চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বহুল প্রচারিত একমাত্র ইংরেজি পত্রিকা দি ডেইলী পেনব্রীজ পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক অধ্যাপক মোঃ এমদাদুল হক এর ৬০তম জন্মদিন উদযাপিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে আজ ৩১ জানুয়ারি শুক্রবার সন্ধ্যায় শহরের কাজীপাড়াস্থ পেনব্রীজ কার্যালয়ে পেনব্রীজ পরিবার এক আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতি ও পীস ফর অল এর সভাপতি হাজী মোঃ জসিম উদ্দিন জমসেদ। অধ্যাপক এম এ হানিফ এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক আব্দুল গণি, স্বপ্নতরী সিইও মোঃ তাহের উদ্দিন ভূইয়া, সোনালী ব্যাংকের সাবেক ডিজিএম সেলিম জাহাঙ্গীর, অধ্যাপক আজিজুর রহমান, প্রভাষক তোফায়েল আজম, সাংবাদিক এ কে এম বাবুল হক, সাংবাদিক নিশাদুল ইসলাম, সাংবাদিক আশরাফুল হক চৌধুরী, কবি রুদ্র মোহাম্মদ ইদ্রিস, শহিদ তালুকদার, সাজ্জাদ ইসলাম জুনাঈদ প্রমুখ। আলোচনা সভা-কেক কাটা শেষে অধ্যাপক মোঃ এমদাদুল হকের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
বক্তারা বলেন, তিনি লোভহীন একজন মানুষ। তিনি গর্ব করার মতো একজন মহৎ মানুষ। যিনি আপাদমস্তক একজন মানুষ। সাংবাদিক জগতে তার সৃষ্টিশীলতা ঈর্ষনীয়। তিনি একজন সমাজ সংস্কারক।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলা নতুন বছরকে বরণ করে নিতে সাড়ে তিন দশকের বেশি সময় ধরে বৈশাখী উৎসবের আয়োজন করে আসছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাহিত্য একাডেমি। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। নাচ, গান, আবৃত্তি আর বিষয়ভিত্তিক আলোচনায় সমৃদ্ধ রূপ নিয়েছে এবারের বৈশাখী উৎসব।
সপ্তাহব্যাপী এই উৎসবে শহরের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের পাশাপাশি ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আসা সংস্কৃতিকর্মীরাও অংশ নেন। এছাড়া বৈশাখী উৎসবে লোকজ পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১৯৮৩ সালে সাহিত্য একাডেমি প্রতিষ্ঠার পর ১৯৮৭ সাল থেকে স্থানীয় শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে বৈশাখী উৎসব হয়ে আসছে, যা এই এলাকার অন্যতম প্রধান একটি উৎসবে রূপ নিয়েছে। শুরু থেকেই এই উৎসবের মেয়াদ সাতদিন।
সাহিত্য একাডেমির সভাপতি জয়দুল হোসেন বলেন, গ্রাম বাংলার লোকজ-ঐতিহ্য, বিভিন্ন ধরনের লোকগান এবং লোকজ সংস্কৃতি প্রচার ও প্রদর্শনীর মাধ্যমে বৈশাখী উৎসবের আন্তরিক প্রয়াসের পরিচয় মেলে। আমরা ৩৮ বছর ধরে এই উৎসব পালন করে আসছি। এই উৎসব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সবার উৎসবে পরিণত হয়েছে।
বৈশাখী উৎসবে প্রতিদিনই দর্শনার্থীদের ঢল নামে। সাহিত্য একাডেমির সাধারণ সম্পাদক নূরুল আমিন বলেন, এই উৎসবের মধ্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষের মধ্যে পারস্পরিক মেলবন্ধন গড়ে ওঠে। হাজারো মানুষ আসে এই প্রাণের মেলায়।
গতকাল শুক্রবার উৎসবের ষষ্ঠ দিনের আয়োজনে আবৃত্তি পরিবেশন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মৈন্দ গ্রামের বজলুর রহমান পাঠাগারের সদস্যরা। পাভেল রহমানের নির্দেশনায় আবৃত্তি করে নুসরাত, নওরিন, তানহা, পিয়াল, ইফরান, অর্পণ, জয়া, জুলফা।
এছাড়া সাহিত্য একাডেমির সদস্যরা নাচ ও গান পরিবেশন করেন, ছিল বিষয়ভিত্তিক আলোচনাও। বিকেলে শুরু হওয়া আয়োজন চলে রাত ১০টা পর্যন্ত। আলোচনায় অংশ নেন সাবেক সচিব ড. মো. ইয়ামিন চৌধুরী, এড. আবু তাহের, সাংবাদিক মোহাম্মদ আরজু এবং নারীনেত্রী ফজিলাতুন্নাহার। সবশেষে গান পরিবেশন করে নাসিরনগরের বাউল জারু মিয়া ও অমিয় ঠাকুর সঙ্গীতাঙ্গনের শিল্পীরা।
উৎসবে লোকজ সংস্কৃতি প্রচার ও প্রদর্শনীর পাশাপাশি প্রতিদিনই থাকছে প্রাসঙ্গিক আলোচনা, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। মেলা প্রঙ্গণে নানা ধরনের লোকজ পণ্য নিয়ে বসছে ২০টি দোকানও।
পহেলা বৈশাখে শুরু হওয়া এই উৎসবের উদ্বোধন করেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ও যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
শনিবার সন্ধ্যায় উৎসবের সমাপনী আয়োজনে প্রধান অতিথি থাকবেন সংস্কৃতি সচিব খলিল আহমদ। বিশেষ অতিথি থাকবেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদা, লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক আমিনুর রহমান সুলতানসহ অনেকে। থাকবে সাংস্কৃতিক পরিবেশনাও।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থীর মিছিলে গুলিতে ছাত্রলীগের কর্মী আয়াশ রহমান ইজাজ (২৩) হত্যার বিচারের দাবিতে মরদেহ নিয়ে মিছিল করেছেন এলাকাবাসী। ৬ জুন বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সামনে থেকে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে এই মিছিল শুরু হয়। শহরের প্রধান সড়ক ঘুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ করে। এর আগে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ মাঠে নিহত আয়াশ রহমান ইজাজের প্রথম নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে হাজারো মানুষ অংশ নেয়। পরে রাত ১১টার দিকে নিহতের গ্রামের বাড়ি সদর উপজেলার সুহিলপুর গ্রামে দ্বিতীয় জানাযার পর তাকে দাফন করা হয়। মিছিল থেকে ছাত্রলীগ নেতার হত্যাকারীকে দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির জানানো হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে নতুন কম্পিউটার সংযোজিত আইসিটি শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। ১৮ জানুয়ারি শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম জ্যেষ্ঠ সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে মিলনায়তনে ফুলের ফিতা কেটে কম্পিউটার সংযোজিত আইসিটি শাখার উদ্বোধন করেন।
এসময় সাত গণমাধ্যমকর্মীকে নতুন সাধারণ সদস্যসহ ৩৬জন স্থায়ী সদস্যকে হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে নতুন সাধারণ ও স্থায়ী সদস্য অন্তর্ভূক্তকরণ পত্র প্রদান ও নতুন কম্পিউটার সংযোজিত আইসিটি শাখার শুভ উদ্বোধন উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
জাবেদ রহিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো: বাহারুল ইসলাম মোল্লা।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি নিয়াজ মোহাম্মদ খান, কোষাধ্যক্ষ মোশারফ হোসেন ও সদস্য ফরহাদুল ইসলাম।
প্রেসক্লাব সূত্রে জানা গেছে, সর্বশেষ ২০১৩ সালে জাতীয় বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করা হয়। বর্তমানে প্রেসক্লাবের সদস্য সংখ্যা ৩৬ জন। দীর্ঘ প্রায় ১২ বছর পর বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলায় কর্মরত বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও টেলিশিভশনের সাতজন প্রতিনিধিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করা হয়। এসময় সাতজন সদস্যকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে সাধারণ সদস্য হিসেবে অন্তর্ভূক্তকরণ পত্র দেওয়া হয়। এরপর ফুলেল শুভেচ্ছার জানিয়ে প্রেসক্লাবের ৩৬ জন সদস্যকে স্থায়ী সদস্য হিসেবে অন্তর্ভূক্তকরণ পত্র প্রদান করা হয়।
প্রেসক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম জ্যেষ্ঠ সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে ফুলের তৈরি ফিতা কেটে নতুন কম্পিউটার সংযোজিত আইসিটি শাখার উদ্বোধন করেন।
এসময় অন্যদের মধ্যে প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো: বাহারুল ইসলাম মোল্লা, সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আরজু মিয়া ও খ আ ম রশিদুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান ও আ ফ ম কাউসার এমরান, সাবেক সহ-সভাপতি শেখ মো. শহিদুল ইসলাম, প্রেসক্লাবের সদস্য জয়দুল হোসেন ও আবদুন নূর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ২৮ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সকালে রেলপথ অবরোধ করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিক্ষুব্ধ জনতা। ঢাকা- ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলপথে একটি বিশেষ ট্রেন চালু ও বেশ কয়েকটি আঃন্তনগর ট্রেনের যাত্রা বিরতি, ট্রেনের আসন বাড়ানো, টিকিট কালোবাজারি বন্ধের দাবিতে এই অবরোধ করা হয়। সকাল সোয়া দশটায় সম্মিলিত সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের ব্যানারে সাধারণ মানুষ এই অবরোধ কর্মসূচি পালন করে। এ সময় ঢাকাগামী আন্তনগর সুবর্ণ এক্সপ্রেস আখাউড়া স্টেশনে প্রায় আধঘন্টা আটকা পড়ে। পরে প্রশাসনের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে অবরোধ তুলে নিলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
জানা গেছে, জেলা নাগরিক ফোরাম গত সাত আট বছর ধরে এই দাবিতে আন্দোলন করে আসছিল। জেলা সদরের বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এক হয়ে শুক্রবার এই আন্দোলনে নামেন। খবর পেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং সদর মডেল থানার ওসিসহ প্রশাসনের লোকজন ছুটে এসে আন্দোলনকারিদের সাথে কথা বলেন।
বিক্ষোভকারীরা জানান, দেশের পূর্বাঞ্চলের রেলপথে ব্রাহ্মণবাড়িয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন। যেখান থেকে সরকার প্রতিবছর বিপুল অংকের রাজস্ব পেয়ে থাকে। অথচ সে হিসেবে বাড়েনি যাত্রী সেবার মান। এসব রেলপথে চলাচলের জন্য যে পরিমাণ ট্রেন যাত্রা বিরতি করছে তা নগন্য। এতে জেলাবাসিকে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
জেলাবাসী দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন আন্তঃনগর ট্রেনের ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশন যাত্রাবিরতীর দাবি জানিয়ে আসলেও কর্তৃপক্ষ কেবল আশ্বাসেই দিন অতিবাহিত করেছে। ফলে বাধ্য হয়েই তাদেরকে রেলপথ অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচি হাতে নিতে হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা আরো জানান, দ্রুত সময়ের মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত না এলে আগামী দিনে আরো কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত মো. ইসতিয়াক ভূঁইয়া বলেন, ‘এসব দাবির বিষয়ে জেলা প্রশাসক আগেই সংশ্লিষ্টদেরকে অবহিত করেছেন। আজকের এ আন্দোলনের বিষয়েও অবহিত করা হবে। আমাদের আশ্বাসে ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে আন্দোলনকারীরা অবরোধ প্রত্যাহার করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুকুর থেকে আব্দুর রহমান (১০) নামের এক মাদ্রাসা ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে দমকল বাহিনী।
আজ ৫ আগস্ট শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলা শহরের পশ্চিম মেড্ডা নোয়া পাড়া এলাকার একটি পুকুর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আব্দুর রহমান ওই এলাকার ফারুক মিয়ার ছেলে ও নূরিয়া তাহফিযুল কোরআন মাদ্রাসার ছাত্র।
স্থানীয়রা জানান, সকালে আব্দুর রহমান মাদ্রাসার পাশের পুকুরে গোসল করতে যায়। এরপর থেকে তার আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পুকুরে তার দেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা। পরে দমকল বাহিনী তাকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে যায়। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. সোলায়মান মিয়া বলেন, শিশুটি অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পরীক্ষা করে দেখা যায় হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।