চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আরো ৫ টন মসুর ডাল আমদানি হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ভারতীয় একটি ট্রাকে করে ডাল বাংলাদেশে প্রবেশ করে। আজ ৩০ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার এসব ডাল বন্দর থেকে খালাস হয়েছে। প্রতি কেজি ১০৮ টাকা দরে মসুর ডাল আমদানি করা হয়। এর আগে মঙ্গলবার প্রথমবারের মতো পাঁচ টন মসুর ডাল আমদানি হয় ভারত থেকে ২৪ ঘণ্টা পার না হতেই ২য় চালান ঢুকে বাংলাদেশে। জানা যায়, আসন্ন রমজানকে সামনে রেখে আরও ডালসহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির পরিকল্পনা রয়েছে।
সূত্র জানায়, ঢাকার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এশিয়া ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল টন প্রতি ৯০০ ডলারে এসব ডাল আমদানি করেছে। সিএন্ডএফ ছিল আখাউড়ার মেসার্স আদনান ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল। রপ্তানিকারক ভারতের কলকাতার এমক্সটিম প্রাইভেট লিমিটেড।
মেসার্স আদনান ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী মো. আক্তার হোসেন জানান, দুই দফায় ত্রিপুরার স্থানীয় বাজার থেকে ডাল আমদানি করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলায় পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযানে ২৪ ঘণ্টায় ভারতীয় মালামাল ও দেশীয় অস্ত্রসহ ১ জন এবং সাজাপ্রাপ্ত গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত ৫ জনসহ ৬ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাবেদুর রহমান এর নির্দেশে সহকারী পুলিশ সুপার মো. দেলোয়ার হোসেন, কসবা সার্কেল এর দিক-নির্দেশনায় এবং আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আবুল হাসিম এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে আখাউড়ায় মাদকদ্রব্য উদ্ধার অভিযান পরিচালিত হয়।
আখাউড়া থানা পুলিশ ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযান পরিচালনাকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ৩ অক্টোবর বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৪টার সময় আখাউড়া উপজেলার ৫নং আখাউড়া দক্ষিণ ইউপি, ৬নং ওয়ার্ডের দ্বিজয়পুর (গাজীর বাজার) থেকে আসামি আফজাল হোসেন প্রকাশ জুম্মানকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার শয়নকক্ষে থাকা অবৈধ বিপুল পরিমাণ ভারতীয় পণ্য ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার হয়।
গ্রেফতারকৃত আফজাল আখাউড়ার গাজীর বাজার ৫নং ইউপি’র ৬নং ওয়ার্ডের মৃত মোখলেছুর রহমানের ছেলে। তার বিরুদ্ধে আখাউড়া থানায় ১টি চোরাচালান ও ১টি অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করা হয়।
অপর অভিযানে এসআই মো. মশিউর রহমান খান, এসআই মো. এরশাদ মিয়া, এএসআই উৎপল দেওয়ান, এএসআই রনি বড়ুয়া, এএসআই ইকবাল হোসেন, এএসআই ধীমান বড়ুয়া ও সঙ্গীয় ফোর্সসহ একটি চৌকস টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে একই দিন রাতে অভিযান চালিয়ে ১ জন গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত ও ৪ জন সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে গ্রেফতার করেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন: মনির মিয়া, মোছা. রুহেনা আক্তার, মো. আবুল মিয়া, মো. স্বপন মিয়া ও আল আমিন। তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. কামাল ভূইয়াকে চাঁদা দাবির মামলায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল ৪ জুলাই বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে নিজ বাড়ি টনকী গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার সকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে হাজতে পাঠানো হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টনকী গ্রামের মৃত আমির উল্লাহ ভূইয়ার ছেলে মো. মুজিবুর রহমান শাহীন বাদী হয়ে কামাল ভূইয়াসহ ছয়জনকে আসামি করে আখাউড়া থানায় মামলা দায়ের করেন। তবে কামাল ভূইয়ার পরিবারের দাবি, এমন (চাঁদা দাবির) কোনো ঘটনা ঘটেনি।
মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মুজিবুর রহমান (শাহীন) চাকরির সুবাদে বহু বছর স্বপরিবারে ঢাকায় থাকতেন। এ সুযোগে কামাল চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য বিবাদীরা মুজিবুর রহমান ও তার ভাইদের ভূমি ও পুকুর দখল করে রাখেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। সম্প্রতি মুজিবুর রহমান নিজ বাড়িতে এসে বসবাস শুরু করেছেন। দখলকৃত ভূমি ছেড়ে দিতে বলায় শাহীনের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন বিবাদীরা। বৃহস্পতিবার বিকালে শাহীন বিরোধপূর্ণ ভূমি দেখতে গেলে খবর পেয়ে কামাল ভূইয়াসহ অপর বিবাদীরা এসে শাহীনের ওপর হামলা করে মারধর করেন। চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে শাহীনকে উদ্ধার করেন। এসময় জায়গা ফেরত নিতে হলে কামাল ভূইয়াকে ৫০ লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়।
আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন বলেন, কামাল ভূইয়াকে শুক্রবার সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ মামলায় আর কাউকে আটক করা যায়নি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় শান্ত নামে এক স্কুল ছাত্রকে মারধরের অভিযোগে রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ২১ জন ছাত্রের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। শান্ত উপজেলার তুলাই শিমুল উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্র। তার দাদা মোঃ শাহজাহান মিয়া বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। গত ১৮ জানুয়ারি সকালে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে শীতকালীণ ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে এ মারধরের ঘটনা ঘটে। মামলার বিষয়টি নিয়ে রেলওয়ে স্কুলের ছাত্রদের মধ্যে ভীতি ছড়িয়ে পড়েছে। অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। প্রশাসনের আয়োজনে খেলায় গিয়ে মারধর ও মামলার শিকার হওয়ায় আয়োজকদের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ ঝাড়েন অভিভাবকরা।
আজ ২৯ জানুয়ারি রবিবার দুপুরে আখাউড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ শফিকুল ইসলাম এ ঘটনার তদন্ত করতে রেলওয়ে স্কুলে যান।
মামলার অভিযোগ, উভয় স্কুলের শিক্ষক ও অভিভাবকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত ১৬ জানুয়ারি উপজেলা পরিষদ মাঠে তুলাই শিমুল উচ্চ বিদ্যালয় ও রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রদের মধ্যে ভলিবল খেলা ছিল। এসময় ওজনে হাল্কা ও ভারী ‘বল’ নিয়ে দুই স্কুলের ছাত্রদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। পরে ১৮ জানুয়ারি প্রতিযোগিতার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে কয়েকজন কিশোর শান্তকে বেদম মারধর করে। পূর্বের বাক-বিতন্ডার জেরে রেলওয়ে স্কুলের ছাত্ররাই শান্তকে মারধর করেছে বলে শান্তর পরিবারের অভিযোগ। এ ব্যাপারে রেলওয়ে স্কুলের একাধিক শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমাদের ছাত্ররা কাউকে মারধর করে থাকলে বিষয়টি আমাদেরকে জানাতে পারতো। সেরকম কিছু ঘটে থাকলে প্রশাসন সমাধান করতে পারতো। মামলা হওয়ায় ভয়ে ছাত্ররা স্কুলে আসছে না। আমরা বিব্রত বোধ করছি।
এদিকে মামলায় অভিযুক্ত এক ছাত্রের বাবা জাবেদ খান খাদেম বলেন, শিক্ষকরা আমার ছেলেকে খেলতে নিয়ে গিয়েছিল। তাদের উচিত ছিল ছাত্রদের দেখেশুনে রাখা। আমার ছেলে বলেছে সে কোন মারামারি করেনি। ছাত্রদের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার বিষয়টি দু:খজনক। এ ব্যাপারে মারধরের শিকার শান্তর দাদা মোঃ শাহজাহান মিয়া বলেন, পূর্বের ঝগড়ার জেরে রেলওয়ের ছাত্ররা আমার নাতিকে মেরেছে। তাকে কিল ঘুষি ও মাথায় আঘাত করেছে। ঘটনার এতোদিনও বিচার না পেয়ে আমি মামলা করেছি।
তুলাই শিমুল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ সাজ্জাত হোসেন বলেন, আমি রেলওয়ে স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ সেলিম মিয়াকে বিষয়টি সমাধানের জন্য বলেছিলাম। কিন্তু তারা গুরুত্ব দেয়নি।
জানতে চাইলে আখাউড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আবুল হোসেন বলেন, মামলা হওয়ার বিষয়টি আমার জানা নাই। আখাউড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, অভিযোগে ঠিকানা না থাকায় এবং শিক্ষকদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে রেলওয়ে স্কুলে গিয়েছিলাম।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাবেয়া আক্তার বলেন, আমি শুনেছি বিষয়টি তারা নিজেরা সমাধান করে নিবে। মামলা হওয়ার বিষয়টি আপনার কাছ থেকে শুনলাম।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ৬ জানুয়ারি সোমবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় জিরাভর্তি একটি ভারতীয় ট্রাক আখাউড়া স্থলবন্দরে এসে পৌঁছায়। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে আমদানি পণ্যের এটিই প্রথম চালান। এর মধ্য দিয়ে বন্দরের আমদানি বাণিজ্য স্বাভাবিক হলো। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ৫ টন জিরা আমদানি করা হয়েছে।
সূত্রে জানা গেছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত বন্দর দিয়ে ভারত থেকে কোনো পণ্য আমদানি হয়নি। সোমবার মেসার্স পড়শী ইমপেক্স নামে একটি প্রতিষ্ঠান ভারত থেকে ৫ টন জিরা আমদানি করেছে।
ভারতীয় প্রতিষ্ঠান এম. টি. ই. এক্সিম প্রাইভেট লিমিটেড প্রতি কেজি ৩ দশমিক ৪৯ ডলার মূল্যে এসব জিরা রফতানি করেছে।
আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক মো. মাহমুদুল হাসান জানান, দীর্ঘদিন ধরে বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি অনিয়মিত ছিল। তবে চলতি অর্থবছরে প্রথমবারের মতো জিরা আমদানি হয়েছে। এর মাধ্যমে আমদানি বাণিজ্য আবারও সচল হলো।
চলারপথে রিপোর্ট :
গাজীপুরে আনিসুর রহমান হত্যার মামলার আসামি ভাগিনা সৌরভ হাসান রুদ্রকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশন থেকে রেলওয়ে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। রাতে পুলিশের এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য প্রকাশ করে হয়েছে। গত বুধবার এ হত্যার ঘটনা ঘটে।
আখাউড়া রেলওয়ে পুলিশ জানায়, শুক্রবার ভোড় সাড়ে ৪টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আখাউড়া স্টেশন থেকে ঢাকা মেইলে সে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল বলেও পুলিশ জানায়।
গত বুধবার উপজেলার ভবানীপুর (উত্তরপাড়া) এলাকায় অভিযুক্ত সৌরভ বঁটি নিয়ে ঘরে শুয়ে থাকা মামা আনিসুর রহমানকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করেন।
এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে রাজধানীর উত্তরার একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ৮টার দিকে আনিসুর রহমানের মৃত্যু হয়। পরে বৃহস্পতিবার তার বিরুদ্ধে গাজীপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়।
আখাউড়া রেলওয়ে থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) এস এম শফিকুল ইসলাম জানান, গ্রেফতার সৌরভ হাসানকে গাজীপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, মাদক কেনার টাকা না দেয়ায় আনিসুর রহমান হত্যা করা হয়।