অনলাইন ডেস্ক :
চুয়াডাঙ্গার ৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের আওতাধীন সীমান্ত এলাকা থেকে আটক ৪ কোটি ৭ লাখ ৭ হাজার ৭২৩ টাকা মূল্যের বিভিন্ন মাদকদ্রব্য ধ্বংস করা হয়েছে। গত এক বছরে ভারত থেকে পাচার করা এসব মাদকদ্রব্য বিভিন্ন সীমাস্ত এলাকা থেকে আটক করে বিজিবি। আজ ২৯ জানুয়ারি বুধবার সকালে ৬ বিজিবির সদর দপ্তরে এসব ধ্বংস করা হয়। ধ্বংস করা মাদকদ্রব্যের মধ্যে ছিলো ৯ হাজার ২৭৯ বোতল ফেনসিডিল, ৩ হাজার ১৬৩ বোতল বিদেশী মদ, ২০ বোতল বিয়ার, ১৭২ কেজি গাঁজা, সাড়ে ৯ কেজি হেরোইন, আড়াই কেজি কোকেন, ২০৯ পিচ ইয়াবা, ১১ হাজার ৬০ পিচ নেশাজাতীয় ট্যাবলেট ও ১ হাজার ৬৯৬ পিচ নেশাজাতীয় ইনজেকশন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি কুষ্টিয়া সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল মো. মারুফুল আবেদীন উপস্থিত অতিথিদের নিয়ে উদ্ধার করা মদের বোতল ভেঙে মাদকদ্রব্য ধ্বংস কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। পরে বুলডোজারের চাকায় পিষ্ট করা হয় উদ্ধার করা মদ ও ফেনসিডিলের বোতল। এসময় উদ্ধার করা গাঁজা, নেশাজাতীয় ট্যাবলেট ও ইনজেকশনসহ অন্যান্য মাদক আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
মাদকদ্রব্য ধ্বংসকালে উপস্থিত ছিলেন বিজিবির কুষ্টিয়া সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মো. মারুফুল আবেদীন, ৬ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমানসহ বিজিবি, ৫৮ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. রফিকুল আলম, ৬ বিজিবি পরিচালক লে. কর্নেল নাজমুল হাসান, মেহেরপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুয়েল রানা, চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কনক কুমার দাস, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার মো. আব্দুর রহমান, চুয়াডাঙ্গার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শিরীন আক্তার প্রমুখ।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রায় ১১ বছর পর দেশে এসে নিজ গ্রামে হাজারো ভক্তের উঞ্চ অভ্যর্থনায় সিক্ত হয়েছেন হামজা দেওয়ান চৌধুরী। ১৭ মার্চ সোমবার বিকেলে হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার স্নানঘাট গ্রামে নিজ বাড়িতে তাকে এ উষ্ণ অভ্যর্থনা ও সংবর্ধনা জানায় গ্রামবাসী। এ সময় লাল সবুজের হয়ে জার্সি গায়ে দেয়ার অপেক্ষায় থাকা হামজা দেওয়ান চৌধুরীর বাবা দেওয়ান মোর্শেদ চৌধুরীসহ তার নিকটাত্মীয়রা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নবীগঞ্জ বাহুবল আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ সুজাত মিয়া ও হবিগঞ্জ জেলা ফুটবল খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতিসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন।
এর আগে সিলেট থেকে সড়ক পথে পরিবার নিয়ে হবিগঞ্জ আসেন হামজা দেওয়ান চৌধুরী। হামজার গাড়ি বহরটি স্নানঘাট বাজারে পৌঁছলে সেখান থেকে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রার মাধ্যমে তাকে বাড়ি নিয়ে যায় ভক্তরা। পরে নিজ বাড়িতে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে সংবর্ধনা মঞ্চে যান হামজা। এ সময় ভক্ত ও জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা দর্শকদের মধ্যে হামজা হামজা শ্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে পুরো এলাকা।
মাত্র বিশ সেকেন্ডের দেয়া বক্তব্যে হামজা দেওয়ান চৌধুরী বলেন, ‘আমার খুভ ভালা লাগছে আপনারা যে আইছেন আমারে দেখার লাগি।’
পরে বেশ কয়েকবার বাংলাদেশ জিন্দাবাদ, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ-বলে শ্লোগান দেন লেস্টার সিটির হয়ে মাঠ মাতানো এই তারকা ফুটবলার।
হামজা দেওয়ান চৌধুরীকে দেখতে আসা হবিগঞ্জ অনুর্ধ্ব ১৫ দলের কয়েকজন খেলোয়াড় তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে জানান, হামজা চৌধুরীকে এক নজর দেখতে এখানে এসেছি। আমরা তার আদর্শে উজ্জ্বীবিত হয়ে একদিন দেশের হয়ে খেলব এবং হামজা চৌধুরী দেশের হয়ে আমাদের মুখ উজ্জ্বল করবেন এই প্রত্যাশা করি।
হবিগঞ্জ জেলা ফুটবল খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির সভাপতি আব্দুল হান্নান বলেন, হামজা শুধু আমাদের জেলার নয়, আমাদের দেশের গর্ব। আমরা চাই তার হাত ধরে আমাদের জেলাসহ দেশের ফুটবলের প্রসার হোক।
স্নানঘাট গ্রামের বাসিন্দা আজিজ সিদ্দিকী বলেন, ‘হামজা দেশের প্রতি টান থেকেই এবং দেশের ফুটবলকে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা থেকেই দেশের জার্সি গায়ে দিতে চলছে। আমরা সবাই তার জন্য দোয়া করি সে যেন দেশের জন্য ভালো কিছু করতে পারে।’
এদিকে হামজার আগমনকে ঘিরে পুরো এলাকায় নেয়া হয় বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সড়কে সড়কে অবস্থান নেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
হাকিকুল ইসলাম খোকন
যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশি কমিউনিটির উজ্জ্বল মুখ, বিশিষ্ট সাংবাদিক, কলামিস্ট ও সাহিত্যিক, স্বদেশে এবং বহির্বিশ্বে মানবকলাণ ও সেবামূলক বিভিন্ন সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা, সভাপতি ও কর্ণধার, অতুলনীয় মানবসেবী, অর্গানাইজেশন ফর দ্য রিকগনিশন অব বাংলা এ্যাজ এন অফিসিয়াল ল্যাঙ্গুয়েজ অব দ্য ইউনাইটেড ন্যাশনস্-এর কেন্দ্রীয় ভাইস প্রেসিডেন্ট কে এম আবু তাহের চৌধুরীর সম্মানে বৈশ্বিক এ সংগঠনের সিলেট ডিভিশনাল চ্যাপ্টারের উদ্যোগে গত ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, শনিবার সন্ধ্যায় বিভাগীয় নগরী সিলেটের উত্তর জেলরোডস্থ হোটেল ডালাস-এর কনফারেন্স হলে মতবিনিময় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সংগঠনের সিলেট বিভাগীয় চ্যাপ্টারের সভাপতি সাংবাদিক-ফয়জুর রহমানের সভাপতিত্বে আয়োজিত মতবিনিময় অনুষ্ঠানে অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট সেন্ট্রাল উইমেনস কলেজের প্রিন্সিপাল কবি কালাম আজাদ।
সংগঠনের সিলেট ডিস্ট্রিক্ট চ্যাপ্টারের সভাপতি এডভোকেট আব্দুর রহমান চৌধুরীর সাবলীল উপস্থাপনায় প্রানবন্ত এ মতবিনিময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত সিলেট নগরীর বিশিষ্টজনের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন কবি ও সংগঠক শাহেদা রশীদ পপী, কবি-শিক্ষাবিদ সেনুয়ারা আক্তার চিনু, লেখক-প্রকাশক বায়েজীদ মাহমুদ ফয়সল, কবি ও কথা সাহিত্যিক রাজিয়া নিলুফার আজাদ, এডভোকেট শিরিন আক্তার, দেশ টিভি’র সিলেট প্রতিনিধি খালেদ মেহেদী, দৈনিক সিলেটের ডাক-এর স্টাফ রিপোর্টার আনাস হাবিব কলিন্স, সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম চৌধুরী এহিয়া, কবি-সাহিত্য সমালোচক ও প্রভাষক মামুন সুলতান, কবি ও সংগঠক শায়খ তাজুল ইসলাম, ওসমানী জাদুঘর,সিলেট-এর কীপারআমিনুল ইসলাম, আরপিটিআই সিলেট-এর কর্মকর্তা জহিরুল হক, সিলেট বিভাগ গণদাবি ফোরাম-এর সভাপতি ও অর্গ্যানাইজেশন ফর দ্য রিকগনিশন অব বাংলা এজ এন অফিসিয়াল ল্যাঙ্গুয়েজ অব দ্য ইউনাইটেড ন্যানশনস্ সিলেট মহানগর চ্যাপ্টারের সভাপতি চৌধুরী আতাউর রহমান আজাদ, সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি, সিনিয়র সাংবাদিক আবদুল কাদের তাপাদার ও আ.ফ.ম.সাঈদ এবং আয়োজক সংগঠনের সিলেট বিভাগীয় চ্যাপ্টার ও সিলেট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় বক্তারা যুক্তরাজ্যে এবং স্বদেশে সংকটাপন্ন,বিপদগ্রস্ত এবং অসহায় মানুষের সাহায্যার্থে মৌলভীবাজারের ইটা সিংকাপনের ঐতিহ্যবাহী ‘সিংকাপনী পরিবার’-এর সুযোগ্য উত্তরাধিকারী, বিলেতে বাংলাদেশী কমিউনিটির উজ্জ্বল মুখ ও স্বনামধন্য ব্যক্তিত্ব কে এম আবু তাহের চৌধুরীর বহুমুখী মানবিক সহায়তা এবং অতুলনীয় অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
সেইসাথে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের এ ‘বেসরকারি দূত’-কে এম আবু তাহের চৌধুরীর সুবিস্তৃত প্রশংসনীয় ভূমিকা অব্যাহত রাখতে পরম করুণাময় মহান স্রষ্টা ও মহান প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লার দরবারে তাঁর সুস্বাস্থ্য এবং দীর্ঘায়ূ কামনা করে মতবিনিময় সভা শেষে বিশেষভাবে মুনাজাত করা হয়। মুনাজাত পরিচালনা করেন ক্বারী মোহাম্মদ ইসহাক।
এদিকে “গণতন্ত্রের মাতৃভূমি নামে খ্যাত মাল্টিকালচারেল, মাল্টিন্যাশনালের বৃটেনের ওয়েলসের রাজধানী কার্ডিফের ইন্টারন্যাশনাল ম্যাদার ল্যাংগুয়েজ মনুমেন্ট তথা শহীদ মিনারে যথাযোগ্য মর্যাদায় ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে অর্গেনাইজেশন ফর দ্যা রেকগনিশন অফ্ বাংলা এ্যাজ এ্যান অফিসিয়াল ল্যাংগুয়েজ অফ্ দা ইউনাইটেড নেশনস ইউকে সাউথ ওয়েলস শাখার পক্ষ থেকে গত ১৬ ই ডিসেম্বর শহীদ বেদিতে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীরদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা নিবেদনে একে একে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়েছে। সমবেত কন্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করার পর অর্গেনাইজেশন ফর দ্যা রেকগনিশন অফ্ বাংলা এ্যাজ এ্যান অফিসিয়াল ল্যাংগুয়েজ অফ্ দা ইউনাইটেড নেশনস ইউকে সাউথ ওয়েলস শাখার প্রেসিডেন্ট বিশিষ্ট সাংবাদিক মকিস মনসুর এর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শাহ শাফি কাদির এর পরিচালনায় এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।এতে কার্ডিফের সাবেক লর্ড মেয়র কাউন্সিলার ড. বাবলিন মল্লিক, ওয়েলসের কমিউনিটি ব্যাক্তিত্ব মাসুদ আহমেদ, আলহাজ্ব আসাদ মিয়া, আসরাফ হোসেন, মুজিবুর রহমান, ইউসুফ খান জিমি, সেলিম আহমদ, আবুল কালাম মুমিন, শাহ শাফি কাদির, আব্দুর রুউফ তালুকদার, সিতাব আলী, মাহমুদ আলী ফয়ছল রহমান, নুরুল ইসলাম, রাসেল আহমদ, নুরুল আলম, তমসির আলী, আফরাজ আহমেদ, শেখ রায়হান, বদরুল হক মনসুর, ইমরান মিয়া,বেলাল আহমেদ, হারুন মিয়া বেলাল খান, ইমরান হোসেন, ফয়ছল মনসুর,
ও যুবেদুর রহমান, সহ কমিউনিটি ও কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
অর্গেনাইজেশন ফর দ্যা রেকগনিশন অফ্ বাংলা এ্যাজ এ্যান অফিসিয়াল ল্যাংগুয়েজ অফ্ দা ইউনাইটেড নেশনস ইউকে সাউথ ওয়েলস শাখার প্রেসিডেন্ট ও ইউকে বিডি টিভির চেয়ারম্যান মকিস মনসুর সহ বক্তারা এ দিনটি বাঙালি জাতির বিশাল অর্জন ও গৌরবের উল্লেখ করে বলেন যাদের কারণে আমরা লাল বৃত্ত সবুজ পতাকা পেয়েছি, প্রবাসের মাটিতে একেকজন রাষ্ট্রদূত হিসাবে আমরা বাংলাদেশের পতাকা বহন করে চলছি,সেই সব বীরদের অবদানের কথা কৃতজ্ঞতাচিত্তে স্মরণ করা সহ সকল শহীদানদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
জাতীয় কাবাডি চ্যাম্পিয়নশিপের রাজশাহী বিভাগীয় পদ্মা অঞ্চলের খেলায় বগুড়া জেলা পুরুষ ও নারী কাবাডি দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের আয়োজনে ও বগুড়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার তত্ত্বাবধানে তারুণ্যের উৎসব-২০২৫ উপলক্ষে এই খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
৩১ জুলাই বৃহস্পতিবার রাতে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)-৪ বগুড়ার কাবাডি গ্রাউন্ডে মহিলা বিভাগের খেলায় বগুড়া নারী কাবাডি দল ৪০-১৮ পয়েন্টে পাবনা নারী কাবাডি দলকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয়। অপরদিকে পুরুষ বিভাগের খেলায় বগুড়া পুরুষ কাবাডি দল ২৫-১৯ পয়েন্টে রাজশাহী পুরুষ কাবাডি দলকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয়।
বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন বগুড়া জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার জেদান আল মুসা, বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এস. এম. নেওয়াজ সোহাগ, বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব সৈয়দ আমিনুল হক দেওয়ান সজল। খেলায় রাজশাহী বিভাগের ৮টি জেলার পুরুষ ও নারী কাবাডি দল অংশ নেয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
সম্প্রতি মুরাদ হোসেন মুন্না নামে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার সেজামুড়া গ্রামের এক বাসিন্দাকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এর প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে স্থানীয়রা।
গতকাল ১০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দুপুরে আউলিয়া বাজারে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৮ এপ্রিল সীমান্তসংলগ্ন এলাকায় বিএসএফ সদস্যরা মুরাদ হোসেন মুন্নাকে আটকে নির্মম নির্যাতনের পর হত্যা করে। এ ঘটনায় স্থানীয় জনগণ ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
প্রতিবাদ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন- জেলা হেফাজত নেতা মাওলানা জুনায়েদ কাসেমী, বিজয়নগর উপজেলা হেফাজতের সভাপতি মাওলানা শফিকুল ইসলাম, বিজয়নগর উপজেলা হেফাজতের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আফজাল হোসাইন, হেফাজত নেতা মুফতি রহমতুল্লাহ কাসেমী, পাহাড়পুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম শিশু মিয়া, বিএনপি নেতা ইয়াহিয়া খান, এনসিপি নেতা জোহান আহমদ ও খাইরুল ইসলাম, ইয়াহিয়া খান, উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের আহবায়ক শাহ আলম, উপজেলা সাবেক ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন, ব্যবসায়ী শাহাদাত হোসেন, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আহলুস-সুন্নাহ্ ফাউন্ডেশন সুমন হাজারী, রানা প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সামাজিক সংগঠন ও সাধারণ মানুষ ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর এই বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানাচ্ছে। সেইসঙ্গে আমরা দোষীদের দ্রুত বিচারের দাবি করছি। বাংলাদেশ সরকারের কাছেও কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেওয়ারও আহ্বান জানাচ্ছি।
তারা বলেন, বারবার বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যা ও নির্যাতনের ঘটনায় বিএসএফের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিবাদ ও ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
তারা এ ধরনের হামলা বন্ধ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে বন্দিদের টাকা ছাড়া স্বজনদের সাক্ষাত করতে না দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। কারাগারে বন্দিদের ওকালত নামা সহি, রাজনৈতিক বন্দিদের নিয়ম বর্হিভূত ভাবে টাকার বিনিময়ে একাধিক বার সাক্ষাতের ব্যবস্থার অভিযোগ রয়েছে।
জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে বর্তমানে ১৩ শতাধিক বন্দি রয়েছেন। প্রতিদিন গড়ে ১২০ থেকে ১৫০ জন বন্দির সাথে দেখা করতে আসেন স্বজনরা। কারাগারের প্রধান ফটক অতিক্রম করতে পারলেও বিড়ম্বনায় পড়েন স্বজনরা দেখা করতে গিয়ে। টাকা না দিলে বন্দিদের সাথে সাক্ষাৎ করা যাবে না বলে জানানো হয়।
দূর দূরান্ত থেকে আসা স্বজনরা নিরুপায় হয়ে কারাগারে সংস্থাপনের দায়িত্বে থাকা কারারক্ষী আল আমিন (ব্যাচ নং ২২৯৫১) এর শরনাপন্ন হন। কারারক্ষী আল আমিন বন্দিদের সাথে সাক্ষাতের জন্য ৩০০/৫০০ টাকা নেন দর্শনার্থীদের কাছ থেকে। আবার অনেকে টাকা দিতে না পারায় সাক্ষাৎ না করেই বাড়িতে ফিরে যান।
রাজনৈতিক বন্দিদের সাথে ডিও নিয়ে ১৫ দিনে একবার সাক্ষাতের নিয়ম থাকলেও আল আমিন দেড় থেকে দুই হাজার টাকার বিনিময়ে একাধিক বার ব্যবস্থা করে দেন।
আদালত থেকে আসা ওকালত নামা কারাগারের বক্সে জমার বিধান থাকলে অজ্ঞাত কারণে দেখাশুনা করছেন কারারক্ষী আল আমিন। কয়েক মাস পূর্বে কারাগারের ওকালত নামার বক্সটি প্রধান ফটক থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে ওকালত নামা বক্সটি কারারক্ষী আল আমিন সরিয়ে ফেলেছেন। ওকালত নামা সহির জন্য স্বজন বা আইনজীবীর সহকারীর কাছ থেকে ১ হাজার টাকা আদায় করে থাকেন। আদালত থেকে জামিন হওয়ার পর কারাগারে আসা কাগজপত্রে ভূল রয়েছে বলে ভয় দেখিয়ে বন্দির স্বজনদের কাছে কাঙ্ক্ষিত টাকা আদায় করেন। কারাগারের সংস্থাপনের দায়িত্বে কারারক্ষী আল আমিন অন্য কারারক্ষীদের অভ্যন্তরে নিয়োগ পাইয়ে দেবার কথা বলে টাকা নিয়ে থাকেন। এমন কি কারারক্ষীদের ছুটি নিতে হলেও তাকে ম্যানেজ করে ছুটি নিতে হয়।
কারারক্ষী আল আমিন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কারাগারে কর্মরত থাকা অবস্থায় তার বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। সেখানেও সে সংস্থাপনের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় কারাগারে থাকা এক জেএমবি সদস্যকে গোপনে মোবাইল ব্যবহার করার সুযোগ করে দেন। পরে ঘটনাটি জানাজানি হলে তোলপাড় সৃষ্টি হয় চট্টগ্রাম কারাগারে। তখন চট্টগ্রাম কারাগারের ডিআইজি আলতাব হোসেন কারারক্ষী আল আমিনকে সেখান থেকে সরিয়ে দেন।
কারারক্ষী আল আমিনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি শুধু কারারক্ষীদের ছুটি, কারাগারের অভ্যন্তরে নিয়োগের কাজ দেখাশুনা করি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেল সুপার ওবায়দুর রহমান জানান, এখানে সবেমাত্র যোগদান করেছি। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে তিনি জানান।