অনলাইন ডেস্ক :
নেত্রকোনা-মদন সড়কে যাত্রীবাহী বাস ও সিএনজি অটোরিক্সার মুখোমুখি সংঘর্ষে কামরুজ্জামান কামাল (৫৫) নামে একজন নিহত হয়েছেন। এসময় আরো দুইজন আহত হয়েছেন।
আজ ২৯ জানুয়ারি বুধবার সকালে আটপাড়া উপজেলার অভয়পাশা চৌরাস্তা কৃষ্ণপুর এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত কামরুজ্জামান কামাল আটপাড়া উপজেলার দুওজ ইউনিয়নের শ্রীরামপাশা গ্রামের সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নেত্রকোনা থেকে একটি সিএনজি অটোরিক্সা পাঁচজন যাত্রী নিয়ে মদন দিকে যাচ্ছিলো। এ সময় মদন থেকে ছেড়ে আসা নেত্রকোনাগামী একটি যাত্রীবাহী বাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সিএনজি অটোরিক্সার যাত্রীরা আহত হলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত দু’জন হাসপাতালে ভর্তি।
আটপাড়া থানার ওসি মোঃ আশরাফুজ্জামান জানান, ঘটনার পরপরই বাসটিকে জব্দ করা হয়েছে, চালক পলাতক রয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
মাগুরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার শিশুটি চোখের পাতা খুলেছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ মজুমদার। আজ ১০ মার্চ সোমবার রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান তিনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন শিশুটি চোখের পাতা খুলেছে। চিকিৎসকরা আশা করছেন, আগামী দুই-এক দিনের মধ্যে তার স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে।
এদিকে, রবিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শিশুটির শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন পোস্টে বলা হয়, শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় শিশুটির লাইফ সাপোর্ট খুলে নেওয়া হয়েছে। শিশুটিকে এখন পিআইসিইউতে রাখা হয়েছে।
বোনের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া আট বছরের এই শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন শিশুটির মা।
শিশুটির ভগ্নিপতি, বোনের শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাসুরকে গ্রেফতারের পর রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। শিশুর বোনের শ্বশুরকে সাত দিন, স্বামী, শাশুড়ি ও ভাসুর প্রত্যেকের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন মাগুরার আদালত।
গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার বোনের শাশুড়ি। পরে শিশুটির মা হাসপাতালে যান।
ওই দিন দুপুরেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার রাতেই পাঠানো হয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এরপর শুক্রবার রাতে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। সংকটাপন্ন শিশুটিকে গত শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পিআইসিইউ থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী মহিষের লড়াই অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২০ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের পশ্চিম বাদুরতলী গ্রামের দারোগা বাঁধ সংলগ্ন বিলে এ লড়াই অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্থানীয় সোহেল মিরা এবং হেলাল সরদারের দুটি বলি মহিষ অংশ নেয়। দুই মহিষের দুর্দান্ত লড়াই দেখে অনেকটা উচ্ছ্বসিত ছিলো দর্শকরা।
স্থানীয়রা জানায়, বলি মহিষ দুইটি ছিলো প্রচন্ডভাবে তেজী। প্রথম থেকেই আক্রমণ। যেন একে অপরকে হারানোর জন্য আপ্রান চেষ্ট করছে। থেমে থেমে লড়াই করেছিল। প্রায় ১০ মিনিটের লড়াইয়ে হেলাল সরদারের বলি মহিষটিকে হরিয়ে সোহেল মিরার বলি মহিষ বিজয় হয়। পরে মালিকপক্ষ মহিষ দু’টি নিয়ে চলে যায়।
আগে গ্রামবাংলার প্রায় সব অঞ্চলে মহিষের লড়াই আয়োজন করা হতো। এতে মালিকরা তাদের বলি মহিষকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রস্তত করতেন। লড়াইয়ের অংশ নেওয়া মহিষদের গায়ে সরিষার তেল মালিশ করা হতো। এছাড়া খাওয়ানো হতো পুষ্টিকর খাবার এমটাই জানিয়েছেন প্রবীণরা।
অনেকেই মনে করেন, ঐতিহ্য ধরে রাখতে নিয়মিত এ ধরণের প্রতিযোগিতার আয়োজন করা উচিত। এতে গ্রামীণ সংস্কৃতি বাঁচিয়ে রাখার পাশাপাশি স্থানীয়দের মধ্যে উৎসবের আমেজ তৈরি হবে।
মহিষের লড়াই দেখতে আশা ইমরান বলেন, এক সময় গ্রামবাংলার এমন প্রতিযোগিতা মহিষের লড়াই ছিলো। এখন আর সচারাচর এমন লড়াই দেখা যায় না। অপর এক যুবক বলেন, মহিষের লড়াই গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য। শৈশবে আমরা এমন লড়াই দেখেছি। মহিষের লড়াই হবে তা শুনে দেখতে এলাম। দীর্ঘদিন পর আবারও এই দৃশ্য দেখে দারুণ লেগেছে।
লড়াইয়ে অংশ নেয়া বলি মহিষের মালিক হেলাল সরদার বলেন, তার বাড়িতে অনেক মহিষ রয়েছে। প্রায়ই বলি মহিষের সাথে লড়াই দেয়া হয়। সোহেল মিরা জানান, শান্তিুপূর্ণ পরিবেশে মহিষের লড়াই সম্পন্ন হয়েছে। তবে এ লড়াইয়ে তার বলি মহিষটি বিজয় হয়েছে।
ভবিষ্যতে আরো বড় পরিসরে এ ধরনের আয়োজন করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে তারা জানান।
অনলাইন ডেস্ক :
রেলওয়ের রানিং স্টাফদের কর্মবিরতিতে ট্রেন বন্ধ থাকায় রাজশাহী স্টেশনে ভাঙচুর চালিয়েছেন ক্ষুব্ধ যাত্রীরা। বিক্ষোভ প্রদর্শনের পর টিকিটের টাকা ফেরত নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন তারা। আজ ২৮ জানুয়ারি মঙ্গলবার সকালে স্টেশনে বিক্ষোভ ও ভাঙচুর করেন কয়েকশত যাত্রী।
রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন মাস্টার শহীদুল আলম বলেন, সকাল ৭টা থেকে ৮টা পর্যন্ত এই বিক্ষোভ ও ভাঙচুর চলে। ক্ষুব্ধ যাত্রীরা টিটিইদের একটি কক্ষের চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করেন। এ সময় অন্য কক্ষগুলোর দরজা তালাবদ্ধ ছিল। যাত্রীরা স্টেশনে পেতে রাখা বেশকিছু চেয়ার ভাঙচুর করেন। পরে সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। সেনাবাহিনীর সদস্যরা আসার পর ক্ষুব্ধ যাত্রীরা শান্ত হন। পরে টিকিটের টাকা ফেরত নিয়ে বাড়ি ফেরেন তারা।
বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি, খবর পেয়ে দ্রুত স্টেশনে পুলিশ পাঠানো হয়। পুলিশ ও সেনা সদস্যরা যৌথভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। স্টেশনে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সে ব্যাপারে তদন্ত করবে জিআরপি থানা পুলিশ।
উল্লেখ্য, মূল বেতনের সাথে রানিং অ্যালাউন্স (ভাতা) যোগ করে পেনশন প্রদান এবং আনুতোষিক সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে জটিলতার নিরসন না হওয়ায় সোমবার মধ্যরাত থেকে কর্মবিরতি শুরু করেছে রেলওয়ের রানিং স্টাফরা। এতে সারাদেশে বন্ধ হয়ে পড়েছে ট্রেন চলাচল।
রাজশাহী রানিং স্টাফ ঐক্য পরিষদের আহবায়ক আমিনুল ইসলাম বলেন, কেন্দ্রীয় কমিটির অংশ হিসাবে রাজশাহীতেও ট্রেন চলাচল বন্ধ আছে। আমাদের অধিকার ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। কেন্দ্রীয় কমিটি যখন কর্মবিরতি প্রত্যাহার করবে, তখন ট্রেন চলবে।
অনলাইন ডেস্ক :
জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা নিজেদের অধীনে রাখতে এবার ‘অপারেশনাল হল্ট’ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। আজ ১৩ মার্চ বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি থেকে এ ঘোষণা দেন ইসি কর্মীরা।
কর্মসূচি থেকে জানানো হয়, আগামী ১৮ তারিখের মঙ্গলবার মধ্যে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০২৩ বাতিল করে এনআইডি কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনের অধীনে পুর্নবহাল করতে হবে। ১৮ তারিখের মধ্যে দৃশ্যমান অগ্রগতি না হলে ১৯ তারিখ বুধবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ও মাঠপায়ের সকল কার্যালয়ে অর্ধদিবস ‘Operational Halt’ (কর্মবিরতি) কর্মসূচি পালন করা হবে এবং দুপুর সাড়ে ১২টায় নির্বাচন কমিশনের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক মোহাম্মদ মনির হোসেন বলেন, ‘মঙ্গলবারের মধ্যে আইন বাতিল করে এনআইডি সেবা ইসির অধীনে রাখার বিষয়ে দৃশ্যমান অগ্রগতি না পেলে বুধবার তিন ঘণ্টা অপারেশনাল হল্ট কর্মসূচি পালন করা হবে।’
বুধবার সকাল ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত অপারেশনাল হল্ট কর্মসূচি চলাকালে এনআইডি সেবা বন্ধ থাকবে বলে তিনি জানান। এর আগে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনের সামনে সকাল ১১টা থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা নিজেদের অধীনে রাখতে ‘স্ট্যান্ড ফর এনআইডি’ কর্মসূচি পালন করছেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এতে আইডিয়া-২ প্রকল্পের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা একাত্মতা প্রকাশ করে অংশ নেন।
ইসি সচিবালয় ও সারাদেশের অফিসের বাইরেও সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টা এই কর্মসূচি চলছে। এর ফলে এই দুই ঘণ্টা সারাদেশে বন্ধ থাকছে এনআইডি সেবা।
অনলাইন ডেস্ক :
নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ উপলক্ষে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে কলেজ পর্যায়ে বিতর্ক প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘দুর্নীতি প্রতিরোধে আইনের প্রয়োগের চেয়ে নৈতিক মূল্যবোধই প্রধান ভূমিকা রাখে’- এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন আজ ২৭ জানুয়ারি সোমবার এ বিতর্ক প্রতিযোগীতার আয়োজন করে। প্রতিযোগীতায় উপজেলার ভাষা শহীদ আব্দুল জব্বার আনসার ভিডিপি স্কুল এন্ড কলেজ ও আফাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা অংশগ্রহণ করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার আহাম্মদ মডারেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মডারেটর ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, তোমাদের মনোবল যাতে দুর্বল না হয় এবং দৃঢ়তার সাথে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। মনোবল ঠিক থাকলে সামনের দিকে কোন বাধায় তোমাদেও প্রতিহত করতে পারবেনা। তোমরা একটি উপজেলার সম্মান বয়ে আনতে পারবে।
বিচারক মন্ডলীর দায়িত্ব পালন করেন উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন ও উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার শাহীনুর বেগম। প্রতিযোগীতা পরিচালনায় দায়িত্ব পালন করেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো: শওকত আকবর খান।
প্রতিযোগীতায় কালিয়াকৈর উপজেলার ভাষা শহীদ আব্দুল জাব্বার স্কুল এন্ড কলেজ ৫৪.২ পয়েন্ট পেয়ে বিজয়ী হয় ও আফাজ উদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজ ৫৩.২ পয়েন্ট পেয়ে পরাজিত হয়।