চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় বিপুল পরিমান ইয়াবা ট্যাবলেটসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ ২৮ জানুয়ারি মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া থানা পুলিশের পৃথক দু’টি মাদক বিরোধী অভিযানে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, সোমবার আখাউড়া থানা পুলিশ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে ৩৮০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ দু’জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। তাদেরকে গ্রেফতার করতে পুলিশে পৃথক দুইটি অভিযান পরিচালনা করেছে। সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় পুলিশের অভিযানে ১৮০০ ইয়াবাসহ আবু সালাম (৪০) নামে এক মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত সালাম উপজেলার শিবনগর গ্রামের ইউসুফ আলীর পুত্র। পুলিশের অভিযানে ২০০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ মো: ইয়াছিন মিয়া (৩২) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত ইয়াছিন বিজয়নগর উপজেলার কাশিনগর গ্রামের আব্দুল আজিজের পুত্র। গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আখাউড়া থানায় মাদক মামলা হয়েছে। আজ গ্রেফতারকৃতদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মোহাম্মদ ছমি উদ্দিন জানান, মাদকের ব্যাপারে কোন ছাড় নেই। জিরো টলারেন্স ঘোষণা করা হয়েছে। এই ঘোষণা অনুযায়ী পুলিশের মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় গরুর মাংসে পোকা সাদৃশ মাছির ডিম থাকার কারণে এক ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় ফার্মেসিতে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ এবং হোটেলে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার পরিবেশনের কারণেও জরিমানা করা হয়। আজ ২৭ মে শনিবার দুপুরে আখাউড়া পৌর শহরের সড়ক বাজারস্থ মাংসের বাজার সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযান পরিচালনার সময় মাংস বিক্রেতা মাইনুদ্দিনকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ অনুযায়ী ১০ হাজার টাকা জরিমানা করার পর মহেশপুর ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রাখার কারণে ২ হাজার টাকা জরিমানা এবং ঢাকা হোটেল স্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার পরিবেশনের কারণে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মাংস ক্রেতা মনির হোসেন জানান, শনিবার সকালে সড়ক বাজারের হানিফ মিয়ার দোকান থেকে আমি মাংস ক্রয় করে বাড়িতে নিয়ে যাই। বাড়িতে গেলে আমার স্ত্রী বাজারের ব্যাগ থেকে মাংস খুলে দেখে মাংসের মধ্যে পোকা দেখা যায়। পরে এই বিষয়টি আমি আখাউড়া সহকারী কমিশনার ভূমি প্রশান্ত চক্রবর্তীকে অবহিত করি। তিনি ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে মাংস ব্যবসায়ীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
এ বিষয়ে আখাউড়া সহকারী কমিশনার ভূমি ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট প্রশান্ত চক্রবর্তী বলেন, আমরা কিছুক্ষণ আগে খবর পেয়েছিলাম একজন ক্রেতা গরুর মাংস কিনেছে, মাংসের মধ্যে ছোট ছোট পোকা রয়েছে। পরে জানা গেল, এটা আসলে মাছির ডিম। আমরা দোকানে গিয়ে দেখলাম প্রচুর পরিমাণে বড় বড় মাছি মাংসের উপর বসছে। সেখানেও মাছির ডিম ছিলো। মূলত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য পণ্য বিক্রি এবং টাকার বিনিময়ে প্রতিশ্রুত পণ্য না দেওয়ার কারণে ভোক্তা অধিকার আইনের অধীনে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পরে মহেশপুর ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রাখার কারণে ২ হাজার টাকা এবং ঢাকা হোটেলে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরির কারণে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ার ২৪টি দুর্গাপূজা মন্দিরে পাহারায় থাকবে বিএনপি। আজ ৭ অক্টোবর সোমবার সকালে পুজা উদযাপন পরিষদ ও পূজা পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে দলটির মতবিনিময় সভায় এ কথা জানানো হয়।
শ্রী শ্রী রাধামাধব আখড়ায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. জয়নাল আবেদীন আব্দু সভাপতিত্বে এবং পৌর বিএনপির সদস্য সচিব মো. আক্তার হোসেনের সঞ্চালনায় এতে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব খোরশেদ আলম ভূইয়া, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক সেলিম ভূইয়া, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি চন্দন কুমার ঘোষ, উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক দীপক কুমার ঘোষ।
বিএনপির পক্ষে বক্তব্য রাখেন মো. বাহার মিয়া, জালাল উদ্দিন, হারুণুর রশিদ, জালাল উদ্দিন জালু, জাবেদ আহমেদ, মোবারক হোসেন জীবন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন রাধামাধব আখড়া কমিটির সাধারণ সম্পাদক অলক কুমার চক্রবর্তী, সাহাপাড়া পুজা মন্দির কমিটির সভাপতি রসিক লাল সাহা, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব বিশ্বজিৎ পাল বাবু।
অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবুল হাসিম।
মতবিনিময় সভায় বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রতিটি মণ্ডপ পাহারায় দলের পক্ষ থেকে আলাদা আলাদা কমিটি গঠন করা হয়েছে।
দলের স্বেচ্ছাসেবক টিম প্রতিটি মন্দিরে দিন-রাত পাহারা দেবে। পূজা যেন নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয় বিএনপির পক্ষ থেকে সব ধরণের সহযোগিতা করা হবে। পূজা পরবর্তী সময়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির লক্ষ্যে কমিটি গঠন করে দেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আইনমন্ত্রী অ্যাড: আনিসুল হক বলেন, বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে মিথ্যার আর হত্যার। ১৯৭৫ সালের পরে বিএনপি যখন থেকে ক্ষমতায় এসেছিল তখন থেকেই বিএনপি হত্যার রাজনীতি শুরু করেছে। হত্যার রাজনীতি এবং মিথ্যা কথা বলার রাজনীতি এটাই বিএনপির আদর্শ। ঠিক সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ২০০১ সালে বিএনপি যখন আবারও ক্ষমতা দখল করে তখন বাংলার জনগণের উপর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, ভাই-বোন পরিবার কাউকে তারা বাদ দেয়নি।
আজ ২৫ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকালে আখাউড়া রেলওয়ে ষ্টেশনে সমবেত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, ২০০৪ সালে ২১ আগস্টের ঘটনা সবাই জানেন। বিএনপি প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য ১৯ বার চেষ্টা করে। আল্লাহর রহমতে প্রতিবারই তিনি বেঁচে যান। ২০০৬ সালে বিএনপি প্রহসন করে। এইসবই বিএনপির আদর্শ। তারা এটা ছাড়া অন্য কিছু করতে পারে না।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আরো বলেন, আমরা র্ধয্যহীন ভাষায় বলতে চাই, বাংলার মানুষ জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শুধু উন্নয়নই দেখে নাই রাজনৈতিক শান্তিও দেখেছে। আমরা এই রাজনীতিক শান্তি অব্যাহত রাখতে চাই। আমরা জনগণের কাছে জনগণের প্রাপ্য ভোটের অধিকার পৌঁছে দিয়েছি। ইনশাল্লাহ ২০২৪ সালে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে সেটা আবারও প্রমাণ করবে।
এসময় তিনি নেতাকর্মীদেরকে ঐক্যবদ্ধ থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এবং শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র হয় তা নস্যাত করে দেওয়ার আহবান জানান। কেউ যেন জনগনের ক্ষতি করতে না পরে সে জন্য জনগণের পাশে থাকার আহবান জানান।
এর আগে তিনি ঢাকা থেকে আন্ত:নগর মহানগর প্রভাতী ট্রেনে সকাল সোয়া দশটায় আখাউড়া এসে পৌঁছেন। এসময় আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা লীগসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা মন্ত্রীকে স্বাগত জানায়।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আইন সচিব গোলাম সারওয়ার, জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার সাখাওয়াত হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
রেলপথে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের নতুন যোগাযোগ চালু হতে এখন আর মাত্র মাস দেড়েকের অপেক্ষা। পাঁচ বছর আগে নির্মাণকাজ শুরু হয়ে দফায় দফায় মেয়াদ বাড়ানোর পর অবশেষে আসছে জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে আন্তর্জাতিক এ পথে ট্রেনের পরীক্ষামূলক চলাচল শুরু হতে যাচ্ছে।
৬ জুন সোমবার বাংলাদেশ ও ভারতের উচ্চ পর্যায়ের একটি দল আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, নির্মাণকাজের ৮৫ ভাগ শেষ হয়েছে। জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহ থেকে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন পরিচালনা করা হবে।
এরপর সেপ্টেম্বরে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের কথা রয়েছে।
পরিদর্শন দলে থাকা বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. শহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, এ রেললাইন স্থাপনের মধ্য দিয়ে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের নতুন ধারা সৃষ্টি হবে। ভারতীয়রা খুব কম সময়ের মধ্যে তাদের এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যেতে পারবে। আমাদের দেশ নানাভাবে সুবিধা পাবে।
প্রকল্প পরিচালক মো. আবু জাফর জানান, রেলপথ নির্মাণের কাজ শেষের পথে বাংলাদেশ অংশে মাত্র এক কিলোমিটার রেললাইন বসানোসহ আনুষঙ্গিক কিছু কাজ বাকি রয়েছে। আশা করা হচ্ছে জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহ এ পথ দিয়ে পরীক্ষামূলক ট্রেন চালানো যাবে।
এর আগে প্রকল্প পরিদর্শন করে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন সাংবাদিকদেরকে বলেন, ‘আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ সংযোগ প্রকল্পটি দুই দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ রেলপথ চালু হলে দুই দেশের জনগণই উপকৃত হবে। দুই দেশের বাণিজ্য আরো প্রসারিত হবে।
মন্ত্রী বলেন, জুন মাসের মধ্যে এ প্রকল্পের নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। আপনারা জানেন যে কোনো প্রজেক্টেরই এক বছর ডিফিকাল্ট লায়াবিলিটি থাকে। আগামী ২০২৪ সালের জুন মাস পর্যন্ত এ প্রকল্পের মেয়াদ নির্ধারিত আছে। আমরা আশা করছি চলতি বছরের জুনের মধ্যেই এ প্রকল্পের কাজ শেষ করতে পারব। এরপর এক বছর ট্রায়াল রান হবে।
এ সময় রেলমন্ত্রী আরো বলেন, যেহেতু এটি দুই দেশের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ, তাই আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আছে। তফসিল ঘোষণা হলে বড় কোনো প্রকল্প উদ্বোধন করা যায় না। তাই সেপ্টেম্বরের মধ্যেই এ প্রকল্প উদ্বোধন করা হবে।
আখাউড়া থেকে গঙ্গাসাগর হয়ে আগরতলার নিশ্চিন্তপুর পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণে ২০১৮ সালের জুলাইয়ের কাজ শুরু হয়। প্রথমে প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয় ১৮ মাস। এরপর করোনাসহ নানা কারণে পাঁচ দফা এর মেয়াদ বাড়ানো হয়। দুই দেশের এই রেলপথের দৈর্ঘ্য ১২.২৪ কিলোমিটার। এর মধ্যে বাংলাদেশ অংশে ৬.৭৮ কিলোমিটার।
এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ৪৭৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৫৭ কোটি ৫ লাখ টাকা এবং ভারতীয় ঋণ ৪২০ কোটি ৭৬ লাখ কোটি টাকা।