অনলাইন ডেস্ক :
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে অবৈধ অভিবাসীদের তাড়াতে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে দেশটির অবৈধ অভিবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। কর্মস্থলে অনেকে ভয়ে যাচ্ছেন না । স্কুলে যেতে চাচ্ছে না শিশুরা। তারা ভয় পাচ্ছে। অনেক মা-বাবার কাজ বন্ধ। অবৈধ অভিবাসীদের খোঁজে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে বাসা-বাড়ি আর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হানা দিচ্ছে দেশটির বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় সংস্থার সদস্যরা। স্থানীয় সময় রবিবার থেকে শুরু হয় সাঁড়াশি এ অভিযান। অভিযানে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই)-এর পাশাপাশি অংশ নিয়েছেন এফবিআই ও ড্রাগ এনফোর্সমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশনসহ (ডিইএ) বিচার বিভাগের বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা। অভিবাসন, মাদক, অস্ত্র আর কাস্টমস বিষয়ক ভিন্ন ভিন্ন বিভাগের অভিযানে গ্রেফতারের সংখ্যা দেড় হাজার ছাড়িয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষ এখন প্রতিদিন শত শত বৈধ কাজগপত্রহীন অভিবাসীকে আটক করে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়ে দিচ্ছে। এর মাধ্যমে, যারা বেআইনিভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছে তাদের বহিষ্কার করতে ২০২৪ নির্বাচনী প্রচারণার সময় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেয়া প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
জো বাইডেন ক্ষমতায় থাকাকালে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ সীমান্ত দিয়ে বহু অভিবাসী প্রবেশ করেছিলেন। তাদের বড় অংশের ঠিকানা হয়েছিল টেক্সাস। তখন টেক্সাসের গভর্ণর গ্রেগ অ্যাবট এই অভিবাসীদের বাইডেনের দল ডেমোক্রেটিক পার্টি শাসিত শহরগুলোয় পাঠিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে শিকাগোর স্থানীয় একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ট্রাম্প প্রশাসনের নানা তৎপরতার মুখে আতঙ্কে রয়েছেন শহরটির অনেক অধিবাসী। তাদের অনেকে স্কুল বা কাজে যাচ্ছেন না। যেমন শহরটির উপকণ্ঠে বসবাস করা দুই বোন ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকে স্কুলে যাচ্ছে না। তাদের মা–বাবাও কাজে যাওয়া বন্ধ রেখেছেন।
ইউএস কমিটি ফর রিফিউজিস অ্যান্ড ইমিগ্র্যান্টস নামের আরেকটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এনা মারিয়া বেনা বলেন, ‘শিশুরা স্কুলে যেতে চাচ্ছে না। তারা ভয় পাচ্ছে। তারা মা–বাবার কাছ থেকে এসব বিষয়ে শুনছে। সম্প্রদায়ের মানুষের কাছ থেকে শুনছে। আমার মনে হয়, যখন শিক্ষার্থীরা ভয়ের কারণে স্কুলে যেতে চায় না, তখন ওই সম্প্রদায়ের মনের অবস্থা কী, তা অনেকটাই বোঝা যায়?’
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন প্রশাসনের নির্দেশে স্থানীয় সময় গত রবিবার থেকে ঝটিকা অভিযান শুরু করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। অভিযানে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই)-এর পাশাপাশি অংশ নিয়েছেন এফবিআই ও ড্রাগ এনফোর্সমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশনসহ (ডিইএ) বিচার বিভাগের বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা। গতকালপরিচালিত দেশব্যাপী অভিযানে ৯৫৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই অভিযান এক সপ্তাহ ধরে চলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ট্রাম্পের ইশারায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে অবৈধ অভিবাসী তাড়ানোর দায়িত্ব পেয়েছেন টম হোম্যান। তিনি আইসিইর সাবেক ভারপ্রাপ্ত পরিচালক। সিএনএনের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে হোম্যান ঝটিকা অভিযান শুরুর দিনকে ‘একটি ভালো দিন’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তাঁর মতে, এই অভিযান ‘মোড় বদলে’ দেওয়ার মতো একটি ঘটনা।
সাক্ষাৎকারের সময় ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের শিকাগো শহরে ছিলেন টম হোম্যান। তিনি বলেন, এ বিষয়ে (অবৈধ অভিবাসন) পুরো প্রশাসনকে কাজে লাগিয়েছেন। শিকাগোর জননিরাপত্তা এবং জাতীয় নিরাপত্তা হুমকিগুলোর ওপর নজর রাখতে আজ আমরা সরকারের সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাকে মাঠে নামিয়েছি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে আইসিই লিখেছে, রবিবার দেশজুড়ে ৯৫৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অবৈধ অভিবাসীদের ধরতে শিকাগোয় এই ‘বাড়তি অভিযান’ ছাড়াও আটলান্টা, পুয়ের্তো রিকো, কলোরাডো, লস অ্যাঞ্জেলেস, অস্টিন ও টেক্সাস শহরে অভিবাসনসংক্রান্ত কর্মকর্তাদের তৎপরতা লক্ষ করা গেছে।
শিকাগোতে ট্রাম্পের অভিবাসনবিরোধী পদক্ষেপের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছে শহরটির অভিবাসীদের অধিকার নিয়ে সোচ্চার সংগঠনগুলো। আদালতে দাখিল করা নথিপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, শিকাগোয় অভিবাসীদের জন্য ছাড় থাকার কারণে শহরটি ট্রাম্প প্রশাসনের অভিযানের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। এটা সংবিধানের প্রথম সংশোধনীতে যে বাগ্স্বাধীনতার অধিকার দেয়া হয়েছে, সেটি খর্ব করে। একইসাথে চতুর্থ সংশোধনীতে অযৌক্তিক তল্লাশি ও আটকের বিরুদ্ধে যে সুরক্ষা দেয়া হয়েছে, তা লঙ্ঘন করে।
অনলাইন ডেস্ক :
আমেরিকায় কখোনো যা ঘটেনি, সেটাই ঘটতে যাচ্ছে মেক্সিকোতে। নারী নেতৃত্ব পেতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের নিকট-প্রতিবেশী দেশ মেক্সিকো। কারণ দেশটির নির্বাচনে প্রধান তিন প্রতিদ্বন্দ্বীর শীর্ষস্থানীয় দু’জনই নারী।
আজ ২ জুন রবিবার (বাংলাদেশ সময় রবিবার দিবাগত রাত) মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন।
এতে ক্ষমতাসীন মরেনা পার্টির প্রার্থী ক্লাউডিয়া শেইনবাম এবং ‘ফোয়েরজা ওয়াই কোরাজন ফর মেক্সিকো’র যোসিটি গ্যালভেজ হচ্ছেন সম্মিলিত বিরোধী দলের প্রার্থী। এ দুজনই জুইশ বংশোদ্ভূত মেক্সিকান এবং সাম্প্রতিক সব কটি জরিপে তাদের একজনের বিজয়ের সম্ভাবনা দেখা গেছে।
বর্তমান প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠ অনুসারী ক্লাউডিয়া হচ্ছেন একজন বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী এবং মেক্সিকো সিটির মেয়র হিসেবেও সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। সবচেয়ে বড় পরিচয় হচ্ছে তিনি মেক্সিকো-যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তকে নিরাপদ করতে কয়েক বছর থেকেই কাজ করছেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ ম্যানুয়েল লোপেজ অবরাডোরের সহযোগী হিসেবে।
বিশেষ করে সীমান্তরক্ষীদের দৃষ্টি ফাঁকি দিয়ে মেক্সিকানদের যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকে পড়া এবং নেশাজাতীয় দ্রব্য পাচার রোধে ক্লাউডিয়ার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার কথা হোয়াইট হাউসের বিবেচনায় রয়েছে।
অপর নারী প্রার্থী যোসিটি গ্যালভেজ হচ্ছেন সাবেক সিনেটর এবং ব্যবসায়ী। সব জরিপে দ্বিতীয় শীর্ষে অবস্থান করছেন তিনি। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন পুরুষ প্রার্থী জর্জ অ্যালভারেজ ম্যাইনেজ।
হিলারি ক্লিনটন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে অন্যতম বৃহত্তম ডেমোক্রেটিক পার্টির মনোনয়ন পেয়েও ২০১৬ সালের নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে হেরে যান। অর্থাৎ উন্নয়নের শীর্ষে এবং মানবাধিকার নিয়ে সদা মুরব্বিয়ানায় ব্যস্ত আমেরিকা তার নেতৃত্ব নারীর কাছে সঁপে দিতে চায়নি। এমন পরিস্থিতিতে অর্থনীতিসহ নানা ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকা মেক্সিকোতে নারী ক্ষমতায়নে বিপ্লব ঘটতে যাচ্ছে এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে-এমন অভিমত পোষণ করেছেন ওয়াশিংটন ডিসির থিংকট্যাংক ‘কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশন্স’র সিনিয়র ফেলো শ্যানন ও’নীল।
শ্যানন মনে করছেন, মেক্সিকোতে এমন কিছু বাজে কাণ্ড ঘটে-যার ফলে সুধীজনের পক্ষে দেশটিতে নিরাপদে অবস্থান করা কঠিন। তবে নারী ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে তারা যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে এবং প্রকারান্তরে প্রভাবিত করতেও যাচ্ছে।
মেক্সিকোর পরবর্তী প্রেসিডেন্ট সত্যি অন্যতম একটি ইস্যুতে পরিণত হতে যাচ্ছেন। নারী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মধ্য দিয়ে মেক্সিকোর ইতিহাসের গতি-প্রকৃতি পাল্টে যাবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
সূত্র : এনডিটিভি
অনলাইন ডেস্ক :
তেহরান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, ইসরায়েল যদি ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালায় তাহলে তাদেরও (ইসরায়েলের) পারমাণবিক স্থাপনা লক্ষ্য করে পাল্টা হামলা চালানো হবে। ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার দায়িত্বে থাকা বিপ্লবী গার্ডের কমান্ডার আহমেদ হাগতালাব এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন।
তিনি বলেন, তাদের (ইরানের) হাত ট্রিগারেই রয়েছে। যদি ইসরায়েল তাদের কোনো স্থাপনায় কোনো ধরনের হামলা চালায় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে পাল্টা হামলা চালানো হবে। তিনি জানিয়েছেন, ইসরায়েলের পারমাণবিক অবকাঠামো কোথায় আছে সেটি তারা বেশ ভালোভাবে জানেন।
এই কমান্ডার আরো জানিয়েছেন, ইসরায়েল তাদের অব্যাহতভাবে হুমকি দিয়ে যাওয়ায় তারা তাদের পারমাণবিক যে নীতি রয়েছে সেটি পরিবর্তন করার ব্যাপারেও তারা ভাববেন।
১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। তাতে ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) বিদেশে কার্যক্রম পরিচালনাকারী কুদস ফোর্সের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ রেজা জাহেদিসহ কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তা নিহত হন। এ হামলার বদলা হিসেবে গত শনিবার রাতে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে একযোগে ১৭০টি ড্রোন, ১২০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ৩০টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরান।
এই ঘটনার পর ইসরায়েল ইরানে হামলার পায়তারা করছে। ইসরায়েলের গোয়েন্দা বাহিনী মোসাদের সাবেক সিনিয়র কর্মকর্তা জোহার পাল্টি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজকে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, গত ১৩ এপ্রিল রাতে ইরান যে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে সেটির বদলা নিতে ইরানের পারমাণবিক অবকাঠামোতে হামলার চিন্তা-ভাবনা করছে তারা। তার এমন বক্তব্যের পরই পাল্টা হুমকি দিয়েছে তেহরান।
ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রম পুরোটা নিয়ন্ত্রণ করেন দেশটির প্রধান ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। ২০০০ সালে তিনি এক ডিক্রির মাধ্যমে পারমাণবিক বোমা তৈরি নিষিদ্ধ করেন। তবে ২০২১ সালে ইরানের তৎকালীন গোয়েন্দামন্ত্রী হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছিলেন- পশ্চিমাদের চাপে পড়ে ইরানকে পারমাণবিক বোমা তৈরি করতে হতে পারে।
এদিকে ইরানের সেনাপ্রধান কমান্ডার মেজর জেনারেল আব্দোলরহিম মৌসাভি বলেছেন, ইরানের স্বার্থের বিরুদ্ধে কোনো আগ্রাসন চালানো হলে কঠোরভাবে তার জবাব দেওয়া হবে। এই জবাব এমন হবে যে তাদের অনুতাপ করতে হবে। সূত্র : স্কাই নিউজ
অনলাইন ডেস্ক :
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় স্থানীয় সময় আজ ১ ডিসেম্বর শুক্রবার সকালে মানবিক বিরতি শেষ হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ১০৯ ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরো অনেকে আহত হয়েছে। গাজা শাসনকারী হামাস সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ডা. আশরাফ আল-কুদরা বলেছেন, ইসরায়েল এদিন সকাল থেকে গাজায় তীব্র বোমাবর্ষণ শুরু করে। এখন পর্যন্ত ১০৯ জন নিহত এবং শতাধিক আহত হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার সরকারি ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা বলেছিল, ৬৫ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই ‘শিশুসহ নিরীহ বেসামরিক’। গাজাজুড়ে ইসরায়েলি বোমা হামলাকে আবাসিক এলাকায় নির্বিচার বলে বর্ণনা করেছে ওয়াফা।
দিনের প্রথম দিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছিল, ‘মানবিক বিরতি শেষ হওয়ার তিন ঘণ্টার মধ্যে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২। কয়েকজন মানুষ আহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ২৪ নভেম্বর কার্যকর হয়েছিল এবং শুক্রবার সকালে তা শেষ হয়েছে।
আনাদোলুর সংবাদদাতা জানিয়েছেন মানবিক বিরতি শেষ হওয়ার পর পরই পূর্ব গাজা উপত্যকায় ভারী গোলাবর্ষণ এবং ইসরায়েলি কামানের আঘাত আবার শুরু হয়েছে। উত্তর ও মধ্য গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনী ও ফিলিস্তিনি দলগুলোর মধ্যে সংঘর্ষ চলছে বলেও তিনি জানিয়েছেন। সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি
অনলাইন ডেস্ক :
হিজবুল্লাহর সঙ্গে সাম্প্রতিক যুদ্ধের সময় অ্যাম্বুলেন্স, প্যারামেডিক এবং স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের ওপর ইসরায়েলের হামলাকে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে তদন্ত করা উচিত জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। আজ ৫ মার্চ বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
গত ২৭ নভেম্বরের এক যুদ্ধবিরতি চুক্তি হিজবুল্লাহ এবং ইসরায়েলের মধ্যে দুই মাসের সর্বাত্মক যুদ্ধসহ এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা সংঘাত থামিয়ে দেয়। সর্বাত্মক যুদ্ধের সময় ইসরায়েল স্থল সেনা পাঠিয়েছিল।
এ সময় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে যোদ্ধা ও অস্ত্র পরিবহনের জন্য হিজবুল্লাহ-অনুমোদিত ইসলামিক স্বাস্থ্য কমিটির অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করার অভিযোগ করে। তবে গোষ্ঠীটি এই অভিযোগ অস্বীকার করে।
অ্যামনেস্টির মতে, লেবাননে যুদ্ধের সময় আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে সুরক্ষিত স্বাস্থ্যসেবা, অ্যাম্বুলেন্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর বারবার বেআইনি হামলাকে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে তদন্ত করা উচিৎ।
লেবাননের সরকারকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতকে লেবাননের ভূখণ্ডে সংঘটিত রোম সংবিধির অধীনে অপরাধ তদন্ত ও বিচারের এখতিয়ার প্রদান এবং ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতিকারের অধিকার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
গত ডিসেম্বরে লেবাননের তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফিরাস আবিয়াদ বলেন, যুদ্ধের সময়, হাসপাতালগুলোতে ৬৭টি হামলা করা হয়েছিল, যার মধ্যে ৪০টি হাসপাতাল সরাসরি লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছিল’, যার ফলে ১৬ জন নিহত হয়েছে।
তিনি বলেন, জরুরি সাড়াদান সংস্থাগুলোর ওপর ২৩৮টি আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। এবং ২০৬ জন নিহত হয়েছে, অগ্নিনির্বাপক ট্রাক এবং অ্যাম্বুলেন্স সহ ২৫৬টি জরুরি যানবাহনকেও ’লক্ষ্যবস্তু’ করা হয়েছিল হামলায়।
অ্যামনেস্টি জানায়, তারা গত বছরের ৩ থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত বৈরুত এবং দক্ষিণ লেবাননে স্বাস্থ্যসেবা এবং যানবাহনের ওপর চারটি ইসরায়েলি হামলার তদন্ত করেছে। ওই হামলায় ১৯ জন স্বাস্থ্যসেবা কর্মী নিহত, ১১ জন আহত এবং একাধিক অ্যাম্বুলেন্স এবং দু’টি চিকিৎসা সুবিধা ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস করা হয়েছে’।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এমন কোনো প্রমাণ পায়নি যে হামলার সময় স্থাপনা বা যানবাহন সামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হচ্ছিল।
মানবাধিকার সংস্থাটি জানিয়েছে, তারা নভেম্বরে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীকে তাদের অনুসন্ধানের তথ্য লিখেছিল কিন্তু প্রকাশের সময় পর্যন্ত তারা এর কোনো উত্তর পাননি।
লেবাননের কর্তৃপক্ষের মতে, এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে ৪ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।
লেবাননের কর্তৃপক্ষ জানায়, ইসরায়েলি বোমা হামলায় দক্ষিণ ও পূর্বের কিছু অংশ এবং বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলির কিছু অংশ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার পুনর্গঠন ব্যয় ১০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
সূত্র : অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল
অনলাইন ডেস্ক :
নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে ইরান। হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর পর গতকাল সোমবার এই ঘোষণা দেওয়া হয়। রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনা জানিয়েছে, আগামী ২৮ জুন ১৪তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
ইরনার বরাত দিয়ে তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে, গতকাল বিচার বিভাগ, নির্বাহী বিভাগ ও আইনসভার প্রধানদের মধ্যে বৈঠকের পর এই আগাম নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়।
আগামী ৩০ মে প্রার্থীদের নিবন্ধন শুরু হবে এবং আগামী ১২ থেকে ২৭ জুন পর্যন্ত প্রার্থীরা প্রচারণা চালাতে পারবেন।
প্রেসিডেন্ট রাইসি আজারবাইজানের সীমান্তের কাছে কিজ কালাসি এবং খোদাফারিন বাঁধ দুটি উদ্বোধন করেন। সেখান থেকে ফিরে তিনি ইরানের উত্তর-পশ্চিমে তাবরিজ শহরের দিকে যাচ্ছিলেন। তখন স্থানীয় সময় রবিবার দুপুর ১টা ৩০ মিনিটের দিকে তার হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
ঘটনাটি পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের ভারজাকান এবং জোলফা শহরের মধ্যে অবস্থিত ডিজমার জঙ্গলে ঘটে।
অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দল রাইসির বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটি কুয়াশায় ঢাকা পশ্চিম পর্বত অঞ্চলে খুঁজে পাওয়ার পর সোমবার তিনি মৃত বলে নিশ্চিত হয় দেশটি। এতে ইসলামী প্রজাতন্ত্রে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।