরিদ্র পরিবারকে স্বাবলম্বী করতে সেলাই মেশিন, ভ্যানগাড়ি, রিকশা, ছাগল, মুদি দোকান ও আইসক্রিম গাড়ি এবং ঘর প্রদান করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) এস. এম. শান্তনু চৌধুরী।
বাউনবাইরার কতা’র এডমিন ডা. মাহবুর রহমান এমিলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা. মো. আবু সাঈদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম মোল্লা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) জয়নাল আবেদীন ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) বিল্লাল হোসেন,নিয়াজ মুহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ওসমান গণি সজিব, তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের পরিচালক মো. মনির হোসেন, নিয়াজ মুহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাহিদুল ইসলাম জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন প্রমুখ।
পরে আলোচনা শেষে স্বাবলম্বী প্রজেক্টের আওতায় উপকারভোগীদের হাতে রিকশা, ভ্যান ও সেলাই মেশিন এবং প্রবীণদের হাতে ঈদি তুলে দেন অতিথিরা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৩ তম জন্ম বার্ষিকীতে আলোচনা সভায়
চলারপথে রিপোর্ট :
অনলাইন ডেস্ক :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিনম্র শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার মধ্যে দিয়ে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৩ তম জন্ম বার্ষিকী পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে আজ ৮ আগস্ট মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে স্থাপিত বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন, আলোচনা সভা ও পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।
সকাল ১০টায় বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তক অর্পন করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনের সংসদ সদস্য, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
এর পর পর্যায়ক্রমে বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তক অর্পন করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসনের পক্ষে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম, পুলিশ প্রশাসনের পক্ষে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, জেলা পরিষদের পক্ষে চেয়ারম্যান আল-মামুন সরকার, জেলা আওয়ামীলীগ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লার নেতৃত্বে প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ, সিভিল সার্জন অফিসসহ আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও জেলার বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রধানগন।
আলোচনা সভা শেষে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও পুরষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার, সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ একরাম উল্লাহ, জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, জেলা জজ কোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট মাহবুবুল আলম খোকন, মুক্তিযোদ্ধা আবু হোরায়রা ও প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ভিকারুন্নেছা।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, মহিয়সী নারী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব ছিলেন বঙ্গবন্ধুর সকল প্রেরণার উৎস।
তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাজনীতি করতে গিয়ে তাঁর পক্ষে ঘর সংসারের দিকে খেয়াল রাখা সম্ভব ছিলোনা। সেজন্য ঘর সংসারের পুরো দায়িত্ব পালন করেছেন বেগম মুজিব। ছেলে মেয়েদের লেখাপড়ার দায়িত্বও তিনি পালন করেছেন।
আবার তিনি অনেক সময় রাজনীতির গুরুত্বপূর্ন সিদ্ধান্ত নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সাথে আলোচনা করেছেন, বঙ্গবন্ধুকে সুপরামর্শ দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু কারাগারে থাকাঅবস্থায় ৬দফা নিয়ে যখন আওয়ামীলীগের মধ্যে দ্বিধাদ্বন্ধ ছিলো তখন ৬দফা নিয়ে আন্দোলনকারীদের পক্ষে সফলতার পিছনে সবচেয়ে বড় অবদান ছিলো বেগম মুজিবের। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় বঙ্গবন্ধু যাতে প্যারোলো মুক্তি না নেন সেজন্য বেগম মুজিব জেলখানায় চিরকুট পাঠিয়েছিলেন।
ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষন দেয়ার আগেও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব বঙ্গবন্ধুকে বলেছিলেন কারো কথায় নয়, তুমি যা ভালো মনে করবে ভাষনে তুমি সেই কথাই বলবে। বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে, ইতিহাসের বাঁক ঘুরানো দিনগুলোতে মহিয়সী নারী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব বঙ্গবন্ধুকে প্রেরণা দিয়েছেন।
আলোচনা সভা শেষে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভা ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পক্ষ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডাক্তার মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেনকে ফুলের শুভেচ্ছা প্রদান করা হয়।
আজ ৩০ সেপ্টেম্বর সোমবার অনুষ্ঠিত এই ফুলের শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠোনে উপস্থিত ছিলেন সরকারি কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সভাপতি আশরাফ স্বাস্থ্য, সরকারি কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান সমাজসেবা, সরকারি কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের উপদেষ্টা মনিরুল ইসলাম, সরকারি কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের উপদেষ্ঠা সালাউদ্দিন আহমেদ, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মরত উপসহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও সরকারি কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাবেক সাধারণ সম্পাদক পল্লব কুমার চক্রবর্তী, শিক্ষা বিভাগের মনির হোসেন, নজরুল ইসলাম সড়ক জনপথ, আবু নাছের যুব উন্নয়ন, শামীম মাদকদ্রব্য নি: অধিদপ্তর লোমান শিক্ষা, দিদার হেলথ, শেখ মনির সমাজসেবা অধিদপ্তর, আসিফা সমাজসেবা অধিদপ্তর, মনির হোসেন স্বাস্থ্য, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মরত অফিস সহকারী ও সরকারি কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাংগঠনিক সম্পাদক মো: রুবেল মিয়া, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মরত অফিস সহকারী আব্দুল মতিন, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মরত অফিস সহকারী শফিকুল ইসলাম, সিভিল সার্জনের কার্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মরত অফিস সহকারী হিরন খান, আবু নাসের নাসু আব্দুল্লা জনস্বাস্থ্য, ইয়াসির আরাফাত বরকত জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, জাকির হোসেন চৌধুরি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, মো: ইসমাইল মিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড, উত্তম কুমার দাস সমাজসেবা অধিদপ্তর প্রমুখ।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি