হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক এবং ঔপন্যাসিক শিব্বীর আহমেদ এর নতুন বই রোমান্টিক থ্রিলার ‘পেন্টাগন বাহিনী’ এখন পাওয়া যাচ্ছে। বইটি প্রকাশ করেছে দেশের শীর্ষ প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান অনন্যা। বইমেলায় অনন্যা প্যাভিলিয়ান ২৭ এ বইটি পাওয়া যাবে। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন ঋষি ধ্রুব এষ। ১২৮ পৃষ্ঠার সুপারন্যাচারাল, ক্রাইম, রোমাঞ্চ এবং অ্যাডভেঞ্চারে ভরা থ্রিলার বইটির বিক্রয় মূল্য ৩শত টাকা। এটি লেখকের ৩৯তম বই।
এছাড়াও লেখকের প্রকাশিত বই প্রেমের উপন্যাস ‘বালিকার বুকের ঘ্রাণ’, থ্রিলার ‘সাইকো সিরাজ’, ফ্যান্টাসি এবং স্পিরিচুয়াল থ্রিলার ‘হিরো সমগ্র’ শিশুদের জন্য শিক্ষণীয় গল্পের বই ‘ধামি করবে বিয়ে’ বইগুলো পাওয়া যাবে বইমেলায়। লেখকের প্রকাশিত বইগুলো অনন্যা প্যাভিলিয়ন ২৭, সময় প্যাভিলিয়ন ২১ এবং নালন্দা প্যাভিলিয়ান ৩৩ এ পাওয়া যাবে।
শিব্বীর আহমেদ কুমিল্লা-৯ আসনের (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) সাবেক প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য, জাতীয় সংসদের সাবেক সদস্য গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা, বাংলাদেশের সংবিধান স্বাক্ষরকারী মরহুম আলহাজ জালাল আহমেদ’র সন্তান। তিনি ম্যানেজম্যান্টে মাস্টার অব কমার্স (এমকম) এবং সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং এ মাস্টার অব সফটওয়ার সিষ্টেম (এমএসএস) ডিগ্রি অর্জন করেন।
সাংবাদিকতা, সাহিত্য, সাংস্কৃতিক, কমিউনিটি সেবা এবং কর্মক্ষেত্রে বিশেষ আবদানের জন্য তিনি ক্লোজআপ ওয়ান অ্যাওয়ার্ড, ফোবানা অ্যাওয়ার্ড, গুড সিটিজেন অ্যাওয়ার্ড, একতারা অ্যাওয়ার্ড, বাংলা নববর্ষ সম্মাননা সহ নানা অ্যাওয়ার্ড লাভ করেছেন। তিনি একজন সু-লেখক, সাংবাদিক, সংবাদ বিশ্লেষেক, কথাসাহিত্যিক এবং ঔপন্যাসিক হিসাবে দেশে-বিদেশে সুপরিচিত।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
জর্জিয়া স্টেট সিনেটর হিসাবে দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নিয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নাবিলা ইসলাম। গত ৫ নভেম্বরের নির্বাচনে জর্জিয়ার ৭ম সিনেট জেলা থেকে তিনি নির্বাচিত হন। ১৬ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার নাবিলা তার স্বামী পার্কেস এবং নবজাতক ছেলে আহসানকে সঙ্গে নিয়ে শপথ গ্রহণ করেন। তিনি ব্যাংকিং ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, শিশু ও পরিবার, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, এবং প্রাক্তন সেনা, সামরিক ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিষয়ক সিনেট কমিটিগুলিতে মনোনীত হয়েছেন।
সিনেটর নাবিলা ইসলাম সম্প্রতি জর্জিয়া উইমেনস লেজিসলেটিভ ককাসের সহ-চেয়ার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। নাবিলা ইসলাম একজন উদীয়মান নেত্রী এবং সমাজসেবী। তিনি জর্জিয়ার ডুলুথ একজন বাসিন্দা এবং একজন দৃঢ় প্রতিজ্ঞ রাজনীতিবিদ, যিনি তার কর্মজীবন ও পারিবারিক অভিজ্ঞতার মাধ্যমে কমিউনিটির সেবা প্রদান করছেন।
নাবিলা ইসলামের জন্ম ও বেড়ে ওঠা যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী পরিবারে। তার বাবা-মা একটি উন্নত জীবন গড়ে তোলার জন্য বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী হন। নাবিলা জর্জিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেছেন।
নাবিলা ইসলাম ২০২০ সালে প্রথমবারের মতো জর্জিয়া রাজ্যের ৭ম সিনেট জেলা থেকে নির্বাচিত হন। তিনি অত্যন্ত প্রতিভাবান, দক্ষ এবং জনগণের সমস্যাগুলোর প্রতি আন্তরিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করছেন। তার পিতামাতার অভিবাসী জীবন থেকে তার অনুপ্রেরণা আসে, এবং তিনি সবসময় তার কণ্ঠস্বর ব্যবহার করেন কমিউনিটির উন্নতির জন্য।
শপথ গ্রহণের পর সিনেটর নাবিলা ইসলাম বলেন, একজন শ্রমজীবী অভিবাসীর কন্যা হিসেবে, আমি সবসময় আমাদের বৈচিত্রময় সম্প্রদায়গুলিকে উজ্জীবিত করতে আমার কণ্ঠস্বর ব্যবহার করব। তিনি বলেন, একজন নতুন মা হিসেবে, আমি বুঝতে পারি যে জর্জিয়ার পরিবারগুলো কী ধরণের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। আমি প্রস্তুত, যতটুকু সম্ভব, জর্জিয়াকে এমন একটি স্থানে পরিণত করতে যেখানে পরিবারগুলো সফল হতে পারে এবং শিশুরা উন্নতি করতে পারে।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
যুক্তরাস্ট্রের নিউইয়র্কের ব্রুকলীনের ওজন পার্কের কোম্পানীগন্জ সমিতির ভবনে গত ১১ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭ টায় হুমায়ন কবিরের সভাপতিত্বে এবং কবির হোসেন কবিরের সঞ্চালনায় ‘চাটখিল উপজেলা সোসাইটি ইউএসএ এর আলোচনা সভায় প্রধান উপস্থিত ছিলেন জেএসএফ”র সংগঠক আনোয়ার হোসেন লিটন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন মাঈন উদ্দিন নটু, নুর আলম সেলিম, তাজুল ইসলাম ও সাইফুল ইসলাম সুমন। প্রধান বক্তা ছিলেন শরিফ হোসেন নিরব।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাস্ট্রে বসবাসরত চাটখিল উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও চাটখিল পৌরসভার ব্যাক্তিবর্গ র মাঝে হুমায়ন বাংগালী,শওকত আকবর, সরাজ ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, মাহমুদুল মুরাদ, শিহাব বিন ওয়াছেক,আসিফ মাহবুব,শামছুর রহমান, রাজিব হোসেন, শাহরিয়ার হিমেল, মো: মহসিন, নুরুল হুদা পিন্টু, মাহবুব আলম, আবদুর রহিম,নুর জালাল,ইসমাইল হোসেন পলাশ, নুর হোসেন মিঠু,মো নাঈম,আব্দুল কুদ্দুস বাবু,আল আমিন,সন্জয় শীল,সবুজ হোসেন,আবদুর রহমান,ওমর ফারুক শরীফ,আরিফ হোসেন,আমিন উল্লাহ,আবু বক্কার সিদ্দিক,ইব্রাহিম খলিল,নুর হোসাইন,সজীব আহমেদ,লিটন চৌধুরী,শামীম হোসেন,কিরন,মো জাবেদ,রবিউল হাসান সৈকত,বাদশা ফাহাদ,মোহাম্মাদ কাকন,সজীব,মিশু,রিয়াদ হোসেন,রফিকুল ইসলাম,ইয়াছিন আরাফাত রাফি,জহিরুল ইসলাম সোহাগ, মো জামসেদ মজুমদার,হাছান আহম্মেদ, মোহাম্মদ রবিন,মোহাম্মদ ইয়াছিন,রমযান আলি রাশেদ,রবিউল হোসেন রাসেল, ফাহাদ, আমিন উল্যাহ সহ চাটখিলের বিভিন্ন এলাকার ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সকলের আলোচনায় অতিশীগ্রই চাটখিল উপজেলা সোসাইটি ইউএসএর কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়।
এবং সোসাইটির আদর্শ উদ্দেশ্য গঠনতন্ত্র ও সংবিধান তৈরী করার জোর দাবী করা হয়। আপ্যায়ন শেষে হুমায়ন কবিরের সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
খন্দকার আব্দুল্লাহ একজন বাংলাদেশী-আমেরিকান, বিশ্বের অন্যতম সেরা পুলিশ বিভাগ হিসেবে পরিচিত এনওয়াইপিডি-তে ইন্সপেক্টর পদে পদোন্নতি পেয়েছেন সম্প্রতি ।খন্দকার আব্দুল্লাহই প্রথম বাংলাদেশী-আমেরিকান নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগে এত উচ্চপদে আসীন হলেন। এই পদোন্নতির আগে তিনি ছিলেন একমাত্র বাংলাদেশী ডেপুটি ইন্সপেক্টর। বর্তমানে ইন্সপেক্টর খন্দকার আব্দুল্লাহ নিউইয়র্ক সিটির ৮১তম প্রিসিংক্টে কমান্ডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার অব্যাহত পরিশ্রম তাকে এনওয়াইপিডি-তে প্রধানের পদে উন্নীত করবে বলে আশা করা যায়।
খন্দকার আব্দুল্লাহ একজন অভিবাসী, তিনি ১৯৯৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন। জন জে কলেজ (কিউনি) সিটি ইউনিভার্সিটি অব নিউইয়র্ক থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী খন্দকার আব্দুল্লাহ, তার কাজের জন্য ইতিমধ্যে অনেক পুলিশ পদক লাভ করেছেন। সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার তালতলা গ্রামের গর্বিত সন্তান খন্দকার আব্দুল্লাহ, শৈশবে আমেরিকায় এলেও এখনও সাবলীল বাংলায় কথা বলেন। তিনি তার পরিবারের সাথে নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ডে বসবাস করেন।
খন্দকার আব্দুল্লাহ ২০০৫ সালের গ্রীষ্মে নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগে যোগদান করেন। কলেজে পড়ার সময় তিনি একটি জব ফেয়ারে দেখেছিলেন যে এনওয়াইপিডি লোক নিয়োগ করছে। প্রথমে অনেকটা কৌতূহলের বশেই তিনি খণ্ডকালীন ইন্টার্ন হিসেবে পুলিশ বিভাগে যোগ দেন। কলেজে পড়ার সময়ই তিনি পুলিশ ক্যাডেট হিসেবে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। অভিবাসী পরিবারের সন্তান হিসেবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতে নিজের ক্যারিয়ার গড়ার স্বপ্ন সেই সময়েই তাকে পেয়ে বসেছিল। খন্দকার আব্দুল্লাহ ২০০৭ সালে পুলিশ অফিসার হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।কমিউনিটি পক্ষ খন্দকার আবদুল্লাহকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, কৃষ্টি, সংস্কৃতিকে তুলে ধরে বাংলাদেশ ডে প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়েতে রবিবার ,১৩ এপ্রিল জ্যাকসন হাইটসে। নিউইয়র্ক সিটির মেয়র এরিক অ্যাডামস স্পেশাল মার্শাল হিসেবে উপস্থিত থেকে প্যারেডে যোগ দেন। এবার তিনি দ্বিতীয়বারের মতো এই অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন। বাংলাদেশ ডে প্যারেডের প্রধান অতিথি ছিলেন তিনি, পাশাপাশি স্পেশাল মার্শাল হিসেবে পুরো প্যারেডের নেতৃত্ব দেন। প্যারেড উদ্বোধনকালে তিনি এ ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন করায় বাংলাদেশ সোসাইটি ও এর নেতাদের ধন্যবাদ জানান। বাংলাদেশ সোসাইটি এই পুরো আয়োজনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল। এ ছাড়া ছিল হিউম্যানিটি এম্পাওয়ারমেন্ট রাইটস। প্যারেডে ফ্লোট লাইনআপে ছিল ফুল ট্রাক, পিকআপ ট্রাক ও এক্সোটিক কার। প্যারেডে অংশ নেওয়া নারীদের অনেকেই পরেন বাঙালি পোশাক শাড়ি আর পুরুষেরা পাঞ্জাবি। নারীদের অনেকেই সাজেন বাহারি সাজে, মাথায় ছিল ফুল, অনেকে মাথায় বাংলাদেশের পতাকা দিয়ে পট্টি বাঁধেন, পতাকা হাতে ছিল অনেকেরই। খুবই বড় পতাকা ছিল তিন থেকে চারটি। মাঝারি ও বড় পতাকাও নিয়ে আসেন অনেকেই। প্যারেডে অংশগ্রহণকারীরা ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’ গান গান, সেই সঙ্গে বিভিন্ন ট্রাকে বাজতে থাকে বাংলাদেশের গান, বৈশাখের গান। সব মিলিয়ে কিছু সময়ের জন্য জ্যাকসন হাইটসে তৈরি হয় বাংলাদেশের পুরো পরিবেশ।
নিউইয়র্ক সিটি পুলিশ জ্যাকসন হাইটসের ৩৭ অ্যাভিনিউ ৬৯ স্ট্রিট থেকে ৮৭ স্ট্রিট পর্যন্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। ৬৯ স্ট্রিটের মঞ্চে আয়োজকেরা বক্তৃতা করেন। প্যারেড শেষে মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বাংলাদেশের সব জনপ্রিয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি, বাজে তাকদুম তাকদুম বাজে, আজ এলরে এল বৈশাখ। বাংলাদেশ ডে প্যারেড করতে পেরে অংশগ্রহণকারীরা অনেক খুশি। আয়োজকেরাও এ ধরনের অনুষ্ঠান উপহার দিতে পারায় খুশি ও সন্তুষ্ট।
প্যারেডের সাংস্কৃতিক পর্বে অংশ নেন বাংলাদেশের শিল্পী নওশীন, রিচি সোলায়মান, এহসান মিলন, নাদিয়া লিখন, জায়েদ খান, প্রতীক হাসান, নোভা, দেবাশীষ বিশ্বাসসহ প্রবাসের অনেক খ্যাতনামা শিল্পী। প্যারেডে ৬৫টির বেশি সংগঠন অংশ নেয়। এ ছাড়া প্যারেডে নিউইয়র্ক সিটির মেয়রের অফিসের স্টাফদের একাংশ মেয়র অফিসের প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা মীর বাশারের নেতৃত্বে অংশ নেন। তারা বাংলাদেশি কমিউনিটিকে ধন্যবাদ জানান। ছিল নিউইয়র্ক সিটির অশ্বারোহী বাহিনীর সদস্য, পুলিশের গাড়ি, এনওয়াইপিডির ব্যান্ড দল, নিউইয়র্ক সিটি পুলিশ ডিপার্টমেন্ট, নিউইয়র্ক সিটি পুলিশে কর্মরত বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের সংগঠন বাপা, নিউইয়র্ক সিটির ডিপার্টমেন্ট অব ফায়ার, নিউইয়র্ক সিটির ডিপার্টমেন্ট অব কারেকশন, নিউইয়র্ক সিটির পোস্ট অফিসে কর্মরত সংগঠনসহ নিউইয়র্ক সিটির বিভিন্ন সংগঠনের কর্মকর্তারা। প্যারেডে আরও অংশ নেন নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটর জন লু, নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলি জোহরান মামদানি, জেনিফার রাজকুমার,জেসিকা গঞ্জালেস, কুইন্স বরো প্রেসিডেন্ট ডনোভান রিচার্ডসহ বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি। তারা সবাই বাংলাদেশি কমিউনিটিকে ধন্যবাদ জানিয়ে কমিউনিটির প্রশংসা করেন।
বাংলাদেশ প্যারেডে কমিউনিটির বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী ও আঞ্চলিক সংগঠন, বিভিন্ন জেলা ও কমিউনিটি ভিত্তিক সংগঠন অংশ নেয়। এতে মুলধারার দ্যা ক্লিনটন ডেমোক্রেটিক ক্লাব এর সাধারণ সম্পাদক দেলওয়ার মানিক,সদস্য সিনিয়র সাংবাদিক হাকিকুল ইসলাম খোকন,সদস্য ফাহাদ সোলাইমান ও সদস্য সিমন মানিকসহ অনেকেই অংশ নিয়েছে । অনুষ্ঠান শুরু হয় সকাল ১০টায়। বিভিন্ন দিক থেকে প্যারেডে অংশ নেওয়া মানুষেরা প্যারেড শুরুর মঞ্চে আসেন। সাড়ে ১২টার দিকে র্যালি শুরু হয়। শেষ হয় দুইটার দিকে। ৩৭ অ্যাভিনিউ ৬৯ থেকে প্যারেড শুরু হয় আর শেষ হয় ৮৭ স্ট্রিটে। প্রথমে প্যারেড করে সবাই ৮৭ স্ট্রিটে পৌঁছান। এরপর সেখানে অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলে বিকেল পর্যন্ত। প্যারেড শুরুর আগে ৬৯ স্ট্রিটকে সমাবেশস্থল ধরা হয়। সেখানে সকাল থেকে বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে অংশগ্রহণকারীরা উপস্থিত হতে থাকেন। বাজানো হয় বাংলাদেশের বিভিন্ন গান। বাংলাদেশ ও আমেরিকার জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর একে একে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মেয়র এরিক অ্যাডামস, মেয়র অফিসের প্রধান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ কর্মকর্তা মীর বাশার, বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি আতাউর রহমান সেলিম, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, গ্র্যান্ড মার্শাল শাহ নেওয়াজ, রানো নেওয়াজ, ফাহাদ সোলায়মান, আজিমুর রহমান বুরহান, জন লু, স্টেট অ্যাসেম্বলি জোহরান মামদানি, জেসিকা গঞ্জালেস, কুইন্স বরো প্রেসিডেন্ট ডনোভান রিচার্ড, ঠিকানার সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি এম এম শাহীন, কমিটেড হোম কেয়ারের ভাইস প্রেসিডেন্ট গিয়াস আহমদ, মুশরাত শাহীন অনুভা, নুরুল আজিম, শাহ জে চৌধুরী, শাহজাদী পারভিন সারাহ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সোসাইটির সূত্র জানায়, প্যারেডে অংশ নেয় ৬৫টিরও বেশি সামাজিক-সাংস্কৃতিক-আঞ্চলিক সংগঠন। বাংলাদেশ ডে প্যারেডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন আতাউর রহমান সেলিম, চিফ অ্যাডভাইজর গিয়াস আহমেদ, কনভেনর মোহাম্মদ আলী, মেম্বার সেক্রেটারি ফাহাদ সোলায়মান, অর্গানাইজিং সেক্রেটারি এফইএমডি রকি, চিফ ম্যানেজমেন্ট ডিরেক্টর জে মোল্লা সানি, চিফ কো-অর্ডিনেটর আহসান হাবিব, চিফ ইভেন্ট কো-অর্ডিনেটর ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার, প্যারেডের কো-চেয়ারম্যান মো. কামরুজ্জামান, কাজী আজম, নুরুল আজিম, হারুন ভুঁইয়া, ফিরোজ আহমেদ, শাহ শহীদুল হক, তরিকুল ইসলাম বাদল, কো-কনভেনর শাকিল মিয়া, শাহ জে. চৌধুরী, তারেক হোসেন খান, নুর আমিন ও আখতার হোসেন।
এদিকে মেয়র এরিক অ্যাডামস প্যারেডের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেন, আমি এখানে আসতে পেরে আনন্দিত বোধ করছি। এ ধরনের আয়োজন করার জন্য আমি আয়োজকদেরকে ধনবাদ জানাচ্ছি। মেয়রকে স্পেশাল মার্শালের উত্তরীয় পরিয়ে দেন গিয়াস আহমেদ।
প্যারেডে আরও অংশ নেয় বাংলাদেশ সোসাইটি, বাংলাদেশি আমেরিকান সোসাইটি, জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটি, এস্টোরিয়া ফ্রেন্ড সোসাইটি, প্রবাসী নরসিংদী জেলা অ্যাসোসিয়েশন, পোস্টাল এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন, প্রবাসী মতলব জেলা অ্যাসোসিয়শন, জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন ইউএসএ ইনক, বাংলাদেশ ল’ সোসাইটি, সেফ, এ্যাম্পাওয়ারমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন সংগঠন।
বাংলাদেশ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী বলেন, যারা প্যারেডে অংশ নিয়েছেন ও প্যারেডকে সফল করার উদ্যোগ নিয়েছেন, তাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। মেয়র এরিক অ্যাডামস, মীর বাশারসহ সবার প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। ৬৫টি সংগঠনের নেতারা এসেছেন, তাদেরকে অভিনন্দন। বাংলাদেশ সোসাইটি একটি মাদার সংগঠন। এই সংগঠনকে সবার সহায়তা করা উচিত ।
অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশি কানাডিয়ান তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। একাকীত্ব, বর্ণবৈষম্য, অর্থনৈতিক চাপ, অভিভাবকত্বের সমস্যা, শিক্ষাগত চাপ এবং প্রযুক্তির অতিরিক্ত ব্যবহারের মতো বিভিন্ন কারণে তরুণরা মানসিক সমস্যায় ভুগছে। এই বিষয়ে সচেতনতা তৈরি ও সমাধানের পথ খুঁজতে বেঙ্গলি ইনফরমেশন অ্যান্ড এমপ্লয়মেন্ট সার্ভিসেস (বিআইইএস) একটি আলোচনা সভার আয়োজন করে।
কানাডার স্থানীয় সময় ১৭ জানুয়ারি সংগঠনের ডেনফোর্থস্থ অফিসে আয়োজিত ‘বাংলাদেশি কানাডিয়ান তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্যের চ্যালেঞ্জ এবং উত্তরণের পথ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। বিআইইএস-এর নির্বাহী পরিচালক ইমাম উদ্দিনের সঞ্চালনায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন সংগঠনের প্রেসিডেন্ট নিজাম উদ্দিন।
আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বিশিষ্ট সাংবাদিক শওগাত আলী সাগর, সোশ্যাল ওয়ার্কার নেসার আহমেদ, বিআইইএস-এর জেনারেল সেক্রেটারি ড. মাহতাব শাওন, বাংলাদেশি চিকিৎসক হুমায়রা তাহিতি, ব্যবসায়ী আজিম উদ্দিন আহমেদ, তরুণদের প্রতিনিধি ফাতেমা সরকার, উন্নয়ন কর্মী রীনা সেন গুপ্তা এবং বিআইইএস-এর পরিচালক গোলাম মোস্তফা।
বিআইইএস প্রেসিডেন্ট নিজাম উদ্দিন তার মূল বক্তব্যে উল্লেখ করেন, মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যাগুলো লুকিয়ে রাখা, অভিভাবকত্বের অভাব, ভিন্ন সংস্কৃতির সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর চ্যালেঞ্জ এবং সচেতনতার অভাব তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য সংকটের মূল কারণ। তিনি কমিউনিটি-ভিত্তিক মেন্টাল হেলথ প্রোগ্রাম চালু, সচেতনতা বৃদ্ধি এবং কালচারালি উপযোগী সেবা প্রদান করার সুপারিশ করেন।
সাংবাদিক শওগাত আলী সাগর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চতর শিক্ষাকার্যক্রমে পড়াশোনার চাপ অনেক তরুণকে হতাশাগ্রস্ত করছে। তিনি অভিভাবকদের প্রতি সন্তানদের সমস্যা গভীরভাবে বোঝার এবং তাদের পাশে থাকার আহ্বান জানান। ব্যবসায়ী আজিম উদ্দিন আহমেদ মানসিক স্বাস্থ্য সংকট মোকাবিলায় পলিসি লেভেলে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সোশ্যাল ওয়ার্কার নেসার আহমেদ উল্লেখ করেন, কমিউনিটির মধ্যে এখনও মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়টি গ্রহণযোগ্য নয়। তরুণদের জন্য কার্যকর কাউন্সেলিং সেবা এবং কমিউনিটি রিসোর্স ব্যবহারের ওপর জোর দেন তিনি।
তরুণদের প্রতিনিধি ফাতেমা সরকার বলেন, অভিভাবকরা আমাদের বোঝেন না, ভয় দেখান। তাদের উচিৎ আমাদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ হওয়া এবং মন খুলে কথা বলার পরিবেশ তৈরি করা।
সবশেষে, বক্তারা বাংলাদেশি কানাডিয়ান তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে কমিউনিটি সংগঠনগুলোর সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান।