অনলাইন ডেস্ক :
নাটোরে হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতার সমাপনী শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দিয়েছেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকারমের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মিজানুর রহমান। নাটোর শহরের কানাইখালী এলাকায় টিএফ ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান ফরমান খান চৌধুরি ওরফে সৈকত চৌধুরী জেলার মোট এক’শ ২০ জন অংশগ্রহণকারী হাফেজকে নিয়ে ২১ জানুয়ারি থেকে প্রতিযোগিতা শুরু করেন। বিজ্ঞ বিচারকমন্ডলী দ্বারা পরিচালিত তিনটি ধাপে প্রতিযোগিতায় বাছাই শেষে ২০ জন অংশগ্রহণকারী চূড়ান্ত পর্বে অংশ নেন।
আজ ২৮ জানুয়ারি মঙ্গলবার সমাপনী প্রতিযোগিতায় চূড়ান্তভাবে প্রথম বিজয়ী হয় লালপুর উপজেলার ফুলবাড়ী এলাকার মদিনাতুল উলুম মাদ্রাসার শিক্ষার্থী হাফেজ ইয়াছিন আলী।
পুরস্কার হিসেবে পান ৫০ হাজার টাকাসহ আকর্ষণীয় আরো পুরস্কার। এছাড়া দ্বিতীয় পুরস্কার হিসেবে দেয়া হয়েছে ২৫ হাজার টাকা ও তৃতীয় পুরস্কার ১০ হাজার টাকা।
অন্যান্য অংশগ্রহণকারী সকলের জন্য ছিলো ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে পুরস্কার।
পরে সমাপনী প্রতিযোগিতার প্রধান বিচারক ও প্রধান অতিথী মাওলানা মুফতি মিজানুর রহমান বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
টিএফ ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান ও প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানের সভাপতি ফরমান খান চৌধুরির সভাপতিতে অনুষ্ঠানে ডাঃ আবুল কালাম আজাদ, বিএনপি নেতা জিল্লুর রহমান খান চৌধুরি বাবুল ও নাটোর প্রেসক্লাবের সভাপতি ফারাজি আহমদ রফিক বাবসহ জেলার বিভিন্ন মাদ্রাসার সুপারও আলেমগণ উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সরকারি গাড়ি চালক কল্যাণ সমিতির নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আজ ২৪ জানুয়ারি শুক্রবার বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের কনফারেন্স হলে সাধারণ সভা শেষে কমিটি গঠন করা হয়। এতে বরিশাল জেলা সিভিল সার্জনের গাড়ি চালক মো. রুহুল আমিনকে সভাপতি ও বরিশাল শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাড়ি চালক মো. নজরুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়েছে।
ওই সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির মো. শহীদ মিয়া। সমিতির বরিশালের সাবেক সভাপতি মো. মহসিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. হানিফ।
সভায় কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মো. ইউসুফ ও মো. জাকির হোসেন, সহ সধারণ সম্পাদক মো. ইউসুফ আলী ও মো. সেকান্দার আলী কোষাধ্যক্ষ মো. কিবরিয়া এবং দপ্তর সম্পাদক মো. দরবেশ আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীর মাঝে বিনামূল্যে দুই হাজার কুরআন বিতরণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় দাওয়াহ সোসাইটি। আজ ২৭ জানুয়ারি সোমবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা মঞ্চে কুরআন বিতরণ করা হয়।
সংগঠনের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাংগীর আলম।
আলোচক হিসেবে ছিলেন লন্ডন আল কুরআন অ্যাকাডেমির চেয়ারম্যান হাফেজ ড. মুনির উদ্দিন আহমদ, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান ও ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম।
প্রধান আলোচক হাফেজ ড. মুনির উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘বাংলা ভাষাভাষী মানুষের মাত্র সাত ভাগ মানুষ কুরআন বুঝে। বাকী কিছু মানুষ কুরআন পড়ে কিন্তু বুঝে না। তবে অধিকাংশ মানুষের কাছে কুরআনই পৌঁছায়নি। অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যারা কুরআন পড়ায় এবং শিখায়। কিন্তু কুরআন মানুষের কাছে পৌঁছে দিবে এমন মানুষ বা প্রতিষ্ঠান নেই। আল কুরআন একাডেমির মাধ্যমে সেই কাজ করে যাচ্ছি। বিশ্বের ২৫টি দেশের প্রায় দুই মিলিয়ন মানুষের কাছে কুরআন বিতরণ করেছি। সকল মানুষের কাছে কুরআন পৌঁছে দিতে চাই।’
প্রধান অতিথি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, কুরআন মানুষের হেদায়াতের জন্য নাজিল হয়েছে। কুরআন মানুষকে সত্য পথ দেখাবে। সকল অন্যায় খারাপ কাজ থেকে দূরে রাখবে। কুরআন নাজিল হয়েছে বুঝার জন্য। আমাদের মুসলমান মুত্তাকী হওয়ার জন্য কুরআন বুঝা অপরিহার্য। কুরআন বুঝা ছাড়া মুত্তাকী হওয়া যাবে না। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় আল কুরআন এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ নামে একটি বিভাগ আছে। আমি আশা করি এই বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা কুরআন শিক্ষা দিবে। কুরআনই একমাত্র কিতাব যেটা মানুষ না বুঝেও পড়ে। এটা কুরআনের প্রতি ভালোবাসা। তোমরা সবাই কুরআন বুঝে পড়বে এবং সেই অনুযায়ী কাজ করবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার বড়াইল হোসাইনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সদ্য অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও ইতি:পূর্বে অবসর গ্রহণকারী তিনজন সিনিয়র শিক্ষকদের বিদায় সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। এ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করে স্কুলের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা।
আজ ৯ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে স্কুলের প্রাঙ্গনে সংবর্ধনা দেয়া হয় বিদায়ী প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলমগীর, সিনিয়র শিক্ষক হেফজুল করিম, সিনিয়র শিক্ষক আলহাজ্ব সিদ্দিকুর রহমান, সিনিয়র শিক্ষক এস. এম আবুল কালাম, সিনিয়র শিক্ষক মো. ইউসুফ আলী (মৌলভী)।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অসুস্থতাজনিত কারণে সিনিয়র শিক্ষক আলহাজ্ব সিদ্দিকুর রহমান এবং সিনিয়র শিক্ষক মো. ইউসুফ আলী (মৌলভী) উপস্থিত থাকতে পারেননি। তবে উপস্থিত শিক্ষকরা সংবর্ধনা সভায় যোগ দিয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বিদায়ী শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে মানপত্র পাঠ করা হয় এবং উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সায়েদুল হক সাঈদ এর সভাপতিত্বে এবং ডা. আলী আযম ও মুসলেহ উদ্দিন দুলালের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন কসবা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সায়েদুজ্জামান, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ডা. মো রুহুল আমীন, আশুগঞ্জ ফিরোজ মিয়া ডিগ্রী কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মজিবুর রহমান জিন্নাহ, চিনাইর বঙ্গবন্ধু কলেজের সহকারী অধ্যাপক আশরাফুল ইসলাম, বড়াইল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবুল বাশার, নাজির ভূঁইয়া হাই স্কুলের শিক্ষক নান্নু মাস্টার, পিটিআই এর অবসরপ্রাপ্ত ইন্সপেক্টর আবদুল আওয়াল কামাল, চিলোকুট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোজাম্মেল হক, বড়াইল হোসাইনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান লিটন, নবীনগর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মঈন উদ্দিন প্রমুখ।
অনলাইন ডেস্ক :
কুমিল্লা নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আগ্নেয়াস্ত্রসহ ১০ সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
জানা যায়, গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার রাত থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত চলমান অভিযানে গ্রেফতার, অস্ত্র উদ্ধার। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে অনেকেই নগরীর বিভিন্ন এলাকায় চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত ছিল।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন মোঃ নাইমুল ইসলাম, মো. জাবেদুর রহমান, আবির হামিদ মাহি, মো. রাকিব, মো. সাজিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলী, মো. সাব্বির হোসেন, অভিজিৎ রায় সরকার, মোঃ অপু, মো. আবুল খায়ের।
উদ্ধারকৃত অস্ত্রের তালিকা:
একটি বিদেশি পিস্তল, একটি রিভলভার, তিনটি শর্টগান, ৯টি শটগানের বুলেট, ৪টি পিস্তল ও রিভলবারের বুলেট, এবং বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র।
কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মো. মহিনুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লা সীমান্তে প্রায় ৪৬ লাখ টাকার বিপুল পরিমান মাদক ও চোরাই পণ্য উদ্ধার করেছে ৬০ বিজিবি সদস্যরা।
আজ ১৪ জানুয়ারি মঙ্গলবার পর্যন্ত ৫দিনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা ও আখাউড়া, কুমিল্লা জেলার বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বিভিন্ন সীমান্তে মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে এসব চোরাই পণ্য উদ্ধার করা হয়। বিজিবি জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার পর্যন্ত ৫দিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সুলতানপুর ৬০ বিজিবির সদস্যরা তাদের দায়িত্বপূর্ণ এলাকা আখাউড়া, কসবা, বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বিভিন্ন সীমান্তে মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে।
এসময় বিজিবি সদস্যরা ৭৭১ পিস কসমেটিক্স সামগ্রী, ২১ কেজি কিসমিস, ৯ টি গরু, ৬৩২৮ পিস চকলেট, ৪,৭৫৭ কেজি চিনি, ৪৪৯ বোতল চুলের তেল, ৩৯৮ পিস ডব্লিউপি পাপা কিটনাশক, ৯০৬ পিস তালা, ৮৬ কেজি ফুচকা, ১৮ বোতল বড়ি ওয়েল, ৬৩,০০০ পিস বাঁজি, ১১৭ কেজি বাংলাদেশী রসুন, ২১৩ কেজি বাসমতি চাউল, ১টি মোটরসাইকেল, ৫১৬ প্যাকেট সেমাই, ১৯২ বোতল হুইস্কি, ১১ বোতল বিয়ার, ৫ কেজি গাঁজা এবং ৫৫ বোতল ইস্কফ সিরাপ উদ্ধার করে। এই সব অবৈধ পণ্য উদ্ধারের সময় বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাচালানীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। উদ্ধারকৃত অবৈধ পণ্যের মূল্য ধরা হয়েছে ৪৫ লাখ ৮৯ হাজার ৬০ টাকা।
সুলতানপুর ৬০ বিজিবি অধিনায়ক লে: কর্ণেল এ এম জাবের বিন জব্বার জানান, উদ্ধারকৃত ভারতীয় চোরাচালানী মালামাল আখাউড়া ও কুমিল্লা কাস্টমসে জমা দেয়া হয়েছে।
সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধে ৬০ বিজিবির আভিযানিক কার্যক্রম ও গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে বলেও তিনি জানান।