অনলাইন ডেস্ক :
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) প্রধান ইমরান খানকে গ্রেফতার করতে তার বাসভবনে গেছে পুলিশ। এ খবর দিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমগুলো।
ডন জানিয়েছে, সরকারপ্রধান হিসেবে পাওয়া উপহার রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা না দেওয়ার অভিযোগে (তোশাখানা মামলা) দায়ের হওয়া মামলায় হাজিরা না দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে ইসলামাবাদের সেকশন কোর্ট। পরোয়ানা জারির কয়েকদিন পর তাকে গ্রেফতার করতে গেল পুলিশ।
খবরে উল্লেখ করা হয়েছে, ইসলামাবাদ পুলিশ ৫ মার্চ রবিবার তাদের পাঞ্জাব পুলিশের সহযোগীদের নিয়ে পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানের লাহোরের জামান পার্কের বাসভবনে পৌঁছেছে। তোশাখানা মামলার শুনানিতে ক্রমাগত অনুপস্থিতির জন্য সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করে আদালত। সেই পরোয়ানা কার্যকর করতেই তাকে গ্রেফতার করতে গেছে পুলিশ।
ক্রিকেট থেকে রাজনীতে আসা ৭০ বছর বয়সি ইমরান খান গত বছরের নভেম্বরে লংমার্চ চলাকালে ওয়াজিরাবাদে দুর্বৃত্তের গুলিতে আহত হন। তার পর থেকেই চিকিৎসকের পরামর্শে বিশ্রামে আছেন তিনি। সে কারণেই আদালতে উপস্থিত না হতে বারবার আবেদন করেন সাবেক পাক প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে ইমরান খানের বাসভবনে পুলিশ পৌঁছলে তার চিফ অফ স্টাফ সিনেটর শিবলি ফারাজ পিটিআই প্রধানের গ্রেফতারের পরোয়ানা গ্রহণ করেন। এ সময় তিনি পুলিশকে জানান যে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী তার জামান পার্কের বাসভবনে নেই। তবে তিনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।
অপরদিকে দলীয় চেয়ারম্যানের বাসভবনে পুলিশ পৌঁছানোর খবর পেয়ে হাজার হাজার নেতাকর্মী সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে জড়ো হন। এ সময় তারা হুশিয়ার করে বলেন, পিটিআই চেয়ারম্যানকে গ্রেফতার করা হলে গণবিক্ষোভের ডাক দেওয়া হবে। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, তাকে না নিয়ে তারা ফেরত যাবেন না।
অনলাইন ডেস্ক :
গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধে এ পর্যন্ত ৩৪ হাজার ১২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৭৬ হাজার ৮৩৩ জন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, গেল ২৪ ঘণ্টায় গাজায় ৪২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৬৩ জন।
৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। এতে এক হাজার ১৯৩ জন নিহত হন। আহত হন আট হাজার ৭৩০ জন। হামাস ইসরায়েলের প্রায় আড়াইজনকে জিম্মি করে।
ইসরায়েল পরে গাজায় হামলা শুরু করে। গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরুর পর থেকে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্যাতনের ঘটনা বেড়েছে।
গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত অধিকৃত পশ্চিম তীরে ৪৬৮ জনের প্রাণ গেছে। আহত হয়েছেন অন্তত চার হাজার ৮০০জন।
জাতিসংঘের নারীবিষয়ক সংস্থা বলছে, যুদ্ধে নিহতদের এক তৃতীয়াংশই নারী। অন্তত ১০ হাজার নারী এ যুদ্ধে নিহত হয়েছেন। সূত্র : আল জাজিরা
অনলাইন ডেস্ক :
চীনের তিব্বতে ইয়ারলুং জাংবো নদে (ভারত-বাংলাদেশে যার পরিচিতি ব্রহ্মপুত্র) বেইজিংয়ের বাঁধ নির্মাণের খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল বলেছেন, এ বিষয়ে ভারতের মতামত ও উদ্বেগের কথা চীনকে জানানো হয়েছে। অভিন্ন নদীর ক্ষেত্রে ভাটির দেশেরও কিছু অধিকার আছে।
৩জানুয়ারি শুক্রবার চীনের বাঁধ নির্মাণ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র। রণধীর জয়সোয়াল বলেন, রাজনৈতিক ও বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে সেই অধিকারের কথা বারবার জানানো হয়েছে। সেই অধিকার ও স্বার্থের বিষয়ে ভারতের পর্যবেক্ষণ জারি আছে। সরকার সেইমতো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও গ্রহণ করবে।
জানা গেছে, এই বাঁধ নির্মাণে চীনের খরচ হবে আনুমানিক ১৩ হাজার ৭০০ কোটি ডলার। দেশটির ‘থ্রি গর্জেস’ বাঁধের চেয়ে বড় প্রস্তাবিত এই বাঁধ। এটি নির্মিত হলে তা হবে পৃথিবীর বৃহত্তম বাঁধ। প্রস্তাবিত বাঁধ নিশ্চিতভাবেই দুই ভাটির দেশ ভারত ও বাংলাদেশের নদীপ্রবাহে প্রভাব ফেলবে। দুই দেশই এ বিষয়ে চিন্তিত।
এ নিয়ে জয়সোয়াল বলেন, ওই তল্লাটে চীনের দখলদারি ভারত কখনো মেনে নেয়নি, নেবেও না। তাদের ওই ঘোষণা ভারতের সার্বভৌমত্বের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না। ওই এলাকা ভারতের ছিল, ভারতেরই থাকবে। কূটনৈতিক পর্যায়ে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো হবে। সূত্র : এনডিটিভি
অনলাইন ডেস্ক :
বিশ্বরেকর্ড গড়তে কতরকম অদ্ভুত ঘটনাই না ঘটান লোকজন। টানা সাত দিন কেঁদে সাময়িক দৃষ্টি হারিয়ে এমনই এক অদ্ভুত কাজ করেছেন টেম্বু এবেরে নামের এক নাইজেরিয়ান যুবক।
বিবিসির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, এবেরে গিনেস রেকর্ডে নাম উঠাতে জোর করে এক সপ্তাহ কান্না করেন। পরে তার মাথাব্যথা শুরু হয় ও চোখ-মুখ ফুলে যায়। এ ঘটনার পর ৪৫ মিনিট দৃষ্টিহীন ছিলেন এবেরে।
তবে রেকর্ড গড়তে ঝুঁকি নিয়ে নাইজেরিয়ানদের এমন কাজ না করার পরামর্শ দিয়েছে জিডব্লিউআর।
টেম্বু বিবিসিকে জানান, যেহেতু গিসেস বুকে নাম লেখানোর জন্যে তিনি আবেদন করেননি, তাই তার এই রেকর্ড গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ আমলে নিচ্ছে না।
অনলাইন ডেস্ক :
বিশ্বে কেউ উঁচু দালান দেখলে ভয় পায় আবার কেউ অন্ধকারে ভয় পায়। কলা দেখে ভয় পাওয়ার কথা কেউ কি কখনো শুনেছেন? এবার বিরল এই ‘ব্যানানাফোবিয়া’ বা ‘কলাভীতি’ সমস্যার কথা শুনা যাচ্ছে। ওই ভীতিতে ভুগছেন সুইডেনের লিঙ্গ সমতাবিষয়ক মন্ত্রী পাওলিনা ব্রান্ডবার্গের।
তিনি বিরল কলা-ভীতির সমস্যায় আক্রান্ত। একে বলা হয় ‘ব্যানানাফোবিয়া’। সেই কারণে তার সরকারি সফরের সময় আশপাশ থেকে সব কলা সরাতে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। মন্ত্রীর সফরের সময় তার কক্ষ থেকে আগে থেকেই সমস্ত কলা সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন সুইডিশ সরকারি কর্মকর্তারা। সম্প্রতি এমনই খবর জানায় বিবিসি।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেসেনের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ব্র্যান্ডবার্গের সহকারী কর্মকর্তারা ই-মেইলে অনুরোধ করেছেন, মন্ত্রীর উপস্থিতির আগে যেন কোথাও কলা না থাকে। ২০২০ সালে ব্র্যান্ডবার্গ এক্স (সাবেক টুইটার)-এ নিজেই তার বিশ্বের অদ্ভুততম কলা-ভীতি সম্পর্কে জানিয়েছিলেন। যদিও সেই পোস্টটি পরে মুছে ফেলা হয়।
কলা-ভীতি শুধু ব্র্যান্ডবার্গের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। সুইডিশ রাজনীতিবিদ টেরেসা কারভালোও একই ধরনের ভীতিতে ভোগেন। কারভালো মজার ছলে উল্লেখ করেন যে, যদিও কর্মক্ষেত্রে নানা বিষয়ে তার এবং ব্র্যান্ডবার্গের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে, কিন্তু কলা নিয়ে ভীতি তাদের মধ্যে একটি ‘সাধারণ শত্রু’ হিসেবে দেখা দিয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্যানানাফোবিয়া খুবই বিরল একটি মানসিক সমস্যা। এর কারণে কলা দেখা বা গন্ধ পাওয়ার সাথে সাথেই উদ্বেগ, মানসিক অস্বস্তি বা বমি বমি ভাবের মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। ব্র্যান্ডবার্গের অফিস থেকে পাঠানো ইমেইলে এটি শক্তিশালী অ্যালার্জি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। মন্ত্রী নিজেও একে ফোবিয়া হিসেবে স্বীকার করেছেন এবং জানিয়েছেন যে, তিনি এই সমস্যার সমাধানে পেশাগত সাহায্য নিচ্ছেন।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, অনেক বিরল ফোবিয়ার মতো ব্যানানাফোবিয়ার কারণও অস্পষ্ট। তবে শৈশবে ঘটে যাওয়া কোনো নেতিবাচক অভিজ্ঞতা থেকে এই ভীতি জন্ম নিতে পারে। ব্র্যান্ডবার্গের এই বিশেষ কলা-ভীতির খবর মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতার প্রয়োজনীয়তার দিকে ইঙ্গিত করে। মানসিক ফোবিয়া যে ধরনেরই হোক, তা ব্যক্তির দৈনন্দিন জীবনে বড় প্রভাব ফেলতে পারে। সুইডেনের সরকারি কর্মকর্তারা এই ধরনের বিরল ফোবিয়াকে গুরুত্ব দিয়ে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়ে সচেতনতার একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
অনলাইন ডেস্ক :
তৃতীয়বারের মতো আজ শপথগ্রহণ করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার সঙ্গে শপথ নেবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। তবে মন্ত্রীদের নাম এখনো জানা যায়নি। সূত্রের বরাতে কয়েকজনের নাম প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো। যেখানে উঠে এসেছে অমিত শাহ, রাজনাথ সিংয়ের মতো নেতাদের নাম।
আজ ৯ জুন রবিবার শপথগ্রহণের আগে সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন মোদি। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অমিত শাহ, রাজনাথ সিং, নিতিন গাড়কারি, নির্মলা সীতারমস, ড. এস জয়শঙ্কর, ধর্মেন্দ্র প্রধান, অশ্বীনি বৈষ্ণ ও পিযুষ গোয়াল। তারা সবাই মোদির সর্বশেষ ক্ষমতাকালে মন্ত্রী ছিলেন।বৈঠকে আরও ছিলেন বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা শিবরাজ সিং চৌহান, জোতিরাদিত্য শিন্ডিয়া, রাজিব রঞ্জন সিংসহ অন্যান্যরা।
এবার মোদির মন্ত্রিসভায় আগের থেকে অনেক পার্থক্য থাকবে। কারণ এখন মোদির বিজেপির একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই। তাই জোটের শরীকদের ওপর অনেকটা নির্ভর করতে হচ্ছে তাদের। দিতে হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়।
সূত্রের বরাতে এনডিটিভি জানিয়েছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ও সড়ক ও মহাসড়কমন্ত্রী নিতিন গাড়কারি নিজেদের মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বেই থাকছেন। জয়শঙ্করই থাকতে পারেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
মন্ত্রী হিসেবে অভিষেক হতে পারে চিরাগ পাসওয়ান, জেডিএসের কুমারাস্বামী ও আপনা দলের অনুপ্রিয়া পাটেলের। বিজেপির অনেক দিনের মিত্র রিপাবলিকা পার্টি অব ইন্ডিয়ার প্রধান রামাদাস আথাওয়ালেও এবার মন্ত্রী হতে পারেন।