অনলাইন ডেস্ক :
উখিয়া বালুখলী ১০ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুনের ঘটনা ঘটছে। এ ঘটনায় আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের ১টি ইউনিট কাজ করছে। এছাড়া আরো একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে রওনা হয়েছে।
আজ ৫ মার্চ রবিবার বিকেলে উখিয়া বালুখালী ১০ নম্বর ক্যাম্পে রোহিঙ্গা বাজার এলাকায় এই আগুনের ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উখিয়া স্টেশনের কর্মকর্তা মো. এমদাদুল হক জানান, আগুন নেভানোর চেষ্টা চলছে। এখনও আগুনের সূত্র বা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।
বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা দিল মোহাম্মদ জানান, হঠাৎ করে তার শিবিরে আগুন জ্বলে উঠে। বাতাসের কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। ফায়ার সার্ভিস আসার আগে আমার লোকজনকে সড়িয়ে নিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেছি।
ক্যাম্পের বাসিন্দা মো. সাইফুল জানান, তাদের ক্যাম্পের একটি ঘরে প্রথম আগুনের ঘটনা ঘটে। বাতাস থাকায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ছে। আমরা সবাই মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছি। তবে আগুনের তীব্রতা অনেক।
ক্যাম্পে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ৮-আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) আমির জাফর বলেন, ক্যাম্পে আগুন লাগার খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করি। পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
গত বছরের ২২ মার্চ উখিয়ার বালুখালীতে আগুনে পুড়ে মারা যায় ১৫ জন রোহিঙ্গা। তখন ১০ হাজারের মতো রোহিঙ্গার ঘর পুড়ে যায়। একই বছরের ২ জানুয়ারি উখিয়ার বালুখালী ২০ নম্বর ক্যাম্পে জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা (আইওএম) পরিচালিত করোনা হাসপাতালে আগুন লাগে। এতে কেউ হতাহত না হলেও হাসপাতালের আইসোলেশন সেন্টারের ১৬টি কেবিন পুড়ে যায়। এরপর একই বছরের ৯ জানুয়ারি কক্সবাজারের উখিয়ার শফিউল্লাহ কাটা নামে একটি শরণার্থী শিবিরে এক অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ৬০০ ঘর পুড়ে যাওয়ায় তিন হাজারের বেশি মানুষের ঘর।
অনলাইন ডেস্ক :
নাইজেরিয়ার নাগরিক চার্লস ইফেন্ডে উদজুয় ভ্রমণ ভিসায় বাংলাদেশে আসেন ২০১৯ সালে। কিছুদিন পর একটি মাদক মামলায় তার পাসপোর্ট জব্দ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরপর পলাতক অবস্থায় কাপড় কিনে নাইজেরিয়ায় রপ্তানি করে আসছিলেন তিনি। ব্যবসার আড়ালে একটি প্রতারক চক্র গড়ে তোলেন। ২০২১ সালে ভ্রমণ ভিসায় বাংলাদেশে এসে কাপড়ের ব্যবসা শুরু করা নাইজেরিয়ার আরেক নাগরিক ফ্র্যাংক কোকো ওবিরক্স ছিলেন তার প্রধান সহযোগী।
ওই দুই নাইজেরীয়সহ এ চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। বুধবার রাজধানীর বাড্ডা, বসুন্ধরা আবাসিক ও কদমতলীর শামীমবাগ এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
আজ ২৫ মে বৃহস্পতিবার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১০ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, নিজেদের একটি উন্নত দেশের ধনী ব্যক্তি হিসেবে পরিচয় দিয়ে ব্যবসায়ী ও উচ্চবিত্তদের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়াত চক্রটি। এরপর ভুক্তভোগীর অনিচ্ছা সত্ত্বেও সম্পর্ক গভীর করতে নাটক সাজাত তারা। পরে তারাই কাস্টমস কর্মকর্তা সেজে ভুক্তভোগীকে ফোন করে পার্সেল গ্রহণের জন্য ধাপে ধাপে টাকা নিয়ে আত্মগোপন করত।
তিনি আরো জানান, গত ১৭ মে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখানে এক নারীর ঠিকানায় একটি পার্সেল পাঠায় চক্রটি। পরদিন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কাস্টমস কর্মকর্তা পরিচয়ে এক নারী জানায়, তার নামে একটি মূল্যবান পার্সেল বিমানবন্দরে এসেছে। পার্সেল ডেলিভারি করতে কাস্টমস চার্জ ৬০ হাজার টাকা পরিশোধ করতে হবে। এরপর ওই নারীর কাছ থেকে তিন ধাপে ৭৩ হাজার ৩২০ টাকা নেয় চক্রটি। পরে প্রতারণার শিকার হয়েছেন বুঝতে পেরে ওই নারী থানায় অভিযোগ করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট বন্দর থেকে পুলিশ পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে শাহিন শেখ নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
২৫ নভেম্বর শনিবার রাতে তাকে রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট বন্দর থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটককৃত শাহিন উপজেলার বৌলগ্রামের শাহ আলম শেখের ছেলে।
জানা গেছে, টেকেরহাট বন্দরে শনিবার রাতে মানুষকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল এক ভুয়া পুলিশ সদস্য। এসময় বিষয়টি সাধারণ মানুষের সন্দেহে হলে এলাকাবাসী তাকে আটক করে রাজৈর থানা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে তাকে আটক করে।
রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন জানান, আটককৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় ডাকাতি মামলাসহ বিভিন্ন ধরনের একাধিক মামলা রয়েছেন। এ সময় তার কাছ থেকে পুলিশের একটি ভুয়া আইডি কার্ড একটি মোবাইল জব্দ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সিরাজগঞ্জে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) অভিযান চালিয়ে ৬০ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক কারবারীকে আটক করেছে। আজ ৬ অক্টোবর শুক্রবার বিকেলে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক রওশন আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আটককৃতরা হলো কুড়িগ্রাম জেলার কাচিচর স্কুলপাড়া গ্রামের মৃত ছোমেদ আলীর ছেলে বিপ্লব মিয়া (২৮) ও একই জেলার রাজারহাট থানার মৃত সফর উদ্দিনের ছেলে হারুন অর রশিদ (৩৫)।
ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক রওশন আলী জানান, সিরাজগঞ্জ শহরের হোটেলের সামনে মাদক বিরোধী অভিযান ও চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়। ভোর চারটার দিকে পিকআপটি থামানো হলে আটক দুজনের আচরণে সন্দেহ হয়। এ সময় পিকআপ গাড়ি তল্লাশিকালে ব্যাক বডিতে বিশেষ কায়দায় রাখা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে দুজনকে আটক এবং পিকআপটি জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে ডেস্ক :
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানের আয়োজন করবেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে বুধবার এ তথ্য জানানো হয়। এতে আরও বলা হয়েছে, অনুষ্ঠানটি হবে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে।
ওই দিন সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী অতিথিদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। সকাল ১১টায় বিচারপতি, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, তিন বাহিনীর প্রধানগণ, কূটনীতিক, সিনিয়র সচিব, সচিব এবং সমমর্যাদার বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন তিনি।
ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানের আয়োজন করলেও মহামারি করোনার কারণে তিন বছর ধরে এ আয়োজন বন্ধ রাখা হয়েছিল।
করোনার আগে সর্বশেষ ২০১৯ সালে ঈদুল আজহার দিন গণভবনে সরাসরি সর্বস্তরের জনগণ ও অতিথিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর ২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনাভাইরাস শনাক্ত হলে সেই সময় থেকে সরাসরি ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করা হয়নি সরকারপ্রধানের।
অনলাইন ডেস্ক :
‘পানি যখন বাড়ছিল, উপায় না দেখে আম্মা ও ছোট ভাইকে ফ্রিজের ওপর তুলে দিয়ে আমি চৌকির ওপর দাঁড়াই। পানি যখন আমার নাক বরাবর চলে আসে তখন বাঁচার আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম। সাহায্য চেয়ে আগে অনেকগুলো পোস্ট দিয়েছিলাম ফেসবুকে। তখন শেষ পোস্টটি লিখি, লাশ উদ্ধার অইমু (হব) হয়তো, জীবিত উদ্ধার অইতে (হতে) পারতাম না…হয়তো এইটা শেষ পোস্ট।’
বন্যার পানিতে পরিবারসহ আটকে পড়ে মৃত্যুকে খুব কাছ থেকে দেখা মো. সাজ্জাদুর রহমান সাজন গণমাধ্যমের কাছে ভয়াবহ রাতের বর্ণনা এভাবেই দিচ্ছিলেন। রাতে উদ্ধার হওয়ার পর আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে যখন বর্ণনা দিচ্ছিলেন, তখনো তার গলা কেঁপে কেঁপে উঠছিল।
সাজন বললেন, ‘পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস যখন ব্যর্থ হয়েছে তখন এলাকার ভাইয়েরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমাদের বাঁচিয়েছেন।’
টানা বৃষ্টিপাত আর পাহাড়ি ঢলে সিলেট জেলার পাঁচ উপজেলা কমবেশি বন্যাকবলিত।
এর মধ্যে সবচেয়ে আক্রান্ত জৈন্তাপুর। উপজেলায় বুধবার রাতে নিজ ঘরে আটকা পড়ে মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছিলেন সাজন ও তার পরিবার। এ সময় সাহায্য চেয়ে তিনি একের পর এক ফেসবুকে পোস্ট দিতে থাকেন। বিষয়টি তখন জৈন্তাপুরের সীমানা ছেড়ে মধ্যরাতে সিলেটজুড়ে আলোচিত হয়ে ওঠে।
বুধবার (২৯ মে) রাত ৯টা ১৮ মিনিটে সাহায্য চেয়ে প্রথম পোস্টটি দেন সাজন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘আমি দৌলা চেয়ারম্যানের ভাতিজা, দিলু মিয়ার পোয়া (ছেলে) বাড়ি ফেরীঘাট, আমরারে কেউ বাঁচাও, আমরার মরণ সামনে কেউ বাঁচাও আমরারে। মা ভাই লইয়া আটকি গেছি (মা, ভাইসহ আটকা পড়েছি)।’
সাজনের বাড়ি থেকে খানিকটা দূরত্বে ফেরিঘাট। প্রথম পোস্ট দেওয়ার পাঁচ মিনিট পর আক্ষেপ প্রকাশ করে দ্বিতীয় পোস্ট দেন, ‘হায়রে ফেরীঘাটের নৌকা, একটা নৌকা নাইনি বাছাইবার লাগি (একটা নৌকা নেই কি বাঁচানোর জন্য)।
’ রাত ৯টা ৫৫ মিনিটে তৃতীয় পোস্টে তিনি বাঁচার আকুতি জানিয়ে লেখেন, ‘অনেক স্রোতের কারণে কেউ উদ্ধারের জন্য আসতে পারছে না, সুন্দর এই ভুবনে বাঁচার অনেক ইচ্ছা।’
এর ২৯ মিনিট পর লেখেন, ‘এখনো কেউ উদ্ধারে আইছে না (আসেনি)।’ এই পোস্টের কমেন্টে স্থানীয় অনেকে তাকে সান্ত্বনা দিয়ে তারা এসেছেন বলে জানান। এ সময় ইউএনও আসেন পরিবারটিকে উদ্ধার করতে। শাকিল আহমদ নামের একজন ওই কমেন্ট বক্সে জানান, ব্রিজের পূর্ব পাশের নৌকা ব্রিজ পার হচ্ছে না, ফেরিঘাটের দক্ষিণের নৌকা প্রবল স্রোতের জন্য পার করা যাচ্ছে না। হরিপুর থেকে একটি নৌকা আসছে গাড়িতে করে।
শতাধিক কমেন্টে তাকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। রাত ১১টা ৮ মিনিটে সাজন জীবনের আশা ছেড়ে দিয়ে লেখেন, ‘লাশ উদ্ধার অইমু (হব) হয়তো, জীবিত উদ্ধার অইতে পারতাম না (হতে পারব না), হয়তো এইটা শেষ পোস্ট।’ তার এ পোস্ট কয়েক হাজার মানুষকে উদ্বেগের মধ্যে ফেলে দেয়।
পাহাড়ি ঢলের জন্য তীব্র স্রোতের কারণে সাজন ও তার পরিবারকে উদ্ধারে যাওয়া যাচ্ছিল না। ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ গিয়ে চেষ্টা করেও কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছিল না। স্রোতের তীব্রতার কারণে কোনো নৌকা উদ্ধারে যেতে সাহস করছিল না। পরে স্থানীয় কয়েকজন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাদের উদ্ধারে যান। রাত দেড়টার দিকে তারা নৌকা নিয়ে ঘটনাস্থল পৌঁছতে সক্ষম হন। রাত ১টা ৩৯ মিনিটে সাজন পোস্ট দেন ‘আলহামদুলিল্লাহ আমি আর আমার পরিবার উদ্ধার।’ সেখানে হাজারখানেক মানুষ স্বস্তির কথা জানিয়ে কমেন্ট করেন।
মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসা মো. সাজ্জাদুর রহমান সাজন বলেন, ‘পানি বাড়ছিল। ফেসবুকে বারবার পোস্ট দিয়ে সাহায্য চাইলেও কেউ আসতে পারছিল না। তীব্র স্রোতের কারণে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ প্রশাসন ফিরে গেছে। পরে এলাকার ভাইয়েরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তীব্র স্রোতের মধ্যে আমাদের বাঁচাতে আসেন। হরিপুরের মামুন ভাই, কমলাবাড়ির ময়না ভাইসহ বেশ কয়েকজন আসেন। পরে রাত ৪টার দিকে উদ্ধার করে নিয়ে যান।’ আটকে পড়ার মুহূর্তের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কল্পনাও করিনি বেঁচে ফিরতে পারব।’
বন্যার পানি বাড়তে শুরু করার পরও কেন আশ্রয়কেন্দ্রে না গিয়ে বাড়ি থেকে গেলেন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমরা সারা জীবন দেখে এসেছি সকালে পানি বাড়লে বিকেলে কমে যায়। এখানে তো জোয়ারের (পাহাড়ি ঢলের) পানি। এত দীর্ঘ সময় ধরে আর এত দ্রুত পানি বাড়বে এটা আমরা জীবনেও ভাবিনি।’
রাতের ভয়াবহ পরিস্থিতি বর্ণনা করে তিনি বলেন, ‘বিদ্যুতের মেইন সুইচ বন্ধের চেষ্টা করছিলাম বারবার। কিন্তু ওটা স্পর্শ করলেই বিদ্যুৎ ঝাঁকি দিচ্ছিল। এ রকম পরিস্থিতিতে একসময় আমার নাক পর্যন্ত যখন পানি চলে আসে তখন ধরেই নিয়েছিলাম মৃত্যু সময়ের ব্যাপার মাত্র।’
২৩ বছর বয়সী সাজন জানান, তিনি স্থানীয় একটি কলেজে ডিগ্রি তৃতীয় বর্ষে পড়ছেন। তার বাবা দিলু মিয়া বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তিনি ২০১২ সালে মারা যান। মা আর ১৫ বছর বয়সের ভাইকে নিয়ে তার সংসার।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করলে সিলেটের জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম (পিপিএম) বলেন, ‘এ রকম পাহাড়ি ঢলের সময় স্রোত কী পরিমাণ বাড়ে সেটা উনার জানা ছিল। তার এভাবে বাড়িতে থাকা ঠিক হয়নি। রাতে আমরা খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে খেয়াঘাট এলাকায় যাই। কিন্তু পানির স্রোত এত তীব্র ছিল যে অনেক চেষ্টা করেও কোনো নৌকা বা মাঝি ম্যানেজ করা যায়নি।’
মাঝিরা কেউ জীবন ঝুঁকিতে ফেলে উদ্ধারে যেতে চাচ্ছিল না জানিয়ে ওসি বলেন, ‘বড় নৌকাও যেতে রাজি হচ্ছিল না। তারা বলছিল, আমরা গেলে আমরা মারা পড়ব।’
তিনি আরো বলেন, ‘তখন আমি স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সাদ্দাম সাহেবের সঙ্গে যোগাযোগ করে উদ্ধারের অনুরোধ করি। তখন তিনি বলেন, তিনিও তার বাসার দ্বিতীয় তলায় আটকা পড়েছেন। তবু চেষ্টা করবেন। পরে রাতে স্থানীরা তাদের উদ্ধার করেন।’ সূত্র : কালেরকণ্ঠ