চলারপথে রিপোর্ট :
“অলিম্পিক খেলায় জয় লাভই বড় কথা নয়, অংশ গ্রহণই বড় কথা” এই স্মরণীয় বাক্যকে সামনে রেখে গতকাল বুধবার দিনব্যাপী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রথম নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সাবেরা সোবহান সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬২তম বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা-২০২৫ নিজস্ব মাঠে আনন্দমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধান শিক্ষক মোঃ বদিউজ্জামান ভূঞার সভাপতিত্বে ও স্বাগত বক্তব্যে আয়োজিত ক্রীড়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মাহমুদা আক্তার। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) ইকবাল হোসাইন, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ জুলফিকার হোসেন, অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ জাকির হোসেন, গভর্ণমেন্ট মডেল গার্লস হাই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল লতিফ, সাবেরার সাবেক প্রধান শিক্ষক মোঃ নুরুজ্জামান, সাংবাদিক আবুল হাসনাত অপু, সাংবাদিক মোঃ নুরুল আরাফাত মুগ্নি, সাবেক সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু হোরায়রাহ। ছাত্রীদের জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে প্রধান অতিথি মাহমুদা আক্তার জাতীয় পতাকা এবং বিশেষ অতিথি ইকবাল হোসাইন ক্রীড়া পতাকা উত্তোলন করেন। ক্রীড়াবিদ, যুব রেড ক্রিসেন্ট, গার্লস গাইড, হলদে পাখি ও গার্ল ইন স্কাউট সদস্যাদের বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ-মাঠ পরিভ্রমণের পর প্রধান অতিথি শান্তির প্রতিক পায়রা উড়িয়ে আনুষ্ঠানিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা উদ্বোধন করেন। পরবর্তীতে ক্রীড়াবিদগণ শপথ গ্রহণ ও অলিম্পিক মশাল নিয়ে মাঠ প্রদক্ষিণ করে। কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণকারীরা মনোজ্ঞ শরীর চর্চা এবং নৃত্য পরিবেশন করে সবাইকে মাতিয়ে রাখে।
উদ্বোধনী বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মাহমুদা আক্তার ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন, খেলাধুলা শরীর ও মনকে উজ্জীবিত করে। এর মাধ্যমে সারা বিশ্বে পরিচিতি ঘটে। তিনি আরও বলেন, খেলার পাশাপাশি পড়ালেখাও মেধার বিকাশ ঘটিয়ে যথাযথভাবে তোমাদের নিজেদেরকে দেশের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। পর্যাপ্ত শিক্ষা অর্জনের মাধ্যমে দেশের পিছিয়ে পড়া নারীদেরকেও সরকার প্রশাসনসহ সর্বক্ষেত্রে নিজ যোগ্যতাবলে এগিয়ে যেতে হবে এবং সুন্দর দেশ গড়নে ভূমিকা রাখতে হবে।
বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আহবায়ক ও সিনিয়র শিক্ষক মোঃ গিয়াস উদ্দিনের সার্বিক পরিচালনায় মোট ৩৬টি আইটেমে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শাখার ২১ শত প্রতিযোগী অংশ নেন। বিগত ১৯৬৪ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত সাবেরা সোবহান সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নারী শিক্ষায় ধারাবাহিক অবদান রেখে চলেছে। অতিথিবৃন্দ বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেনের টিকেট কালোবাজারি চক্রের ৫জন সদস্যকে আটক করেছে র্যাব-৯। এসময় বিভিন্ন ট্রেনের ১২৯টি আসনের ৫৯টি অনলাইন টিকেট, ৭টি মোবাইল ফোন ও টিকেট বিক্রয়ের ৪৮ হাজার টাকা উদ্ধার করে জব্দ করা হয়েছে। আজ ২৬ ফেব্রুয়ারি সোমবার দুপুরে (র্যাব-৯) থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আটককৃতরা হলো শহরের উত্তর মোড়াইল এলাকার মোঃ আব্দুল হাকিম (৩৫) মোঃ জাকির হোসেন (৪৮), মোঃ রুবেল মিয়া (৩২), মোঃ শাহিন মিয়া (৪০) ও মোঃ সাজ্জাদ মিয়া (২৮)।
এর আগে রবিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে র্যাব-৯ এর সদস্যরা।
(র্যাব-৯) এর সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ মশিহুর রহমান সোহেল জানান, টিকেট কালোবাজারিদের দৌরাত্ম থামাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৯ এর একটি আভিযানিক দল ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনে অভিযান চালায়।
এ সময় বিভিন্ন ট্রেনের ১২৯ টি আসন বিশিষ্ট ৫৯ টি টিকেট, কালোবাজিরর কাজে ব্যবহৃত ৭টি মোবাইল ফোন ও নগদ ৪৮হাজার টাকাসহ ৫ কালোবাজারিকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা জানিয়েছে, অবৈধভাবে লাভবান হওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে পরস্পর যোগসাজশের মাধ্যমে ট্রেনের টিকেট কালোবাজারি করে আসছিল।
এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে আখাউড়া রেলওয়ে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
উৎসবমূখর পরিবেশে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির কার্যকরি পরিষদের ত্রি-বার্ষিক সাধারণ নির্বাচন ২৩ নভেম্বর শনিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচন উপ-কমিটি ২০২৪ এর চেয়ারম্যান মোঃ আবুল বাশার, সদস্য সচিব মোহাম্মদ নিয়ামত খান, উপদেষ্টা হাজী মোঃ শাহজাহান মিয়া ও সদস্য মোঃ মঞ্জুর আলমের সার্বিক তত্ত্বাবধানে জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় মেড্ডাস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির প্রধান কার্যালয়ে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। দিনব্যাপী ভোটগ্রহণ শেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির নির্বাচন উপ-কমিটি ২০২৪ এর চেয়ারম্যান মোঃ আবুল বাশার স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন জসিম উদ্দিন জমসেদ, কার্যকরি সভাপতি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন কাজী তাহাসিন, সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন আমজাদ খান, সহ-সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন মোঃ ছোট্ট মিয়া, সহ-সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন মোঃ নুরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন মোঃ হানিফ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন শাহাদাত হোসেন, সহ-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মোঃ ফায়েজ খাঁন, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন মোঃ আক্তার মিয়া, দপ্তর সম্পাদক পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন মোঃ হানিফ, প্রচার সম্পাদক পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন মোঃ আব্দুর রহমান, আপ্যায়ন সম্পাদক পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন মোঃ জাকারিয়া মাসুদ নোয়াব, কোষাধ্যক্ষ পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন এম এ কাউছার, কার্যকরি সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ্, মোঃ আক্তার হোসেন, মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ্, মোঃ আক্তার হোসেন, আবুল বাসার, আল নওয়াব, মোঃ শাহজাহান সিরাজ, মোঃ আবু তাহের।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১৪ মামলার এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ ২৮ জুন শুক্রবার সকালে পৌর শহরের কান্দিপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত রিগ্যান পাঠান (৩২) কান্দিপাড়া এলাকার ইয়াছিন পাঠানের ছেলে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) সুমন বনিক জানান, শুক্রবার সকালে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে শহরের কান্দিপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার রিগ্যানের বিরুদ্ধে ডাকাতি, ডাকাতির প্রস্তুতি, ছিনতাই, মাদক, চুরি, অস্ত্র, বিস্ফোরক আইনে ১৪টি মামলা রয়েছে। তিনি এলাকার চিহ্নত সন্ত্রাসী। দুপুরে কোর্টের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ফরেনসিক মেডিসিন ও টক্সিকোলজি বিভাগের আধুনিকায়ন মিউজিয়ামের উদ্বোধন করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ডাঃ মোঃ আবু সাঈদ এর উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কলেজের অধ্যক্ষ ও শিশু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আবু সুফিয়ান, ফরেনসিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডাঃ মোহাম্মদ ইমরান হোসাইন, সার্জারী বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডাঃ জাহাঙ্গীর হোসেন ভূইয়া, ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ সারওয়ার আলমসহ চিকিৎসকগন উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠানে ডাঃ মোঃ আবু সাঈদ বলেন, মেডিকেল পড়াশুনার জন্য যুগোপযোগী সকল কিছু অপরিসীম। আধুনিকায়ন ব্যতীত মেডিকেল কার্যক্রমে অসমাপ্তি রয়ে যায়। তাই সকল বিভাগের আধুনিকায়নই একান্তই প্রয়োজন। এ সময় মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সকল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক, প্রভাষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীগন উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে আজ বৃহস্পতিবার তিতাসের বুকভরা ঢেউ আর প্রাণের উচ্ছাসে তিতাস নদীতে ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পৌর এলাকার শিমরাইলকান্দি গাঁওগেরাম পয়েন্ট থেকে মেড্ডা মেড্ডা সরকারি শিশু পরিবার পয়েন্ট পর্যন্ত তিতাস নদীতে এই নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত হয়।
আজ ৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুুপুর পৌনে তিনটার দিকে শিমরাইলকান্দি গাঁওগেরাম পয়েন্টে নৌকা বাইচ উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম। প্রতিযোগীতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জ জেলার ১৫টি নৌকা অংশ গ্রহন করে।
এর মধ্যে ছিলো সদর উপজেলার ৪ টি নৌকা (ভাড়াকৃত), বিজয়নগর উপজেলার ৫টি নৌকা, সরাইল উপজেলার ১টি নৌকা, আশুগঞ্জ উপজেলার ২টি নৌকা (ভাড়াকৃত) নবীনগর উপজেলার ২টি নৌকা (ভাড়াকৃত) ও নাসিরনগর উপজেলার ১ টি নৌকা ( ভাড়াকৃত) প্রতিযোগীতায় নবীনগর উপজেলার নৌকা প্রথম, সরাইল উপজেলার নৌকা দ্বিতীয় এবং সদর উপজেলার নৌকা তৃতীয় স্থান অধিকার করে।
বিকেল ৫টায় মেড্ডা সরকারি শিশু পরিবার পয়েন্টে তিতাস নদীর পাড়ে অনুষ্ঠিত পুরষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পুরষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর সভার মেয়র মিসেস নায়ার কবির, সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে প্রথম স্থান অর্জনকারী নবীনগর উপজেলার নৌকাকে নগদ ১ লাখ টাকা, দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারী সরাইল উপজেলার নৌকাকে ৫০ হাজার ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারী সদর উপজেলার নৌকাকে ৩০ হাজার টাকা পুরষ্কার দেয়া হয়। এছাড়াও নৌকা বাইচে অংশ নেওয়া ১৫ টি নৌকাকেই ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়।
পুরষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, যত দিন বাঙ্গালি ও বাংলা সংস্কৃতি থাকবে তত দিন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন, তিতাসপাড়ে আজ হাজার হাজার মানুষ। এতেই বুঝা যায় মানুষ নৌকা বাইচকে কত ভালোবাসে। তিনি নৌকা বাইচ প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠানের সাথে জড়িত সকলকে ধন্যবাদ জানান।
জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম বলেন, মহামারি করোনার কারনে গত দুই বছর ২০২০ এবং ২০২১ সালে নৌকা বাইচ বন্ধ ছিলো। করোনার পর ২০২২ সালে আবার নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত হয়। আগামীতেও এই নৌকা বাইচ অব্যাহত থাকবে।
এদিকে নৌকা বাইচকে কেন্দ্র করে দুপুরের পর থেকে শহরে মানুষের ঢল নামে। নৌকা বাইচ উপভোগ করতে শহরের শিমরাইলকান্দি থেকে মেড্ডা পর্যন্ত তিতাস নদীর তীরে জন¯্রােতে পরিনত হয়। নদীর পাড় ছাড়াও মানুষ নদীর পাড়ের বহুতল বিশিষ্ট ভবনের ছাদে উঠে, শেখ হাসিনা সড়কের ব্রীজে উঠে নৌকা বাইচ উপভোগ করে। আবার অনেকেই নৌকা বাইচ উপভোগ করতে ছোট ছোট নৌকা ভাড়া করে পরিবার পরিজন নিয়ে তিতাস নদীর বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেয়।
এদিকে নৌকা বাইচ উপলক্ষে প্রতিযোগীতাস্থলে পুলিশ, বিজিবি, আনসার ও নৌ-পুলিশের কয়েকটি টীম নিয়োজিত থাকে। এছাড়াও ছিল ডুবুরী দল, ফায়ার সার্ভিস ও মেডিকেল টীম। পাশাপাশি নৌকা বাইচ প্রতিযোগীতা সুন্দরভাবে করার জন্য জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটদের নেতৃত্বে ৮টি টীম কাজ করেন।