অনলাইন ডেস্ক :
অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-টোয়েন্টির সুপার সিক্সের শেষ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১০ উইকেটে হারিয়েও জুনিয়র টাইগ্রেসদের বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিতে হলো। কারণ সুপার সিক্সের প্রথম ম্যাচে বড় ব্যবধানে ভারতের কাছে হার।
বৃষ্টির কারণে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের ম্যাচটি নেমে আসে ১৩ ওভারে। যেখানে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। শুরু থেকেই বাংলাদেশের বোলারদের বোলিং তোপে কোণঠাসা হয়ে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের নারীরা। ক্যারিবীয়দের হয়ে অমৃতা রামতাহলের ব্যাট থেকে আসে ১৬ রান, নাইজান্নি কাম্বারব্যাচ করেন ১৩ এবং আসাবি কলেন্ডারের ব্যাট থেকে আসে ১১ রান। এই তিন ব্যাটসম্যান বাদে কেউই দু’অংকের রান করতে পারেননি। ১৩ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৫৪ রানের পুঁজি পায় ক্যারিবীয়রা।
টাইগ্রেস বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে উজ্জ্বল ছিলেন নিশিতা আক্তার নিশি। ৩ ওভারে ১১ রানে ৩ উইকেট পেয়েছেন তিনি। এক সময় হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও তৈরি করেছিলেন তিনি। আনিসা আক্তার সোবা ৩ ওভারে ১৩ রান খরচায় নেন ২ উইকেট। এক উইকেট পান জান্নাতুল মাউয়া।
অল্প রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে কোনো উইকেটই হারায়নি বাংলাদেশ। ফাহোমিদা ছোয়া এবং জুয়াইরিয়া ফেরদৌস ৮.৫ ওভারে তুলে ফেলে এই রান। ফেরদৌস ২৫ এবং ছোয়া ১৪ রানে অপরাজিত ছিলেন। সুপার সিক্সে তলানিতে থেকে বিশ্বকাপ মিশন শেষ করল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
স্পোটর্স ডেস্ক :
প্রথমার্ধে গোলের জন্য ১৩টি শট নিয়েছে আর্জেন্টিনা। ৩টি পোস্টে রাখতে পারলেও গোল হয়নি। বিরতির পর নিকো গঞ্জালেস একবার চিলির ক্রসবারও কাঁপিয়েছেন। ভাগ্য সহায় হয়নি আর্জেন্টিনার। শুধু তা ই নয়, ৩৭তম জন্মদিনের কেক কেটে মাঠে নামা লিওনেল মেসিও ৬৮ মিনিটে গোলের সুযোগ নষ্ট করেছেন। নিউ জার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে এভাবে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠা আর্জেন্টিনাকে শেষ পর্যন্ত গোল এনে দিয়েছেন লাওতারো মার্তিনেজ। চিলির বিপক্ষে ১-০ গোলের স্বস্তির জয়ে কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনালও নিশ্চিত করেছে আর্জেন্টিনা।
২০২২ বিশ্বকাপে একের পর এক মিস করে আর্জেন্টিনার সমর্থকদের চক্ষুশূল হয়ে উঠেছিলেন লাউতারো মার্টিনেজ। তবে বিশ্বকাপের পর নিজেকে ঠিকই ফিরিয়ে এনেছেন চেনা ছন্দে। চলতি বছর ইন্টার মিলানের হয়ে ইতালিয়ান সিরিআ জয় করেছেন। যেখানে লাউতারো হয়েছেন বর্ষসেরা স্ট্রাইকার। তবু কোপা আমেরিকায় চিলির বিপক্ষে ম্যাচে আর্জেন্টিনার প্রথম একাদশে জায়গা মেলেনি তার।
প্রথমার্ধের হতাশা আর দ্বিতীয়ার্ধে চাপের মুখে থাকায় শেষ পর্যন্ত লাউতারো মার্টিনেজকেই মাঠে নামাতে বাধ্য হলেন আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনি। ৭৩ মিনিটে মাঠে নেমে ৮৮ মিনিটে করলেন দলের জয়সূচক গোল। লিওনেল মেসির কর্নার থেকে জটলায় বল পেয়েছিলেন এই স্ট্রাইকার। সেখান থেকেই এলো জয়সূচক গোল।
১-০ গোলের এই জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে প্রথম দল হিসেবে কোপা আমেরিকার শেষ আটে পা রাখল আর্জেন্টিনা। গ্রুপে তারা আছে সবার ওপরে। ৩ পয়েন্ট নিয়ে কানাডা আছে দুইয়ে। চিলি এবং পেরু দুই দলেরই ঝুলিতে আছে ১ পয়েন্ট।
তবে আর্জেন্টিনাকে এই ম্যাচে অনেকটা সময় পর্যন্ত টিকিয়ে রেখেছিলেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। অভিষেকের পর থেকেই হয়ে উঠেছেন আর্জেন্টাইন ফুটবলের ত্রাতা। কোপা আমেরিকা বা বিশ্বকাপে তার অতিমানবীয় গোলকিপিং সহজে ভুলতে চাইবে না আর্জেন্টিনার সমর্থকরা। সেই এমি মার্টিনেজই আরও একবার আর্জেন্টিনার মান বাঁচালেন আজ।
প্রথমার্ধে গোলবারের নিচে একেবারেই অলস সময় পার করেছিলেন এমি মার্টিনেজ। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে বেশিরভাগ সময় পার করেছেন ব্যস্ত সময়। দ্বিতীয়ার্ধের ৭২ এবং ৭৬ মিনিটে রদ্রিগো এচিভেরিয়া দুই দফায় জোরালো শট করেছিলেন। তবে এমি মার্টিনেজের বিশ্বস্ত হাত বাঁচিয়ে দেয় দলকে।
১-০ গোলের এই স্কোরলাইনে অবশ্য প্রমাণ করা কষ্ট, ঠিক কতটা দাপুটে ফুটবল উপহার দিয়েছে আর্জেন্টিনা আজ। গোলমুখে চিলির ৩ শটের বিপরীতে তারা নিয়েছে ২২ শট। ৬টি বিগ চান্স সামনে এসেছিল। ৯টি শট ছিল অন টার্গেট। কিন্তু চিলির গোলবারের নিচে ছিলেন ক্লদিও ব্রাভো। ৪১ বছরের অভিজ্ঞ এই গোলরক্ষক যেন চীনের মহাপ্রাচীর হয়ে ছিলেন আর্জেন্টিনার সামনে।
টানা আক্রমণ করেও ওই এক ব্রাভোর কারণেই গোল পায়নি আর্জেন্টিনা। প্রথমার্ধ পার হয়েছে গোল না পাওয়ার হতাশায়। উপরন্তু ৩৭ মিনিটে লিওনেল মেসির দূরপাল্লার শট বারে লেগে চলে যায় বাইরে। হতাশার মাত্রা তাতে আরও বেড়েছে। দ্বিতীয়ার্ধেও নিকো গঞ্জালেসের জোরালো শট ব্রাভোর হাত হয়ে লাগে ক্রসবারে।
বিপরীতে চিলিকে সেই অর্থে সুযোগই দেয়নি আর্জেন্টিনা। মাঝমাঠে রদ্রিগো ডি পল আর ডিফেন্সে রোমেরো-লিসান্দ্রো মার্টিনেজ জুটি ঠেকিয়েছে একের পর এক আক্রমণ। শেষদিকে আনহেল ডি মারিয়া মাঠে নামলে গতি পায় আলবিসেলেস্তেদের আক্রমণ। যোগ করা সময়ে ৪র্থ মিনিটে এই ডি মারিয়াই সহজ এক সুযোগ তৈরি করে দেন লাউতারোর উদ্দেশে। যদিও সেই সুযোগ অবিশ্বাস্যভাবে ঠেকিয়ে দেন চিলি গোলরক্ষক।
আর্জেন্টিনার প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের ৪৬ বছর পূর্তির দিনে চিলির বিপক্ষে প্রতিশোধও নেওয়া হলো তাদের। নিউ জার্সির এই মাঠেই ২০১৬ কোপা আমেরিকা ফাইনালে টাইব্রেকারে চিলির কাছে হেরেছিল আর্জেন্টিনা। সেই হারের পর আর্জেন্টিনার জার্সি তুলে রাখার ঘোষণা দিয়েছিলেন মেসি। তবে সাত সপ্তাহ পরই সিদ্ধান্ত পাল্টে ফিরেছিলেন জাতীয় দলে। বাকিটা সবার জানা।
শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে আর্জেন্টিনা। আলবিসেলেস্তেদের পরের ম্যাচ পেরুর বিপক্ষে। ৩০ জুন মায়ামির হার্ড রক স্টেডিয়ামে গ্রুপের শেষ ম্যাচে মাঠে নামবে তারা।
অনলাইন ডেস্ক :
তুরস্ক আবারও ইতিহাস সৃষ্টি করলো । এবারের ইউরোর শেষ আটে স্থান করে নিয়েছে তারা। এবারের ইউরোর ম্যাচ গুলোতে খালাপ খেললেও পরের দিকে বেশ ভালো করে তারা।
গতকাল রাতে রোমাঞ্চকর এক ম্যাচে অস্ট্রিয়াকে হারিয়ে ইউরোর শেষ আটে স্থান করে নিয়েছে তুরস্ক। মঙ্গলবার রাতে তারা ২-১ গোলে জিতে গেছে। প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে তথাকথিত বড় দলের তুলনায় অনেক বেশি আক্রমণ প্রতি-আক্রমণ হয় অস্ট্রিয়া বনাম তুরস্ক ম্যাচ।
খেলা শুরুর ৫৭ সেকেন্ডে এগিয়ে যায় তুরস্ক। দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান বাড়ায় তারা। দু’টি গোলই করেন দলের ডিফেন্ডার মেরি ডেমিরাল। তবে লড়াই ছাড়েনি অস্ট্রিয়া। এক গোল শোধ করে তারা। কিন্তু দ্বিতীয় গোল আর করতে পারেনি অস্ট্রিয়া। তুরস্কের মরিয়া ডিফেন্স গোলের মুখ খুলতে দেয়নি। ৯০ মিনিটের টান টান খেলা শেষে হার মানে অস্ট্রিয়া। আট নম্বর তথা শেষ দল হিসেবে ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নেয় তুরস্ক। শেষ আটে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে খেলবে তারা।
খেলা শুরুর ৫৭ সেকেন্ডের মাথায় অস্ট্রিয়াকে ধাক্কা দেয় তুরস্ক। নিরীহ কর্নার বার করতে গিয়ে গোলমাল করে ফেলেন অস্ট্রিয়ার ডিফেন্ডারেরা। বাউমগার্টনার ও পশের ভুল বোঝাবুঝির ফায়দা তোলে তুরস্ক। গোলরক্ষক পেন্টজ কোনো রকমে বল বের করলেও ফিরতি বলে গোল করে তুরস্ককে এগিয়ে দেন মেরি ডেমিরাল। ইউরোর ইতিহাসে দ্বিতীয় দ্রুততম গোল করলেন তিনি।
পরের মিনিটেই সমতা ফেরানোর সুযোগ পায় অস্ট্রিয়া। বাউমগার্টনার পায়ে বল লাগাতে পারেননি। পোস্টের পাস দিয়ে বল বেরিয়ে যায়। খাতায়-কলমে খুব বড় দল না হলেও দুই দলই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলছিল। অস্ট্রিয়া থ্রু বলের উপর বেশি নির্ভর করছিল। তুরস্কের আক্রমণ হচ্ছিল প্রান্ত ধরে।
দু’দলই বেশ কয়েকবার বিপক্ষ বক্সে ঢুকে পড়লেও গোল করতে পারেনি। তবে প্রথমার্ধ জুড়ে ওপেন ফুটবল হয়েছে। দু’দলই গোল করার চেষ্টা করেছে। প্রথমার্ধের একেবারে শেষে একটি ভাল সুযোগ পান সাবিৎজার। গোল করতে পারেননি তিনি। ১-০ গোলে এগিয়ে বিরতিতে যায় তুরস্ক।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই কয়েকটি পরিবর্তন করেন অস্ট্রিয়ার কোচ। ফলে খেলার ধরন বদলে যায় তাদের। থ্রু বলের বদলে প্রান্ত ধরে আক্রমণে উঠতে শুরু করে অস্ট্রিয়া। ৫১ মিনিটে সমতা ফেরানোর সহজ সুযোগ পান আরনাউটোভিচ। গোলরক্ষককে একা পেয়েও তার গায়ে মারেন তিনি। পরের মিনিটেই লাইমার একক দক্ষতায় বক্সে ঢোকেন। তার বাঁ পায়ের শট পোস্টের পাস দিয়ে বেরিয়ে যায়। পরের মিনিট আবার সুযোগ নষ্ট অস্ট্রিয়ার। এবার বক্সে ঢুকে শট মারেন পশ। কিন্তু ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে বল বেরিয়ে যায়। একের পর এক আক্রমণে পুরোপুরি চাপে পড়ে যায় তুরস্কের রক্ষণ।
এত সুযোগ পেয়েও গোলের মুখ খুলতে পারেনি অস্ট্রিয়া। তার খেসারত দিতে হয় তাদের। ধাক্কা সামলে ১০ মিনিট পর থেকে খেলায় ফিরতে শুরু করে তুরস্ক। ৫৯ মিনিটের মাথায় কর্নার পায় তারা। সেই কর্নার থেকে হেডে আবার গোল করেন ডেমিরাল। দুই ডিফেন্ডারের মাঝখান থেকে লাফিয়ে গোল করেন তিনি। সেট পিস কাজে লাগালে চাপের মাঝেও কিভাবে খেলায় ফেরা যায় তা দেখাল তুরস্ক।
দু’গোলে পিছিয়ে পড়ায় পুরোপুরি ওপেন ফুটবল খেলতে শুরু করে অস্ট্রিয়া। হতাশ হয়নি তারা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে যে ফুটবল খেলছিল সেটাই খেলতে থাকে। আক্রমণাত্মক ফুটবল কাজে দেয়। ৬৬ মিনিটের মাথায় এক গোল শোধ করেন মাইকেল গ্রেগরিচ। কর্নার থেকে সতীর্থের করা হেড কাজে লাগিয়ে গোল করেন তিনি। দু’মিনিট পরে আবার বক্সে অরক্ষিত জায়গা থেকে হেড করেন গ্রেগরিচ। কিন্তু এ ক্ষেত্রে বল সরাসরি গোলরক্ষকের কাছে যায়।
গোল করে ইংল্যান্ডের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখা বেলিংহ্যামকে বাঁচাতে আসরে নামতে হলো পুলিশকে দ্বিতীয়ার্ধের প্রায় পুরো খেলা তুরস্কের বক্সের বাইরে হয়। তুরস্কের সবাই রক্ষণে নেমে যায়। ফলে অস্ট্রিয়ার পায়েই বলের সিংহভাগ দখল ছিল। দুই প্রান্ত ধরে বার বার আক্রমণের চেষ্টা করছিলেন সাবিৎজারেরা। কিন্তু তুরস্কের মরিয়া রক্ষণ গোলের মুখ খুলতে দিচ্ছিল না। বক্সের বাইরে পায়ের জঙ্গলের মাঝখান থেকে গোল করতে পারছিল না অস্ট্রিয়া।
যত সময় গড়াচ্ছিল, তত ছটফট করছিলেন অস্ট্রিয়ার ফুটবলারেরা। সবই করছিলেন, কিন্তু গোলটাই খালি করতে পারছিলেন না তারা। খেলার শেষ মিনিটে বাউমগার্টনারের হেড কোনো রকমে বাঁচান গুনক। নইলে খেলা গড়াত অতিরিক্ত সময়ে। শেষ পর্যন্ত ১-২ গোলে হেরে বিদায় নিতে হো অস্ট্রিয়াকে। ইউরোর শেষ আটে জায়গা করে নেয় তুরস্ক।
অনলাইন ডেস্ক :
বিপিএলের প্রথম কোয়ালিফায়ারে চিটাগাং কিংসকে ৯ উইকেটে হারিয়ে সবার আগে ফাইনালে উঠলো ফরচুন বরিশাল। ১৪৯ রানের জবাবে খেলতে নেমে ১৭.২ ওভারে এক উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় তামিম ইকবালের দল। আজ ৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫ ওভার ৩ বলে দলীয় ৩৪ রানে ৪ উইকেট হারায় চিটাগাং। কাইল মায়ার্সের করা ইনিংসের প্রথম বলে ৪ মারার পর দ্বিতীয় বলেই বোল্ড হন পাকিস্তানি ব্যাটার খাওয়াজা নাফে। তৃতীয় ওভারে গ্রাহাম ক্লার্ককেও ফেরান মায়ার্স। চতুর্থ ওভারে মোহাম্মদ আলীর শিকার হয়ে আউট হন অধিনায়ক মোহাম্মদ মিথুন। ক্রিজে থিতু হতে পারেননি হায়দার আলীও। ৭ রান করে ফেরেন ইবাদত হোসেনের বলে।
শুরুর সেই বিপর্যয়ের পর দ্রুতই হাল ধরেন পারভেজ হোসেন ইমন ও শামীম হোসেন পাটোয়ারী। পঞ্চম উইকেটে ৪৮ বলে ৭৭ রানের জুটি গড়েন তারা। চতুর্দশ ওভারে রিশাদ হোসেনের শিকার হয়ে ইমন ফিরলে ভাঙে সে জুটি। ৩৬ বলে ৩৬ রান করে আউট হয়েছেন ইমন।
ইমনের বিদায়ের পর একাই লড়াই করেছেন শামীম। দলীয় ১৪৪ রানে মোহাম্মদ আলীর বলে রিভার্স স্কুপ করতে গিয়ে ইবাদত হোসেনের হাতে ক্যাচ দেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। প্যাভিলিয়নে ফেরত যাওয়ার আগে ৪ ছক্কা ও ৯ চারে ৪৭ বলে ৭৯ রানের ইনিংস খেলে গেছেন তিনি। চিটাগাং কিংসের হয়ে এদিন ৫ উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ আলী। এর চারটি উইকেট নিয়েছেন ১৯তম ওভারে। দুই উইকেট পেয়েছেন কাইল মায়ার্স। একটি করে উইকেট পেয়েছেন ইবাদত হোসেন ও রিশাদ হোসেন।
জবাবে খেলতে নেমে ভালোভাবেই শুরু করে বরিশাল। দলীয় ৫৫ রানে তামিমের উইকেটের পতন হয়। তিনি ২৯ রানে আউট হন। পরে বাকি পথ ডেভিড মালানকে নিয়ে পারি দেন আরেক ওপেনার তাওহীদ হৃদয়। ৮২ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। আর মালান ৩৪ রানে অপরাজিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
আর্জেন্টিনার ১৯৭৮ বিশ্বকাপজয়ী দলের ফুটবলার লুইস গালভান মারা গেছেন। ৫ মে সোমবার ৭৭ বছর বয়সে তার মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আর্জেন্টাইন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ)। এক বিবৃতিতে এএফএ জানিয়েছে, এই কঠিন সময়ে এএফএ এবং এর নেতৃত্ব তার পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের প্রতি হৃদয় থেকে সমবেদনা জানাচ্ছে।
আর্জেন্টিনার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, কয়েক সপ্তাহ আগে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে কর্দোবার রেইনা ফাবিওলা ক্লিনিকে ভর্তি হয়েছিলেন গালভান। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিত ১৯৭৮ বিশ্বকাপের ফাইনালে নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয় আর্জেন্টিনা। সেই ফাইনালে সেন্টার-ব্যাক পজিশনে খেলেছিলেন গালভান।
এরপর ১৯৮২ সালে স্পেনে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপেও খেলেছিলেন এই সেন্টারব্যাক। ১৯৮৩ সালে আন্তর্জাতিক ফুটবল ছাড়ার আগে ৩৪বার আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে জড়িয়েছেন তিনি।
১৯৭০ সালে আর্জেন্টিনার ক্লাব তালেরেস দে কর্দোবায় ফুটবল ক্যারিয়ারে হাতেখড়ি গালভানের। টানা ১২ বছর পর্যন্ত ক্লাবটির হয়ে খেলেন তিনি। মাঝে বলিভিয়ার ক্লাব বলিভারে খেলে ১৯৮৬ সালে আবার শৈশবের ক্লাবে ফেরেন। দুই দফায় ১৭ মৌসুমে ক্লাবটির হয়ে ৫০৩টি ম্যাচ খেলেন, যা ক্লাবটির হয়ে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার রেকর্ড।
চলারপথে রিপোর্ট :
এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন ও জেলা ক্রীড়া অফিস আয়োজিত জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট বালক ও বালিকা (অনূর্ধ্ব-১৭)-২০২৪ এর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পর্যায়ের ফাইনাল খেলা আজ ২৮ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে শহরের নিয়াজ মোহাম্মদ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়।
ফাইনাল খেলার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার এহতেশামুল হক, সিভিল সার্জন ডা: মোঃ নোমান মিয়া, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ আমির আলী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী কাউছার আহমেদসহ বিভিন্ন ক্রীড়া সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথি এবং বিশেষ অতিথিসহ ফাইনাল খেলায় আগত ক্রীড়ামোদি ব্যক্তিদেরকে স্বাগত এবং আন্তরিক অভিনন্দন জানান জেলা ক্রীড়া অফিসার ও টুর্ণামেন্টের সদস্য সচিব মাহমুদা আক্তার।
ফাইনাল খেলা বালিকা গ্রুপে কসবা উপজেলা বনাম বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়। খেলায় কসবা-০ বাঞ্ছারামপুর-৭ গোলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
অপরদিকে, বালক গ্রুপের শ্বাসরুদ্ধকর খেলায় কোনো গোল না হওয়ায় ট্রাইব্রেকারে সরাইলকে পরাজিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম বলেন, লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা, শরীরচর্চা, সাংস্কৃতিক চর্চার মধ্য দিয়ে উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। কারণ খেলাধূলায় ছেলেমেয়েদের মেধার বিকাশ ঘটায়। তিনি আশাবাদী, আজকের খেলোয়াড়রা বিভাগীয় পর্যায় এবং জাতীয় পর্যায়ে খেলবে এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাম উজ্জ্বল করবে।