চলারপথে রিপোর্ট :
কুমিল্লার লাকসামে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ভিক্টোরি অব হিউম্যানিটি অরগানাইজেশনের আয়োজনে ‘তারুণ্যের ভাবনায় আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। আজ ৩০ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় উপজেলা সদরের দৌলতগঞ্জ মাদ্রাসায় মিলনায়তনে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
ভিক্টোরি অব হিউম্যানিটি অরগানাইজেশনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক লুৎফুর রহমান জুয়েলের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা, সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব রাফসান ইসলাম।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ভিক্টোরি অব হিউম্যানিটি অরগানাইজেশনের সভাপতি ফয়সাল ইসলাম বাপ্পীর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিখির বক্তব্য রাখেন- দৌলতগঞ্জ মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ড. মো. আবদুল হান্নান, হেড মুহাদ্দিস মাওলানা ড. আবদুল হালিম, সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব শাহরিয়ার কবির রাতুল, তন্ময় ইসলাম, লাকসাম প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব ফারুক আল শারাহ, সামাজিক ব্যক্তিত্ব আজিজুর হক মজুমদার সুইট। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ভিক্টোরি অব হিউম্যানিটি অরগানাইজেশনের সাধারণ জহিরুল কাইয়ুম অনিক।
চলারপথে রিপোর্ট :
প্রেমিক যুগল বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। তাদেরকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল শুক্রবার রাত ১০টার দিকে মাধবপুরের নতুন বেদে পল্লিতে।
প্রেমিকা পূর্ণিমা নতুন বেদে পল্লির বলু মিয়ার মেয়ে ও প্রেমিক বাদল একই পল্লির মৃত জামাল মিয়ার ছেলে। সম্পর্কে তারা চাচাতো ভাই-বোন।
হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাতে প্রেম সংক্রান্ত কলহের জেরে পূর্ণিমা ও বাদল তাদের নিজ নিজ বসতঘরে ইঁদুর মারার বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে তাদের পরিবারের লোকজন পূর্ণিমা ও বাদলকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিয়ে এলে, হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. নাজমুল হক তাদেরকে মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোজাফ্ফর হোসেন জানান, মাধবপুরের নতুন বেদে পল্লির প্রেমিক যুগল বিষপান করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভর্তি হয়েছে। হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তারা একসাথে বিষপান করলেও কী কারণে বিষপান করেছেন তা অস্পষ্ট।
অনলাইন ডেস্ক :
সৌদি আরবের মদিনায় শ্রমিকের কাজ করে বাসায় ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো কুমিল্লার দেবিদ্বারের যুবক মো. বাছির উদ্দিনের (২৩) মরদেহ প্রায় দেড় মাস পর দেশে এসেছে। মো. বাছির দেবিদ্বার উপজেলার হোসেনপুর গ্রামের মৃত স্বপন আলীর ছেলে।
১৭ জানুয়ারি শুক্রবার রাত ৭টার দিকে উপজেলার জাফরগঞ্জ ইউনিয়নের হোসেনপুর ঈদগাহ মাঠে সামনে জানাযা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
জানাযায় উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ, কুমিল্লা উত্তর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মু সাইফুল ইসলাম শহীদ, উপজেলা বিএনপি নেতা মো. আবুল হোসেন লিপুসহ স্থানীয়রা।
বিকালে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাছির উদ্দিনের মরদেহ এসে পৌঁছায়। পরে সন্ধ্যায় মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। তার মৃত্যুতে পরিবার ও এলাকাবাসীর মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
বাছির উদ্দিনের শ্বশুর সিরাজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বাছির উদ্দিন মারা যাওয়ার পর মরদেহ দেশে ফেরানোর জন্য চেষ্টা করেও ব্যর্থ হই।
পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহর সহযোগিতায় দেড় মাস পর বাছিরের মরদেহ বাড়িতে আনা হয়।
তিনি আরো বলেন, গত ৫ ডিসেম্বর সৌদি আরবের মদিনায় একটি কোম্পানির কনস্ট্রাকশন কাজ শেষ করে বাসায় ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় বাছির মারা যায়। আমরা প্রতিবেশী এক প্রবাসীর মাধ্যমে খবর জানতে পারি।
বাছিরের মা শাহীনা বেগম বলেন, বাছিরের বাবা দুই বছর আগে মারা যায়।
পরে অনেক ধারদেনা করে বাছিরকে সৌদি আরবে পাঠাই। আমার ছেলে যে ওখানে মারা যাবে কে জানত। আমার পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ছিল বাছির।
জানাযা পূর্ব বক্তব্যে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, বাছিরের পরিবারের প্রায় সাড়ে ৭ লাখ টাকা ঋণ রয়েছে। এই ঋণ পরিশোধের দায়িত্ব আমাদের। আমাদের কিছু সময় দিতে হবে। আমরা এলাকার সবাই মিলে যদি বাছিরের পরিবারের দিকে খেয়াল রাখি, তাহলে এই পরিবারটি স্বাবলম্বী হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
হবিগঞ্জে প্রায় ডজনখানেক ডাকাতি ও মাদক মামলার আসামি জুয়েল মিয়া (৪০) কে ৬০ কেজি গাঁজাসহ গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আজ ২৯ জানুয়ারি বুধবার সকালে মাধবপুর উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের অন্তর্গত গন্ধরাবপুর-আহমদপুর হাই স্কুল এলাকার পার্শ্ববর্তী একটি আম বাগান থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এসময় তার সাথে থাকা অন্য মাদক কারবারিরা পালিয়ে যায়। গ্রেফতারকৃত জুয়েল মিয়া মাধবপুর উপজেলার রাজেন্দ্রপুর গ্রামের আউশ মিয়ার পুত্র। অভিযানে নেতৃত্বদেন ডিবি পুলিশের এসআই মাহমুদুল হাসান ও এএসআই আব্দুল আলীমের নেতৃত্বে একটি টিম।
এসআই মাহমুদুল হাসান জানান- জুয়েল মিয়া এলাকার একজন চিহ্নিত ডাকাত ও মাদক ব্যবসায়ী। সকালে সেসহ তার সহযোগীরা ওই এলাকায় দিয়ে মাদক পাচার করছিল। এসময় গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হলেও অন্যান্য সহযোগীরা পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে ৬০ কেজি গাজা উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন- মাদক কারবারি জুয়েল মিয়ার বিরুদ্ধে মাদক ও ডাকাতিসহ প্রায় ডজনখানেক মামলা রয়েছে। সে বেশ কয়েকটি মামলার পলাতক আসামি। তার বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দিয়ে তাকে মাধবপুর থানায় হস্তান্তর করা হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে কাঠ রিফাইন কারখানার বয়লার বিস্ফোরণে ২ জন নিহত হয়েছেন। এতে আরো দুইজন আহত হয়েছেন।
আজ ১৪ জানুয়ারি মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার বলুহর বাসস্ট্যান্ডে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- উপজেলার সিঙ্গিয়া গ্রামের ওমর আলীর ছেলে মিল্টন (২৬) ও একই গ্রামের ক্ষিতিশের ছেলে রাম কুমার (৫৫)।
স্থানীয়রা জানান, স্থানীয় মিজানুর রহমানের ডিজাইন কারখানার বয়লারে বিকেলে কাঠে তাপ দেওয়া হচ্ছিল। হঠাৎ বয়লার বিস্ফোরণ হয়ে ঘটনাস্থলেই কারখানার মিস্ত্রি মিল্টন ও রাম কুমার মারা যান। এসময় দুই শ্রমিক আহত হন। তাদের উদ্ধার করে প্রথমে কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে যশোরে পাঠানো হয়।
কোটচাঁদপুর থানার ওসি কবির হোসেন মাতুব্বর বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বয়লারে অতিরিক্ত তাপ দেয়ার কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে মনে হচ্ছে।
অনলাইন ডেস্ক :
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক বরাব এলাকায় ২৩ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৮টার দিকে ট্রেনে কাটা পড়ে একসাথে দুই বন্ধু নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন, উপজেলার বলিয়াদি এলাকার আলহাজ সালাউদ্দিন সিদ্দিকীর ছেলে মাহমুদুল হাসান সিদ্দিকী চঞ্চল (৩৮) ও কোনাবাড়ী এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে হামিদুর রহমান রিপন (৩৯)। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করেছে জয়দেবপুর রেলওয়ে পুলিশ।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, রাত সাড়ে ৮টার দিকে চঞ্চল চৌধুরী ও রিপন হোসেন দুই বন্ধু কোনাবাড়ী থেকে বরাব এলাকার উদ্দেশে রওনা দেয়। বরাব গ্রামে বিএনপির একটি উঠান বৈঠক রয়েছে। তারা দুই বন্ধু উঠান বৈঠক সফল করার লক্ষ্যে বরাবর রওনা দেয়। পথিমধ্যে উত্তরবঙ্গের রেললাইনের বরাব খোলাপাড়ায় রেললাইন পারাপারের সময় দ্রুতগামী একটি ট্রেন দুই বন্ধু ওপর দিয়ে চলে যায়। এতে তাদের দেহ ছিন্ন-ভিন্ন হয়ে রেল লাইনের ওপর পড়ে থাকে।
জয়দেবপুর রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ নাদির উজ জামান বলেন, নিহতদের স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তাদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়।