অনলাইন ডেস্ক :
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো অনাস্থার মুখে গত ৭ জানুয়ারি পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। তবে তাঁর দল লিবারেল পার্টি নতুন নেতা না পাওয়া পর্যন্ত তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকবেন। জাস্টিন ট্রডোর লিবারেল দল তাঁর চলে যাওয়া উপলক্ষে ধন্যবাদ জানাতে ভার্চুয়ালি ‘থ্যাংক ইউ’ কার্ড দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন। ভার্চুয়ালি ‘থ্যাংক ইউ’ এই কার্ডে সাক্ষর সংগ্রহ করা হচ্ছে পুরো কানাডায়। স্বাক্ষরকারী তার মতামতও যুক্ত করতে পারবেন এই থ্যাংক ইউ’ কার্ডে। সারাদেশের মানুষের মন্তব্য এবং সাক্ষর সম্বলিত কার্ডটি ট্রুডোর হাতে তুলে দেয়া হবে।
উল্লেখ্য, দলীয় সংসদ সদস্যদের অনেকটা বিদ্রোহের মুখে জাস্টিন ট্রুডো গত ৭ জানুয়ারি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কানাডার রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরেই অনেকটা কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তাঁর পদত্যাগের দাবি শুধু বিরোধীরাই নয়, তাঁর দলের মধ্যে থেকেও পদত্যাগের দাবি উঠেছিল। ট্রুডো ২০১৩ সালে লিবারেল পার্টির নেতা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সে সময় কানাডিয়ান এই দলটি গভীর সমস্যায় পড়েছিল এবং প্রথমবারের মতো হাউস অব কমন্সে তৃতীয় স্থানে নেমে গিয়েছিল।
এদিকে, কানাডার ফেডারেল সরকারের নির্বাচন চলতি বছরের অক্টোবরে অনুষ্ঠিত হবে। এখন পর্যন্ত উক্ত নির্বাচনের জনমত জরিপে কনজারভেটিভ পার্টি এগিয়ে রয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
জেল থেকে জামিনে বের হওয়ার দু’দিন পরই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর পদে ইস্তফা দিচ্ছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আজ ১৫ সেপ্টেম্বর রবিবার দুপুরে এক দলীয় সম্মেলনে নিজেই এ কথা ঘোষণা করলেন তিনি। ভোটে জেতার আগে এই পদে আর ফিরতে চান না তিনি। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
সঙ্গে এ-ও জানিয়েছেন, পুনরায় ভোটে না জেতা পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর পদে তিনি আর ফিরবেন না। দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় প্রায় ৬ মাস জেলে ছিলেন তিনি। শীর্ষ আদালতের নির্দেশে শুক্রবারই তিহাড় থেকে মুক্তি পেয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। মুক্তির দু’দিনের মধ্যেই এবার মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি।
আপ প্রধান দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর পদে ইস্তফা দেওয়ার পর কে বসবেন তার আসনে? কে হবেন কেজরীর উত্তরসূরি? তা নিয়ে এখনও স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি।
কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, দলের মধ্যে থেকে কাউকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বেছে নেওয়া হবে। তবে তিনি কে? তা নিয়ে ধোঁয়াশা রেখে দিয়েছেন আপ প্রধান।
কেজরিওয়ালের এই ঘোষণাকে তার অগ্নিপরীক্ষা হিসাবেই ব্যাখ্যা করছেন আম আদমি পার্টির রাজ্যসভার এমপি রাঘব চড্ডা। তিনি বলেন, আজ তিনি (কেজরিওয়াল) অগ্নিপরীক্ষা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দিল্লিবাসী আপকে ভোট দিয়ে প্রমাণ করে দেবে যে তিনি সৎ।
সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে, মাস পাঁচেক পরেই দিল্লিতে বিধানসভা ভোট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নির্বাচন হতে পারে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে। তবে সেই নির্বাচন যাতে এগিয়ে আনা হয়, সেই দাবিও জানিয়েছেন আপ প্রধান।
অনলাইন ডেস্ক :
বিয়ে মানে যে কারও জন্যই বিশেষ দিন। এমন একটি স্মরণীয় দিন নির্ঝঞ্ঝাট কাটুক, সেটাই সবাই চায়। কিন্তু সেই গুরুত্বপূর্ণ দিনেই লিফটের ভেতর আটকা থাকতে হলো পানভ ঝা এবং ভিক্টোরিয়া ঝা নামে এক যুগলকে। তাদের উদ্ধারে ডাকতে হয় দমকল বাহিনীকেও।
সম্প্রতি এ ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনার শার্লট শহরে। সেখানে গ্রান্ড বোহেমিয়ান হোটেলের লিফটে আটকা পড়েছিলেন বর, কনে এবং তাদের পরিবারের আরও চার সদস্য।
জানা যায়, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ছিল পানভ-ভিক্টোরিয়ার বিয়ের দিন। সেদিন বিয়ের পর্ব শেষ হওয়ার পরে বাকি আনুষ্ঠানিকতায় অংশ নেওয়ার উদ্দেশ্যে হোটেলের ১৬তলায় উঠছিলেন বর-কনেসহ ছয় আরোহী।
পানভ সিএনএন’কে জানান, মাত্র পাঁচ ফুট ওপরে উঠতেই হঠাৎ আটকে যায় লিফট। সেটি প্রথম ও দ্বিতীয়তলার মাঝামাঝি ঝুলতে থাকে এবং এর ভেতর আটকা পড়েন তারা ছয়জন।
পানভ বলেন, এরপর দরজাগুলো খুলতে শুরু করে। ফলে আমার সামনে ও পেছনে কংক্রিটের দেওয়াল দেখতে পাচ্ছিলাম। আমার মনে হচ্ছিল, এটি স্বাভাবিক নয়!
এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে শেষপর্যন্ত শার্লট দমকল বিভাগকে ডাকা হয়। দমকলকর্মীরা জানিয়েছেন, তারা লিফটে আটকেপড়া নিয়ে বহু ফোনকল পান। তবে এবারের পরিস্থিতি বেশ কঠিন ছিল।
ডেভিড বাড নামে এক দমকলকর্মী বলেন, লিফটে আটকাপড়া কলের ক্ষেত্রে সাধারণত যেসব বিষয় চেষ্টা করা হয়, আমরা তার সবই করেছিলাম। কিন্তু কোনো কিছুই কাজ করছিল না।
পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দড়ি দিয়ে টেনে বর-কনেসহ ছয় আরোহীকে বের করে আনে দমকল বাহিনী। তবে ততক্ষণে পেরিয়ে গেছে প্রায় আড়াই ঘণ্টা।
উদ্ধারকাজ শেষে বর-কনের সঙ্গে হাসিমুখে ছবি তোলেন দমকলকর্মীরা। ঘটনার বর্ণনাসহ সেই ছবি শেয়ার করা হয়েছে শার্লট দমকল বিভাগের ফেসবুক পেজেও।
ছবিতে দেখা যায়, কনে একটি ঝলমলে লেহেঙ্গা এবং বর একই রঙের শেরওয়ানি পরে দমকলকর্মীদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। নতুন জীবনের জন্য তাদের শুভেচ্ছা জানিয়েছে দমকল বিভাগ।
লিফটে আটকে পড়ার কারণে বিয়ে পরবর্তী ওই অনুষ্ঠানে আর অংশ নেওয়া হয়নি বর-কনের। তবে এ নিয়ে খুব বেশি আফসোস নেই কনের। লিফটে একা আটকে না পড়াতেই খুশি ভিক্টোরিয়া। তার কথায়, অন্ততপক্ষে সময়টা আমরা একসঙ্গে কাটিয়েছি।
আর পানভ স্বীকার করেছেন, ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত হলেও ভবিষ্যতে সন্তানদের বলার জন্য দারুণ গল্প হবে। তিনি বলেন, আমি বাচ্চাদের বলবো, তোমাদের মা এতো সুন্দরী ছিলেন, যে দমকল বাহিনীকে আসতে হয়েছিল।
অনলাইন ডেস্ক :
ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন দার লিয়েন আগামী ২০ জানুয়ারিতে ওয়াশিংটনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন না। ১০ জানুয়ারি শুক্রবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মুখপাত্র পলা পিনহো জানিয়েছেন, ‘আমন্ত্রণপত্র দেওয়া হয়নি এবং শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কোনো পরিকল্পনাও নেই। তবে আমরা যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসনের সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগ স্থাপনের আশা করছি।’
প্রথাগতভাবে, মার্কিন প্রেসিডেন্টের শপথ অনুষ্ঠানে বিদেশি নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয় না। তবে শোনা যাচ্ছে, এবার চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে আমন্ত্রণ জানানোর চেষ্টা করেছিলেন ট্রাম্প।
উল্লেখ্য, ভন দার লিয়েন সাম্প্রতিক সময়ে তীব্র নিউমোনিয়ায় ভুগছেন। চার বছর আগে জো বাইডেনের শপথ অনুষ্ঠানেও তিনি উপস্থিত ছিলেন না।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন বর্তমানে ট্রাম্পের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক নিয়ে কিছুটা শঙ্কিত। ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতি ইউরোপীয়দের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। তারা চান, যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপের বিরুদ্ধে কোনো অস্বস্তিকর সমঝোতা চাপিয়ে না দেয়।
এছাড়া ট্রাম্পের সম্ভাব্য বাণিজ্য শুল্ক আরোপ নিয়েও ইউরোপীয় দেশগুলো উদ্বিগ্ন।
সম্প্রতি ডেনমার্কের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল গ্রিনল্যান্ডকে সামরিক শক্তি ব্যবহার করে দখলের ইঙ্গিত দিয়ে ট্রাম্প নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন।
ভন দার লিয়েন বৃহস্পতিবার বিবৃতিতে বলেছেন, আমাদের নাগরিকদের সুরক্ষা এবং গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার সুরক্ষায় ইইউ সর্বদা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে তিনি এটাও নিশ্চিত করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র আমাদের অন্যতম ঘনিষ্ঠ অংশীদার, এবং আমরা ট্রান্সআটলান্টিক সম্পর্ক আরো দৃঢ় করতে চাই।
অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশের অবকাঠামো প্রকল্প থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। তদন্তে নাম এসেছে শেখ হাসিনার বোনের মেয়ে, যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকেরও। এ ঘটনায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন যুক্তরাজ্যের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ বলছে, বাংলাদেশে একটি পারমাণবিক শক্তি প্রকল্প থেকে নিজের পরিবারকে প্রায় চার বিলিয়ন পাউন্ড আত্মসাৎ করতে সহায়তা করার অভিযোগে মন্ত্রিপরিষদ অফিসের ন্যায় ও নৈতিকতা দল মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
টিউলিপ ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন লেবার মন্ত্রিসভার সদস্য, তিনি ইকনোমিক সেক্রেটারি টু দি ট্রেজারি অ্যান্ড সিটি মিনিস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার কাজ যুক্তরাজ্যের অর্থবাজারের ভেতরের দুর্নীতি সামাল দেয়া। তবে টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে তার খালা ও বাংলাদেশের সদ্য ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য রাশিয়ার সাথে একটি দুর্নীতির চুক্তিতে সাহায্য করার অভিযোগ রয়েছে।
অবশ্য টিউলিপ সিদ্দিককে গত বৃহস্পতিবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও খবরটি সামনে এসেছে ২২ ডিসেম্বর রবিবার। অভিযোগ অনুযায়ী, রূপপুরের এই প্রকল্প থেকে চার বিলিয়ন পাউন্ড সরিয়ে নেয় শেখ হাসিনার পরিবার ও তার মন্ত্রীরা।
টেলিগ্রাফ বলছে, দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ সামনে আসার পর টিউলিপ সিদ্দিক দেশটির মন্ত্রিপরিষদ অফিসের ন্যায় এবং নৈতিকতা দলের (পিইটি) প্রতিনিধির সাথে বৈঠকে যোগ দিতে সম্মত হন। গত বৃহস্পতিবার পিইটি’র ওই কর্মকর্তা টিউলিপ সিদ্দিকের অফিসে যান। পরে ওই কর্মকর্তার কাছে ১০ বিলিয়ন পাউন্ডের রূপপুর প্রকল্পের দুর্নীতির সঙ্গে তার জড়িত থাকার অভিযোগের বিষয়ে জবাব দেন টিউলিপ।
উল্লেখ্য, শেখ রেহানা-কন্যা টিউলিপ সিদ্দিককে নিয়ে বিতর্ক চলছেই। বাংলাদেশে একটি আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে নেতিবাচকভাবে ব্রিটিশ গণমাধ্যমে তিনি সংবাদ শিরোনাম হয়েছেন গত ১৯ ডিসেম্বর। তবে এবারই প্রথম না, চারবারের নির্বাচিত এমপি ও বর্তমান সরকারের মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিককে নিয়ে নেতিবাচক সংবাদ ব্রিটিশ গণমাধ্যমে এর আগে আরো বেশ কয়েকবার হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন করার লক্ষ্য ৩২ সদস্যের মিয়ানমারের একটি প্রতিনিধি দল কক্সবাজারের টেকনাফে পৌঁছেছেন। এরপর তারা ১৮০ পরিবারের সাথে মতবিনিময় করেন।
আজ ৩১ অক্টোবর মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নৌপথে আরকান রাজ্যের সাউ নাইং এর নেতৃত্বে ৩২ সদস্যের প্রতিনিধি দলটি টেকনাফের জেটিঘাটে এসে পৌঁছায়। পরে গাড়িযোগে টেকনাফ সড়ক ও জনপথ বিভাগের রেস্ট হাউসে নদী নিবাসে পৌঁছার পর সাক্ষাৎকার নেওয়া শুরু করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে ক্যাম্প থেকে ১৮০ পরিবারের সদস্যদেরকে সিআইসি অফিসের পক্ষ থেকে ডাকা হয়েছে। তারা টেকনাফ সড়ক ও জনপদের রেস্ট হাউসে নদী নিবাসে যায়।সেখানে তাদের সাথে মিয়ানমারের একটি প্রতিনিধি দল প্রত্যাবাসনের বিষয়ে সাক্ষাৎকার নেয়।
কক্সবাজারের ত্রাণ ও প্রত্যাবাসনের অতিরিক্ত কমিশনার মো. শামসুদ্দোজা বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের লক্ষ্য ৩২ সদস্যের একটি মিয়ানমারে প্রতিনিধি দল সকালে টেকনাফে পৌঁছেন। এখনো তাদের সাথে মতবিনিময় চলছে।
উল্লেখ্য, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নিপীড়নের শিকার হয়ে বাংলাদেশে মানবিক আশ্রয় পাওয়া রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে প্রথম তালিকার ১৬৮ পরিবারের ৪৮০ জনের তথ্য যাচাই-বাছাই ও সাক্ষাৎকার শেষে মিয়ানমারের ১৭ সদস্যের টেকনিক্যাল টিম ২২ মার্চ (বুধবার) সকাল ১০টার দিকে নাফ নদ থেকে টেকনাফ চৌধুরী পাড়ার ট্রানজিট জেটিঘাট দিয়ে মিয়ানমারের উদ্দেশ্য রওনা দেয়।
প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ থেকে দেওয়া রোহিঙ্গাদের প্রথম তালিকার যাচাই-বাছাই করতে মিয়ানমারের ১৭ সদস্যের একটি টেকনিক্যাল টিম ১৫ মার্চ সকালে টেকনাফ ট্রানজিট জেটিঘাট হয়ে বাংলাদেশে আসে।
মিয়ানমারের কাছে পাঠানো প্রথম তালিকাটি থেকে গত সাতদিনে ১৬৮ পরিবারের ৪৮০ জনের তথ্য যাচাই-বাছাই ও সাক্ষাৎকার প্রক্রিয়া শেষ করেন। যাদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয়েছে তাদের থেকে বাংলাদেশের আশ্রয় শিবিরে জন্ম নেওয়া ওই পরিবারের শিশুদেরও নথিভুক্ত করেছে টেকনিক্যাল টিম।