অনলাইন ডেস্ক :
হবিগঞ্জে প্রায় ডজনখানেক ডাকাতি ও মাদক মামলার আসামি জুয়েল মিয়া (৪০) কে ৬০ কেজি গাঁজাসহ গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আজ ২৯ জানুয়ারি বুধবার সকালে মাধবপুর উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের অন্তর্গত গন্ধরাবপুর-আহমদপুর হাই স্কুল এলাকার পার্শ্ববর্তী একটি আম বাগান থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এসময় তার সাথে থাকা অন্য মাদক কারবারিরা পালিয়ে যায়। গ্রেফতারকৃত জুয়েল মিয়া মাধবপুর উপজেলার রাজেন্দ্রপুর গ্রামের আউশ মিয়ার পুত্র। অভিযানে নেতৃত্বদেন ডিবি পুলিশের এসআই মাহমুদুল হাসান ও এএসআই আব্দুল আলীমের নেতৃত্বে একটি টিম।
এসআই মাহমুদুল হাসান জানান- জুয়েল মিয়া এলাকার একজন চিহ্নিত ডাকাত ও মাদক ব্যবসায়ী। সকালে সেসহ তার সহযোগীরা ওই এলাকায় দিয়ে মাদক পাচার করছিল। এসময় গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হলেও অন্যান্য সহযোগীরা পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে ৬০ কেজি গাজা উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন- মাদক কারবারি জুয়েল মিয়ার বিরুদ্ধে মাদক ও ডাকাতিসহ প্রায় ডজনখানেক মামলা রয়েছে। সে বেশ কয়েকটি মামলার পলাতক আসামি। তার বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দিয়ে তাকে মাধবপুর থানায় হস্তান্তর করা হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
এক যুগেরও বেশি সময় আগে মালয়েশিয়ান তরুণী সিটি হাসনার সাথে নাটোরের যুবক আনিছ রহমানের পরিচয় হয়। এরপর দু’জনের মধ্য গড়ে উঠে প্রেমের সম্পর্ক। দীর্ঘ ১৪ বছর পর প্রেমের টানে অবশেষে নাটোরের গুরুদাসপুরে এসেছেন মালয়েশিয়ান তরুণী সিটি হাসনা (৩২)।
৪ জানুয়ারি শনিবার সকালে গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজিপুর এলাকায় মায়ের সাথে প্রেমিকের বাড়িতে আসেন ওই তরুণী।
আনিছ রহমান (৪২) নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজিপুর এলাকার জলিল রহমানের ছেলে।
পরিবারেরর সদস্যরা জানান, ২০১০ সালে মালয়েশিয়ায় এক কর্মক্ষেত্রে আনিছের সাথে সিটি হাসনার পরিচয় হয়। এরপর তাদের মধ্য গড়ে উঠে প্রেমের সম্পর্ক। দীর্ঘদিন ১৪ বছর ধরে চলছে তাদের প্রেমের সম্পর্ক। পাঁচ বছর আগে পারিবারিকভাবে দু’জনের বাগদান সম্পন্ন হয়। তবে ভিসা জটিলতায় কারণে ওই তরুণী বাংলাদেশে আসতে পারেননি। তবে বাংলাদেশি যুবক আনিছ মাঝে মাঝে মালয়েশিয়ায় যেতেন। অবশেষে শনিবার সকালে ওই মালয়েশিয়ান তরুণী নাটোরের গুরুদাসপুরের খুবজিপুর এলাকায় প্রেমিক যুবকের বাড়িতে আসেন। সাথে ছিলেন তার মা। আজ ৫ জানুয়ারি রবিবার নাটোর আদালতে তাদের বিয়ে হওয়ার কথা রয়েছে।
ছোট ভাই হক সাহেব বলেন, আমার ভাই মালয়েশিয়া থাকাকালীন তাদের মধ্য প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পারিবারিকভাবে বিয়ের প্রস্তুতি নিলেও নানা জটিলতায় তা হয়নি। আমার ভাই প্রেমের জন্য এত বছর অপেক্ষা করেছেন। দীর্ঘ ১৪ বছর পর রবিবার আদালতের মাধ্যমে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হবে।
তিনি আরো বলেন, আমরা অনেক আনন্দিত। দীর্ঘ দিন প্রেমের পর তারা একটি সম্পর্কে আবদ্ধ হচ্ছে। পারিবারিকভাবে বিয়ের আয়োজন করা হচ্ছে। পরিবারের সবাই আনন্দিত। সবাই তাদের জন্য দোয়া করবেন- তারা যেন সুখে থাকে।
স্থানীয় খুবজিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (ইউপি) মনিরুল ইসলাম বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরেছি। মালয়েশিয়া থেকে একজন তরুণী খুবজিপুরে এসেছেন। তিনি যে উদ্দেশ্যে নাটোরে এসেছেন, তা যেন সফল হয়। তাদের দ ‘জনের জন্য শুভ কামনা ও দোয়া রইল।
প্রেমিক আনিছ রহমান বলেন, ১৪ বছরের প্রেমের সম্পর্ক আমাদের। আমাদের পারিবারিকভাবে দু’জনের বিয়ে হবে। আমাদের জন্য সবাই দোয়া করবেন। যেন আমরা সুখে জীবনযাবন করতে পারি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লা সীমান্তে প্রায় ৪৬ লাখ টাকার বিপুল পরিমান মাদক ও চোরাই পণ্য উদ্ধার করেছে ৬০ বিজিবি সদস্যরা।
আজ ১৪ জানুয়ারি মঙ্গলবার পর্যন্ত ৫দিনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা ও আখাউড়া, কুমিল্লা জেলার বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বিভিন্ন সীমান্তে মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে এসব চোরাই পণ্য উদ্ধার করা হয়। বিজিবি জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার পর্যন্ত ৫দিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সুলতানপুর ৬০ বিজিবির সদস্যরা তাদের দায়িত্বপূর্ণ এলাকা আখাউড়া, কসবা, বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বিভিন্ন সীমান্তে মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে।
এসময় বিজিবি সদস্যরা ৭৭১ পিস কসমেটিক্স সামগ্রী, ২১ কেজি কিসমিস, ৯ টি গরু, ৬৩২৮ পিস চকলেট, ৪,৭৫৭ কেজি চিনি, ৪৪৯ বোতল চুলের তেল, ৩৯৮ পিস ডব্লিউপি পাপা কিটনাশক, ৯০৬ পিস তালা, ৮৬ কেজি ফুচকা, ১৮ বোতল বড়ি ওয়েল, ৬৩,০০০ পিস বাঁজি, ১১৭ কেজি বাংলাদেশী রসুন, ২১৩ কেজি বাসমতি চাউল, ১টি মোটরসাইকেল, ৫১৬ প্যাকেট সেমাই, ১৯২ বোতল হুইস্কি, ১১ বোতল বিয়ার, ৫ কেজি গাঁজা এবং ৫৫ বোতল ইস্কফ সিরাপ উদ্ধার করে। এই সব অবৈধ পণ্য উদ্ধারের সময় বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাচালানীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। উদ্ধারকৃত অবৈধ পণ্যের মূল্য ধরা হয়েছে ৪৫ লাখ ৮৯ হাজার ৬০ টাকা।
সুলতানপুর ৬০ বিজিবি অধিনায়ক লে: কর্ণেল এ এম জাবের বিন জব্বার জানান, উদ্ধারকৃত ভারতীয় চোরাচালানী মালামাল আখাউড়া ও কুমিল্লা কাস্টমসে জমা দেয়া হয়েছে।
সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধে ৬০ বিজিবির আভিযানিক কার্যক্রম ও গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে বলেও তিনি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগর উপজেলায় যাত্রীবাহী বাস ও ড্রাম ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে বাসচালক নিহত হয়েছেন। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিজয়নগর উপজেলার বুধন্তি ইউনিয়নের ইসলামপুর এলাকায় ২৯ ডিসেম্বর রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত মুছা মিয়া (৪৫) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর গ্রামের আবু আহমদের ছেলে।
খাটিখাতা হাইওয়ে থানার ওসি মো. মারগুব তৌহিদ জানান, সকালে ইসলামপুর এলাকায় হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুরগামী দিগন্ত লোকাল বাসের সাথে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ড্রাম ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে বাসের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে গিয়ে চালক মুছা মিয়া ঘটনাস্থলে মারা যান। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘাতক ট্রাকটি হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস টুম্পা (২১)। মাত্র ১৫ দিনের ছুটি পেয়েছেন তিনি। প্রায় ৫০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে এসেছেন নিজ বাড়ি নাটোরের বড়াইগ্রামের নগর ইউনিয়নের দোগাছি গ্রামে। টুম্পা ঐ গ্রামের ভ্যানচালক আব্দুর রাহিমের মেয়ে। বাড়িতে এসে মা-বাবা ও ছোট বোনের সাথে সময় কাটানোর কথা তার। কিংবা গ্রামের বন্ধু-বান্ধব বা আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে দেখা, গল্প ও আড্ডা দেওয়ার কথা। কিন্তু তিনি তার দরিদ্র ভ্যান চালক বাবা ও পরিবারের আর্থিক অনটনের কথা চিন্তা করে বাড়ি থেকে ১ কিলোমিটার দূরে মেরিগাছা বাজারে বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সিদ্ধ ডিম বিক্রি করছেন। একই সঙ্গে বিক্রি করছেন কাঁচা ডিম। টুম্পার এই ডিম বিক্রির ঘটনা এলাকায় সাড়া ফেলেছে।
মঙ্গলবার মেরিগাছা বাজারে টুম্পার সিদ্ধ ডিমের দোকানে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, খোলা আকাশের নিচে খড়ির চুলা জ্বলছে এবং সেখানে বড় কড়াইয়ে শতাধিক ডিম সিদ্ধ হচ্ছে। পাশে প্লাস্টিকের টুলে বসে ডিমের খোসা ছাড়াচ্ছেন টুম্পা এবং খোসা ছাড়ানোর পর ডিমের ওপর লবণ-ঝাল ছিটিয়ে তা ক্রেতাদের হাতে তুলে দিচ্ছেন। টুম্পার ভ্রাম্যমাণ দোকানে একটি সিদ্ধ ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫টাকা এবং একসঙ্গে দুইটি নিলে ২৫ টাকা। পাশাপাশি কাঁচা ডিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি হালি ৪২ টাকা দরে।
জান্নাতুল ফেরদৌস টুম্পা বলেন, খুবই কম লাভে আমি ডিম বিক্রি করছি। প্রতি হালি কাঁচা ডিমে লাভ হচ্ছে মাত্র ৩ টাকা এবং সিদ্ধ ডিমে লাভ হচ্ছে গড়ে হালি প্রতি ৪-৬ টাকা। সিদ্ধ ডিমের ক্ষেত্রে খড়ি, নষ্ট ডিম বা অনেক সময় খোসা ছাড়াতে গিয়ে ডিম নষ্ট হয়। যার ফলে এর লাভ মাঝে মধ্যে সামান্য ওঠানামা করে।
প্রতিদিন গড়ে ৬০০-৭০০ ডিম বিক্রি করেন তিনি এবং গত দুইদিনে তার লাভ হয়েছে ১৪৭০ টাকা। ক্রেতাদের কাছে ডিম বিক্রির ফাঁকে টুম্পা আরও জানান, ‘বাবা ভ্যান চালিয়ে আমাদের দুই বোনকে লেখাপড়া করাচ্ছেন। বর্তমানে আমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শন তৃতীয় বর্ষে অধ্যায়নরত। গত সপ্তাহে আমি বাড়িতে এসেছি, ১৫ দিন ছুটি কাটিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে যাবো। ডিম বিক্রির মাধ্যমে আমার যাতায়াতের টাকাও জোগাড় হবে।
ডিম বিক্রি করার প্রসঙ্গে টুম্পা জানায়, বিভিন্ন মানুষ নানা কথা বলবে। তবে এতে আমার কিছু আসে-যায় না। কারণ আমি সৎ ভাবে আয় করছি। শহরে এই কাজ করলে কেউ কিছু বলে না। আমি নিজেকে অতি ক্ষুদ্র ও গরীব উদ্যোক্তা মনে করছি। এটাই আমার কাছে আনন্দের ও সুখের। আমি অল্প লাভে ডিম বিক্রি করে স্থানীয় অতিমাত্রায় মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদের মেসেজ দিতে চাই; অতি মুনাফার সুযোগ থাকলেও তার সুযোগ গ্রহণ না করা।
টুম্পার বাবা ভ্যান চালক আব্দুর রাহিম জানান, আমার ভ্যানে করেই আমি আমার মেয়েকে এই বাজারে নিয়ে আসি ও নিয়ে যাই। টুম্পা অনেক কষ্টে লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছে। ছুটিতে এসে আমাদের প্রতি মায়া করে সে ডিম বিক্রি করছে। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক খরচ হয়। তার বাবা হিসেবে এই টাকা দেওয়ার সামর্থ্য আমার নাই। তাই সে নিজেই সৎ উপার্জন করে টাকা যুগিয়ে নিচ্ছে যেন আমার কাছে টাকা না চাইতে হয়।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শামসুজ্জোহা জানান, টুম্পা স্কুল জীবন থেকেই সংগ্রাম করে লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছে। সে অনেক মেধাবী। ছুটিতে বাড়িতে এসে ডিম বিক্রির এই ভালো কাজটি অনুপ্রেরণামূলক ও প্রশংসনীয়।
হাকিকুল ইসলাম খোকন
যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশি কমিউনিটির উজ্জ্বল মুখ, বিশিষ্ট সাংবাদিক, কলামিস্ট ও সাহিত্যিক, স্বদেশে এবং বহির্বিশ্বে মানবকলাণ ও সেবামূলক বিভিন্ন সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা, সভাপতি ও কর্ণধার, অতুলনীয় মানবসেবী, অর্গানাইজেশন ফর দ্য রিকগনিশন অব বাংলা এ্যাজ এন অফিসিয়াল ল্যাঙ্গুয়েজ অব দ্য ইউনাইটেড ন্যাশনস্-এর কেন্দ্রীয় ভাইস প্রেসিডেন্ট কে এম আবু তাহের চৌধুরীর সম্মানে বৈশ্বিক এ সংগঠনের সিলেট ডিভিশনাল চ্যাপ্টারের উদ্যোগে গত ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, শনিবার সন্ধ্যায় বিভাগীয় নগরী সিলেটের উত্তর জেলরোডস্থ হোটেল ডালাস-এর কনফারেন্স হলে মতবিনিময় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সংগঠনের সিলেট বিভাগীয় চ্যাপ্টারের সভাপতি সাংবাদিক-ফয়জুর রহমানের সভাপতিত্বে আয়োজিত মতবিনিময় অনুষ্ঠানে অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট সেন্ট্রাল উইমেনস কলেজের প্রিন্সিপাল কবি কালাম আজাদ।
সংগঠনের সিলেট ডিস্ট্রিক্ট চ্যাপ্টারের সভাপতি এডভোকেট আব্দুর রহমান চৌধুরীর সাবলীল উপস্থাপনায় প্রানবন্ত এ মতবিনিময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত সিলেট নগরীর বিশিষ্টজনের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন কবি ও সংগঠক শাহেদা রশীদ পপী, কবি-শিক্ষাবিদ সেনুয়ারা আক্তার চিনু, লেখক-প্রকাশক বায়েজীদ মাহমুদ ফয়সল, কবি ও কথা সাহিত্যিক রাজিয়া নিলুফার আজাদ, এডভোকেট শিরিন আক্তার, দেশ টিভি’র সিলেট প্রতিনিধি খালেদ মেহেদী, দৈনিক সিলেটের ডাক-এর স্টাফ রিপোর্টার আনাস হাবিব কলিন্স, সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম চৌধুরী এহিয়া, কবি-সাহিত্য সমালোচক ও প্রভাষক মামুন সুলতান, কবি ও সংগঠক শায়খ তাজুল ইসলাম, ওসমানী জাদুঘর,সিলেট-এর কীপারআমিনুল ইসলাম, আরপিটিআই সিলেট-এর কর্মকর্তা জহিরুল হক, সিলেট বিভাগ গণদাবি ফোরাম-এর সভাপতি ও অর্গ্যানাইজেশন ফর দ্য রিকগনিশন অব বাংলা এজ এন অফিসিয়াল ল্যাঙ্গুয়েজ অব দ্য ইউনাইটেড ন্যানশনস্ সিলেট মহানগর চ্যাপ্টারের সভাপতি চৌধুরী আতাউর রহমান আজাদ, সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি, সিনিয়র সাংবাদিক আবদুল কাদের তাপাদার ও আ.ফ.ম.সাঈদ এবং আয়োজক সংগঠনের সিলেট বিভাগীয় চ্যাপ্টার ও সিলেট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় বক্তারা যুক্তরাজ্যে এবং স্বদেশে সংকটাপন্ন,বিপদগ্রস্ত এবং অসহায় মানুষের সাহায্যার্থে মৌলভীবাজারের ইটা সিংকাপনের ঐতিহ্যবাহী ‘সিংকাপনী পরিবার’-এর সুযোগ্য উত্তরাধিকারী, বিলেতে বাংলাদেশী কমিউনিটির উজ্জ্বল মুখ ও স্বনামধন্য ব্যক্তিত্ব কে এম আবু তাহের চৌধুরীর বহুমুখী মানবিক সহায়তা এবং অতুলনীয় অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
সেইসাথে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের এ ‘বেসরকারি দূত’-কে এম আবু তাহের চৌধুরীর সুবিস্তৃত প্রশংসনীয় ভূমিকা অব্যাহত রাখতে পরম করুণাময় মহান স্রষ্টা ও মহান প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লার দরবারে তাঁর সুস্বাস্থ্য এবং দীর্ঘায়ূ কামনা করে মতবিনিময় সভা শেষে বিশেষভাবে মুনাজাত করা হয়। মুনাজাত পরিচালনা করেন ক্বারী মোহাম্মদ ইসহাক।
এদিকে “গণতন্ত্রের মাতৃভূমি নামে খ্যাত মাল্টিকালচারেল, মাল্টিন্যাশনালের বৃটেনের ওয়েলসের রাজধানী কার্ডিফের ইন্টারন্যাশনাল ম্যাদার ল্যাংগুয়েজ মনুমেন্ট তথা শহীদ মিনারে যথাযোগ্য মর্যাদায় ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে অর্গেনাইজেশন ফর দ্যা রেকগনিশন অফ্ বাংলা এ্যাজ এ্যান অফিসিয়াল ল্যাংগুয়েজ অফ্ দা ইউনাইটেড নেশনস ইউকে সাউথ ওয়েলস শাখার পক্ষ থেকে গত ১৬ ই ডিসেম্বর শহীদ বেদিতে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীরদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা নিবেদনে একে একে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়েছে। সমবেত কন্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করার পর অর্গেনাইজেশন ফর দ্যা রেকগনিশন অফ্ বাংলা এ্যাজ এ্যান অফিসিয়াল ল্যাংগুয়েজ অফ্ দা ইউনাইটেড নেশনস ইউকে সাউথ ওয়েলস শাখার প্রেসিডেন্ট বিশিষ্ট সাংবাদিক মকিস মনসুর এর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শাহ শাফি কাদির এর পরিচালনায় এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।এতে কার্ডিফের সাবেক লর্ড মেয়র কাউন্সিলার ড. বাবলিন মল্লিক, ওয়েলসের কমিউনিটি ব্যাক্তিত্ব মাসুদ আহমেদ, আলহাজ্ব আসাদ মিয়া, আসরাফ হোসেন, মুজিবুর রহমান, ইউসুফ খান জিমি, সেলিম আহমদ, আবুল কালাম মুমিন, শাহ শাফি কাদির, আব্দুর রুউফ তালুকদার, সিতাব আলী, মাহমুদ আলী ফয়ছল রহমান, নুরুল ইসলাম, রাসেল আহমদ, নুরুল আলম, তমসির আলী, আফরাজ আহমেদ, শেখ রায়হান, বদরুল হক মনসুর, ইমরান মিয়া,বেলাল আহমেদ, হারুন মিয়া বেলাল খান, ইমরান হোসেন, ফয়ছল মনসুর,
ও যুবেদুর রহমান, সহ কমিউনিটি ও কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
অর্গেনাইজেশন ফর দ্যা রেকগনিশন অফ্ বাংলা এ্যাজ এ্যান অফিসিয়াল ল্যাংগুয়েজ অফ্ দা ইউনাইটেড নেশনস ইউকে সাউথ ওয়েলস শাখার প্রেসিডেন্ট ও ইউকে বিডি টিভির চেয়ারম্যান মকিস মনসুর সহ বক্তারা এ দিনটি বাঙালি জাতির বিশাল অর্জন ও গৌরবের উল্লেখ করে বলেন যাদের কারণে আমরা লাল বৃত্ত সবুজ পতাকা পেয়েছি, প্রবাসের মাটিতে একেকজন রাষ্ট্রদূত হিসাবে আমরা বাংলাদেশের পতাকা বহন করে চলছি,সেই সব বীরদের অবদানের কথা কৃতজ্ঞতাচিত্তে স্মরণ করা সহ সকল শহীদানদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়।