অনলাইন ডেস্ক :
ছাত্র আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হলেন সার্বিয়ার প্রধানমন্ত্রী মিলোস ভুকেভিক। আজ ২৮ জানুয়ারি মঙ্গলবার তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দেন। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, গতকাল সোমবার দেশটির ছাত্ররা রাজধানী বেলগ্রেডের একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা অবরোধ করেন। এতে যোগ দেন কৃষকরাও।
তারা রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ ওই সড়কটি অবরোধ করার পরই প্রধানমন্ত্রীর ওপর পদত্যাগের চাপ বাড়তে থাকে। গত ১৫ নভেম্বর নোভি সাদ শহরের একটি রেলস্টেশনের ছাদ ধসে ১৫ জন নিহত হয়। এ ঘটনার পর দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি, স্টেশন তৈরির সময় দুর্নীতি না করলে এত মানুষকে প্রাণ হারাতে হতো না।
সোমবার প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার ভুকিক বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনা এবং সরকারে বড় ধরনের বদবদল আনার ঘোষণা দেন। এদিন ছাত্ররা রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রকে সংযোগ করা অটোকোমান্ডা জংশন অবরোধ করেন। এতে করে অচল হয়ে পড়ে পুরো রাজধানী শহর।
নভেম্বরে আন্দোলনে নামার পর শিক্ষার্থীদের ওপর প্রতিদিনই হামলার ঘটনা ঘটতে থাকে। কিন্তু আন্দোলন দমে না যেয়ে এটি বাড়তে থাকে এবং একটা সময় ১০০টিরও বেশি শহরে ছড়িয়ে পড়ে। একে একে এই আন্দোলনে সমর্থন জানাতে থাকেন বিচার বিভাগের কর্মকর্তা, শিক্ষক, ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ।
শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করলে এতে সহযোগিতার জন্য এগিয়ে আসেন কৃষকরা। তারা তাদের বিশাল বিশাল ট্রাক্টর নিয়ে সেখানে হাজির হন।
রেলস্টেশনের ছাদ ধসে সাধারণ মানুষ নিহত হওয়ার পর দেশটির যোগাযোগমন্ত্রী গোরান ভেসিক তাৎক্ষণিক পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। কিন্তু তা সত্ত্বেও আন্দোলন চালিয়ে যেতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, রয়টার্স, বিবিসি, ডয়েচে ভেলে, ইউরোনিউজ
অনলাইন ডেস্ক :
ইরানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন সংস্কারপন্থী মাসুদ পেজেশকিয়ান। তিনি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির আশীর্বাদপুষ্ট রক্ষণশীল সাঈদ জালিলিকে বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে ইরানের ১৪তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। খবর আল-জাজিরার
ইরানের নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্যানুসারে, প্রথম দফার নির্বাচনে সংস্কারপন্থী হিসেবে পরিচিত মাসুদ পেজেশকিয়ান ১ কোটি ৪ লাখ ১৫ হাজারে বেশি ভোট পেয়ে এগিয়েছিলেন। প্রতিদ্বন্দ্বী খামেনি সমর্থিত কট্টরপন্থী সাঈদ জালিলি পেয়েছিলেন ৯৪ লাখ ৭৩ হাজার ২৯৮ ভোট।
ইরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, দ্বিতীয় দফার ভোটে মাসুদ পেজেশকিয়ান পেয়েছেন প্রায় ১ কোটি ৬৩ লাখ ভোট। বিপরীতে তার প্রতিদ্বন্দ্বী সাঈদ জালিলি পেয়েছেন মাত্র ১ কোটি ৩০ লাখের বেশি ভোট। অর্থাৎ মাসুদ পেজেশকিয়ান প্রায় ৩৩ লাখ ভোটের ব্যবধানে খামেনি সমর্থিত প্রার্থী সাঈদ জালিলিকে হারিয়েছেন।
গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম দফায় কোনো প্রার্থীই ৫০ শতাংশের বেশি ভোট নিশ্চিত করতে পারেননি। তাই নিয়ম অনুসারে নির্বাচন গড়ায় দ্বিতীয় দফায় তথা রান-অফে। এই রান-অফে অংশ নেন প্রথম দফার নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়া দুই প্রার্থী মাসুদ পেজেশকিয়ান ও সাঈদ জালিলি।
কট্টরপন্থীদের ব্যাপক নির্বাচনী প্রচারণার মাঝে নারীর অধিকার, অধিক সামাজিক স্বাধীনতা, পশ্চিমের সঙ্গে বৈরিতায় সতর্কতা ও অর্থনৈতিক সংস্কারের প্রতি সমর্থন জানিয়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন মধ্যপন্থী মাসুদ পেজেশকিয়ান।
মাসুদ পেজেশকিয়ানের বয়স ৬৯ বছর। তিনি হৃদ্রোগবিষয়ক সার্জন। ইরানের পার্লামেন্টে ২০০৮ সাল থেকে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় তাবরিজ শহরের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করছেন তিনি। ইরানের প্রধান সংস্কারপন্থী জোট তাঁকে সমর্থন দিয়েছে। সাবেক দুই সংস্কারপন্থী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ খাতামি ও হাসান রুহানিরও সমর্থন পেয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে ৫৮ বছর বয়সী জালিলি পশ্চিমাবিরোধী অবস্থানে অনড়। তিনি কট্টরপন্থী সমর্থকদের যথেষ্ট সমর্থন ধরে রেখেছেন। অন্য রক্ষণশীল নেতাদের কাছ থেকেও সমর্থন পেয়েছেন তিনি।
অনলাইন ডেস্ক :
নিউইয়র্কসহ যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে উদযাপিত হলো থ্যাংকস গিভিং ডে। প্রতিবছর নভেম্বরের শেষ বৃহস্পতিবার, অর্থাৎ ২৮ নভেম্বর এই উৎসব উদযাপন করা হয়। এ দিনে দেশ ও জাতির প্রতিটি সাফল্যের জন্য সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ জানান সর্বস্তরের নাগরিক। কয়েক শতাব্দী ধরেই মূলত মার্কিনদের উৎসব হলেও ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে উত্তর আমেরিকাজুড়ে উদ্যাপন হয়ে আসছে থ্যাংস গিভিং ডে।
সর্বজনীন সামাজিক-সাংস্কৃতিক উৎসবে পরিণত হয় এ দিন। প্রতি বছরের মতো এ বছরও নিউইয়র্ক এর ম্যাসির উদ্যোগে ম্যানহাটনে এদিন অনুষ্ঠিত হয় এক বর্ণিল শোভাযাত্রা। বিশাল বর্ণাঢ্য প্যারেডে অংশ নেন হাজার হাজার নারী পুরুষ।
আমেরিকানদের পাশাপাশি বাংলাদেশি কমিউনিটিও উৎসবমুখর পরিবেশে দিনটি উদযাপন করে। নিউইয়র্কে বাংলাদেশি কমিউনিটি নানান অনুষ্ঠানের মাধ্যমে থ্যাংকস গিভিং ডে উদযাপন করে।
ইতিহাসবিদরা জানান, ১৬২১ সালের ২৬ নভেম্বর ছিল প্রথম থ্যাংকস গিভিং ডে। ১৮৬৩ সালে প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন একটি জাতীয় ধন্যবাদ বা কৃতজ্ঞতা দিবস উদ্যাপন করার আহ্বান জানান। তিনি নভেম্বর মাসের শেষ বৃহস্পতিবার ‘থ্যাংস গিভিং ডে’ হিসেবে সরকারি ছুটির দিন ঘোষণা করেন। এরপর থেকে বন্ধুত্ব ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশে নভেম্বরের শেষ বৃহস্পতিবারেই উৎসবটি পালনের প্রথা শুরু হয়। ধীরে ধীরে তা যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে গোটা উত্তর আমেরিকাতেই ছড়িয়ে পড়ে।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল টার্কি ফেডারেশনের ভাষ্যমতে, ৯০ শতাংশ আমেরিকান এই দিনে টার্কি দিয়েই সারা দিনের ভোজনপর্ব সম্পন্ন করে। তবে রীতি অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউজে ন্যাশনাল টার্কি ফেডারেশন থেকে প্রাপ্ত একটি টার্কিকে জীবন ভিক্ষা দিয়ে সাধারণ ক্ষমা করেন প্রেসিডেন্ট। এটি ‘হোয়াইট হাউজ টার্কি পার্ডন’ নামে পরিচিত। ১৯৪৭ সাল থেকে হোয়াইট হাউজে এ রীতি প্রচলিত রয়েছে।
থ্যাংকস গিভিং ডে’র পরের দিন শুক্রবার। ‘ব্ল্যাক ফ্রাইডে’ নামে পরিচিত এই শুক্রবার ক্রেতা-বিক্রেতাদের জন্য কোনো কালো দিন নয়। বরং বছরের সেরা মূল্য হ্রাসের দিনটি ক্রেতাদের কাছে যেমন রঙিন তেমনি পণ্য বিক্রি করে লাভবান ব্যবসায়ীদের কাছেও আনন্দঘন। কম দামে ভালো একটা কিছু কেনার জন্য দিনটির জন্য অপেক্ষায় থাকেন ক্রেতারা। সে হিসাবে উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে বিপনী বিতানগুলোতে।
ইউএসএ ৯৭-৯৯ : গত ১ ডিসেম্বর রোববার হয়ে গেল জ্যাকসন হাইটসের একটি পার্টি হলে ফেসবুকভিত্তিক সংগঠন ইউএসএ ৯৭-৯৯ এর থাংকস গিভিং পার্টি। গ্রুপটির অন্যতম অ্যাডমিন জামিল সারোয়ারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। এরপর মঞ্চে আসেন অ্যাডমিন তানভীর আতাহারী। তিনি তার স্বাগত বক্তব্যে গ্রুপটি কীভাবে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সেটা নতুন মেম্বারদের কাছে তুলে ধরেন।
এরপরে মঞ্চে আসেন আরেক অ্যাডমিন সাম শাহরিয়ার, তিনি তার বক্তব্যে গ্রুপটির বিভিন্ন ধরনের কর্মকাণ্ড, বিশেষ করে নতুন বন্ধুদের চাকরি পেতে সহযোগিতা, বিভিন্ন ধরনের গ্রুপভিত্তিক অনুষ্ঠান, বাংলাদেশে এবং প্রবাসে যখন বন্ধুরা অসুস্থ হয়ে পড়েন তাদের আর্থিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। এই অনুষ্ঠানে এক শতাধিক লোকের সমাগম হয় এখানে গ্রুপের সদস্যরা ছাড়াও তাদের পরিবার পরিজন ছিল এবং অন্যান্য স্টেট থেকেও বন্ধুরা আসেন। গ্রুপটির অ্যাডমিন জামিল সরোয়ার বলেন, তারা গ্রুপের শুরু থেকেই যেভাবে নতুন বন্ধুদের চাকরিসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা থেকে সাহায্য করে আসছেন, এভাবেই তারা তা অব্যাহত রাখবেন আগামী দিনগুলোতে এবং সবার সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় থাকবে এই আশা করেন। বর্তমানে চার শতাধিক সদস্য রয়েছে এই সংগঠনে। অনুষ্ঠানটি সন্ধ্যা ছয়টা থেকে শুরু হলেও সময় গড়িয়ে রাত একটা পর্যন্ত অনুষ্ঠানটি হয়। এতে সঙ্গীত পরিবেশন করেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় শিল্পী প্রতীক হাসানসহ প্রবাসের জনপ্রিয় সঙ্গীত কণ্ঠশিল্পী আফতাব জনি, খন্দকার সোহাগ। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে ছিল রাফেল ড্র।
আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেসক্লাব : নিউইয়র্কে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার প্রতিনিধিদের নিয়ে থ্যাংকসগিভিং ডে উদযাপন করেছে পেশাজীবী সাংবাদিকদের সংগঠন আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব। গত ২৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার জ্যাকসন হাইটসে একটি পার্টি হলে এ আয়োজনে অতিথি ছিলেন নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্য অ্যাসেম্বলি মেম্বার জেনিফার রাজকুমার।
তিনি বলেন, এখন সময় হচ্ছে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে অধিকার আদায়ের পথ সুগম করার। সামনের বছর নিউইয়র্ক সিটির কম্পট্রোলার হিসেবে আমি ডেমোক্রেটিক পার্টির মনোনয়নের দৌঁড়ে রয়েছি। আশা করছি অতীতের মত সামনের নির্বাচনেও বাংলাদেশিদের সমর্থন পাবো।
প্রধান অতিথি শাহনেওয়াজ বলেন, সংবাদকর্মীরা বিশাল এই কমিউনিটির পথপ্রদর্শক। তারা বিগত দিনের মত অনাগত দিনেও সার্বিক কল্যাণে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা অব্যাহত রাখবেন বলে আশা করছি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন দুলাল বেহেদু, নুরুল আজিম ও আহসান হাবিব।
স্বাগত বক্তব্য দেন এবিপিসিরি সাবেক সভাপতি লাবলু আনসার। সংগঠনের সভাপতি রাশেদ আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক শাহ ফারুক রহমান ও রেজওয়ানা এলভিস।
অতিথির মধ্যে আরও ছিলেন ব্রঙ্কস কমিউনিটি বোর্ডে ইমিগ্রেশন বিষয়ক কমিটির চেয়ারপারসন শাহজাহান শেখ এবং শোটাইম মিউজিকের কর্ণধার আলমগীর খান আলম। উপস্থিত ছিলেন, এবিপিসির ভাইস প্রেসিডেন্ট আলিম খান আকাশ, কোষাধ্যক্ষ জামান তপন, নির্বাহী সদস্য কানু দত্ত, নুরুন্নাহার খান নিশা ও অনিক রাজ।
কুইন্স প্যালেসে ফ্যামিলি নাইট পার্টি : প্রবাসী বাংলাদেশিদের সর্ববৃহৎ সংগঠন বাংলাদেশে সোসাইটির নতুন কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে থ্যাংকস গিভিং ফ্যামিলি নাইট পার্টির আয়োজন করেছে কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। এ আয়োজনের মূল উদ্যোক্তা ইশতিয়াক রুমি, এজাজুল ইসলাম নাঈম ও ন্যান্সি।
২৭ নভেম্বর উডসাইডের কুইন্স প্যালেসে আয়োজিত অনুষ্ঠানে নতুন কমিটির সবাইকে উষ্ণ অভ্যর্থনা ও সংবর্ধনা দেয়া হয়।অনুষ্ঠানে সোসাইটির নবনির্বাচিত সভাপতি আতাউর রহমান সেলিম, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, সিনিয়র সহসভাপতি মহিউদ্দিন দেওয়ান, সহ সভাপতি মোহাম্মদ কামরুল, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অনিক রাজ, স্কুল সম্পাদক হাসান জিলানীসহ সবাইকে বরণ করে নেয়া হয়।সঞ্চালনায় শো টাইমে মিউজিকের কর্ণধার আলমগীর খান আলমের সঞ্চালনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গোল্ডেন এজ হোম কেয়ারের প্রেসিডেন্ট, সিইও এবং সেলিম আলী পরিষদের নির্বাচনী পরিচালনা কমিটর আহ্বায়ক শাহনেওয়াজ। উপস্থিত ছিলেন নাসির আলী খান পল, নুরুল আজিম, রায়হান জামান, কাজী আজম, আহসান হাবীব, মহিউদ্দিন দেওয়ান, কামরুজ্জামান কামরুল, অনিক রাজ, সেজাদ রহমান, বদরুদ্দোজা সাগর, মনিরুল ইসলাম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে শাহনেওয়াজ সবাইকে থ্যাংস গিভিংস-এর শুভেচ্ছা জানিয়ে নবনির্বাচিত কমিটির সবাইকে একইসাথে মঞ্চে আহ্বান জানান এবং কমিউনিটি বিনির্মাণে সোসাইটির সবার সহযোগিতা কামনা করেন। নতুন সভাপতি আতাউর রহমান সেলিম নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করেন। এজন্য সব বাংলাদেশিকে পাশে থাকার আহ্বান জানান। নতুন সাধারণ সম্পাদক মো. আলী সোসাইটির কল্যাণে কাজ করার জন্য সবাইকে এগিযে আসার আহবান জানান। অনুষ্ঠানে একে একে উপস্থিত বিশিষ্টজনরা এক মিনিট করে বক্তব্য দেন এবং শুভেচ্ছা জানান।
সংগীত পরিবেশন করেন রানো নেওয়াজ, কৃষ্ণা তিথি, বিন্দু কণা ও অংকন।
যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি : যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনগুলো প্রথমবারের মত থ্যাংক গিভিংস ডে উপলক্ষে এক ব্যতিক্রমী গেট টুগেদারের আয়োজন করে। এ গেট টুগেদার অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সমন্বয়ক ঝালকাঠি জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতা শহিদুল ইসলাম শিকদার।
পরিচালনায় ছিলেন জাতীয়তাবাদী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সমন্বয়ক মোতাহার হোসেন। অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র নেতা যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সিনিয়র নেতা আবদুস সবুর, বিএনপি নেতা ডা. শাহজাহান মিয়া, যুক্তরাষ্ট্রের যুবদলের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক, সাহিত্যিক ও যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ মুরাদ হাছান রেজা, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের আন্তর্জাতিক সম্পাদক ও যুগ্ম সম্পাদক মাকসুদুল হক চৌধুরী, সাবেক ছাত্রনেতা পারভেজ সাজ্জাদ ,জাতীয়তাবাদী ফোরামের সাবেক সভাপতি নাছিম আহম্মেদ, প্রধান উপদেষ্টা বিএনপি নেতা বাচ্চু মিয়া, হাবিবুর রহমান হাবিব, সৌদি বিএনপির সাবেক সভাপতি আবদুল বাতেন, বিএনপি নেতা জাফর ছাদিক, বরিশাল জাতীয়তাবাদী ফোরামের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ, সহ-সভাপতি মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, বিএনপি নেত্রী নীরা রাব্বানী, বরিশাল ফোরাম সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, হোসেন মোল্লা, মনি আক্তার, জাহিদ ইসলাম, আসাদুজ্জামান মিয়া ,তারেক ইব্রাহিম, সাইদ ইসলাম জয়,তামিম আহসান, জিসান হোসেন, নাজিম উদ্দিন, রায়হান রকিব, সাইদুর রহমান, বেলালুর রহমান. ফারুক হোসেন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সাবেক ফৈজি রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জন্য দোয়া করা হয়। আরও দোয়া করা হয় যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ডাঃ মজিবুর রহমানের মজুমদারের সুস্থতার জন্য।
এদিকে ‘৯৪ ইউএসএ’ গ্রুফ কুইন্সের জ্যাকসন হাইটসে থ্যাঙ্কস গিভিং ডে উপলক্ষে গত ৩০ নভেম্বর শনিবার আয়োজন করে ‘ফ্রেন্ডস গিভিং ডিনার’ অনুষ্ঠানের। এতে এসএসসি ৯৪ ব্যাচের বন্ধু ও তাদের পরিবারের সদস্যরা অংশ নেন। অন্যদিকে সোস্যাল মিডিয়া পার্সনাল মাকসুদা আহমদও এদিবসটি পালন করেছেন ।
অনলাইন ডেস্ক :
মার্কিন জনপ্রিয় টিভি সিরিজ ‘ডেইজ অব আওয়ার লাইভস’ এবং ‘জেন দ্য ভার্জিন’ এর অভিনেতা ফ্রান্সিসকো সান মার্টিন আর নেই। ১৬ জানুয়ারি অভিনেতার লস অ্যাঞ্জেলসের বাড়িতে থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সে সময় বয়স হয়েছিল ৩৯ বছর।
ডেডলাইনের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টি মেডিকেল পরীক্ষকের বরাতে সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, আত্মহত্যা করেছেন ফ্রান্সিসকো। তার মৃত্যুর কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে ‘লিগেচার হ্যাংগিং’। তবে কী কারণে এমন মৃত্যু বেছে নিলেন, তা নিয়ে কিছুই জানানো হয়নি।
ফ্রান্সিসকো অভিনীত উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে রয়েছে ‘ডেজ অব আওয়ার লাইভস’-এ দারিও হার্নান্দেজ চরিত্র এবং ‘দ্য বোল্ড অ্যান্ড দ্য বিউটিফুল’-এ মাতেও চরিত্র। এছাড়া, তিনি সিডব্লিউ এর জনপ্রিয় সিরিজ ‘জেইন দ্য ভার্জিন’-এ গিনা রড্রিগেজের বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন। সেখানে তিনি একজন টেলেনোভেলা তারকার ভূমিকায় দর্শককে মুগ্ধ করেন।
অভিনেতা ফ্রান্সিসকো সান মার্টিন ২০১৩ সালের এইচবিও ফিচার ফিল্ম ‘বিহাইন্ড দ্য ক্যান্ডেলাব্রা’-তেও অভিনয় করেন। স্টিভেন সোডারবার্গ পরিচালিত সেই সিনেমার মাইকেল ডগলাস ও ম্যাট ডেমনের মতো বিখ্যাত অভিনেতাদের সাথে তাকে দেখা যায়।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
কানাডার স্থানীয় সময় ৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার দুই দফা ফোনালাপের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কানাডার পণ্যের ওপর প্রস্তাবিত ২৫ শতাংশ শুল্ক করারোপ ৩০ দিনের জন্য স্থগিত করেছেন। মঙ্গলবার নতুন শুল্ক কার্যকর হওয়ার যে সময়সীমা ছিল তার ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে এ সিদ্ধান্ত এলো।
উল্লেখ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ১ ফেব্রুয়ারি এক নির্বাহী আদেশে কানাডা ও মেক্সিকোর পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্কহার ধার্য করেন। চীনের পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ শুল্কারোপের আদেশ জারি করেন। এর প্রতিক্রিয়ায় গত শনিবার সন্ধ্যায় কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো পাল্টা ঘোষণা দেন মার্কিন পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক করারোপ করা হবে ৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার থেকে।
ইতোমধ্যে আমদানিকৃত ৩০ বিলিয়ন ডলারের মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্কারোপ করা হয়েছিল। এতেই নড়েচড়ে বসেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি গত রবিবার কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সাথে সোমবার ফোনালাপে বিষয়টি নিয়ে কথা বলার আগ্রহ প্রকাশ করেন। সেই আলোকে গতকাল সোমবার সকাল ও মধ্যাহ্নের পর কানাডার প্রধানমন্ত্রীকে দুইদফা ফোন করে শুল্কারোপ স্থগিত করেন।
এদিকে, ডোনাল্ড ট্রাম্প কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোর কাছে সীমান্ত নিরাপত্তা উন্নত করার জন্য একাধিক প্রতিশ্রুতি চেয়েছেন। এক সফল ফোনালাপের অর্থ হল, আসন্ন বাণিজ্য যুদ্ধে একটি যুদ্ধবিরতি, যা সীমান্তের উভয় পাশে শ্রমিক এবং ব্যবসায়িকদের বড় অর্থনৈতিক যন্ত্রণা মুক্তি দেয়ার সম্ভাবনা সৃস্টি করেছে। ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, তিনি এখনও কানাডার সাথে কাজ করেননি, কানাডার সাথে এক ধরণের ‘চূড়ান্ত অর্থনৈতিক চুক্তির’ পথ খুঁজছেন।
ট্রাম্পকে শুল্ক প্রত্যাহার করার জন্য ট্রুডো বলেছিলেন, কানাডা ১.৩ বিলিয়ন-এর সীমান্ত সুরক্ষা পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে চলেছে। যার মধ্যে রয়েছে নতুন হেলিকপ্টার, প্রযুক্তি, কর্মীদের সাথে শক্তিশালী করা এবং ক্র্যাক ডাউন করার জন্য আমেরিকান কর্মকর্তাদের সাথে তার সমন্বয় বাড়ানো। কিন্ত ট্রাম্পের অগ্রাধিকার ছিল অবৈধ মাদক এবং অভিবাসীরোধে পাশ্ববর্তী দেশের সাহায্য চাওয়া।
ট্রুডো বলেন, সীমান্তকে নিরাপদ করার জন্য ১০,০০০ ফ্রন্ট-লাইন কর্মী কাজ করবে।
প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে একাধিক নতুন প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন। যার মধ্যে একটি নতুন ‘ফেন্টানাইল জার’ নিয়োগের প্রতিশ্রুতি রয়েছে। এবং তিনি মেক্সিকান কার্টেলকে তালিকাভুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কানাডা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফেন্টানাইল এবং অন্যান্য মাদকদ্রব্যের শীর্ষ বিক্রেতাদের একজন, যিনি কানাডার আইনের অধীনে সন্ত্রাসী হিসাবে চিহ্নিত ।
ট্রুডো বলেন, ‘কানাডা-মার্কিন যৌথ স্ট্রাইক ফোর্স’ চালু করছে, যাকে সংগঠিত অপরাধ এবং অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের দায়িত্ব দেওয়া হবে এবং তিনি এই প্রকল্পের জন্য ২০০ মিলিয়ন অর্থায়ন শুরু করেছেন।
মধ্যাহ্নের পর ট্রাম্পের ৪৫ মিনিটের ফোনালাপ শেষে একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে ট্রুডো বলেন, ‘আমরা একসাথে কাজ করার জন্য প্রস্তাবিত শুল্ক কমপক্ষে ৩০ দিনের জন্য বিরতি দেওয়া হবে।’
ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নিজের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বলেছেন যে, তিনি ‘খুব খুশি’ কানাডার উত্তর সীমান্ত সুরক্ষিত করার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে ট্রাম্প এটিকে শুধুমাত্র একটি ‘প্রাথমিক ফলাফল’ বলে অভিহিত করেছেন।
অন্যদিকে, প্রথম ফোনালাপের পর ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নিজস্ব সোশ্যাল মিডিয়া এক্সে টুইট করে লিখেন, আমেরিকার ব্যাংক ও অর্থ প্রতিষ্ঠানগুলোকে কানাডায় ব্যাপক হারে ব্যবসা করার সুযোগ দিতে হবে। কিন্তু দ্বিতীয় দফায় ফোনালাপে বিষয়টি নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প কোন কথা বলেননি।
ইসরায়েলের হামলার জবাবে নতুন করে ইরানের চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর জেরুজালেম ও তেল আবিবে বড় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। এতে একজন নিহত এবং আহত হয়েছেন প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষ। পাশাপাশি অন্তত নয়টি ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে।
ইসরায়েলের হারেৎজ সংবাদপত্রের খবর অনুযায়ী, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র তেল আবিবের কেন্দ্রস্থলে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় একটি উঁচু ভবনে আঘাত হানায় ভবনটির নিচের এক-তৃতীয়াংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তেল আবিবের শহরতলীর রামাত গানেও নয়টি ভবন ধ্বংস হয়েছে।
ইরান দেড় শতাধিক মিসাইল ছুঁড়েছে বলেও জানান সংবাদপত্রটি। এদিকে কিছুক্ষণ আগে (বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৮টার দিকে) জেরুজালেমের আকাশে ফের বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে বলে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের একটি নতুন ঢেউ ইসরায়েলের দিকে এগিয়ে আসছে। ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, ইসরায়েল রাষ্ট্রের দিকে আরও একটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। আইডিএফ এর আগে নতুন করে হামলার বিষয়ে সতর্ক করেছিল এবং বলেছিল যে তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কার্যকর রয়েছে। তবে, তাৎক্ষণিকভাবে হামলায় হতাহতের কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার ভোররাতে ইরানে হামলা শুরু করে দখলদার ইসরায়েল। নৃশংস এই হামলায় ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা, বিজ্ঞানীসহ অন্তত ৭৮ জন নিহত হয়েছে। দখলদার বাহিনীর হামলায় আহত হয়েছেন তিন শতাধিক মানুষ। এই হামলার উপযুক্ত জবাব দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে ইরান।